গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পুনরুজ্জীবন: সম্ভাবনা ও সংকট

রণেশ মৈত্র
Published : 6 Jan 2017, 04:50 PM
Updated : 6 Jan 2017, 04:50 PM

নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। নির্বাচনটি সুষ্ঠু অবাধ, সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় জাতি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। কারণ, আমাদের এই পোড়া দেশটার জনগণের ভাগ্যে বহু দিন নির্বাচনের নামে আসলে তামাশাই জুটে আসছিল।

ভোটবিহীন, প্রার্থীবিহীন, একদলীয় নির্বাচনের দুঃখজনক অভিজ্ঞতাও হয়েছে ইতোমধ্যে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে যে ঐতিহ্যবাহী দলটি দীর্ঘকাল যাবৎ আন্দোলনমুখর ছিল সেই দলটিই অমন একটি বিতর্কিত নির্বাচন দেশ-বিদেশের আপত্তির মুখে অনুষ্ঠিত করতে দ্বিধা বোধ করল না– বিস্ময়টি এখানেই।

বলা হয়েছিল, তারা নির্বাচন অমন একটি অবস্থার মধ্যেও করতে বাধ্য হতে হয়েছিল শুধুমাত্র সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্যে। এ কথাও না হয় মেনে নেওয়া যেত, যদি দেখা যেত তথাকথিত ওই নির্বাচনের মাস ছয়েকের মধ্যে সংসদ ভেঙে দিয়ে সব দলের অংশগ্রহণে নতুন একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের আয়োজন করা হত।

কিন্তু ছয় মাস কেন, দুটি বছর চলে গেলেও তা করা হয়নি, বরং বারংবার সরকারি উচ্চমহল থেকে স্পষ্ট ভাষায় বলা হচ্ছে, ২০১৯ সালের আগে নির্বাচন হবে না। সবাই বুঝেও নিয়েছে যে, আসলেই তা হবে না এবং এখন আর কেউ মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিও তুলছে না।

বস্তুত এটি একটি বড় কারণ যার ফলে সরকারের সঙ্গে বিরোধী দলগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক হচ্ছে না। কিন্তু এটা আদৌ একমাত্র কারণ নয় এবং ইদানীংকার কোনো ব্যাপার নয়।

দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে দুটি প্রধান বা বৃহৎ রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক দৃশ্যতই অত্যন্ত নিম্ন পর্যায়ে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব আদর্শ থাকবে, নিজস্ব কর্মসূচি থাকবে যা হয়তো অপর দলগুলোর আদর্শ ও কর্মসূচির সঙ্গে মিলবে না বা মিললেও হয়তো আংশিক মিলবে। কিন্তু সে কারণে ন্যূনতম Working relation বা স্বাভাবিক সম্পর্ক থাকবে না– এমনটি কাম্য না। তা না থাকার ফলে জনজীবনের শান্তি যেমন বিঘ্নিত হচ্ছে, তেমনই রাজনৈতিক সংস্কৃতি, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিও কলুষিত হচ্ছে। প্রকৃত প্রস্তাবে তা আবার গণতান্ত্রকেই কালিমালিপ্ত করছে। রাজনীতির গতি নীতিবিগর্হিত পথে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর অনেক উদাহরণ এ যাবৎ কাল ধরে আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্টি হয়েছে। আমরা দেখেছি, স্বৈরাচারের পতন ঘটানোর পর, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এরশাদ সরকারের অবসান ঘটানোর পর তিন জোটের রূপরেখায় বর্ণিত "মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সরকার পরিচালিত হবে" বলে যে ধারাটি সর্বসম্মতিক্রমে সন্নিবেশিত হয়েছিল, নির্বাচনে যখন কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেল না, তখন ক্ষমতার মোহে এবং আওয়ামী লীগ যাতে কোনোক্রমেই গরিষ্ঠতা দেখাতে না পারে, তাই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর সর্মথন নিয়ে সরকার গঠন করে ওই রূপরেখাকে বিএনপি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছিল।

তেমনই আবার এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার মোহে সেবার আওয়ামী লীগও বাম ও প্রগতিশীল শক্তির সহযোগিতার হাত কাজে লাগিয়ে সরকার গঠন করার সুযোগ গ্রহণ করতে আগ্রহী হল না। ফলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার গঠিত হওয়ার সুযোগটি আওয়ামী লীগ হেলায় হারাল। পরিণতিতে দেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হল।

এই ধরাটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে আশির দশকে আমদানি হয়। কিন্তু এরপর থেকে আজ অবধি দুঃখজনকভাবে হলেও তা দিব্যি অব্যাহত আছে; অব্যাহত রয়েছে এর বিরুদ্ধে প্রবল জনমত উপেক্ষা করে। এখন আর বুঝে নিতে অসুবিধা নেই– এই দল দুটি যত দিন ক্ষমতার প্রধান প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে অবস্থান করবে এই রোগের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো অবকাশই নেই; তা তার বিরুদ্ধে জনমত যতই তীব্র হোক না কেন।

নড়াইলের উপনির্বাচনের কথা হয়তো অনেকেই আমরা ভুলে গিয়েছি এতদিনে। তখন বেগম জিয়ার বা বিএনপির রাজত্বকাল। ওই উপনির্বাচনে কারচুপি ঘটেছিল বা ঘটানো হয়েছিল যা দৃশ্যতই অত্যন্ত নোংরা ধরনের। আওয়ামী লীগসহ বাম প্রগতিশীল দলেরা ওই উপনির্বাচনের ফলাফল বাতিল ঘোষণা করে নতুন উপনির্বাচন ঘোষণার যৌক্তিক দাবি জানায়। কিন্তু বিএনপি তা কিছুতেই মানবে না, মানলও না। বলল, "কারচুপি আদৌ হয়নি। তাই ফলাফল বাতিলের প্রশ্ন ওঠে না।"

তখন আওয়ামী লীগ আন্দোলনে নামল ওই তথাকথিত উপনির্বাচনের ফল বাতিলের দাবিতে। সংসদ বয়কটের আন্দোলন। অনির্দিষ্ট কালের জন্য সংসদ বয়কট। কিন্তু তবু বিএনপি নেত্রীর জেদ, তিনি ওই দাবি মানবেন না। আন্দোলন তখন রাজপথে গড়াল। আওয়ামী লীগ হরতালের ডাক দিল। ওই নির্বাচন বাতিলের দাবিতে সঙ্গে থাকা বাম-প্রগতিশীল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষভুক্তদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটভুক্ত করে রাজপথে নামানো হল জামায়াত ইসলামীকে। নীতি-আদর্শ পুনর্বার বিতর্কিত হল। মুক্তিযুদ্ধের ও সংবিধানের মৌলনীতি এবং তিন জোটের রূপরেখা সবই উভয় তরফ থেকেই বর্জিত হল।

এভাবেই চলছে বাংলাদেশের আদি-উত্তর রাজনীতির ধারা। যাঁরা এই ধারা বদলাতে চান, চান পুরনো আদর্শিক ধারা, বঙ্গবন্ধুর ধারা, মওলানা ভাসানীর ধারা তাঁরা নীতিনিষ্ঠ বটে, কিন্তু ব্যাপক জনসমর্থন নানা কারণেই তাঁরা পাচ্ছেন না। নীতির রাজনীতির এমন অসহায় ক্রন্দন থামছেও না; তার গতি অপ্রতিরোধ্য যেন!

জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্কের তো ওখানেই ইতি ঘটেনি। একবার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজের আমন্ত্রণে গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রথম সারির একজন শ্রদ্ধেয় নেতা যুদ্ধাপরাধী মওলানা মতিউর রহমান নিজামীর সঙ্গে। সব সংবাদপত্রেই সে খবর তখন ছবিসহ প্রকাশিত হয়েছিল। ধিক্কার দিয়েছিল জনগণ।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একবার আওয়ামী লীগ বিচারপতি (অব.) বদরুল হায়দার চৌধুরীকে মনোনয়ন দিয়ে প্রশংসা অর্জন করলেও পরমুহূর্তেই সে গৌরব তারা হারাল যখন ভোটের জন্য জামায়াত নেতা মাওলানা গোলাম আজমের দুয়ারে ওই সম্মানীত প্রার্থীকে পাঠানো হল। বদরুল হায়দার চৌধুরী ভোটেও হারলেন, ইজ্জতও হারালেন!

আওয়ামী লীগের অপর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল মৌলবাদীদের সঙ্গে যে পাঁচ দফা নীতি-আদর্শবিরোধী চুক্তির করেছিলেন, সেটাও তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার ছিল এবং দলীয়ভাবেই তাঁকে তা করতে বলা হয়েছিল।

এরপর যখনই বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ একটি কৌশলের অবতারণা করে থাকে। তা হল, যত ক্ষণ অর্থাৎ বিএনপি জামায়াতের সঙ্গ না ছাড়বে, তত দিন তাদের সঙ্গে সংলাপে বসার প্রশ্নই আসে না।

ওদিকে বিএনপি তো খাসা কাজটি করেই রেখেছে। তারা জামায়াতসহ প্রায় সব ইসলামি নামধারী দলগুলোকে নিয়ে ২০ দলীয় জোট গঠন করে বসে আছে। ইতোপূর্বে তারা জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে চার দলীয় জোট গঠন করেছিল এবং নির্বাচনে জিতে তাদের দুজন প্রথম সারির নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও আর একজনকে মন্ত্রসভার সদস্যপদে ভূষিত করেছিল। বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রসঙ্গ উঠলেই আওয়ামী লীগ যখন প্রশ্ন তোলে তারা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না, তখন এ প্রশ্নেরও তো উত্তর পেতে হবে যে, দীর্ঘকাল যাবৎ ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ কেন জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে না?

বিএনপি তো জনতার মধ্য থেকে গড়ে ওঠা দল নয়, তাই। কিন্তু আওয়ামী লীগ তো জনগণ ও আন্দোলনের মধ্য থেকে গড়ে ওঠা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাদের কাছে জনতার প্রত্যাশাও বিপুল।

বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল নয়, তার কোনো অস্তিত্বও ১৯৭১ সালে বা তার আগে ছিল না। দলটি গঠিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চার মৌলনীতি অনুসরণের ওয়াদাও করেনি, বরং বঙ্গবন্ধু কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীকে সামরিক আইনের অস্ত্র ব্যবহার করে, সংবিধান সংশোধন করে (পঞ্চম সংশোধনী) জামায়াতে ইসলামী ও ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে বৈধতা দিয়েছে। তারা বঙ্গবন্ধু যে 'জাতির জনক'– এই ঐতিহাসকি সত্য মানতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কাজেই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করার কোনো কারণই বিএনপির নেই। তারা জামায়তে ইসলামীকে কখনও বেআইনি ঘোষণা করবে না বা তা করার দাবিও উত্থাপন করবে না।

এসব অনাকাঙ্ক্ষিত দৃশ্য দেখতে দেখতে অকস্মাৎ যেন একটু আলোর ঝলক দেখতে পাওয়া গেল কয়েক বছর আগে।

একটি রিট আবেদনের রায় দিতে গিয়ে হাইকোর্ট বলে দিলেন:

"পঞ্চম ও অষ্টম সংশোধনী অবৈধ। যেহেতু জিয়া ও এরশাদের ক্ষমাতা দখল ছিল অবৈধ ও সংবিধানবিরোধী।"

আপিলে সুপ্রিম কোর্ট ওই রায় বহাল রাখলেন এবং বললেন:

"বিসমিল্লাহ" স্থাপন, "জামায়াতে ইসলামী" ও অপরাপর ধর্মাশ্রয়ী দলের বৈধতা প্রদান এবং "ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম"– এগুলো সবই অবৈধ।

এই দুজন অর্থাৎ জিয়া ও এরশাদ অবৈধভাবে ক্ষমাতা দখল করার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মোকদ্দমা আনা উচিত। জিয়া বেঁচে নেই, কিন্তু এরশাদ তো জীবিত। কিন্তু ওই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরই হল না।

এগুলো ১০ দল এবং ১৫ দলীয় জোটেরও দাবি ছিল। ফলে সমগ্র জাতি যখন আনন্দে উল্লসিত তখন অকস্মাৎ সংসদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুবাদে পঞ্চদশ সংশোধনীর নামে এক বিতর্কিত সংশোধনী পাস করে আদালত কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত বিষয়গুলো পুনঃস্থাপন করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অমর্যাদা ঘটানো হল।

এসব কিচ্ছা-কাহিনি আমাদের গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধার বিষয়গুলোকে অতি মাত্রায় বিতর্কিত ও বিভ্রান্তিকর তুলেছে। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি যে কোথায় তিরোহিত হল তার কোনো হদিশ পাওয়া দুরূহ।

অপরদিকে সেদিন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বহু প্রত্যাশিত নির্বাচন। এবারে নতুন করে আশার আলো দেখা গেল উভয় বড় দলের তরফ থেকে। তা হল, গতবার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন যাঁকে আওয়ামী লীগ দিতে অস্বীকার করায় বিদ্রোহ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে জিতেছিলেন, সেই জনপ্রিয় নেত্রী সেলিনা হায়াত আইভীকে এবার আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিল। অপরপক্ষে কোনো বিতর্কিত নেতাকে নয়, নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির প্রাক্তন জনপ্রিয় সভাপতি সাখাওয়াত হোসেনকে বিএনপি মনোনয়ন দিলে নারায়ণগঞ্জবাসী অনেক তৃপ্তি পেল দুই যোগ্য প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে দেখে।

প্রচার অভিযানই শুধু নয়, নির্বাচনের দিন এবং ভোট গণনা পর্যন্ত পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত শান্ত এবং আনন্দমুখর; নারায়ণগঞ্জ সিটিতে একটা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে গেল যেন।

উভয় প্রার্থীই নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে নির্বাচন-উত্তর প্রতিক্রিয়ায় জানালেন বিএনপি প্রার্থী; নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান না করে গ্রহণ করলেন তিনি।

কিন্তু হঠাৎ দুদিন পর বিএনপির মহাসচিব ও যুগ্ম মহাসচিব ঢাকায় বসে বললেন, সামনে থেকে নির্বাচন সুন্দর হলেও কেন্দ্রের ও বুথের অভ্যন্তরে কী ঘটেছে তা তদন্ত সাপেক্ষ। এতে ওই দুই নেতা নিজেরাই নিজেদের হাস্যকর করে তুললেন। কিন্তু দুই প্রার্থী ফল গ্রহণ করলেন। আইভী সাখাওয়াতকে মিষ্টিমুখ করালেন তাঁর বাড়িতে গিয়ে। তাঁরা কোনো বাড়াবাড়িতে না যাওয়ার ফলে নিঃসন্দেহে বলা যায়– নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন বহু দিন পর একটি নির্ভরযোগ্য নির্বাচনের নজির স্থাপন করল এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি পুনরুজ্জীবনের নতুন সম্ভাবনারও সৃষ্টি হল। কিন্তু উল্টোদিকে তেমনই কুৎসিত হল জেলা পরিষদের নির্বাচন।

দিনে দিনে বিকশিত হোক নারায়ণগঞ্জের ধারা; সংঘাতের রাজনীতির অবসান ঘটুক।