সব অসাম্প্রদায়িক শক্তির যূথবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই

সাব্বির আহমেদ
Published : 13 Nov 2016, 04:18 AM
Updated : 13 Nov 2016, 04:18 AM

২৭ বছর বয়সী জেলে রসরাজের নামে প্রচারিত ফেসবুক পোস্ট এবং সে অজুহাতে তিন দফায় নাসিরনগরে হিন্দুদের দুই শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, গোটা বিশেক মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর ও মারধর সবই হয়েছে ৩০ অক্টোবর থেকে শুরু করে পরবর্তী সাত দিনে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ঠাকুরগাঁও, নেত্রকোনা এবং পীরগঞ্জে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর।

রসরাজের নামে খোলা অ্যাকাউন্ট থেকে ইসলাম অবমাননাকর ছবি সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রসরাজের মামা গণমাধ্যমকে বলেছেন, অন্য কেউ সাম্প্রদায়িক উম্মাদনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তার নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে থাকতে পারে। রসরাজ এই ছবি পোস্ট করেননি বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাছে।

স্থানীয় সাংসদ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেছেন, তার (রসরাজ) মতো লোকের পক্ষে এই ছবি বানানো কিংবা ফেসবুকে পোস্ট করা সম্ভব নয়। ফেসবুকের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য আদানপ্রদান বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। একটা টেকনিক্যাল তদন্তের মাধ্যমে এর রহস্য উম্মোচন করা দরকার। জানা দরকার, কারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করে দেশের অগ্রযাত্রা ও ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। উগ্রবাদী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এবং খাঁটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতকে (এদের অনেক তৌহিদি জনতা, আবার কেউ কেউ হেফাজতে ইসলাম নামেও উল্লেখ করেছে) সমাবেশ করতে দেওয়া কোনোভাবেই উচিত হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, সেদিন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থাকায় তারা সমাবেশস্থলে এবং হিন্দু পাড়াগুলোতে যথেষ্ট সংখ্যায় পুলিশ মোতায়ন করতে পারেনি।

পুলিশ ও প্রশাসন ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করে বাড়তি পুলিশ, বিজিবি মোতায়নের ব্যবস্থা করতে পারত। তারা তা না করায় এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল যার রেশ এখনও কাটেনি। এই লেখা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি; গ্রেপ্তার হয়েছে প্রায় ৫০ জন। বর্বরদের নেতারা এবং ব্যর্থ প্রাশাসন বহাল তবিয়তে আছে। শুধু থানার ওসিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে; নতুন ওসি কাজে যোগদান করেছে। পুলিশ ও প্রশাসন হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

ঘটনার পরদিন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একটি জুনিয়র টিম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে। এই পরিদর্শকদের নির্বাহী ক্ষমতা না থাকায় এবং তারা জুনিয়র নেতৃবৃন্দ হওয়ায় এই পরিদর্শন কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। তাদের পরিদর্শনের পর তিনজন আওয়ামী লীগ নেতাকে দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

ঘটনার দুই দিন পর ১ নভেম্বর এলাকায় যান মন্ত্রী ছায়েদুল হক। তিনি সেদিন ও তার পরদিন ডাকবাংলোতে ছিলেন। সেখানে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, উগ্র ইসলামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ওই চার দিনে আটজনকে গ্রেপ্তার করা ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে আর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। ফলে উগ্রবাদীরা সাহস পেয়েছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা হামলা করার। মধ্যযুগীয় বর্বর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এবং খাঁটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সঙ্গে ছায়েদুল হকের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে ইঙ্গিত করছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।

হেফাজতে ইসলামের বড় তিনটি ঘাঁটির একটি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদ্রাসা। মাদ্রাসাটি অনেক পুরনো এবং বড়। কয়েক হাজার ছাত্র-শিক্ষক এই মাদ্রাসার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এ ছাড়াও আছে প্রাক্তন ছাত্ররা এবং তাদের পরিবার-পরিজন। মাদ্রাসাটির প্রভাব রয়েছে চারপাশের কয়েকটি জেলায়। সাধারণভাবে আমরা জানি যে, মাদ্রাসাগুলোতে ধর্মান্ধতার শিক্ষা দেওয়া হয়, শিক্ষকদের আচার-আচরণে, কথাবার্তায় থাকে সাম্প্রদায়িকতার ছাপ।

কিছুদিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষকদের সহিংসতা প্রত্যক্ষ করেছে বাংলাদেশ। তখন সুরসম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর স্মৃতিচিহ্ন ধ্বংস করেছে ধর্মান্ধরা। ২০১৩ সালে ঢাকার মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডব শুধু সারা দেশই নয়, পুরো পৃথিবী প্রত্যক্ষ করেছে। এমন উগ্রবাদীদের এলাকায় ফেসবুক থেকে উৎসারিত সহিংসতার পূর্বানুমান করা পুলিশ ও প্রশাসনের জন্য কঠিন কোনো কাজ ছিল না। যেখানে রামুতে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক সহংসতার ঘটানা এখনও কেউ ভোলেনি।

ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মন্ত্রী ছায়েদুল হক। তিনি পাঁচ দিন সময় পেয়েছিলেন স্থানীয় রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য, দোষী ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করার জন্য, বর্বরতার শিকার হিন্দুদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের এবং হিন্দু নেতাদের নিয়ে একটা জনসভা করতে পারতেন। সে জনসভায় তিনি ঢাকা থেকে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাদের নিমন্ত্রণ করতে পারতেন। কেন্দ্র থেকেও কোনো মন্ত্রী বা বড় কেনো নেতা এ বিষয়ে তেমন কোনো কথা বলেননি। অর্থাৎ তাঁর উপর তাঁর দল ও সরকার আস্থা রেখেছিল। তিনি এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।

সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলে ছায়েদুল হক সত্যিকার অর্থেই জাতীয় নেতায় পরিণত হতেন। দেশ-কাল-পাত্র তাঁর মাথায় ছিল না। তিনি হয়তো শুধুই স্থানীয় ক্ষমতা ও ভোটের রাজনীতি বিবেচনা করেছেন। এ কাজ করতে গিয়ে তিনি ব্যাপকভাবে বিতর্কিত হয়েছেন।

এক শনিবারে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর কার্যকর কিছু পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল পরের শনিবারে। এ দিন সেখানে পাঁচ শতাধিক পুলিশ, দুই প্লাটুন বিজেবি মোতায়ন করা হয় এবং ৩০ সদস্য নিয়ে একটি র‍্যাব ক্যাম্প স্থাপন করে। বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে তারা সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এখন পর্যন্ত মূলহোতাদের কেউ ধরা পড়েনি।

ঢাকা থেকে তিনটি উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, একটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অন্যটি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রধান শাহরিয়ার কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাদানের জন্য নতুন আইন প্রণয়নের দাবি তুলেছেন। তাঁর মতে, বর্তমান ফৌজদারি আইনে এ জাতীয় সাম্প্রদায়িক হামলা প্রমাণ করা যায় না; দায়ীরা আইনের ফাঁক গলে বেড়িয়ে যায়।

২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় দেওয়া শুরু হলে দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক হামলা বাড়তে থাকে। এসব হামলার পেছনে হেফাজত, জামায়াত ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সরাসরি সম্পৃক্ততা এবং প্ররোচনার বহু প্রমাণ পাওয়া গেছে। পূর্ব ঘোষণা দিয়ে যেসব বড় বড় হামলা হয়েছে তাতে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণও রয়েছে সংবাদমাধ্যমের পাতায়, ভিডিও ফুটেজে।

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দর্শন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা খুব কমসংখ্যক নেতাকর্মীর ভেতরেই রয়েছে। বর্তমানে যারা আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাদের অনেকেই বেড়ে উঠেছে সাম্প্রদায়িক শক্তির অধীনে থাকা শাসনামলে। শিখেছে স্বাধীনতাবিরোধীদের চাপিয়ে দেওয়া মিথ্যা ও বিকৃত ইতিহাস; চারপাশে শুনেছে সাম্প্রদায়িক আলোচনা। তাদের সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমাজে টিকে থাকতে হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তিন টার্ম ক্ষমতায় থাকলেও দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে রাজনৈতিক দর্শন এবং চেতনার চর্চা হয়নি। তদুপরি আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে তখন অনেক সাম্প্রদায়িক মানসিকতার মানুষ বিভিন্ন সুযোগে আওয়ামী লীগে ঢুকে পরে। ফল হয়েছে এই যে, আওয়ামী লীগের মধ্যে এখন অনেক সাম্প্রদায়িক মানসিকতার মানুষ অবস্থান করছে, যারা ধর্ম রক্ষার অজুহাতে ডাক দেওয়া সাম্প্রদায়িক হামলায় নির্দ্বিধায় অংশগ্রহণ করে; সাম্প্রদায়িকদের সঙ্গে ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারা করে।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর এ দেশের শাসন ক্ষমতা টানা ২১ বছর ছিল স্বাধীনতাবিরোধী, পাকিস্তানপন্থী সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতে। তারা ক্ষমতা দখল করা মাত্র সামরিক ফরমান বলে সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি বাদ দিয়ে দেয়। দেশভাগের আগে থেকে মুসলিম লীগ সৃষ্ট ভারত এবং হিন্দু-বিদ্বেষ এ সময়ে তারা বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেও দেশের আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধিতা করা, পাকিস্তানের দোসর আমেরিকার হাতে। ওই সরকারের সময়ও দেশের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক শক্তি সাম্প্রদায়িক চক্রের হাতেই ছিল। অর্থাৎ, টানা ৩৪ বছর স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক ব্যক্তিরা দেশে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর সুযোগ পেয়েছে।

২০০৮ সালের নির্বাচনে ভূমিধ্বস বিজয়ের মাধ্যমে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করলে সাম্প্রদায়িক শক্তির ভিতে শক্ত আঘাত লাগে। সাম্প্রদায়িকেরা সর্বশক্তি নিয়ে সে আঘাত প্রতিহত করতে মাঠে নামে। এরই ধারাবাহিকতায় একের পর এক সাম্প্রদায়িক হামলা করে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করে সরকারের পতন ঘটাতে চায়। এরা ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য কোনো রকম মুখোশ ছাড়াই সরাসরি সাম্প্রদায়িক হামলা করেছে। ২০১৫ সালে তারা সরকার পতনের আন্দোলনের নামে পেট্রোল বোমা সন্ত্রাস চালিয়েছে। ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদের নামে হামলা চালিয়েছে।

একদিকে আওয়ামী লীগ সরকার সেসব হামলাকারীর চক্রান্ত একের পর এক নস্যাৎ করে দিয়েছে। অন্যদিকে সাম্প্রদায়িকেরা নতুন কৌশলে দেশের রাজনীতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে গেছে।

টানা প্রায় আট বছর ক্ষমতার বাইরে থেকে এবং হাজার হাজার সহিংসতা করে সাম্প্রদায়িকদের শক্তি শেষ হয়ে আসছে। তাদের বিদেশি বন্ধুদের কাছ থেকে আসা রসদের সরবরাহ লাইনও শুকিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে তাদের রাজনৈতিক শক্তি তলানিতে ঠেকেছে। আর্থিক শক্তি থাকলেও তা কাজে লাগাতে পারছে না। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বহাল রাখতে পারলে আর বেশি দিন এরা টিকে থাকতে পারবে না।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে ভুল করা চলবে না। তাদের ছোট ছোট ভুল সাম্প্রদায়িক শক্তির জন্য বড় রকমের সুযোগ করে দিতে পারে। এ রকম ভুলই হয়েছে নাসিরনগর-কাণ্ড ব্যবস্থাপনার প্রথম পর্বে।

অতীতের বেশ কয়েকটি সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি। তা থেকে অনেকেই সরকারের উপর আস্থা হারাতে বসেছে। এখনও সময় শেষ হয়ে যায়নি। এরই মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু হয়েছে। সাম্প্রদায়িক হামলার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারলে অতীতের অনেক ভুলের সংশোধন হয়ে যাবে।

নাসিরনগর-কাণ্ড থেকে শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ আছে। সে শিক্ষা থেকে ভবিষ্যতে এ রকম ঘটনা যাতে না ঘটতে পারে তার উপায় বাতলাতে হবে। এ ঘটনা সামনে রেখে সব অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে একত্রিত করার সুযোগ আছে। ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়তে সব অসাম্প্রদায়িক শক্তির যূথবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই।