অকুপাই ওয়ালস্ট্রিট আন্দোলন এবং বিপ্লব পিয়াসী মন

সাইফুর রহমান তপন
Published : 19 Dec 2011, 07:32 AM
Updated : 19 Dec 2011, 07:32 AM

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গোটা পুঁজিবাদী দুনিয়ার প্রাণকেন্দ্র, আর তার প্রাণভোমরা কোটরাবদ্ধ হয়ে আছে ওয়ালস্ট্রিটে। কারা দখল করল সেই ওয়ালস্ট্রিট! তারা কি সর্বহারা মার্কস যাদের হাতে পুঁজিবাদের কবর হবে বলে ১৫০ বছরেরও বেশি সময় আগে ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন?

মার্কসের সময়ে যা ছিল স্বপ্ন মাত্র, লেনিন তাকে রুশ দেশে বাস্তব করে তুলেছিলেন; প্রমাণ করে দিয়েছিলেন শুধু বিপ্লবী তত্ত্ব থাকলেই চলে না, সর্বহারার রাজ্য কায়েম করার জন্য অতি অবশ্য প্রয়োজন ওই শ্রেণীর নেতৃত্বাধীন একটা বিপ্লবী পার্টির। সেই পার্টি আমেরিকায় গড়ে উঠল কবে? কেউ কেউ আবার এমনও প্রশ্ন তুললেন, সম্ভবত লেনিনেরই সূত্র ধরে, দুর্বল বা অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে পড়া পুঁজিবাদী দেশগুলোতে বিপ্লবের চিহ্নমাত্রও নেই, বরং ওই সব দেশের একসময়ের প্রতাপশালী কমিউনিস্ট পার্টিগুলো বিলুপ্তির পথে, অথচ সাম্রাজ্যবাদের শিরোমণি আমেরিকায় বিপ্লব হয়ে যাচ্ছে?

উল্লেখ্য, মার্কস পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ বিকাশের কারণে পশ্চিম ইউরোপে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ঘটার সম্ভাবনা দেখেছিলেন। সেই ভবিষ্যদ্বাণী ব্যর্থ হবার পর লেনিন এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছিলেন, যুগ পাল্টে গেছে, পুঁজিবাদ সাম্রাজ্যবাদে উত্তীর্ণ হয়েছে, আর সাম্রাজ্যবাদের আধিপত্যের যুগে বিপ্লব হবে দুর্বল পুঁজিবাদী দেশগুলোতে, যেখানে সাম্রাজ্যবাদের বন্ধন আলগা গোছের। প্রশ্ন আরও উঠল- যা একটু গুরুতরই বটে- শুধু ওয়ালস্ট্রিট দখল করলেই কি পুঁজিবাদের অবসান ঘটবে? এর জন্য তো হোয়াইট হাউজ দখল করতে হবে, চলমান আন্দোলনের কি সে পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা আছে?

যা হোক, এসব সংশয় নিরসনের দায়িত্ব পড়ল আলোচকদের ওপর। আলোচকেরাও সে দায়িত্ব পালনে বেশ উদগ্রীব বলে মনে হল। তাঁরা বেশ লম্বা সময় ধরে বোঝাবার চেষ্টা করলেন, ওয়াল স্ট্রিট দখলকারীরা সর্বহারাই হবে, কারণ তারা প্রচণ্ড শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নীচে শুধু কম্বলকে সম্বল করে সপ্তাহের পর সপ্তাহ পড়ে আছেন, সর্বহারা ছাড়া এত কষ্টসহিষ্ণু আর কে হবে? আর এরা যে কমিউনিস্ট তার প্রমাণ হল, এ আন্দোলনের 'শত্রুরা', বিশেষ করে রিপাবলিকানরা, তারস্বরে বলছেন এরা কমিউনিস্ট। এ আন্দোলন যে হোয়াইট হাউজ পর্যন্ত পৌছাবে এ ব্যাপারেও আলোচকদের কোন দ্বিধা নেই। প্রধান বক্তা তো রীতিমত অংক কষে বলে দিলেন, এর জন্য বড়জোর ছয় মাস লাগতে পারে। তবে, আন্দোলনকারীদের দলীয় পরিচয় না পেয়ে প্রায় সব বক্তাই আসন্ন বিপ্লবকে উপর্যুক্ত লেনিনীয় সূত্রে ফেলতে গিয়ে ধন্দে পড়ে গেলেন। একজন বক্তা এরও সমাধান দিলেন। তিনি একজন উত্তর-আধুনিক মার্কসবাদী তাত্ত্বিকের রেফারেন্স টেনে বললেন, আন্দোলনের গতিধারা মার্কসবাদী সূত্র মেনেই এগুচ্ছে।

