সমস্যা RJ-বাংলার, না প্রমিত বাংলার ভদ্রলোকদের?

ফাহাম আব্দুস সালাম
Published : 8 March 2012, 04:07 PM
Updated : 8 March 2012, 04:07 PM

প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাস এলে ভাষার প্রতি আমাদের ভক্তি-অনুরাগ একটু বাড়ে, এ বছরটা একটু ব্যতিক্রম। এবার আদালতও এ জশনে-জুলুশে একাত্ম হয়েছেন। তারা মত দিয়েছেন যে রেডিও-টিভির "বিকৃত" বাংলা আর সহ্য করা যাবে না। আমরা যারা নিজেদের ভদ্রলোক ভেবে ঢেকুর তুলি, তারা এই মতে আরাম পেয়েছি, RJ-বাংলার নামে যাচ্ছেতাই বাংলা আর শুনতে হবে না। ভদ্রলোকদের জীবনে আরামের গুরুত্ব সঙ্গত কারণেই অপরিসীম। চোখের আরামের জন্য আমরা বস্তি সরাই, দারিদ্র্য সরাতে না পারলেও। তেমনি কানের আরামের জন্য RJ-বাংলা সরাই, এতে বাংলার কী লাভ-ক্ষতি হোলো না বুঝেই। ভদ্রলোকদের ধারণা ভাষাটা জুতার মতো, ওপরে ধূলা জমেছে, ঝাড়ামোছা দিলেই আবার চকমক করে উঠবে।

যদি কানের আরামের জন্য এই আইন বানানো হয়ে থাকে, তাহলে সেটা সার্থক হবে নিশ্চিতভাবে – আর যদি মনে করি এই ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলা ভাষা ব্যবহারকারীদের সামান্যতম উন্নতি হবে কিংবা অবনতি থেকে রক্ষা করা যাবে – তাহলে যাদের ঘটে "পৌনে-আধা" ছটাক ঘিলু আছে তারাও বুঝবেন, তেমন কিসসু হবে না। এই পলিসির জনকদের সদিচ্ছার অভাব নেই নিশ্চিত – কিন্তু তারা ভাষা কীভাবে "বড়" হয়ে ওঠে বোঝেন কি না আমার সন্দেহ আছে।

কেন এই পলিসি ফেইল করবে? উত্তরটা খুব সোজা। একটি "পবিত্র" ভাষা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে সোপর্দ করে যাদের "রক্ষা" করার দায়িত্ব ভদ্রলোকেরা নিয়েছেন সেই কিশোর প্রজন্ম কীভাবে এই ভাষাকে দেখেন এ ব্যাপারে তাদের বিন্দুমাত্র ধারণা আছে বলে আমার মনে হয় না। আপনি যদি ষোলো বছরের কিশোর, যে RJ-বাংলাকে মনে করছে খুব Hip এবং Cool তার মাথায় ঢুকে চিন্তা না করতে পারেন তাহলে কোনো পলিসিই কাজ করবে না।

কোনো ভাষাই ভালো করে রপ্ত করা সহজ কাজ না, তার জন্য বহুদিনের সাধনা প্রয়োজন হয় এবং স্বাভাবিক ভাবেই তার শুরুটা হতে হয় ছোটো বেলা থেকে। মনে রাখবেন, দু-একটা ব্যতিক্রম ছাড়া মানুষ কখনোই কোনো বিদ্যা প্রয়োজন না হলে শিখতে চায় না। কেন এখনকার কিশোর-কিশোরীরা "সুন্দর" বাংলা ছেড়ে RJ-বাংলা রপ্ত করছে, এই প্রশ্নটা করা তাই খুব জরুরী। উত্তর হোলো, এতে তাদের লাভ হয়। ঐ লাভটাকে বদলে দিতে না পারলে কোনো আইনই কাজ করবে না। কান মলা দিয়ে হেড-মাস্টারি হয় পলিসি-মেকিং হয় না।

পাঠক, এখানে আমার নিজের জীবনের কৈশোরের কিছু কথা বলবো, আশ্বাস দিলাম সেগুলো প্রাসঙ্গিক।
স্কুল জীবনে আমি একটু-আধটু বিতর্ক করতাম, প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কারও পেয়েছিলাম জাতীয় টেলিভিশন বিতর্কে। এজন্যে আর সব বিতার্কিকের মতো আমাকেও "সুন্দর" বাংলা শিখতে হয়েছিলো। কেন এগুলো করেছিলাম? গালভরা উত্তর হতে পারে "যুক্তিবোধে ঋদ্ধ হওয়ার জন্য" – কিন্তু ওটা মিথ্যা কথা। আসল উত্তর হোলো সবাইকে দেখানোর জন্য যে আমি অনেক বই-পুস্তক পড়েছি আর দ্বিতীয়ত (প্রধানত) মেয়েদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য। আশ্চর্য হবেন না – মনে নেই Dead Poet Society 'র শিক্ষক John Keating এর সেই উপদেশ, "Language was invented for one reason, boys – to woo women" (ভাষা সৃষ্টি হয়েছিলো একটিমাত্র কারণে, প্রেম নিবেদনের জন্য)? সৌভাগ্যক্রমে আমাদের সময়ে ঐ বয়সের মেয়েরা ডারউইনের সাথে অতোটা পরিচিত ছিলো না, তারা চেহারা-সুরত না দেখে দেখতো কোন ছেলে স্ট্যান্ড করে আর কোন ছেলে বিতর্ক করে? সেজন্য আমরা একটু-আধটু পাত্তা পেতাম আর কি? শুধু তাই না, সাধনা ও সুকুমার প্রবৃত্তিজাত অর্জনের জন্যে আমরা স্বীকৃতি পেতাম নগদে। পনেরো বছরের একটা ছেলেকে যখন নিউ মার্কেটের বইয়ের দোকানের দোকানী বলে যে আপনার বিতর্ক আমার খুব ভালো লাগে, সে তো মনে করবেই জীবনে এর চেয়ে বড় আর কোনো অর্জন হতে পারে না।

পরীক্ষায় ভালো করার জন্যে কেউ কোনোদিন একটা ভাষা ভালোভাবে শিখতে পারে বলে আমার মনে হয় না, কিন্তু স্কুলে ভালো বাংলা জানার অন্যান্য লাভ ছিলো। এখনো মনে পড়ে কলেজ জীবনে বাংলার শিক্ষক এসাইনমেন্ট দিয়েছিলেন ভাব-সম্প্রসারণঃ ক্যাডেটরা কী, পান্তা ভাতে ঘি। আমার লেখাটা ভালো হয়েছিলো দেখে শিক্ষক শ্রদ্ধেয় সাইফুল ইসলাম সবার সামনে লেখাটার বিভিন্ন অংশ পড়ে ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন – আর আমার মনে হয়েছিলো আতলামি সার্থক। ক্যাডেট কলেজে আমার ব্যাচের সাত-আটজন ছাড়া প্রায় সবাইই বইয়ের পোকা ছিলো, রমাপদ চৌধুরীর উপন্যাসের জন্যেও ফার্স্ট বুক, সেকেন্ড বুক দিতে হোতো। আজকে যে কায়দায় শেয়ার বাজার লুণ্ঠন হোলো তার আসল রাস্তা আমরাই দেখিয়েছিলাম প্রথম। হাউজ লাইব্রেরির উন্নয়নকল্পে জুনিয়র ক্যাডেটদের পরামর্শ (পড়ুন আদেশ) দেয়া হলো যে ছুটির শেষে বই কিনে আনতে হবে আমাদের লিস্ট মোতাবেক। সুদূরপ্রসারী বুদ্ধিবৃত্তিক বিনিয়োগ ভেবে অবুঝ বিনিয়োগকারীরা আদেশ পালন করেছিলো বটে, কিন্তু আমরাই পরে এসব বই লুটপাট করলাম, কায়দা কসরত করে।

এখনও আমরা বন্ধুরা এক হলে বই নিয়ে আলোচনা করি (অবশ্যই দেশোদ্ধার ও মেয়েদের নিয়ে আলোচনার পরে)। দেখুন, আমাদের সময়ে ভালো বাংলা জানার অনেক তাৎক্ষণিক ও সুদূরপ্রসারী সুবিধা ছিলো বলেই আমরা বাংলা শিখেছি, এই সুবিধাগুলো পাওয়ার জন্য ইংরেজি শিখতে হলে আমরা ইংরেজিই শিখতাম।

আজকের কিশোর-কিশোরী যে অপ্রমিত RJ-বাংলা ব্যবহার করছে তার কারণ, ঐ ভাষায় কথা বললে তার লাভ আছে, এই কারণে না যে তারা সেটাই কেবল শুনছে। হাজার আইন করলেও কোনো লাভ হবে না, তারা ঐ ভাষাতেই কথা বলবে। অপ্রমিত বাংলার ছড়াছড়ির কারণ হোলো ভদ্রলোকদের প্রমিত ভাষার বুদ্ধিমত্তা ও সৃজনশীলতা শেষ হয়ে গেছে – এই সত্যটা স্বীকার করতে আমাদের গায়ে লাগে। তাই দায়টা চাপিয়ে দেই পরবর্তী প্রজন্মের ওপর – এরা এক্কেবারে নাদান।

সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে দেয়া হয়েছে অসংখ্য চ্যানেলের অনুমতি, এতো ছোটো অর্থনীতির দেশে যেগুলো কোনোদিনও কমার্শিয়ালি ভায়াবাল হবে না, হতে পারে না। যে কারণে নিম্ন মানের অনুষ্ঠানে চ্যানেলগুলো ভরা। পনেরো মিনিটের নাটকে পনেরো মিনিট বিজ্ঞাপন দেখানো, একজন বুদ্ধিমান মানুষকে অপমান করা ছাড়া আর কিছুই না। ইন্টেলেকচুয়ালি চ্যালেঞ্জড না হলে সে অবশ্যই অন্য আরেকটা চ্যানেলে চলে যাবে এবং যেহেতু আমাদের আকাশ খুল্লাম খুল্লা সেহেতু সে হিন্দি চ্যানেলই চলে আসবে একটা সময়ে। যে লোকগুলো ক্যামেরার সামনে দাড়ান এদের নিজেদের ভাষাও প্রমিত না, বহু কসরত করে ভান করেন শুদ্ধ বাংলায় কথা বলার, যে কারণে সেটা হয়ে ওঠে অসহনীয়।

আমাদের ছোটো বয়সে যে সব ভাষা ব্যবহারকারীদের আমারা দেখতাম, শুনতাম তাদের ব্যক্তিত্ব ছিলো, বুদ্ধিমত্তা ছিলো, ছিলো স্টাইল। হুমায়ুন ফরিদী, আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, সুবর্ণা মোস্তফা, লুতফুন্নাহার লতা, শম্পা রেজা, মিতা নূর এদের ব্যক্তিত্ব কীভাবে আপনি আগ্রাহ্য করবেন? যে ভাষায় এরা কথা বলতেন সে কথা শুনে কে না মুগ্ধ হবে? এরা কিন্তু শুদ্ধ বাংলার ভান করতেন না, ওটাই ছিলো ওদের ভাষা, তাই কৃত্রিম মনে হয় নি। এখনকার নায়ক-নায়িকারা কথা না বললেই যে দেশ ও দশের উপকার সে কথা মাথায় রেখে তাদের চেহারা দেখানো হয় বেশী। কিশোর-কিশোরীরা তাই চেহারা নিয়েই বেশী চিন্তিত। তাদের তো রুচির সাধনা করতে হয় না।

বরঞ্চ তারা দেখে, যে অদ্ভুত বাংলায় তারা কথা বলে, তাদের মেক বিলিভ cool world এ সেটাই অথেনটিক। আপনি যতক্ষণ তাদের নিজেদের বানানো এই অথেনটিসিটিকে চ্যালেঞ্জ করতে না পারবেন ততোক্ষণ কোনো পরিবর্তন আসবে না। যে সব ভদ্রলোকের মস্তিষ্ক অতি সচল তারা মনে করেন এ আর কি, কিছু জঞ্জাল সাফ করে দিলেই হোলো (যে মানসিকতা এই সাম্প্রতিক আইনের উদ্ভাবক)। নাহ, এভাবে খেলাটা হয় না। হিন্দির আগ্রাসন রোধ করতে হলে হিন্দি চ্যানেল বন্ধ করে কোনো লাভ হবে না, ওটা হারুয়াদের মেন্টালিটি। আমাদের এমন সৃজনশীল কাজ করতে হবে যেটাকে আজকের কিশোর-কিশোরীরা Hip এবং Cool মনে করবে, যেভাবে আমাদের সময়ে মনে হয়েছিলো ভালো বাংলা বলাটা Cool।

