চল্লিশ বছর: স্বাধীনতার খসড়া খতিয়ান

মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
Published : 15 Dec 2011, 07:23 PM
Updated : 15 Dec 2011, 07:23 PM

বিজয় দিবস আমাদের কাছে নববর্ষের মতো। এদিন আমাদের নবান্নের মতো উৎসবও। আমরা আনন্দ করি এবং প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেবনিকেশ করি। বিজয়ের চল্লিশ বৎসর পূর্তিতে সেই দিনের তাৎপর্য আজ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের অতীতের অর্জন-ব্যর্থতা বা লাভক্ষতির একটা খসড়া খতিয়ান তুলে ধরা যাক । যদি আমরা আমাদের অতীতকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারি এবং তার থেকে যথার্থ শিক্ষালাভ করতে পারি তবে ভবিষ্যতের জন্য আমরা কিছু দিগনির্দেশনা পেতে পারি।

যে ভূখন্ড আজ বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিত তা ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের এক প্রদেশের অংশ ছিল। পরে তা পাকিস্তানের এক প্রদেশ হয়। আমাদের রাজনৈতিক ভাবনা প্রদেশের স্বায়ত্তশাসন ঘিরে। ছয় দফার আন্দোলনও সেই উপলক্ষে। পাকিস্তানের জুলফিকার আলি ভুট্ট অবশ্য ঠিকই ধরেছিলেন যে ব্যাপারটি প্রায় সার্বভৌম স্বাধীনতার কাছাকাছি। যাই হোক যখন ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিজয় ও অন্যান্য দেশের কাছ থেকে স্বীকৃতি লাভ করলাম তখন সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রশাসন, দায়িত্ব ও গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা তেমন অভিজ্ঞ ছিলাম না। আমাদের লোকবল তেমন দক্ষ ছিল না। এখনো বিশ্ব ব্যাংক বলে আমাদের প্রশাসনের শতকরা মাত্র ২০ ভাগ লোক কাজের। এরপরে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ এবং অবাঙালি শিল্পপতিদের পরিত্যক্ত প্রতিষ্ঠান ও বিষয়াদির দেখভাল ভারী শিল্প, ব্যাংক বীমা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের জাতীয়করণের ফলে সদ্যস্বাধীন দেশের সরকারের সম্মুখে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দেয়। সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে আমরা টিকে আছি।

গত দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের শেষের দিকে ব্রিটিশ ভারত সাম্রাজ্যের প্রশাসনে বিকার দেখা দেয়। মুসলমান কর্মকর্তা দিয়ে মুসলমান এলাকায় এবং হিন্দু কর্মকর্তা দিয়ে হিন্দু এলাকায় যখন শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াল তখন শাসক সম্প্রদায় নিজেদের বিলাতে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবতে শুরু করল। প্রশাসনে যে পতন শুরু হয়েছিলো পাকিস্তান আমলে তা রোধ করা যায় নি। স্বাধীন বাংলাদেশে তার অধোগতি নির্মমভাবে বৃদ্ধি পায়। মুক্তিযোদ্ধাদের দুই বছরের সিনিয়রিটি দলীয় স্বার্থে প্রশাসনে নিয়োগ, পদ-উন্নতি বা পদাবসান বিশেষ কর্তব্যে নিয়োজিত কর্মহীন কর্মকর্তার সংখ্যা এবং চুক্তিভিত্তিতে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ প্রশাসনকে একেবারে তছনছ করে দেয়। ইতিমধ্যে তত্ত্বাবধান ও তদারকির অনুশীলনের অভাবে প্রশাসনিক কাঠামো মরচেপড়ে একেবারে অকেজো হয়ে ওঠে। বেসামরিক প্রশাসনে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের অন্তর্ভূক্তি এক দুরুহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। আত্মরক্ষার্থে জী-হুজুর আমলারা তাদের প্রশাসনিক দায়িত্ব ভুলে নিজেদেরকে চাটুকার্য্যে নিয়োজিত রাখেন। গত চল্লিশ বছরে দেশের প্রশাসনে আমাদের টিকে থাকাই এক বড় অর্জন।

১৯৭১ সালে দেশে ১ কোটি টন ধান উৎপাদন হতো। বর্তমানে খাদ্য উৎপাদন ৩ কোটি টন ছাড়িয়ে গেছে, মোট দেশজ উৎপাদনে কৃষির অবদান ২০ শতাংশ। চল্লিশ বছর আগে যেখানে দেশের ৬০ শতাংশের খাদ্যাভাব পূরণ হতো, আজ দেশ সেখানে প্রায় স্বনির্ভর। চল্লিশ বছরে মাথাপিছু আয় ৯ গুন বেড়ে ৮১৮ ডলারে পৌঁছেছে। প্রবাসী নাগরিকদের প্রেরিত আয়ের দিক দিয়ে বাংলাদেশের স্থান পঞ্চম। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যে ১১ বিলিয়ন পর্য়ন্ত উঠেছিল তা সেই প্রবাসীপ্রেরিত অর্থেরই কারণে।

চল্লিশ বছর আগে এদেশের ৭০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বাস করত। বর্তমানে সেই দারিদ্র্য সীমা ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। গত বিশ বছরে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ দারিদ্র্য সীমার ওপরে উঠেছে।

নব্বই-এর দশকে মাথাপিছু আয়ের প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ হারে ছিল। বর্তমানে মাথাপিছু আয়ের প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ। বিশ্বমন্দার পরেও মোট দেশজ উৎপাদন ৬ শতাংশ বা তার ওপরে উঠানামা করছে। রপ্তানি খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪০ শতাংশ। বিপুল সংখ্যক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা ঋণ পাচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দেশের আয় বেড়েছে। আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে আয়ের সেরা দশটি দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আয়ে চীনের পরে আমরা, দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক।

গত চল্লিশ বছরে সবচেয়ে বেশি অর্জন হয়েছে শিক্ষাক্ষেত্রে, যদিও স্বাধীনতার অন্যতম অঙ্গীকার সবার জন্য শিক্ষা আজও নিশ্চিত করা যায় নি।

মুক্তিযুদ্ধের সময় সারা দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছিল চারটি। তখন কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ৩৪টি এবং বেসকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৫৪টি। যেখানে স্বাধীনতার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪ থেকে ৫ হাজার সেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আজ প্রায় ৪০ হাজার। যেখানে স্বাধীনতার সময় কলেজ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ থেকে দেড় লাখ সেখানে বর্তমানে ২০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। যেখানে একাত্তরে প্রাথমিক শিক্ষার হার ছিল মাত্র ৫/৬ ভাগ এখন তা ৭০ শতাংশে পৌঁছেছে। প্রাথমিক শিক্ষায় এখন ৯০ ভাগ ছেলেমেয়ে স্কুলে যায় এবং ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীর অনুপাত প্রায় সমান-সমান। বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, অবৈতনিক শিক্ষা, ব্যাপক প্রচার – প্রচারণার ফলে এ উন্নতি ঘটেছে।

একাত্তরে সাক্ষরতার হার ছিল ১৬.৮ ভাগ। ৭৪ সালে ছিল ২৫ ভাগ। এখন ২০১১ সালে তা দাঁড়িয়েছে ২০বছর বয়সের কম বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে ৬২.৬৬ শতাংশে। নারী ছাত্রীদের ক্ষেত্রে এ হার এখন ৫৭ শতাংশ। সাধারণ শিক্ষার পাশপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কারিগরি চিকিৎসা ও আইন পেশায় শিক্ষার হার বেড়েছে। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ইদানিং কমে আসছে। গত চল্লিশ বছরে শিক্ষার মান কমেছে। নৈতিক শিক্ষায় আমরা এগুতে পারিনি।

বিগত চল্লিশ বছরে স্বাস্থ্য খাতে আমরা কিছু বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছি। শিশু মৃত্যুহার কমেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.৬৭% থেকে হ্রাস পেয়ে বর্তমানে ১.৪২ তে দাঁড়িয়েছে। ৯০ শতাংশ শিশু টিকার আওতায় এসেছে। গড় আয়ু যেখানে ছিল ৫০-এর নিচে তা আজ ৬৫ বছরের উপরে।

বাংলাদেশকে আর কেউ তলাবিহীন ঝুড়ি বলবে না। আগামী ৪০ বছরে বাংলাদেশ উন্নত ৩০টি দেশের মধ্যে তার স্থান করে নেবে। আশা করা যায় আন্তসংযোগ বাড়বে এবং আয় বৈষম্য কমবে। ২০১৪ সালে স্বাক্ষরতার হার ১০০ শতাংশে উন্নীত করার জন্য সরকারের সর্বশক্তি নিয়োগ করা প্রয়োজন। সহনশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতির অভাবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুদৃঢ় ভিত্তি না পাওয়ায় মানবিক রাষ্ট্র গঠনের যে স্বপ্ন আমরা মুক্তিযুদ্ধের সময় দেখেছিলাম তা আজও আমাদের করায়ত্ত নয়। দেশে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে, কিন্তু সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি এখনও সুদূর পরাহত। দেশে আইনের সংখ্যা, আদালতের সংখ্যা বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এখনো আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় নি। বিলম্বে হলেও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। এটা আমাদের জন্য এক বড় কলঙ্ক মোচন। বিলম্বে হলেও যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হয়েছে। এটা আমাদের জন্য সঠিক পথে যথার্থ পদক্ষেপ। অরাজনৈতিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে সংঘটিত বহু খুন, নিমখুন বা গুমখুনের বিচার হয় নি।

আইনমন্ত্রী–সব আমলেরই আইনমন্ত্রী–যখন বলেন, আইন নিজস্ব গতিতে চলবে, তখন আমরা বিস্মিত হই। দন্ডীয় ব্যক্তির জন্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমা দ্রুতগতিতে নিস্পন্ন হয়, তখন আমরা স্তম্ভিত হই। ক্ষমতা হস্তান্তরের পর প্রতিটি নতুন সরকার নতুন নতুন মামলা দায়ের করেন বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে এবং সরকারি দলের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আগের সরকার যেসব মামলা দায়ের করেছিলেন তা প্রত্যাহার করেন।

প্রতিরক্ষা বিভাগের যেসব কোটি কোটি টাকার অস্ত্রশস্ত্রাদি ক্রয়ের ব্যাপারে দুর্নীতির গুঞ্জন ওঠে তা প্রত্যাহার ভাটায় বিলীন হয়ে যায়। ঘটনাচক্রে এপর্যন্ত কেবল হোসাইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির মামলায় বিধিবদ্ধ বিচার হয়েছে।

গত চল্লিশবছর ধরে আমরা দুর্নীতি বিরোধী সমাজ দেখতে চেয়েছি। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশনকে দূর্বল করে রেখেছি। পূর্বানুমোদনের বিধান ও নানাবিধ আমলাসন্তোষক বিধানবলীর জন্য দুর্নীতিরোধী সংস্থা আজ ঠুঁটো জগন্নাথ। আমরা নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য হুকুম দিই। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের হুকুম মানতে চায় না। শুধু নির্বাচনের ব্যাপারে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেসব ব্যবস্থা নিয়েছিলেন তার বেশ কিছু পরে অনুমোদিত হয় নি।

তেষট্টি জেলায় বোমা বিস্ফোরণের মদদদাতাদের সম্পর্কে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে মন্তব্য করতেন একই সুরে পরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী র্নিদ্বিধায় মন্তব্য করেন এই বলে যে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা আগের চেয়ে ভালো। বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটলে আগের আমলের নজির উত্থাপন করা হয়। আগের সরকারের অদক্ষতা বা অক্ষমতা কি বর্তমান সরকারের দক্ষতা বা ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে? চাঞ্চল্যকর সাংঘাতিক মামলায় যেভাবে একের পর এক তদন্ত অফিসার বদল হয় তাতে মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ-আলামত সমস্ত বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা।

গত চল্লিশ বছরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্থাপনার নাম বদলাতে এবং কমিটি কমিশন নিয়োগ করতে আমরা বহু কোটি টাকা ব্যয় করেছি। তার একটা হিসেবনিকেশ হওয়া দরকার।

আমাদের দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ভুঁইয়া গণতন্ত্রে রূপান্তরিত হয়েছে। সংসদ সদস্যে নির্বাচনী এলাকায় তাঁকে ছাড়া কোনো কাজ হয় না। এমন সর্বব্যাপী ক্ষমতাধর ব্যক্তির সম্মুখে আর সবাই মূল্যহীন। আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্রের বিরোধীদল দলনির্বিশেষে তাদের ভূমিকা পালন করেন না। বিরোধীদল পাঁচতারা হোটেলে তার বাজেটের সমালোচনা ব্যক্ত করেন। সংসদ সদস্যগণ যে বিলখেলাপির ঐতিহ্য সৃষ্টি করেছেন তা বিস্ময়কর। সরকার ও সংসদ সদস্যদের বিলাসবহুল জীবন লোকে তাকিয়ে দেখে। সরকারের আয় ব্যয়ের হিসাব সময়মতো সংসদে পেশ হয় না। বিদেশভ্রমণে প্রধানমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীদের সফরসঙ্গীদের পেছনে যে ব্যয় হয় তা দেখে বিদেশিরা চমৎকৃত হয়। গত চল্লিশ বছরে বিদেশভ্রমণে কত ব্যয় হয়েছে এবং আমাদের কী প্রাপ্তি ঘটেছে তার একটা নিরীক্ষা হওয়া দরকার।

দাবি-দাওয়া উত্থাপনে বা প্রতিবাদে আমরা বেশ উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় দিয়েছি। পরিচিত হরতালের সঙ্গে যোগ হয়েছে অবরোধ, লাগাতার হরতাল এবং সর্বশেষে মানববন্ধন। এইসব ক্ষেত্রে সমাজ বা সরকার যদি দাবি বা প্রতিবাদকে গুরুত্বের সঙ্গে আমলে না নেয় তবে তা হবে নিরর্থক অনুশীলন। এই নিরর্থক একজন মানববন্ধনকারী সখেদে বলেছেন, এমন মানববন্ধনে একশ বছর ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলেও কোনো লাভ হবে না। এ হতাশার কথা। হরতালে অভ্যস্ত বাঙালি হরতালের মাধ্যমে অনেক কিছু অর্জন করেছে। তাই তারা অনিয়মিতভাবে সেই অনুশীলন করতে সর্বদাই যেন এক পায়ে দাঁড়িয়ে। শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পথে সমাজ বদলাতে না পারলে সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার সব মিথ্যা মনে হবে। যে সীমিত উন্নতি আমরা অর্জন করেছি তা রাজনৈতিক অস্থিরতায় নিমেষেই বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে। সহিষ্ণুতার সঙ্গে জাতিধর্ম নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলে মিলে দেশ গঠনে ও সমাজের সার্বিক কল্যাণে আমরা আগামী দিনের জন্য আমাদেরকে নিয়োজিত করব।

মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান: সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।