নতুন বাজেট নতুন প্রত্যাশা

মুহম্মদ মাহবুব আলী
Published : 22 May 2017, 01:58 PM
Updated : 22 May 2017, 01:58 PM

আগামী ১ জুলাই ২০১৭-১৮ সালের বাজেট প্রস্তাবানা পেশ করা হবে জাতীয় সংসদে। বাজেট নিয়ে যেহেতু বর্তমান সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডাররা আলাপ-আলোচনার সুযোগ পান, যেহেতু আগের মতো প্রত্যাশা না থাকলেও জাতীয় বাজেট নিয়ে প্রত্যাশা কিছুটা হলেও বিদ্যমান রয়েছে।

আশা করা যাচ্ছে আগামী অর্থবছরে বাজেটের আকার চাখ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

দেশের বাজেট নির্মাণে আমলারা অবশ্য শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছে। অর্থনীতিবিদদের ভূমিকা এদেশে নগণ্য। তাদের একটি গুণ আছে: না দেখেই গভীরে সিদ্ধান্ত দেওয়ার। বলতে দুঃখ লাগে, অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় ব্যাংকিং সেক্টর সবসময় শক্তিশালী ভূমিকা রেখে থাকে। অথচ দুর্ভাগ্যজনক যে বাংলাদেশ ব্যাংক রয়েছে, ব্যাংকিং বিভাগের সচিব রয়েছেন, তারা কিন্তু বর্তমান সরকারপ্রধানের দেশের উন্নয়নের সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে বাজেটে প্রতিফলন করতে পারছে না।

সম্প্রতি ৪৪ হাজার কোটি টাকার উপর ঋণ অবলোপন করা হয়েছে। অবলোপন করার পরও ৫৫ হাজার কোটি টাকার উপর ঋণ খেলাপি গেছে, যার মধ্যে ১৪ হাজার কোটি টাকা সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে। তাহলে কী দাঁড়াল? এই অবলোপিত অর্থ, ঋণ খেলাপি সংস্কৃতি হ্রাস করার জন্যে সরকারপ্রধানের নির্দেশনা আমলারা কাজে লাগাচ্ছেন না। সরকার প্রধান ঘোষণা করেছেন যে, চলতি অর্থবছরে জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৭.২৪ শতাংশ এবং মাথাপিছু আয় ১,৬০২ মার্কিন ডলার হবে।

দুঃখজনক হলেও সত্য, দীর্ঘ ৩০ বছরের অধিককাল ধরে গবেষণা করছি, শেষ মুহূর্তে যে তথ্যউপাত্ত ঘোষিত হবে সেটি গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা আন্তর্জাতিক নিয়ম। অথচ বর্তমান সরকারের একটি দায়িত্বশীল পদে থেকে জননেত্রীর দেওয়া তথ্য দুটো যখন উপস্থাপন করলাম তিনি প্রতিবাদ করলেন দুটো কারণে– গাবেষণার মেয়াদ ১ মে পর্যন্ত এবং এটি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংক হচ্ছে একটি রাজনৈতিক বেনিয়া প্রতিষ্ঠান, এ প্রতিষ্ঠানের দোহাই দিয়ে প্রকাশিত তথ্য ব্যবহার করা যাবে না– এটি আসলে কোন নিয়মের মধ্যে পড়ে জানি না।

শিক্ষা খাতকে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী যতই সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চাইছেন কায়েমী গোষ্ঠী ততই পেছনের দিকে টেনে ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় অ্যাক্রেডিশন কাউন্সিলের আইন পাস হলেও এটি কবে যে বাস্তবায়িত হবে সেটি আসলে আমলারাই জানেন। তবে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ালেও তা যেন কেবল দেশের উপযোগী নয়, বরং বিদেশে রপ্তানিমুখী মানবসম্মদ ও আমাদের দেশে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কল-কারখানায়, যেখানে আমদানিকৃত মানবসম্পদের পরিমান সরকারিভাবে পাঁচ লাখের মতো এবং যারা পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী সাত বিলিয়ন ডলার অফিসিয়াল চ্যানেলে ফি বছর পাঠাচ্ছেন, তাদের রিপ্লেস করার মতো মানবসম্পদ তৈরির জন্যে উপযুক্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকতে পারে।

কদিন আগে ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিক্সে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন এন্টারপ্রাইজ ডেভেলাপমেন্ট কোর্স চালু হয়েছে। আবার মাস্টার ডিগ্রিতে এন্ট্রাপ্রিনিউরিয়াল ইকনোমি এবং অনার্সে এন্ট্রাপ্রিনিউরিয়াল ইকনোমি কোর্সের অনুমোদন দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিক্স আবেদন করতে যাচ্ছে।

দেশে যারা এনজিও বা ব্যাংকিংয়ে আছেন তারা কিন্তু এন্ট্রাপ্রিনিউরিয়ার তৈরির ব্যাপারে তেমন কিছু জানেন না। সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্যোক্তা তৈরি করার জন্যে টাকা ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিক্সকে যাতে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে। কেননা কারিগরি শিক্ষা ও অর্থনৈতিক শিক্ষা প্রসারে বাজেটের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরাদ্দ দিলেই হবে না, যুক্তিযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের কর্মকর্তাদের অর্থনীতিতে মাস্টার্স ডিগ্রি (সান্ধ্যকালীন) এবং অর্থনীতিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্যে আনুমানিক দুই কোটি টাকা ব্যয় করছে, অথচ ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিক্স প্রধানমন্ত্রী যে বেগবানভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদ সারথী হিসেবে কাজ করে চলেছেন, তা সহযোগিতার জন্যে বাজেটে বরাদ্দ প্রয়োজন। অন জব ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে কেবল ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করা যায়। পাশাপাশি কারিগরি কলাকৌশল উদ্ভাবনের জন্যে এবং এ-সংক্রান্ত গবেষণা ও কোর্স চালুর জন্য অবশ্যই সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।

কেননা কারিগরি ক্ষেত্রে বিদেশি শ্রমশক্তি আমদানির চেয়ে আমাদের দেশি শ্রমশক্তি তৈরি করার জন্যে পদক্ষেপ থাকতে হবে। কারিগরি বিভাগকে আলাদা করলেও নতুন কোনো মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। কেননা গড়ে মাত্র ১০ শতাংশ কারিগরি শিক্ষাগ্রহণ করে থাকে। অথচ বিদেশে এ হার ৪৩ শতাংশের ওপরে। আমলারা জোর করে প্রাথমিক পর্যায়ে পাবলিক পরীক্ষা ধরে রেখেছে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত, যাতে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নীত না হয় সেজন্যে বাগড়া দিচ্ছে।

এদিকে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী চেষ্টা করছেন। কিছুসংখ্যক ডাক্তার-নার্স-বায়োটেকনোলজিস্ট স্বাস্থ্য খাত জিম্মি করে রেখেছেন। বাজেটে বরাদ্দ বাড়ালেও খুব বেশি লাভ হচ্ছে না। আবার বেসরকারি উদ্যোক্তারা যেসব 'ফাইভ স্টার' সমতুল্য হাসপাতাল এদেশে স্থাপন করেছেন, পাশ্ববর্তী দেশের অ্যাপোলো কিংবা মুকুন্দরপুরস্থ রবীন্দ্র মৈত্রী হাসপাতালের তুলনায় খরচ অনেক ক্ষেত্রেই বেশি। এ ব্যাপারে বাজেটে অথবা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে নির্দেশনা থাকা বাঞ্ঝনীয়। কমিউনিটি ক্লিনিকের ব্যবস্থা করা হয়েছে, এতে বরাদ্ধ বাড়াতে হবে। এদিকে স্বাস্থ্য বীমা খাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

