নারীর অগ্রযাত্রায় বড় বাধা বাল্যবিয়ে বন্ধে কার কী করণীয়

সেলিনা শাহনাজ শিল্পী
Published : 9 March 2017, 03:24 AM
Updated : 9 March 2017, 03:24 AM

'বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭' পাস হওয়ার পর সংবাদপত্রের পাতাজুড়ে, টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে যখন আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে চলছে, নারী ও মানবাধিকারকর্মীদের আন্দোলনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, সরকারের একগুঁয়েমির কড়া সমালোচনা করা হচ্ছে, আমরা সামনে এগুচ্ছি না পেছনে যাচ্ছি এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বক্তৃতা-বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে– ঠিক সেই সময়টাতে সবাইকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সারা দেশে যত বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে তার অর্ধেকেরও বেশির শিকার হয়েছে ১৮ বছরের কম বয়সের মেয়েশিশু।

আইনটিতে দুর্বলতা আছে। কিন্তু বাস্তবতা হল, বিভিন্ন মহলের আপত্তির মুখেও বিশেষ বিধান রেখে আইনটি পাস হয়েছে। এখন এই আইন নিয়েই আগামী দিনগুলোতে আমাদের বাল্যবিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।

ছেলে ও মেয়ের বিয়ের বয়স সুনির্দিষ্ট করে দিয়ে বাংলাদেশে প্রথম আইন প্রণীত হয় আজ থেকে প্রায় ৮৮ বছর আগে। ১৯২৯ সালে প্রণীত এই আইনের নাম 'বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন'। এই আইনে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করা হয় ১৪ বছর ও ছেলেদের ১৮ বছর। ১৯৮৪ সালে এই আইনে পরিবর্তন এনে বিয়ের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করা হয় মেয়েদের জন্য ১৮ বছর ও ছেলেদের জন্য ২১ বছর। সর্বশেষ এ বছর 'বাল্যবিবাহ নিরোধ বিল ২০১৭' পাস হয়।

এই আইন অনুযায়ী বিয়ের জন্য মেয়ের বয়স হতে হবে কমপক্ষে ১৮ বছর এবং ছেলের বয়স কমপক্ষে ২১ বছর। প্রাপ্তবয়স্ক কেউ বাল্যবিয়ে করলে তা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এ জন্য দুবছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড আরোপের বিধানও রাখা হয়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক বাল্যবিয়ে করলে এক মাসের আটকাদেশ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় ধরনের শাস্তির যোগ্য হবে। বাল্যবিয়ের সঙ্গে পিতা-মাতা বা অন্যরা জড়িত থাকলে ছয় মাস থেকে দুবছরের কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে। জরিমানার টাকা না দিলে আরও তিন মাসের জেল খাটতে হবে। বাল্যবিয়ে নিবন্ধন করলে নিবন্ধকের লাইসেন্স বাতিল হবে। যিনি বিয়ে পড়াবেন কিংবা নিবন্ধন করবেন তারও ছয় মাস থেকে দুবছরের কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে।

এই আইনের দুর্বল দিক হল, কোনো বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনো নারীর সর্বোত্তম স্বার্থে, আদালতের নির্দেশ এবং বাবা-মার সম্মতিক্রমে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণক্রমে বিবাহ সম্পাদিত হলে তা এ আইনের অধীনে অপরাধ বলে গণ্য হবে না। এই আইন নারীর অগ্রযাত্রা পিছিয়ে দেবে বলে মনে করছেন নারীনেত্রী ও মানবাধিকারকর্মীরা। তাঁরা মনে করছেন, বিশেষ বিধানের অপব্যবহার করে আইনের ফাঁক গলে বাল্যবিয়ে বৈধতা পাবে। এতে বাল্যবিয়ে আরও বাড়বে।

বাল্যবিয়ে, প্রথমত, মেয়েশিশুর জন্য অধিকার লঙ্ঘন। দ্বিতীয়ত, এটি নির্যাতন। সর্বোপরি, বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ও আইনগত অপরাধ। প্রত্যেক কিশোর-কিশোরীর শারীরিক ও মানসিক পরিপূর্ণতা লাভের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় প্রয়োজন। বিজ্ঞানসম্মতভাবে ১৮ বছরের আগে একটি মেয়ে কখনও পরিপূর্ণ বিকাশ লাভ করে না। সঠিক বয়সের আগে মা হওয়ায় দেশে ৩০ শতাংশ নারী এবং ৪১ শতাংশ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। পড়াশুনা বন্ধ হয়ে গেলে শিক্ষাগ্রহণের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে যথাযথ জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পারে না মেয়েশিশু। তার উপর প্রচণ্ড মানসিক চাপ তৈরি হয়। পরিবারিক ও সামাজিক দায়িত্ব নেওয়ার মতো মানসিক শক্তি, সাহস ও দৃঢ়তা অর্জন করতে পারে না সে।

