বিশ্ব পানি দিবসঃ খাদ্যের জন্য পানি

জাহিদুল ইসলাম
Published : 21 March 2012, 02:54 PM
Updated : 21 March 2012, 02:54 PM

'খাদ্যের নিশ্চয়তা ও পানি' এই স্লোগানকে সামনে রেখে এবছরের ২২ মার্চ পালিত হচ্ছে বিশ্ব পানি দিবস। ১৯৯২ সালে রিও ডি জেনেরিওতে জাতিসংঘের পরিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক অধিবেশনে একটি বিশেষ দিনকে স্বাদু পানি দিবস হিসেবে পালন করার কথা সুপারিশ করা হয়। পরবর্তীতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে ১৯৯৩ সালের ২২ শে মার্চকে প্রথম আন্তর্জাতিক পানি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে প্রতি বছর স্বাদু পানির উপর এক একটি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে ২২ শে মার্চ আন্তর্জাতিক পানি দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ইতিমধ্যে পালিত পানি দিবসগুলিতে স্থান পেয়েছে নারী ও পানি, তৃষ্ণার জন্য পানি, পানির প্রতুলতা, ভুগর্ভস্থ পানি, ভাটির অধিবাসীর জীবন, একুশ শতকের পানি, পানি ও স্বাস্থ, উন্নয়নের জন্য পানি, ভবিষ্যতের জন্য পানি, জীবনের জন্য পানি, পানি ও সংস্কৃতি, পানির অপ্রতুলতা, পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা, আন্তসীমান্ত পানি, পানির মান, শহরের জন্য পানি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। এর মধ্যে 'পানি ও জীবন' শিরোনামে একটি পানি দশক (১৯৯৫-২০০৫) পালিত হচ্ছে।

'পানি ও খাদ্যের নিশ্চয়তা (Water and Food Security)' এই স্লোগানকে সামনে রেখে খাদ্যের নিশ্চয়তার সাথে পানি যে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সেই বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে সবার সামনে নিয়ে আসাই এবারের বিশ্ব পানি দিবসের লক্ষ্য।সুস্থ জীবনের পূর্বশর্ত হচ্ছে সুষম খাদ্যের নিশ্চয়তা এবং সেটা সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থানের উর্ধে থেকে বিশ্বের সকল মানুষের কাছে সব সময়ের জন্য। আর খাদ্যের উৎপাদনের একটি প্রধান পূর্বশর্ত হচ্ছে পানি। প্রতিদিন আমরা নিজেদের খাদ্য হিসেবে ভাত বা রুটি, পাউরুটি, মাংস, ডিম ইত্যাদি গ্রহণ করি; পানীয় হিসেবে কাপের পর কাপ চা বা কফি পান করি। কিন্তু আমরা কি জানি এই সব কিছুর জন্যই পানির প্রয়োজন, কম কিংবা বেশি, যাকে ওয়াটার ফুটপ্রিন্ট (Water Footprint) বা জলপদাঙ্ক দিয়ে প্রকাশ করা যেতে পারে। মূল লেখায় যাবার পূর্বে এই জলপদাঙ্ক সম্পর্কে একটু জেনে নিলে ভালো হয়।

ওয়াটার ফুটপ্রিন্ট (Water Footprint) বা জলপদাঙ্কঃ
একটি পণ্যের ওয়াটার ফুটপ্রিন্ট (Water Footprint) বা জলপদাঙ্ক হচ্ছে ঐ পণ্যটির একক পরিমান উৎপাদনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যে পরিমাণ পানি লাগে তার পরিমাণ [৪]। ধরা যাক এক কেজি ধান উৎপাদনে যদি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১৬৭০ লিটার পানি লাগে তাহলে ধানের জলপদাঙ্ক হচ্ছে ১৬৭০। বিষয়টা একটু ব্যাখ্যা করছি। একটি পণ্যের জলপদাঙ্ক মূলত তিনটি উৎস থেকে নির্নয় করা হয়ঃ সবুজ পানি (Green Water), নীল পানি (Blue Water) ও ধুসর পানি (Grey Water)। ধান উৎপাদনের সময়কালে তা বৃষ্টির পানি গ্রহণ করে, যাকে বলা যেতে পারে সবুজ পানি; উৎপাদনের পর্যায়ে এটি সেচ হিসেবে বা প্রাকৃতিকভাবে সরাসরি ভূপরিস্থ বা ভূগর্ভস্থ পানি গ্রহণ করে, যাকে বলা যেতে পারে নীল পানি; আর ধুসর পানি হচ্ছে উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে পানিদূষণ জড়িত সেই দূষিত পানির অভ্যন্তরস্থ দূষণকে স্বাভাবিক মাত্রায় আনতে যে পরিমাণ পানির প্রয়োজন সেই পরিমাণকে[৪]। উপরে উল্লেখিত ধানের জলপদাঙ্ক মূলত এই তিনটি উৎস থেকে পাওয়া পানির পরিমাণ যা মোটা দাগেঃ সবুজ পানি-১১১৩ লিটার, নীল পানি-৩৭১ লিটার আর ধুসর পানি- ১৮৬ লিটার। খাবার হিসেবে আমরা ধান খাইনা, খাই ভাত। ১ কেজি ধান থেকে গড়ে ০.৬৭ কেজি ভাত হয় যা হিসেবে আনলে ভাতের জলপদাঙ্ক দাঁড়ায় প্রায় ২৫০০ লিটার।

কিন্তু এতো গেলো প্রাথমিক পণ্যের ক্ষেত্রে, এবারে একটি জটিল হিসেবের দিকে যাই। কারখানায় উদ্ভুত পণ্যের ক্ষেত্রে আদতে তার উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কাচামাল হিসেবে উৎপাদিত পণ্যের জলপদাঙ্ক বিবেচনায় আনতে হয়।ধরা যাক আমরা একটি চকলেটে বারের জলপদাঙ্ক বের করব। ব্যাখ্যার প্রয়োজনে আমরা ধরে নিচ্ছি চকলেটে ৪০ শতাংশ থাকে কোকা পেষ্ট, ২০ শতাংশ থাকে কোকা বাটার আর ৪০ শতাংশ থাকে চিনি। এখন মাঠে উৎপাদিত কোকা বীজের জলপদাঙ্ক ধরা যাক ২০০০০ লিটার/কেজি। ১ কেজি কোকা বীজ থেকে ৮০০ গ্রাম কোকা পেষ্ট হলে কোকা পেষ্টের জলপদাঙ্ক দাঁড়ায় ২৪০০০ লিটার/কেজি। কোকা পেষ্ট থেকে দুটি পণ্য উৎপাদিত হয়ঃ কোকা বাটার আর কোকা গুড়া। কোকা পেষ্টের জলপদাঙ্ক কোকা বাটার আর কোকা গুড়ার মধ্যে ২:১ অনুপাতে বন্টন করে দেয়া হলে, আর ১ কেজি কোকা পেষ্ট থেকে যদি ০.৪৭ কেজি কোকা বাটার হয়, তাহলে কোকা বাটারের জলপদাঙ্ক হয় প্রায় ৩৪০০০০ লিটার/কেজি। চিনির জলপদাঙ্ক হচ্ছে ১৮০০ লিটার/ কেজি। এখন সহজ ঐকিক নিয়ম কষলে চকলেটের জলপদাঙ্ক দাঁড়াচ্ছে ১৭০০০ লিটার/কেজি। তাহলে ১০০ গ্রামের একটি চকলেট বারের জলপদাঙ্ক দাঁড়াচ্ছে ১৭০০ লিটার [২]।

খাদ্যদ্রব্যের জলপদাঙ্কঃ
এবারে কিছু খাদ্যদ্রব্যের জলপদাঙ্ক দেখা যাক। নিচের দুটি চার্টে বিশ্বের গুরুত্ত্বপূর্ণ কয়েকটি খাদ্যশস্য ও আমিষ জাতীয় খাবার উৎপাদনে পাউন্ডপ্রতি কি পরিমান পানি প্রয়োজন তার একটি তুলনা দেয়া হয়েছে [১,২]। বাংলাদেশের মানুষের কাছে প্রধান খাদ্যশস্য হচ্ছে ধান ও গম। দেখা যাচ্ছে প্রতি পাউন্ড ধান উৎপাদনে প্রয়োজন ১৭০০ লিটার পানি, অন্যদিকে প্রতি পাউন্ড গম উৎপাদনে প্রয়োজন ৫০০ লিটার। প্রাণীজ আমিষ জাতীয় খাবারের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সর্বাধিক পরিমাণ পানির প্রয়োজন গরুর মাংস উৎপাদনে। এক পাউন্ড গরুর মাংস উৎপাদনে যতটুকু পানির প্রয়োজন তা দিয়ে ১৪ পাউন্ড খাসির মাংস আর প্রায় ৪ পাউন্ড মুরগীর মাংস উৎপাদন সম্ভব। গবাদি পশু থেকে উৎপাদিত পণ্যের জলপদাঙ্ক আবাদকৃত ফসলের থেকে বেশি কারণ গবাদি পশু প্রচুর কৃষিজ পন্য, পানি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে আর এদের প্রতিপালনেও প্রচুর পানি প্রয়োজন।


এবারে আসা যাক পানীয়র ক্ষেত্রে। নিচের চার্টে (২ক) সারাবিশ্বে জনপ্রিয় কিছু পানীয় এবং তা উৎপাদনে প্রয়োজনীয় পানির পরিমান দেখানো হয়েছে [১,২]। এক লিটার দুধ, ওয়াইন ও বিয়ার উৎপাদনে প্রায় কাছাকাছি পরিমাণ পানি প্রয়োজন। তবে মজার বিষয় হচ্ছে এক লিটার কফি উৎপাদনে যতটুকু পানি প্রয়োজন তা দিয়ে প্রায় ৭ লিটার চা উৎপাদন সম্ভব। দেখা যাচ্ছে আম উৎপাদনে যে পরিমান পানির প্রয়োজন তা একটি কলা উৎপাদনের দ্বিগুনেরও বেশি[১,২]।


এছাড়া আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনে প্রয়োজনীয় পানির পরিমাণ হচ্ছেঃ একটি ডিম-২০০ লিটার, এক পাউন্ড পনির-২২৭৩ লিটার, এক পাউন্ড চকলেট-১২০০০ লিটার, এক স্লাইস পাউরুটি-৪০ লিটার, এক পাউন্ড চিনি ৭৫০-লিটার, একটি বার্গার-২৫০০ লিটার ইত্যাদি[১,২]।

জাতীয় প্রেক্ষাপটে জলপদাঙ্ক
এবারে জাতীয় প্রেক্ষাপটে জলপদাঙ্ক ব্যাখ্যা করা যাক। একটি দেশের জনগণ যে পরিমাণ কৃষিজ ও শিল্পজ পণ্য ব্যবহার করে তাদের উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় পানি ও গৃহস্থালীর কাজে প্রয়োজনীয় পানি এই দুইয়ের সামষ্টিক জলপদাঙ্ককে বলা হয় ঐ দেশের আভ্যন্তরীন ভোগের জলপদাঙ্ক। এখন একটি দেশে যে পরিমাণ কৃষিজ ও শিল্পজ পণ্য উৎপাদিত হয় তার একটি অংশ আবার রপ্তানী করা হয়। রপ্তানীকৃত পণ্যের জলপদাঙ্কের সাথে ঐ আভ্যন্তরীন ভোগের জলপদাঙ্ককে যদি একত্রিত করা হত সেটিই হচ্ছে একটি দেশের উৎপাদনের জলপদাঙ্ক। আবার একটি দেশ অন্য দেশ থেকেও কৃষিজ ও শিল্পজ পণ্য আমদানী করে থাকে। এই আমদানীকৃত পণ্যের জলপদাঙ্কের সাথে যদি আভ্যন্তরীন ভোগের জলপদাঙ্ককে যদি একত্রিত করা হত সেটিই হচ্ছে ঐ দেশের মোট জাতীয় ভোগের জলপদাঙ্ক। এবারে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই দুই ধরনের জলপদাঙ্কের একটি চিত্র দেখা যাক [৩]।


উপরের চিত্রে বাংলাদেশের তিনটি ক্ষেত্রে উৎপাদন ও ভোগের জলপদাঙ্কের একটি আনুপাতিক রূপ দেখানো হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে কৃষিজ জলপদাঙ্ক বলতে বলতে চাষাবাদ, গবাদি পশু চারণ ও পালন এই সবকটি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পানির সমষ্টিকে বোঝানো হয়েছে। উপরের দুইটি পাই-লেখ দেখে আমরা অনুধাবন করতে পারি বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যে বা ভোগকৃত পণ্যের মধ্যে পানির চাহিদার ক্ষেত্রে সিংহভাগ(৯৫%-৯৬%) জুড়ে রয়েছেই কৃষিজ পণ্য, যা পরোক্ষ ভাবে খাদ্য উৎপাদন বা ভোগের সাথে পানির নিবিড় সম্পর্ক আমাদের সামনে উপস্থাপন করে।