এখনকার কিশোরেরা সুকুমার কাজগুলোয় আর মনোযোগী না, বই পড়ে না, ভালো ভাবে কথা বলতে পারে না, এসব অভিযোগ আমরা সবসময়ই শুনি এবং শুনে যে প্রশ্নটা প্রথমেই ছুঁড়ে দেই সেটা হোলো এরা এরকম কেন? দুঃখিত! এটা ভুল প্রশ্ন। সঠিক প্রশ্ন হোলো এরা এরকম হয়েও পার পায় কীভাবে? সারা পৃথিবীতেই শিক্ষার মানের অধঃপতন হচ্ছে বলে বিভিন্ন রিপোর্ট বেরোচ্ছে – যার সত্যতা এই অস্ট্রেলিয়ায় বসেও প্রত্যক্ষ করা কঠিন না। কিন্তু এটা পুরোপুরি সত্য না। বাংলাদেশের বাইরে এই একটি মাত্র দেশের মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে আমার সামান্য পরিচয় আছে। এখানকার পাবলিক স্কুলের মান খুব ভালো বলা যাবে না, কিন্তু প্রাইভেট স্কুলের ছেলেমেয়েদের বেশীরভাগই ভীষণ চৌকস। এরা কিন্তু কথায় কথায় F-word বের করে না, "অপ্রমিত" ইংরেজিতে কথা বলে না। বহু ছেলে মেয়ের সাথে আপনি ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দিতে পারবেন, নানান ধরনের বিষয়ে। অনেকেই শুনে আশ্চর্য হবেন যে আজোও এখানে একটা শ্রেণীর মাঝে পুরনো দিনের বনেদীয়ানা পুরোপুরি ক্রিয়াশীল। আমরা নিজেরা ছোটোবেলায় যে রক্ষণশীল পরিবেশে বড় হয়েছি, এদের পারিবারিক পরিবেশ তার চেয়ে কোনো অংশে কম রক্ষণশীল না। যে কথাটা আমি বলতে চাইছি সেটা হোলো যে এই ছেলেমেয়েদের পরিশীলিত ভাষা, মার্জিত আচরণের একটা অডিয়েন্স আছে, সেটা তারা জানে বলেই সে মোতাবেক আচরণ করে। আমাদের দেশে যদি কালচারাল এপ্রোপ্রিয়েশান থাকতো, ছেলেমেয়েরা শুদ্ধ করে বাংলা কিংবা ইংরেজি বললে যদি বুঝতে পারতো যে এতে তাদের লাভ হবে, তাহলে অবশ্যই তারা সেভাবেই নিজেদের প্রস্তুত করতো। আমার বাবা '৫৬ সালে বিমান বাহিনীতে যোগ দেয়ার সময় (এই ১৯-২০ বছর বয়সেই) বুঝেছিলো যে তাকে, তাদের সবাইকে চোস্ত ইংরেজি বলতে হবে – সেজন্য তারা বিকেল বেলা আড্ডা দেয়া শুরু করেন ইংরেজিতে। এতে কতোটুকু কাজ হয়েছিলো কে জানে, কিন্তু তারা চেষ্টা করেছিলেন, কেননা তারা জেনেছিলেন যে এতে তাদের লাভ হবে। এখনকার ছেলেমেয়েরা যদি দশ বছর বয়সেই জেনে ফেলে যে কেবল মামা-চাচা থাকলেই সব কিছুতে উতরে যাওয়া যাবে, ভাষিক যোগাযোগের তেমন কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই জীবনের প্রথম ভাগে, তাহলে তো তার সাধনার কোনো ইনসেন্টিভ থাকলো না। বরঞ্চ যে মেকি আচরণ করলে কিছুক্ষণের জন্যে হলেও সামনের মানুষটির দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়, সে আচরণটিই করে সে স্বস্তি বোধ করবে।

কোনো আইনের দ্বারা ভাষার অবনতি ঠেকানোর চিন্তা নিতান্তই একটা শিশুতোষ ভাবনা। কেননা সমস্যাটা জটিল, ভীষণ জটিল। এর সাথে জড়িত আছে অর্থনীতি ও রাজনীতি। উপরন্তু ভাষা প্রবহমান সত্তা। তবে এই প্রবহমনতাকে নদীর সাথে তুলনা করাটা অন্যায্য কারণ নদীর প্রবহমনতা আপনার অংশগ্রহণ নিরপেক্ষ। একে বরং তুলনা করা যেতে পারে একটা ইমারতের সাথে যেটা কতো উঁচু হবে, কতো বড় হবে সেটা কেউ জানে না, কোনোদিন জানাও যাবে না। আপনি যদি এই ইমারতের সুফল ভোগ করতে চান তাহলে আপনাকেও একটা ইট রাখতে হবে। এই ইট রাখার নিয়ম আমি ঠিক করি না, আপনি করেন না, আদালত তো পারেই না। সমস্যা হোলো সবার রাখা ইটের আয়তন সমান না, সবাই লাইন মেপে ইট ফেলতেও জানে না, কিন্তু সবাইকে ইট রাখতে দিতেই হবে – এই ইমারতের বিশিষ্টতা নিপুনতা কিংবা বিলাসিতায় না, প্রাচুর্যে – এতো রাজন্যের না, সাধারণের ঠিকানা। ভদ্রলোকেরা পাশের ইমারতটির বিশালত্বে খুব শঙ্কিত, অন্যেরা ঠিক ইট লাগাচ্ছে কিনা সেটা নিয়ে চিন্তা তার চেয়েও বেশী কিন্তু তারা নিজেরা ইট বসাতে অপারগ। এমন হলে নিশ্চিত থাকুন, আমাদের ইমারতের বাসিন্দারা একদিন না একদিন অন্য কোথাও চলে যাবেই, আটকানো যাবে না।


ফাহাম আব্দুস সালাম
:বিজ্ঞান-গবেষক ও লেখক।