বিদেশে নিয়ম হচ্ছে গাবেষণা কর্মকাণ্ড গ্রহণ করলে তা বিভিন্ন ধাপে প্রকাশিত হয়, কেবল ফাইনালাইজ করলে পড়ে তা ওই প্রতিষ্ঠানের হয়। দুঃখ লাগে না জেনে, এদেশে সিভিল সোসাইটির তথাকথিত জ্ঞানীরা যখন প্রকাশনা নিয়ে উল্টোপাল্টা কথা বলেন। আবার মিথ্যা কুৎসায় অপ্রাসঙ্গিক তথ্য কিংবা না পড়েই গবেষকদের বিভ্রান্ত করতে সচেষ্ট থাকেন। এ জন্য স্পেসিফিক গবেষণাসংক্রান্ত নির্দেশনা আধুনিকমনস্ক করে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঘোষণা করা উচিত।

এদিকে প্রত্যাশা হচ্ছে বাজেটে পুঁজিবাজার পুনর্গঠনে সুস্পষ্ট নির্দেশনামালা থাকবে। পুঁজিবাজার কেবল শেয়ারবাজার নিয়ে নয়, বরং এর সঙ্গে ডেবট ফাইন্যান্সিং এবং ফিনান্সিয়াল ডেরিভেটিভস নিয়ে ভাবতে হবে– এ ব্যাপারটি অবশ্যই আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করতে হবে। ব্যাংক ডমিনেট শেয়ার মার্কেট এখনও প্রাধান্য পাচ্ছে। তারা স্বল্পকালীন মুনাফা অর্জন করে পুঁজিবাজারের মূল উদ্দেশ্য নষ্ট করছে।

পুঁজিবাজার সম্পর্কে রাজস্ব নীতি সুস্পষ্ট করতে হবে। পাশাপাশি মুদ্রা বাজারকেও পুঁজিবাজার পুনর্গঠনে সহায়তা করতে হবে। তাই প্রত্যাশা থাকছে পুঁজিবাজার পুনর্গঠনসংক্রান্ত সুস্পষ্ট নিয়মনীতি প্রস্তাবিত বাজেটে থাকবে।

এদিকে ১৭টি পণ্যের ক্ষেত্রে পাটজাত দ্রব্য ও মোড়ক ব্যবহার যথাযথ হলেও লো ভ্যালু ভ্যাট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বয়ং হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। ভ্যাট আইন যাচাইবাছাই না করে সে প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব না হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।

ভ্যাট নিবন্ধনের সংখ্যা সাড়ে আট লাখের ওপর, অথচ ভ্যাট দিচ্ছে প্রায় ৩৪ হাজারের মতো। এ শুভঙ্করের ফাঁক কীভাবে এনবিআর অন্যের ঘাড়ে চাপাবে? অন্যদিকে ২২ লাখের মতো কোটিপতি রয়েছে বলে পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে। অথচ দেশে টিআইএনধারী ২৮ লাখ হলেও ১৩-১৪ লাখ লোক কর দিয়ে থাকে। এ অবস্থা থেকে এনবিআর কর্তৃপক্ষকে কেবল পরিত্রাণের জন্যে নিজেদের সক্ষমতা প্রদর্শন করতে হবে। প্রত্যক্ষ কর আদায়ের ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে। ১৫ থেকে ২১ হাজার টাকা পর্যন্ত যারা আয় করেন তারা হয়তো টিআইএনধারী হতে পারেন, কিন্তু আয়কর রেয়াত না দেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে।

কালো টাকা সাদা করার ব্যাপারে বিশেষত জনকল্যাণমূলক কাজে, দলিত সম্প্রদায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, হাওর এবং কোস্টাল এরিয়ার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করা দরকার। কালো টাকা সাদা না করতে দিলে পুঁজি কিন্তু চলে যাবে। ব্যাংকিং খাতে বর্তমানে যে ধরনের ক্রটিবিচ্যুতি ও দুর্নীতি চলে আসছে তা কঠোরতার সঙ্গে বন্ধ করতে হবে। এটি বন্ধ করতে হলে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রস্তাবনা থাকতে হবে। Hire and Fire উচ্চপদে বহাল থাকতে হবে। বিদেশে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানরা কিন্তু বংশবদ না হয়ে দেশের স্বার্থে সরকারের রাজনৈতিক নিয়মনীতি কার্যকর করে থাকেন। ট্যারিফ কমিশনকে অবশ্যই স্বতন্ত্রভাবে কাজ করতে দিতে হবে।