বাংলাদেশের উৎপাদন ও ভোগের জলপদাঙ্ক
কৃষিজ জলপদাঙ্ক বলতে চাষাবাদ, গবাদি পশু চারণ ও পালন–এই সবকটি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পানির সমষ্টিকে বোঝানো হয়েছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যে বা ভোগকৃত পণ্যের মধ্যে পানির চাহিদার ক্ষেত্রে সিংহভাগ(৯৫%-৯৬%) জুড়ে রয়েছেই কৃষিজ পণ্য, যা পরোক্ষভাবে খাদ্য উৎপাদন বা ভোগের সাথে পানির নিবিড় সম্পর্ক আমাদের সামনে উপস্থাপন করে।

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জলপদাঙ্কঃ
এবারে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আলোচনা করা যাক। কৃষিজ, শিল্পজ ও গৃহস্থালী এই তিনটি ক্ষেত্রে বিশ্বের সব দেশের জলপদাঙ্কের সমষ্টিই ঐ স্ব স্ব ক্ষেত্রে বৈশ্বিক জলপদাঙ্কের সংখ্যা নির্দেশ করে। পৃথিবীতে উৎপাদিত পণ্যে বা ভোগকৃত পণ্যের মধ্যে পানির চাহিদার ক্ষেত্রে সিংহভাগ (৯১%-৯২%) জুড়ে রয়েছে কৃষিজ পণ্য। অর্থাৎ খাদ্য উৎপাদন বা ভোগের সাথে পানির চাহিদার যে নিবিড় সম্পর্কে রয়েছে সেটির স্বরূপ বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটেও প্রায় একই রকম।

বিশ্বের উৎপাদন ও ভোগের জলপদাঙ্ক
আমরা যদি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দিকে তাকাই সেক্ষেত্রেও দেখা যায় একটি দেশের সর্বাধিক পানির চাহিদা কৃষি ক্ষেত্রে। সাম্প্রতিক উপাত্তের আলোকে[৩] বিশ্বে ফসল উৎপাদনের জন্য প্রতিবছর প্রয়োজনীয় পানির পরিমান ৬৩৯০ গিগা ঘনমিটার। এই বিপুল পরিমান পানির ২১ শতাংশই প্রয়োজন ধান উৎপাদনে, যার পরেই রয়েছে গম (১২%) এর অবস্থান।

পরিশেষেঃ
এই নিবন্ধের মূল উদ্দেশ্য ছিল খাদ্য উৎপাদনের সাথে পানির সম্পর্ক কতটা নিবিড় সেটা আরো একবার তথ্য ও উপাত্ত দিয়ে বিশ্লেষণ করে দেখানো। গত শতাব্দীর মাঝভাগে পৃথিবীতে একাধারে খাদ্যের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে আর সেই সাথে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জনপ্রতি খাদ্যগ্রহণের হার ৩০ ভাগ বেড়েছে। এই বর্ধিত চাষাবাদের জন্য বিশ্বে পানির চাহিদা যে বিপুল হারে বেড়েছে সেটা তাই সহজেই প্রনিধানযোগ্য। একটি পরিসংখ্যান এক্ষেত্রে গুরুত্ত্বপূর্ণ আর তা হচ্ছে বিশ্বের স্বাদু পানির ব্যবহারের শতকরা ৭০ ভাগই হচ্ছে সেচের জন্য। সুতরাং ভবিষ্যতে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে তার জন্য প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। পক্ষান্তরে, দিনে দিনে বিশ্বে বিশুদ্ধ স্বাদু পানির যোগান কমছে। চাহিদা আর যোগানের এই চিরায়ত দ্বৈরথ আগামী দিনগুলোতে কতটা প্রকট হবে সেটাই এখন প্রশ্ন আর এই দ্বৈরথকে সীমার মধ্যে রাখতে আমাদের নীতিনির্ধারকরা কতটা সচেষ্ট হয় সেটাই দেখার বিষয়।

তথ্যসুত্রঃ
[১]'The Hidden Water We Use', National Geographic (http://environment.nationalgeographic.com/environment/freshwater/embedded-water/)
[২] Water Footprint Product Gallery (http://www.waterfootprint.org/?page=files/productgallery)
[৩] Mekonnen, M.M. and Hoekstra, A.Y. (2011). 'National Water Footprint Accounts: The Green, Blue and Grey Water Footprint of Production and Consumption'. Volume 1 & 2, Value of Water Research Report Series No. 50.
[৪] Mekonnen, M.M. and Hoekstra, A.Y. (2011).'The green, blue and grey water footprint of crops and derived crop products'. Hydrological Earth Syst. Sci., 15, 1577–1600.

জাহিদুল ইসলাম : বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষক ও পিএইচডি গবেষক, ইউনিভার্সিটি অফ আলবার্টা, কানাডা।