বাল্যবিয়ে কিশোর-কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্যও বিরাট হুমকি। গর্ভবতী কিশোরীর উচ্চ রক্তচাপ অথবা খিঁচুনি হয়ে মা ও গর্ভের সন্তানের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় কিশোরী পুষ্টিহীনতায় ভুগলে তার স্বাস্থ্যহানি ঘটা ও কম ওজনের শিশুর জন্মের আশঙ্কা বাড়ে। কিশোরী মায়ের সন্তান জীবনভর পুষ্টিহীনতাসহ নানা রকম শারীরিক জটিলতায় ভোগে। এমন কন্যাশিশুর পরবর্তী জীবনে জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও অনেক বেড়ে যায়।

অল্পবয়সে মেয়েদের বিয়ে হওয়ার কারণে দেশে বিবাহবিচ্ছেদ, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা এবং পারিবারিক নির্যাতন বেড়ে যায়। উপযুক্ত হওয়ার আগেই সংসারের দায়িত্ব নেওয়ার কারণে নারী অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন না। পর্যায়ক্রমে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বৈষম্যের শিকার হন। কম বয়সের অজুহাত দেখিয়ে নারীকে পরিবারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। সর্বোপরি, বাল্যবিয়ের কারণে মেয়েশিশু কেবল পরিপূর্ণভাবে বেড়ে উঠতে পারেন না তা নয়– পূর্ণ বয়সে পৌঁছেও যোগ্য, দক্ষ ও কর্মক্ষম নারী হিসেবে পরিবারে, সমাজে ও রাষ্ট্রে তার যথাযথ ভূমিকা পালনে তিনি অপারগ হন।

পরিসংখ্যান বলছে, ১৮ বছরের নিচে মেয়েশিশুর বেশি বিয়ে হয়, এমন ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। আর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও ইউনিসেফ পরিচালিত 'মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার জরিপ' (২০১৪) অনুযায়ী, বাল্যবিয়েপ্রবণ ১০ জেলা হচ্ছে, বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, জামালপুর, কুষ্টিয়া ও খুলনা। জরিপের সময় বগুড়ায় ১৫-১৯ বছর বয়সী কিশোরীদের ৬০ শতাংশ, জয়পুরহাটে ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ, কুড়িগ্রামে ৫৫ দশমিক ৩ শতাংশ, নাটোরে ৫২ দশমিক ২ শতাংশ, নওগাঁয় ৫০ দশমিক ৬ শতাংশ কিশোরী বিবাহিত ছিলেন।

বাল্যবিয়ে রোধ নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের পর্যবেক্ষণ হল, যেসব এলাকায় জন্মনিবন্ধনের হার কম সেখানে বাল্যবিয়ের হার বেশি। বাল্যবিয়েপ্রবণ এলাকায় জন্মনিবন্ধনের হার ১৫ দশমিক ৯ থেকে ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত। একমাত্র কুড়িগ্রাম জেলায় পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের জন্মনিবন্ধনের হার ছিল ৮১ দশমিক ৭ শতাংশ। মূলত নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে, ভুয়া জন্মসনদ ও অন্য এলাকায় নিয়ে গিয়ে বিয়ে দেওয়া ইত্যাদি কারণে এ ধরনের বিয়ে বন্ধ করা যাচ্ছে না।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার মধ্যে সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচি (সিইপি) অন্যতম। এ কর্মসূচি বাল্যবিয়ের প্রতি শূন্য-সহিঞ্চুতায় বিশ্বাসী। গ্রামীণ দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত ও তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে এই সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচি বাল্যবিয়ে রোধে বিভিন্ন প্রচেষ্টা গ্রহণ করে আসছে। এই কর্মসূচি ২০১৪ সালের জুলাইয়ে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলাটি বাল্যবিয়ে রোধের মডেল হিসেবে গ্রহণ করে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর নাগাদ এই উপজেলা বাল্যবিয়েমুক্ত ঘোষণা করার অঙ্গীকার নিয়ে ব্র্যাক সরকার ও সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারকে সঙ্গে নিয়ে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বাল্যবিয়ের বিভিন্ন কারণ উঠে আসে। অধিকাংশ অভিভাবক মেয়েদের কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে সামাজিক নিরাপত্তার অভাবের বিষয়টি উল্লেখ করেন।। দ্বিতীয় কারণ হিসেবে উঠে আসে যৌতুক। মেয়ের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যৌতুকের অঙ্ক বাড়তে থাকে। তাই অভিভাবকরা অল্প বয়সে মেয়ের বিয়ে দিয়ে যৌতুকের চাকা ধরে রাখতে চান। বাল্যবিয়ের কারণ হিসেবে– অভিভাবকদের কথায়– আরও উঠে আসে দারিদ্র্য ও অস্বচ্ছলতা, ভবিষ্যতে ভালো পাত্র পাওয়ার অনিশ্চয়তা, সচেতনতার অভাব এবং এ-সংক্রান্ত আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের অভাব।

মাত্র ১৮ মাসে প্রকল্প এলাকায় বাল্যবিয়ের হার ৫৪ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশে নেমে আসে। এটা সম্ভব হয়েছে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, এনজিও, অভিভাবক, নাগরিক সমাজ, কিশোর-কিশোরী, কাজী, ঈমাম, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ স্থানীয় জনগণের মধ্যে একটা সুন্দর সমন্বয়, সব মহলের সহযোগিতা এবং বাল্যবিয়ের প্রতি এলাকার জনগণের শূন্য-সহিঞ্চুতার কারণে। এই প্রকল্পের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশে বাল্যবিয়ের হার কমিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে আমাদেরও কিছু করণীয় রয়েছে। অভিভাবক হিসেবে আমরা প্রতিজ্ঞা করব ১৮ বছরের আগে কোনো মেয়েকে এবং ২১ বছর বয়সের আগে কোনো ছেলেকে বিয়ে দেব না। প্রাপ্তবয়সের আগে নিজের ছেলে বা মেয়ে যাতে তাদের পছন্দে বিয়ে না করে সেজন্য তাদের পাশে থেকে তাদের মানসিকতা ও আত্মবিশ্বাস তৈরিতে সহায়তা করব। প্রতিজ্ঞা করব যে, বিয়ে নয় বরং মেয়েশিশুর জীবনে শিক্ষা অর্জন ও সাবলম্বী হওয়াই অন্যতম লক্ষ্য। বিয়ের পাত্রী হিসেবে মেয়েকে গড়ে তোলার চেয়েও তাকে শিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা হবে মূল দায়িত্ব। প্রয়োজনে পড়াশুনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমসহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তার অংশগ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করব। মেয়েশিশু যেন পরিণত বয়সে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হতে পারে সে জন্য উৎসাহিত করব এবং সহায়ক পরিবেশ তৈরি করব।

আত্মীয়-পরিজনসহ প্রতিবেশি এবং এলাকাবাসীকে একইভাবে উদ্বুদ্ধ করব যেন তারা সন্তানকে বাল্যবিয়ে না দেন। কোথাও কোনো বাল্যবিয়ের খবর পেলে তা প্রতিরোধে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করব আমরা। বাল্যবিয়েসহ যে কোনো ধরনের নারী নির্যাতন প্রতিরোধে প্রয়োজনে ১০৯ (পূর্বের ১০৯২১) হেল্পলাইনে ফোন করে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহায়তা নেব।

যুব-প্রতিনিধি হিসেবে নিজে বাল্যবিয়ে করব না কিংবা বাবা-মা বাল্যবিয়ে দিতে চাইলে তার প্রতিবাদ করব এবং প্রতিহত করব। কোথাও কোনো বাল্যবিয়ের খবর পেলে তা প্রতিরোধে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করব। সব বয়সী নারীর প্রতি মর্যাদাপূর্ণ আচরণ প্রদর্শন করব এবং অন্যদের একইভাবে উদ্বুদ্ধ করব। প্রয়োজনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় পুলিশ ও সাংবাদিকের সহায়তা নেব এবং বাল্যবিয়ে বন্ধ করব। বাল্যবিয়েসহ যে কোনো ধরনের নারীনির্যাতন প্রতিরোধে প্রয়োজনে ১০৯ হেল্পলাইনে ফোন করে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহায়তা নেব।

পাশাপাশি, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকার জনগণকে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে সচেতন করব ও বিভিন্ন বিচার-সালিশে বাল্যবিয়ের সাজা সম্পর্কে সবাইকে জানাব। কোনো অসাধু কর্মকর্তা যেন ভুয়া নাগরিকত্ব বা জন্মসনদ প্রদান না করেন সে বিষয়ে সব সময় খেয়াল রাখব। এ রকম কেউ ধরা পড়লে নিয়মানুযায়ী তার শাস্তি নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করব। আর্থিক সমস্যার কারণে যেসব মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালানো সম্ভব হয় না, তাদের জন্য স্থানীয়ভাবে ইউনিয়ন/পৌরসভা/ উপজেলা পরিষদের সহায়তায় বিশেষ ফান্ড গঠনে উদ্যোগ গ্রহণ করব। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে এলাকার গণ্যমান্য ও সম্পদশালী ব্যক্তিবর্গের সহায়তা নেব।

মেয়েশিশুর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা এখন জরুরি। রাস্তাঘাটে চলাচলের পথে তারা যেন যৌনহয়রানির শিকার না হয় সেজন্য পুলিশ ও স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিলে যৌথভাবে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সচেষ্ট হব আমরা সবাই।

'আঠারোর আগে কোনো মেয়ের বিয়ে নয়' আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। আমাদের অঙ্গীকার ও উদ্যোগই পারবে মেয়েশিশুর জন্য একটি বৈষম্যমুক্ত, মর্যাদাপূর্ণ ও অধিকারভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে।