বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাসদ

জিয়াউল হক মুক্তা
Published : 1 Nov 2016, 03:50 AM
Updated : 1 Nov 2016, 03:50 AM

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ বাংলাদেশের 'শোণিতপ্রবাহ'। বাংলাদেশের অগ্রগতি ও জনগণের সব অংশের সুষম বিকাশ নিশ্চিত করতে জাসদের ভূমিকা সবসময় গৌরবজনক। এ গৌরবের ভিত্তি হল পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে জাতীয় স্বাধীনতার আন্দোলন। ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত যারা নিরস্ত্র ও সশস্ত্রভাবে জাতীয় স্বাধীনতার জন্য নিরলসভাবে নির্ধারক ভূমিকা রেখেছেন, তারাই ১৯৭২ সালে গঠন করেছেন 'সমাজতান্ত্রিক গণসংগঠন'-জাসদ।

যারা ছেষট্টির ছয় দফার আন্দোলন করেছেন, যারা ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত করেছেন, যারা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত নির্ধারণ করেছেন, যারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তৈরি ও উত্তোলন করেছেন, যারা স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছেন, যারা শেখ মুজিবুর রহমানকে 'বঙ্গবন্ধু' উপাধি দিয়েছেন, যারা বিএলএফ বা মুজিববাহিনী গঠন করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, যারা মুক্তিবাহিনীতে নেতৃত্ব দিয়েছেন– তারাই গঠন করেছেন জাসদ। এ বিষয়ে যারা ভিন্ন কিছু বলেন তারা ইতিহাস-বিকৃতকারী।

সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে দেশ পরিচালনার পদ্ধতি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগঠক ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-তরুণ-যুবকদের। ১৯৭২ সালের শুরুতে এসব ছাত্র-তরুণ-যুবকের পক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশ পুনর্গঠনে হাজির করেন ১৫ দফা প্রস্তাবনা; এতে তারা 'বিপ্লবী জাতীয় সরকার' গঠনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এসব প্রস্তাবনা প্রত্যাখ্যাত হলে অনিবার্য হয়ে ওঠে স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণকারীদের নিজেদের দল গঠনের প্রয়োজনীয়তা।

যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে ক্ষমতায় ও ক্ষমতার বাইরে ছিল যথাক্রমে আওয়ামী লীগ ও জাসদ– দুটিই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল, তবে পারস্পরিক বিরোধীতা ছিল। জাসদের কার্যালয়ে হামলা হয়েছিল, জাসদের মুখপত্র 'দৈনিক গণকণ্ঠ' বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, জাসদের রাজনৈতিক কার্যকলাপও নিষিদ্ধ হয়েছিল। স্বাধীন দেশের সর্বত্র প্রাণ দিয়েছিল দলের হাজার হাজার সদস্য, যাদের অধিকাংশই ছিলেন প্রথিতযশা বীর মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ব্যহত হয়েছিল ষড়যন্ত্রের দ্বারা; ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের একাংশ ও সেনাবাহিনীর অফিসারদের একাংশের নেতৃত্বে সপরিবারে হত্যা করা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

জাসদ বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বিরোধীতা করেছে; তার ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত অনেক কারণ ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জাসদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ 'থিসিস' প্রয়োগ করে–

প্রথমত, সামরিক শাসনের বিপরীতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য জাসদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে বৃহত্তর ঐক্যের রাজনীতির সূচনা করে এবং দ্বিতীয়ত, বৃহত্তর ঐক্যের মধ্যে বাম রাজনীতির ঐক্যবদ্ধ স্বতন্ত্র অবস্থান গড়ে তোলে।

গত ৪০ বছর ধরে জাসদ নিরলসভাবে এ রাজনৈতিক ঐক্যের চেষ্টা করেছে; কখনও সফল হয়েছে, কখনও সফল হতে অনেকটা সময় লেগেছে। জাতীয় স্বার্থে এ ঐক্যের রাজনীতি অনেকে ভুল বুঝেছেন; এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে দলের অনেক নেতাও তাল মেলাতে না পেরে দল ত্যাগ করেছেন। এ ঐক্যের রাজনীতিতে লাভবান হয়েছে দেশের আপামর জনগণ।

বঙ্গবন্ধুর খুনীদের শাসনামলেও জাসদের ওপর অত্যাচার নিপীড়ন থেমে থাকেনি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তারা হত্যা করেছে জাসদের অসংখ্য নেতাকর্মী। এ সময় ক্যান্টনমেন্টে অব্যাহত ছিল অফিসারদের ক্ষমতালিপ্সার ক্যু ও পাল্টা ক্যুর খেলা। বিপরীতে সাধারণ সেনাদের সংগঠন 'বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা'র সঙ্গে জাসদ সবার অংশগ্রহণে 'গণতান্ত্রিক জাতীয় সরকার' গঠনের লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সংগঠিত করে মহান 'সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান'।

অভ্যুত্থান সফল হয়নি– জিয়ার নেতৃত্বে প্রতিক্রিয়ার শক্তি পাল্টা আঘাত হানে জাসদের ওপর। সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানের রূপকার কর্নেল আবু তাহেরকে (বীরউত্তম) জিয়া ষড়যন্ত্রমূলক গোপন বিচারের রায়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে। সারা দেশে জাসদের ওপর নেমে আসে বিভিষীকাময় অত্যাচার-নির্যতন-নিপীড়ন-হত্যা। জিয়া রাজনীতির মাঠে আমদানি করেন পলাতক-পরাজিত যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকার-আলবদরদের, আর সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানি ভাবধারার রাজনীতি।

জাসদ জিয়ার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে 'গণতান্ত্রিক জাতীয় সরকার' প্রতিষ্ঠার প্রচার আন্দোলন পরিচালনা করে এবং আওয়ামী লীগ ও বাম-গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল শক্তিকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন রচনা করে; গঠন করে ১০ দলীয় ঐক্যজোট। কিন্তু আন্দোলন দানা বাঁধার আগেই খুনের রাজনীতিতে খুন হন 'খুনী' জিয়া নিজে। বিচারপতি সাত্তার ক্ষমতাসীন হন। ষড়যন্ত্রের গণবিচ্ছিন্ন রাজনীতির পরিণতিতে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন এরশাদ।

এরশাদের সামরিক স্বৈরশাসনের শুরু থেকেই জাসদ অনমনীয় ভূমিকা গ্রহণ করে। ১৫ দলের ও ৭ দলের পাঁচ দফার আন্দোলন গড়ে তোলায় জাসদ পালন করে প্রধান নিয়ামক ভূমিকা। ১৯৮৬ সালের মার্চে আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে কিছু দল সামরিক স্বৈরশাসনের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে; ১৫ দল ভেঙে গঠিত হয় জাসদের নেতৃত্বে '৫ দল' ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে '৮ দল'।

জাসদের নিরলস প্রয়াসে ১৯৮৮ সালের মধ্যেই ৮ দল আন্দোলনের মাঠে ফেরত আসে। ১৯৯০ সালে ৫ দল, ৭ দল ও ৮ দলের যৌথ আন্দোলনে পরাজিত হয় সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদ। জাসদ এ সময় 'জাতীয় সরকার' গঠনের আহ্বান জানালেও তা উপেক্ষিত হয়।

১৯৯১ সালে বিএনপি জামায়াতের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতাসীন হয়। এ সময় বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ বিচারের দাবিতে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে ওঠে। জাসদ এ আন্দোলনের 'স্টিয়ারিং কমিটি'তে অংশগ্রহণ করে। এরশাদ সামরিক শাসনের আমলের মতোই খালেদা জিয়ার আমলেও সারা দেশে গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনগুলোর ওপর হামলে পড়ে জামায়াত-শিবির চক্র। তাদের হাতে প্রাণ দেন জাসদ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক-প্রশাসনিক উদ্যোগ গ্রহণ করে। জাসদ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে থাকে। জাসদ মনে করে, ১৯৭৫ সাল থেকে বাংলাদেশে সামরিক শাসকরা রাজনীতিতে যে জঞ্জালের অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে তা থেকে জাতিকে পুনরুদ্ধার করা কোনো একক দলের পক্ষে সম্ভব নয়। পরের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতসহ যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতাসীন হয় ২০০১ সালে। জাসদ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ঐক্যবদ্ধ পথচলার বিষয়ে আরও জোরালো অবস্থান গ্রহণ করে।

২০০১ সাল থেকে জাসদ একক ও নিরলস প্রচেষ্টায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব দলের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা পরিচালনা করে এবং 'জাতীয় ঐকমত্য'-এর ভিত্তিতে 'ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন, ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন ও ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ পরিচালনা'র রাজনৈতিক আবশ্যিকতার গুরুত্ব তুলে ধরে। এ সময় সারা দেশে বিএনপির সমর্থনে শক্তিশালী হয়ে ওঠে অনেক জঙ্গিগোষ্ঠী; তারা গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল শক্তির ওপর হামলা পরিচালনা করতে থাকে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা চালাতে থাকে, এমনকি বিরোধী দলীয় নেতাকে হত্যার লক্ষ্যে তাঁর ওপর গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করে।

'একলা চল' নীতির বিপরীতে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা আরও নিবিড়ভাবে অনুভূত হয়। অবশেষে ২০০৫ সালে গঠিত হয় '১৪ দল'। জাসদ প্রস্তাবিত 'ন্যূনতম জাতীয় কর্মসূচি: পরিবর্তনের রূপরেখা ও অঙ্গীকার'-এর ভিত্তিতে প্রণীত হয় ১৪ দলের ২৩ দফা।

পরবর্তী নির্বাচনে ১৪ দলের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ক্ষমতাসীন হয়। সরকার দেশকে পাকিস্তানের ধারা থেকে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় ফেরত নিয়ে আসার চেষ্টা করতে থাকে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পন্ন করা ও রায় কার্যকর করা, যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করা, অবৈধ ক্ষমতা দখল নিষিদ্ধ করা, কর্নেল তাহের হত্যার বিচার করা, বাহাত্তরের সংবিধান ফিরিয়ে আনা, আর্থ-সামাজিক নীতিতে গণমুখীনতার সূচনা করা ইত্যাদি অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক-রাষ্ট্রীয়-সামাজিক ক্ষেত্রে বহুমুখী গতিশীলতার শুরু হয়।

কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য খালেদা জিয়া গত ৪০ বছর ধরে লালন-পালন করা জামায়াত ও জঙ্গিদের নিয়ে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের বিরুদ্ধে 'সর্বাত্মক যুদ্ধে' ঝাঁপিয়ে পড়ে। সরকার জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ১৪ দল খালেদা জিয়া ও জামায়াত-বিএনপিকে পিছু হটাতে বাধ্য করে। কিন্তু তারা গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে জঙ্গিদের রক্ষার জন্য নানা ছলচাতুরি করতে থাকে, আবারও সরকার ও জনগণের ওপর হামলার সুযোগ খুঁজতে থাকে।

২০১৬ সালে জাসদ ঘোষণা করেছে দেশকে জঙ্গিবাদের কবল থেকে স্থায়ীভাবে রক্ষা করতে হলে জঙ্গি নির্মূলের পাশাপাশি গত ৪০ বছর ধরে যারা ধারাবাহিকভাবে যুদ্ধাপরাধী-জামায়াত-জঙ্গিদের পুনরুৎপাদন করেছে তাদের রাজনীতি থেকে বর্জন করতে হবে, তাদের বিচার করতে হবে, প্রয়োজনে নতুন আইনি কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। জাসদ জঙ্গি নির্মূল এবং জঙ্গি-সঙ্গী বর্জন ও বিচারের সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতি ও বৈষম্যের অবসান এবং সুশাসন ও সমাজতন্ত্রের বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলন পরিচালনায় দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

দীর্ঘ ৪৪ বছরের সংগ্রামে শাসকদের আক্রমণে শহীদ হয়েছেন জাসদের হাজার হাজার নেতাকর্মী। বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেকে। অনেকে সংগ্রামের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে দল ছেড়েছেন। আশির দশকে দল যখন জিয়ার সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন কিছু নেতা জাসদ ছেড়ে গঠন করেছিলেন আলাদা দল। এরশাদ সামরিক শাসনের শুরুতে আন্দোলনের পথ ছেড়ে সামরিক শাসকের সঙ্গে আপোষ করে দল ছেড়েছেন দলের প্রতিষ্ঠাকালীন অনেক নেতা। ১৯৮৮ সালে একই পথ অনুসরণ করেছেন কেউ কেউ। সর্বশেষ ২০১৬ সালে দলের কাউন্সিল থেকে বের হয়ে গেছেন কয়েকজন নেতা।

দল যখন জঙ্গি ও জঙ্গি-সঙ্গীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে তখন তাদের দলত্যাগ আমাদের মনে করিয়ে দেয় অতীতের দলত্যাগীদের কথা। তারা প্রত্যেকেই হারিয়ে গেছেন রাজনীতির মাঠ থেকে। কিন্তু এই হল নিয়ম: প্রতিটি ছোট-বড় বিজয়ের অনিবার্য আনন্দে মিশে থাকে স্বজন হারানোর বেদনা আর দলত্যাগী সাথীদের জন্য করুণা।

জাসদের প্রতিষ্ঠাকালীন অনেক নেতা দল ছেড়েছেন; তারা আন্দোলনের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি। কিন্তু জাসদ ধ্বংস হয়ে যায়নি; দলের কর্মীরাই দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন প্রতিটি অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে।

জাসদ আন্দোলনের দল, জাসদ হাজার হাজার কর্মীর দল; জাসদ বাংলাদেশের 'শোণিতধারা'।