এসব আলোচনার মধ্য দিয়ে গোটা হাউজে এক দারুণ পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, যার তুলনা হতে পারে অনেকটা ঢালিউডের সুপারহিট সিনেমা চলাকালীন কোন হলের পরিবেশের সাথে। গোটা সিনেমায় নায়ক বা নায়িকা ভিলেনের হাতে নাজেহাল হওয়ার পর শেষ দৃশ্যে ভিলেন যখন পরাভূত কিংবা, কখনও কখনও, দুনিয়া থেকেই বিদায় হয়, তখন গোটা হল হাত তালিতে ফেটে পড়ে। সারাটা সময় নায়ক বা নায়িকার পরিণতি সম্পর্কে শঙ্কায় থাকা দর্শকরা স্বস্তি নিয়ে হল ছাড়েন। ওই হাউজের শ্রোতারাও হাত তালিতে ফেটে না পড়লেও বেশ স্বস্তি নিয়েই আলোচনাস্থল ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

কিন্তু ঠিক ওই মুহূর্তেই একজন উঠে দাঁড়ালেন, সভাপতির অনুমতিক্রমে কিছু প্রশ্ন রাখলেন। তাঁর প্রশ্নগুলোর ভাবার্থ করলে দাঁড়ায়- আন্দোলনকারীরা ওয়াল স্ট্রিট নয়, ওই এলাকার একটি পার্ক- জুকুটি পার্ক- দখল করেছেন মাত্র; এর ফলে ওয়াল স্ট্রিটের কর্মকাণ্ডে ব্যঘাত ঘটলেও তা বন্ধ হয়নি; মার্কস সর্বহারা (প্রলেতারিয়েট) বলতে যাদেরকে বুঝিয়েছেন, বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রে তাদের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে; মার্কিন জনগণের অধিকাংশ মধ্যবিত্ত, যাদের ওপর সর্বহারাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার প্রশ্নটা একটা অলীক স্বপ্ন মাত্র। আন্দোলনকারীদের আদর্শিক পরিচয় নির্ণয়ের পদ্ধতির সাথেও তিনি দ্বিমত পোষণ করেন। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, রিপাবলিকানরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামাকেও কমিউনিস্ট বলে ডাকেন, তা বলে কি তিনি কমিউনিস্ট?

তাঁর এসব প্রশ্নে শ্রোতাদের মাঝে একটা মৃদু গুঞ্জন উঠল। সবাই তাঁকে একটু কুপিত স্বরেই বললেন তাঁর পর্যবেক্ষণটা খোলাসা করে বলার জন্য।

তিনি যা বললেন তাতে একটা হতাশার চাদর যেন সবাইকে ঘিরে ধরল। তিনি অর্থনৈতিক মন্দা, বুশ জুনিয়রের অপশাসন ইত্যাদি প্রসঙ্গ টেনে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বোঝাতে চাইলেন, এটা মূলত ওবামার হতাশ সমর্থকদের কাণ্ড। এর সাথে বিপ্লবের দূরতমও কোন যোগসূত্র নেই।

তিনি ব্যাখ্যা করে বোঝালেন, বাজার মৌলবাদীদের স্বপ্নভূমি যুক্তরাষ্ট্রে চার কোটিরও বেশি মানুষ স্বাস্থ্যবীমা সুবিধা-বঞ্চিত, তিন কোটিরও বেশি শিশু শিক্ষা ব্যয় মিটাতে অক্ষম। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকালে ওবামা অঙ্গীকার করেছিলেন উভয় খাতেই সরকারি ভূমিকা ব্যাপকভাবে বাড়াবেন। তিনি এও বলেছিলেন, এর জন্য যে টাকা লাগবে তা তোলা হবে বছরে আড়াই লাখ ডলারের বেশি আয় করেন- যারা জনসংখ্যার পাঁচ ভাগ- তাদের কাছ থেকে, ট্যাক্সের মাধ্যমে। তখন ওবামার প্রতিপক্ষ এ নিয়ে ব্যাপক শোরগোল তুলে বলেছিলেন, একজনের সম্পদ আরেক জনকে দেওয়া আমেরিকার রীতি নয়, এটা হল- তাদের ভাষায়- কমিউনিস্ট নীতি।
ক্ষমতায় এসে ওবামা তাঁর অঙ্গীকার পূরণের চেষ্টা করলেও রিপাবলিকানদের তীব্র বিরোধিতার কারণে সফল হন নি। ফলে, ওবামার সমর্থক শিবিরে, যার একটা বিরাট অংশ নিম্ন আয়ের মানুষ, হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তাদের ক্ষোভের আরেকটা কারণ হল, ট্রিলিয়ন ডলারের তথাকথিত বেইল আউট, যার সুবিধাভোগী অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনের মাধ্যমে সাধারণ মার্কিনিরা হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে হয়েছে অতিকায় ধনীরা, আন্দোলনকারীরা যাদেরকে 'সুপার রিচ' বলে ডাকছেন এবং যাদের বল্গাহীন মুনাফার লোভ মার্কিন অর্থনীতির চলমান সংকটের প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়।

তিনি স্মরণ করিয়ে দিলেন, মূলত, জনসংখ্যার মাত্র এক ভাগ বলে কথিত, এই সুপার রিচদের ইন্ধনেই মার্কিন কংগ্রেস ও সিনেটের গত মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগ মুহূর্তে টি-পার্টি মুভমেন্ট বাজার মাত করেছিল। টি-পার্টিওয়ালাদের অভিযোগ ছিল, ওবামা রাষ্ট্রীয় খাতসমূহে ব্যয় বাড়িয়ে রাজকোষ শূন্য করে দিয়েছেন। ওই নির্বাচনে ওবামার দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভরাডুবি হয়েছিল।

এ পরিস্থিতিতে, ওই প্রশ্নকারীর মতে, হতাশ ও বিক্ষুব্ধ ডেমোক্র্যাটদের সামনে রাস্তায় নামা ছাড়া কোন উপায় ছিল না। তাঁর অভিমত, এ আন্দোলনকে সমর্থন যোগাচ্ছেন একদিকে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান, বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা মাইকেল মুরের মত বুদ্ধিজীবীরা, সমাজতন্ত্রের ব্যাপারে যাদের আগ্রহ শূন্যেরও নীচে, আরেক দিকে ওবামার সমর্থক ওয়ারেন বাফেট, জর্জ সরোস-এর মতো সুপার রিচদের একটা অংশ। ওয়ারেন বাফেট নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ কলাম লিখে সুপার রিচদের ওপর ট্যাক্স আরোপ করার ব্যপারে ওবামার পলিসিকে সমর্থন দিয়েছেন; সরোসও চলমান সংকট মোকাবেলায় সবারই 'ত্যাগ স্বীকার' করা প্রয়োজন বলে মনে করেন।

প্রশ্নকারীর ধারণা, ওয়াল সিট্রট আন্দোলনের পরিণতি হবে ইরাক যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনের মত। শেষোক্ত আন্দোলনটি টানা পাঁচ বছর চলার পর নির্বাচনে ওবামার বিজয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যায়। ওবামা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ২০১১ সালের মধ্যে ইরাক থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে। আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবিও ছিল এটি। অন্যদিকে, ওয়াল স্ট্রিটওয়ালাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য কী এ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও যে শ্লোগানগুলো ইতিমধ্যেই সামনে চলে এসেছে তা হল, সুপার রিচদের ওপর করারোপ করা, তাদের লোভ ও দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা ইত্যাদি। দুটো দাবিই টোবিন ট্যাক্স চালু ও গ্লাস-স্টিগাল অ্যাক্ট পুনর্বহালের সাথে যুক্ত। ধারণা করা হয়, টোবিন ট্যাক্স ডলার নিয়ে ফাটকা কারবার নিয়ন্ত্রণে এবং গ্লাস-স্টিগাল আইন নিয়মবিহীন ব্যাংকিং কার্যক্রমের লাগাম টেনে ধরার কাজে সহায়ক হবে। তাই প্রশ্নকারীর বিশ্বাস, ওয়াল স্ট্রিট দখল আন্দোলন যদি আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত চাঙা থাকে, এবং, আরো গুরুত্বপূর্ণ হল, টি-পার্টিওয়ালাদের মত মার্কিন জনগণকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হয় তাহলে ওবামা ওই দুটো আইন চালুর বিষয়কে তাঁর নির্বাচনী শ্লোগানে পরিণত করবেন। এ শ্লোগানে আপ্লুত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আমজনতা হয়তো আবারও আশায় বুক বেঁধে ওবামার জয়ের পথকে প্রশস্ত করে দেবেন।

গত কয়েক দিন আগে তাঁর এ কথাগুলো নিয়ে ভাবতে ভাবতে পত্রিকার পাতা উল্টাচ্ছিলাম। হঠাৎ একটা খবরে চোখ আটকে গেল। আন্দোলনকারীদের একটা অংশ এর সাথে জড়িত বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চান। কারণ এদের কারণে নাকি আন্দোলন তার নির্দলীয় চরিত্র হারাচ্ছে। এটা সর্বজনবিদিত, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ওপর ডেমোক্র্যাটদের প্রভাব অন্যদের চেয়ে বেশি, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ইস্যুতে এরাই বড় বড় সমাবেশ ঘটিয়ে থাকে। এদিকে আরেকটা খবরও চোখে পড়ল, এক জরীপে দেখা গেছে, মার্কিন জনগণের ৫৫ শতাংশ ওয়ালস্ট্রিট আন্দোলনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত নয়। এসব খবরের পরিপ্রেক্ষিতে ওই প্রশ্নকারীর বক্তব্য উড়িয়ে দেওয়া কঠিন, কিন্তু বিপ্লব পিয়াসী মন যে তা মানতে চায় না।

আমার মনে আছে, গত শতকের শেষ দশকের প্রথম দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নসহ প্রায় গোটা সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব যখন রীতিমত হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল, তখন এ দেশের পুরো বাম শিবিরে চরম হতাশা নেমে আসে। ওই ধাক্কা বামপন্থিরা বাস্তবে আর সামাল দিতে পারেনি। আমরা তখন পেশাদার বিপ্লবীর জীবন বেছে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। নেতারা আমাদের বোঝালেন, এ ধাক্কা সাময়িক, পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদ আবারও সংকটে পড়বে, তখন সমাজতন্ত্রের তালাশ করা ভিন্ন মানুষের কোন উপায় থাকবে না। তাঁরা নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র ব্যাখ্যা করার মত করে বোঝালেন, পুঁজিবাদের অভ্যন্তরীণ নিয়মেই এ ব্যবস্থা কিছুদিন পর পর মহামন্দার কবলে পড়তে বাধ্য। প্রথম মহামন্দার পরিণতিতে একদিকে বেধেছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, আরেকদিকে জন্ম হয়েছিল প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র (১৯১৭ সালে রুশ দেশে)। গত শতকের তিরিশের দশকের শেষ পাদে দ্বিতীয় মহামন্দার কারণে একদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলেও আরেকদিকে পূর্ব ইউরোপ এবং চীনসহ এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তৃতীয় মহামন্দা অবধারিতভাবেই আরও বৃহত্তর অঞ্চল জুড়ে সমাজতন্ত্রকে ছড়িয়ে দেবে, ভালমত কাজ করলে, আমরাও যার অন্তর্ভুক্ত হতে পারি। এ কথাগুলো আমাদেরকে মন্ত্রের মত উজ্জীবিত করেছিল।

বামপন্থি নেতৃবৃন্দের ভাষায়, বিশ্ব পুঁজিবাদ এখন ওই 'বহুল প্রত্যাশিত' মহামন্দায় আক্রান্ত। আর এরই মাঝে জন্ম নিল অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলন, একেবারে পুঁজিবাদের প্রাণকেন্দ্রে। কী দারণভাবে মিলে গেছে সমীকরণটি।

আসলেই, এত প্রত্যাশিত একটা বিপ্লবী সম্ভাবনাকে বিপ্লব-সন্ধানী কে-ই বা মরিচিকা বলে মেনে নিতে চায়!