৭ নভেম্বরের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার কি গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথে বাধা?

মুশতাক হোসেন
Published : 6 Nov 2016, 01:34 PM
Updated : 6 Nov 2016, 01:34 PM

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার অভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার ৪১ বছর পরও তার ঘটনাপ্রবাহ ক্রমে নতুন নতুন আঙ্গিকে আবিষ্কৃত হচ্ছে। ৭ নভেম্বরের সাংগঠনিক উত্তরাধিকার ও দায় বহন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের তিনটি অংশই। জাসদ এ দিনটিকে 'সিপাহি জনতার অভ্যুত্থান দিবস' নামে পালন করে। বিএনপি দিনটিকে 'বিপ্লব ও সংহতি দিবস' নামে পালন করলেও এবং ক্ষমতার সুফল ভোগ করলেও এর সাংগঠনিক দায় বহন করে না। ৭ নভেম্বরের রাজনীতিকে তারা তাদের সুবিধামতো ব্যাখ্যা করে। তাদের কথা শুনলে মনে হয়, অদৃশ্য কোনো শক্তি এসে ৭ নভেম্বর ঘটিয়ে দিয়ে গেছে! আর আওয়ামী লীগ একে দেখে প্রতিকূল ঘটনা হিসেবে।

৭ নভেম্বরের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার যারা বহন করেন তাদের অনেকের মধ্যে একটা দ্বিধা কাজ করে সিপাহি গণঅভ্যুত্থান, বিপ্লবী গণবাহিনী, বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করতে। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আবু তাহেরের বীরত্ব, ফাঁসির মঞ্চে বীরোচিত আত্মদান প্রভৃতি গৌরবের সঙ্গে স্মরণ করতে তাঁরা অকপট হলেও ৭ নভেম্বরের রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করতে বিব্রত বোধ করেন। বিভিন্ন কারণে এমনটি হয় বলে আমার ধারণা।

এর একটি কারণ হচ্ছে, কেউ কেউ মনে করেন, সিপাহি জনতার অভ্যুত্থানকে গৌরবান্বিত করলে জাসদ পুনরায় সিপাহিদের নিয়ে রাজনীতি করবে– এমন একটা ধারণা গণতান্ত্রিক মহলে বদ্ধমূল হবে। ফলে যে রাজনীতির অন্যতম লক্ষ্য সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন (যেহেতু নিকট ভবিষ্যতে বিপ্লবের মাধ্যমে সরকার গঠনের সম্ভাবনা নেই!), সে রাজনীতিতে জাসদ অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলের কাছে বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে বিবেচিত হবে না। এঁরা মনে করেন, ৭ নভেম্বর ও তাহেরকে নিজের বলে গণ্য করলে বা তাঁর উত্তরাধিকারী বলে স্বীকার করলে দেশি-বিদেশি মহল ধরে নেবে জাসদের রাজনীতির সাধারণ রূপ হিসেবে বুঝি সশস্ত্র গণবাহিনী গঠন, সিপাহিদের মধ্যে রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলা জাসদের নিত্যকার রাজনৈতিক কাজ। গণতন্ত্রমনা মহলের কাছে জাসদ নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী একটা দল বলে স্বীকৃতি পাবে না। ফলে জাসদের বিকাশে অনাবশ্যক বাধার সৃষ্টি হবে।

মধ্যবিত্ত শ্রেণি জাসদকে সবসময় সন্দেহের চোখে দেখবে এ কারণে যে, সুযোগ পেলেই তারা 'গণবাহিনী' গঠন করবে ও সিপাহিদের নিয়ে রাজনীতি করবে। এ আশঙ্কা থেকেই তারা ৭ নভেম্বরের ইতিহাস থেকে নিজেদের বিযুক্ত করতে চান, দূরে থাকতে চান। আর দল ভাগাভাগির রাজনীতির সুযোগ নিয়ে অতীত বৈপ্লবিক তৎপরতার জন্য একে অপরের ওপর দায় চাপাতে চান। এটা একটা আত্মঘাতি প্রবণতা বটে!