সরকারপ্রধানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পেটে-ভাতের রাজনীতির অর্থনৈতিক দর্শন। সামাজিক নেটওয়ার্ক এবং কমিউনিটি ব্যাংকিংয়ের আওতায় ক্ষুদ্র সঞ্চয়কে ক্ষুদ্র বিনিয়োগে আনতে হলে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও ডাকঘরকে কাজে লাগাতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি পৃথক তত্ত্বাবধানকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ জন্যে সরকারের উচিত হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন ছড়িয়ে দেওয়া এবং আইনগত সংস্কার করা।

বিজনেস ইনকিউবিটার প্রতিষ্ঠা, পণ্য বিপণন ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে কয়েকটি লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বিএনএফকে কাজে লাগানো যেতে পারে। পিকেএসএফ কিন্তু আগের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেছে; মানব মর্যাদা ও সমৃদ্ধ প্রকল্পের মাধ্যমে একটি 'হোলিস্টিক অ্যাপ্রোচ' গ্রহণ করেছে।

সরকারি প্রটোকালের আওতায় যারা বিদেশে চাকরি করতে যাবেন, তাদের জন্যে সরকার একটি বিশেষ পদক্ষেপ নিতে পারে। সরকারি চুক্তিতে ক্লজ থাকতে পারে: যেসব ব্লু কলার (Blue Collar) শ্রমিক টাকা সেদেশের ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন না, সেসব দেশের দূতাবাসের প্রতিনিধিরা টাকা সংগ্রহ করে বৈধভাবে দেশে প্রেরণের ব্যবস্থা করবেন। সংসার খরচ মেটানোর জন্যে মার্কিন ডলার ৫০০ পর্যন্ত এআইটি বসানো যাবে না, আবার কোনো উছিলায় ভ্যাটও বসানো যাবে না। যেমন ক্রেডিট কার্ডে টাকা ধার করলে ভ্যাট বসায় যা অন্যায্য।

আবার গবেষণা প্রকাশের জন্যে বিদেশে মান সম্মত জার্নালে অনেক সময়ে অর্থ প্রেরণের প্রয়োজন হয়। একটি বেসরকারি ব্যাংক এক্ষেত্রে এআইটি ও ভ্যাট উভয় কেটে নিয়েছে। আবার দেশের উন্নয়নের জন্যে আমার লেখা দশ কপি বই ভারত থেকে প্রকাশিত হয়ে আসলে দুই কেজি বইয়ের জন্যে এয়ার কাস্টমস আড়াই হাজার অতিরিক্ত টাকা কেটে নিয়েছে।

গোপনে গোপনে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বৈধতার আড়ালে অনেকটা অবৈধভাবে আয় নিচ্ছেন। অনেক আগে দেখেছিলাম ফাইল ঠেকিয়ে ঘুষ খাওয়া আর হাইজ্যাক করে টাকা আদায়ের মধ্যে প্রথমোক্তটি বেশি খারাপ বলে 'বাংলার বাণী'র প্রবেশমুখে লেখা ছিল।

আর ব্যাংকাররা সবচেয়ে খারাপ কাজ করেন বৈধভাবে আসা ডলারের বদলে টাকায় যখন পেমেন্ট করেন তখন ক্যাশ ডলারের বিক্রির রেটে না দিয়ে ৪-৬ টাকা প্রতি ডলার কমে দেন। এ ব্যাপারে ব্যাংকিং বিভাগ বা বাংলাদেশে ব্যাংক কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিচ্ছেন না। সে জন্যে বাজেট ঘোষণায় একটি সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা দরকার।

পাশাপাশি উন্নয়ন বাজেট যাতে সত্যি সত্যি কাজে লাগে সে জন্যে অর্থবছরের প্রথম দিন থেকে প্রকল্পের জন্যে অর্থ ছাড়ের ব্যবস্থা থাকতে হবে। নৌপথ যেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলোর চালুর ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ জন্যে সরকার মেগা সাতটি অবকাঠামোগত প্রকল্প গ্রহণ করেছে; সময় এসেছে নৌপথ সংস্কার ও নদী ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার।