গুচ্ছ কবিতা

samim_azad
Published : 30 August 2012, 04:18 PM
Updated : 30 August 2012, 04:18 PM

কু তূ হ ল

প্রভাত পাশ ফিরে শু'লে
সুরক্রিয়া শুরু হয়ে যায়
শূন্যতা সমাচার স্বাদ হতে থাকে
ভাবনা ভালুক ভোঁ ভোঁ করে ঘুরে
বোল ফোটে গাছে, বুঝি
সরস্বতী থিতু হয়েছেন
আমার দরোজায় ।

ও আমার ভালুকসোনা
কাকে ভালোবাসো?
ঐ চলিষ্ণু সোঁদাগন্ধ চাঁদ
না সেই সুদীর্ঘ সূতানলী রাত
অথবা স্বপ্নশব্দের এই সুরক্রিয়া প্রাত
কে তোমারে তানসেন করে
করেগো দীপক!

কারা রোমে রোমে শষ্যের স্বাদ আনে
পরায় কবিতা কলঙ্কলতা
ডাকে তক্ষক
প্রসারিত বর্ষা ঝাঁপ খুলে দেয়
বোরখার বাঁধ ভেঙে বেরোয় বারুদ
মিত্রীর বীণ রূপবতী নিয়ে
করে চক্চক্!
আমিও কি বুঝিরে ভালুক
কে আমারে দিক্দারী দেয়
কে এই দীপের দ্যোতক?

সং বি ৎ

পাপ ও পুষ্পহারে মাথা পেতে দেই
হাড় খুলে রাঙা বাহূমূলে
তবু নিদ্রা হয় দূরন্ত তফাতে
সূর্য সানকিতে হাত রেখে সখা
দীঘি তলপেটে, সাপের সিঁথিতে।

আমি ঘুমোতে যাই
ঘাম ও কামকণা মেখে
ঘুমোই তোমার বিদ্যূতে
প্রবল দ্বৈধতায়
তোমার চোখ চাবুকের ঘায়ে
আঘাতে আঘাতে।

জাগিলে যমুনা খসে যায়
কেঁদে উঠি
পুড়ে পুড়ে যাই
কালো এ কুয়াশা নিশিথে।

ছা য়া

যে জীবণে আছো
তারে ভালোবাসো
না হয় তাহারেই
ভালোবাসিবার কর
আর হাসো।

ক্রি য়া

তুমি ছুঁয়ে দিলে হয়ে যাবো মীর
বাজতে বাজতে বন
দু'ঠোঁটে গজাবে সব্জী ও ফল
বেদনার অঞ্জন।

যু গ ল ব ন্দী

গোপন তোরঙ খুলে
এলোমেলো সময়ের যত খেলনা
জীবন্ত জ্বর আর গা
আহ্, নাচতে চল্না!

প রি চ র্যা

শরীরসেতারে টানা দিলে সকালেই লাগে
এক মগ ক্যামোমাইল চা সুগার বিহীন
পুরু পিটাব্রেড, খয়েরী মার্মাইট,
আর জীবনের অনিবার্য এর্নাজি পিল এ্যাম্লডিপিন।

বিকেলে বাহুর বগলে শানাই
পায়ে পায়ে উঠে আসে স্মৃতির খড়ম
বাগানের তলে রাখা শেষ কম্পোস্ট, নিয়ে নিই
পুরানো বন্ধুর মত অত্যাবশ্যক দহরম মহরম।

বন্ধুরাও হয়েছে ওষুধ; তাদেরও
হ্যাঙওভার কখনো হটফ্ল্যাশ
হেয়ার-এক্সটেনশন অথবা সিরাম নম্বর সাত
জীবনের অনিবার্য নি:শ্বাস।

তো বিভ্রম শেষে উঠে দেখি
এ জলকুঞ্জ কখন হয়ে গেছে একদম লাল
বুঝি একদিন এ শামীম আজাদই
হয়ে যাবো হলুদিয়া ষঠী কিংবা হেকিমী হার্বাল!