দ্বিতীয় কারণটা অনেকটা প্রথম কারণের সঙ্গে সম্পর্কিত। সেটা হল, জাসদের দুটি অংশ এখন ১৪ দলের শরিক হিসেবে মহাজোট সরকারের অংশীদার। আরেকটি অংশ নিকট অতীতে ঐক্যমতের সরকারে অংশীদার ছিল। এ বিবেচনা থেকে তাদের কেউ কেউ ৭ নভেম্বরকে তুলে ধরেন ১৫ আগস্টের 'প্রতিবাদ' হিসেবে, যা সঠিক নয়। (প্রকৃতপক্ষে ৭ নভেম্বর ঘটেছিল ৩ নভেম্বরের 'ক্যু দেতা'র বিপরীতে দাঁড়িয়ে। এটা ঠিক যে, ১৫ আগস্টের ক্যু দেতার পরে খন্দকার মোশতাক সরকারের বিরুদ্ধে জাসদের বিপ্লবী প্রক্রিয়া (কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক কমিটি-সিওসি) বিপ্লবী গণঅভ্যুত্থানের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে ১৫ আগস্টের পরমুহূর্ত থেকেই। কিন্তু পূর্ণ প্রস্তুতির সুযোগ পাওয়ার আগেই ঘটে যায় ৩ নভেম্বরের ক্যু দেতা।)

জিয়াউর রহমানের সঙ্গে আবু তাহেরের বোঝাপড়ার ভিত্তিতে (সেটা যদিও স্বল্পস্থায়ী ছিল) যে সিপাহ গণঅভ্যুত্থান ঘটে সেটা এ মতের নেতারা খুব একটা আলোচনা করেন না অথবা প্রসঙ্গটি সংক্ষিপ্ত করে তাহের ও জাসদ নেতৃবৃন্দের গোপন সামরিক বিচারের বিস্তারিত আলোচনায় চলে আসেন। কারণ, বিচারের প্রসঙ্গটি আসলে জিয়াউর রহমানের বিশ্বাসঘাতকতার কালিমালিপ্ত ইতিহাস সামনে এসে যায়। সেদিন কোন বাস্তবতায় সেনাপ্রধান জিয়াকে সঙ্গে নিতে হয়েছিল তা সময়ের বিবেচনায় না এনে যাঁরা বলে বসেন, "জিয়ার সঙ্গে তাহেরের ঐক্য ভুল ছিল", তাঁদের এ অতি সরলীকৃত বক্তব্য পাল্টা প্রশ্নের জন্ম দেয়।

জিয়ার বিশ্বাসঘাতকতার দায় যদি তাহেরকে নিতে হয়, তাহলে খন্দকার মোশতাকের দায় কি বঙ্গবন্ধু নেবেন! মীর জাফরের দায় নেবেন সিরাজুদ্দৌলা! এমনকি তাঁরা এ কথাও বলে বসেন যে, "বঙ্গবন্ধুকে ত্যাগ করে জাসদ গঠনটাই ভুল ছিল।" (বঙ্গবন্ধুকে জাসদের প্রতিষ্ঠাতাগণ ত্যাগ করেননি, বঙ্গবন্ধু তাদের ত্যাগ করেছেন!)

তৃতীয় কারণটা হচ্ছে, সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী কোনো কোনো তাত্ত্বিক মনে করেন, ৭ নভেম্বর তাহেরের নেতৃত্বে বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা যে সিপাহি বিদ্রোহ ঘটিয়েছে, তার কোনো বিপ্লবী তাৎপর্যই নেই, এটা স্রেফ নৈরাজ্য। কারণ, মার্কস-লেনিন-মাওয়ের বইয়ে এ ধরনের ঘটনার কোনো উল্লেখ নেই! তারা সৈনিকদের ১২ দফা দাবিনামা নিছক 'ট্রেড ইউনিয়ন' মার্কা দাবি দাওয়া বলে উপেক্ষা করেন।

আমেরিকান সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলৎজ যখন ৭ নভেম্বর ও আবু তাহেরের বিপ্লবী অভিঘাতের ওপর আলো ফেলতে শুরু করেন, তখন তাঁরা একটু একটু করে নড়েচড়ে বসেন। তবে সেখানেও পুরোপুরি তাঁরা ৭ নভেম্বরের বাস্তবতাটা মানতে চান না। তাহেরকে জাসদ থেকে আলাদা করে দেখাতে চান। ভাবখানা এই– তাহের ভালো, জাসদ খারাপ! তাহের বিপ্লবী, জাসদ বিপ্লববিরোধী!

আবার উল্টো প্রবণতাও আছে। যাঁরা প্রথম ও দ্বিতীয় কারণে ৭ নভেম্বর এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, তাঁরা বলেন, "জাসদ নিয়মতান্ত্রিক পথেই ছিল; তাহেরই জাসদকে গণবাহিনী গঠন, সৈনিক সংস্থা গঠন ও সিপাহি বিপ্লবের দিকে টেনে নিয়ে গেছেন। নইলে আজ আমরা…" ইত্যাদি, ইত্যাদি। তাঁরা জাসদকে ১৯৭২ সালের আওয়ামী লীগের তরুণ সংস্করণ মনে করেন।

৩১ অক্টোবর আওয়ামী লীগ থেকে গুণগতভাবে আলাদা একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে জাসদের জন্মটা যে ছিল অনিবার্য এবং মুক্তিযুদ্ধের অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণ, সমাজ বদলের আকাঙ্ক্ষাই যে ছিল মূল প্রেরণা– সেটা সবাই একভাবে স্বীকার করেন না। আবার কেউ কেউ একে 'ষড়যন্ত্র' বলারও চেষ্টা করেন।

এ থেকে শুরু হয় জাসদ, ৭ নভেম্বর, কর্নেল তাহেরকে দৈত্যায়ন (demonize) করার চেষ্টা। দু-একজন লেখক এ চেষ্টা শুরু করেছেন। কেউ কেউ টেলিভিশনের 'টক শো' বা পত্রপত্রিকার সাক্ষাৎকারে তেমনটা বলার চেষ্টা করছেন।

আসলেই কি গণতান্ত্রিক সংসদীয় রাজনীতিতে সফলতার জন্য অতীতের সশস্ত্র বিপ্লবী প্রচেষ্টার উত্তরাধিকার থেকে নিজেকে ত্যাজ্য করা জরুরি? নেপালের মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টি কিভাবে ২০০৮ সাল থেকে নিজেদের সংসদীয় রাজনীতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে দু-দুবার সরকার গঠন করেছে? কিভাবে বাকি সময়টাতে তারা প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকাতে আছে? (যে দলটি ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সশস্ত্র লড়াইয়ে লিপ্ত ছিল!)

লাতিন আমেরিকাতে ষাটের দশক থেকে শুরু করে নব্বই দশক পর্যন্ত যেসব দেশে (সর্বশেষ কলম্বিয়া) বিপ্লবীরা সশস্ত্র গেরিলা যুদ্ধ করেছেন, তাঁরা কিভাবে সশস্ত্র যুদ্ধে ইতি টেনে সংসদীয় রাজনীতিতে সফলতা পেয়েছেন? তাঁরা কি নিজেদের অতীত বিপ্লবী সশস্ত্র সংগ্রামকে প্রকাশ্যে নিন্দা করে নাকে খত দিয়ে সংসদীয় রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন? নাকি বাস্তবতা অনুধাবন করে শান্তিপূর্ণ প্রকাশ্য রাজনীতিতে আসার জন্য যথাযথ রাজনৈতিক নীতি-কৌশল গ্রহণ করেছেন?

এটা রাজনীতির যে কোনো কর্মীই বলবেন যে, রাজনীতির সাধারণ নিয়ম হচ্ছে, গণতান্ত্রিক পরিবেশে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কার্যকলাপ। রাজনীতির প্রয়োজনে ব্যতিক্রমধর্মী কার্যকলাপ কি শুধু সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী দলগুলোই করে? ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পাকিস্তানভিত্তিক ফলাফলে জয়ী হয়েও পাকিস্তানের সরকার গঠন করতে পারেনি আওয়ামী লীগ, শাসনতন্ত্র রচনা করতে পারেনি আওয়ামী লীগ। যার পরিণতিতে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ করতে হয়েছে। (অবশ্য চীনপন্থী গোপন বিপ্লবীরা– যেমন সিরাজ শিকদার– মনে করতেন, আওয়ামী লীগের পক্ষে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ করা সম্ভব নয়। এ হিসাবটা তাদের রাজনীতির অন্যতম দিকবদলের কারণ ছিল।)

সশস্ত্র যুদ্ধটা কি নিয়ম, না ব্যতিক্রম? অন্য উদাহরণ দেখুন। ১৯৯০ সালে মিয়ানমারে সংসদ নির্বাচনে অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ৮১% আসন লাভ করলেও ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা সে নির্বাচন বাতিল করে। এনএলডি সরকার গঠন করতে পারেনি। তার প্রতিবিধান করতে কি এনএলডি '৭১-এর বাংলাদেশের মতো সশস্ত্র সংগ্রাম করেছে? নাকি দীর্ঘ ২৬ বছর শান্তিপূর্ণ সংগ্রাম জারি রেখে অবশেষে জয়ী হয়েছে? একেক দেশে একেক বাস্তবতায় ভিন্ন ভিন্ন ধরনের সংগ্রাম চলেছে।

১৯৭২ সালের ৭ জুন ছাত্রলীগ-ডাকসু-শ্রমিক লীগ নেতৃবৃন্দ (যারা পরবর্তীতে জাসদ গঠনে নেতৃত্ব দেন) জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর হাতে একচ্ছত্র ক্ষমতা দিয়ে বিপ্লবী সরকার গঠনসহ যেসব দাবি তুলে ধরেছিল তার সবগুলো কি এখন বাস্তবায়ন সম্ভব? তাহলে এখন কি '৭২-এর ৭ জুনের তোলা দাবিগুলোর নিন্দা করব? ঠিক তেমনি ১৯৭৫ সনের ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পরে বাংলাদেশ বেতারে বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সদস্যবৃন্দ যে ১২ দফা দাবিনামা দিয়েছিলেন তার সবগুলো কি এখন বাস্তবায়নের দাবি তোলা বাস্তবসম্মত? সবাই বলবেন, সেটা বাস্তবসম্মত নয়। তাহলে কি ৭ নভেম্বর ও কর্নেল তাহের মিথ্যা হয়ে গেলেন?

অতীত রাজনীতির সবটুকুই সঠিক ছিল– এটাও জেদ ধরে বলার বিষয় নয়। অতীত রাজনীতির নীতি-কৌশলে কোথাও না কোথাও গলদ ছিল বলেই সফলতা আসেনি। কিন্তু বিপ্লবী চেতনাকে হাসিমুখে যারা জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন সেই শহীদদের অবশ্যই সম্মান দিতে হবে, তাদের স্মৃতি শিরোধার্য করতে হবে, তবেই না নতুন সংগ্রামে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করা যাবে। ভারতবর্ষকে স্বাধীন করার জন্য নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু যে পদ্ধতি গ্রহণ করেছিলেন তা কি বিতর্কের ঊর্ধ্বে? ভারতীয় রাজনীতিবিদেরা কি তা নিয়ে নোংরাভাবে চরিত্রহনন করেন? আবার মহাত্মা গান্ধী যে পদ্ধতি নিয়েছিলেন, তাও কি সর্বাংশে আদর্শস্থানীয় ছিল? তা নিয়ে কি আমরা চরিত্রহননের জন্য ইতিহাসের উপাদান খুঁজে বেড়াব?

কর্নেল আবু তাহেরের বিপ্লবী প্রচেষ্টা ও ৭ নভেম্বর নিয়ে অনেক প্রশ্ন, তাত্ত্বিক বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু আজও কর্নেল তাহের কেন স্মরণীয়? তিনি বিপ্লবী সাহস দেখিয়েছিলেন প্রচলিত শোষণমূলক ব্যবস্থাটাকে ঝাঁকি দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিতে। লরেন্স লিফশুলৎজের ভাষায়–

"সাতই নভেম্বরের অভ্যুত্থানকে এখন নতুন দৃষ্টিতে দেখতে হবে, বিশ্লেষণ করতে শিখতে হবে। ইতিহাসের এ পর্যায় থেকে শিক্ষা নেওয়াটা খুবই তাৎপর্যবহ।… নিকারাগুয়ায় যারা জেনারেল অগাস্টো সানডিনোর আদর্শে উদ্দীপ্ত হয়েছিলেন তারাই ঊনিশ শো চৌত্রিশে তাঁর মৃত্যুর অর্ধ-শতাব্দী পর আবারো উঠে দাঁড়ান। তাহেরের মত সানডিনোও বিশ্বাসভঙ্গের শিকার হয়েছিলেন, তাঁকেও হত্যা করা হয়েছিল।… হয়তো আবু তাহেরের দৃষ্টান্ত এমনি বুদ্ধিদীপ্ত অনুপ্রেরণার জোয়ার আনবে। চারপাশে নির্যাতিত মানুষের ভীড় দেখে যারা আত্মজিজ্ঞাসায় ব্রতী হবেন, জানতে চাইবেন তাদের মধ্যে কেউ কোনদিন পৃথিবী বদলে দিতে উঠে দাঁড়িয়েছিল কি না, তাদের জন্য নতুন অনুপ্রেরণার সৃষ্টি করবে হয়তোবা।"