গণমাধ্যম, পুঁজির বিকাশ ও অনলাইনের নয়া জামানা

Published : 14 Sept 2016, 03:51 AM
Updated : 14 Sept 2016, 03:51 AM

আমাদের দেশে গণমাধ্যম সমসময়ই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল, বিশেষ করে ১৯৭১ সালের দিকে। একজন সাংবাদিককে ভাবা হত জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে; পেশাগত পরিচয়ের চেয়ে তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ের ভূমিকাই ছিল বড়। ১৯৬৯ সালে গণ-আন্দোলনের পর সেটা আরও বেশি প্রবল হয়। যেহেতু তখন বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন চলছিল; সে সময় মূলধারার যেসব বড় পত্রিকা ছিল তারাও জনগণের সামনে নিজস্ব রাজনীতি বাদ দিয়ে জন-রাজনীতির দিকে মুখ ঘোরাতে একঅর্থে বাধ্য হয়। সে কারণে 'দৈনিক বাংলা'র মতো সরকার পরিচালিত পত্রিকা '৬৯-৭০-৭১-এ এত বড় ভূমিকা পালন করতে পেরেছিল। ঠিক একই কারণে ১৯৭১ সালে সাংবাদিকেরা বিভিন্নভাবে অংশগ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধে এবং অনেকে বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে যায়।

'৭১ সালের গণমাধ্যমের দিকে তাকালে দেখা যায়, অসংখ্য ছোট ছোট পত্রিকা বের হয়েছে তখন। এগুলোর বেশির ভাগই বের হত কলকাতা থেকে। এসব পত্রিকা মুক্তিযুদ্ধের খণ্ড খণ্ড দলিলপত্রে সন্নিবেশিত করা রয়েছে। এই বহুসংখ্যক পত্রপত্রিকা– তাদের মান যা-ই হোক– থেকে এটা বোঝা যায় যে, অনেক মানুষই গণমাধ্যমের ভেতর দিয়ে নিজের বক্তব্য নিয়ে মানুষের সামনে আসতে চায়। এসব ছোট ছোট পত্রিকা খুব কম খরচে বের করা সম্ভব হয়েছিল। এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের একটা মৌলিক অংশ। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের মতোই এসব পত্রিকার ভূমিকার কারণে ডিসেম্বর মাসে যখন সরাসরি যুদ্ধ শুরু হয় তখন জনগণ প্রস্তুত ছিল।

জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা একটি সাক্ষাৎকারে আমাকে বলেছিলেন, "আপনাদের জনগণ যদি আমাদের সহযোগিতা না করত আমরা যুদ্ধে অগ্রসর হতে পারতাম না।" অতএব যুদ্ধের সফল পরিণতির জন্য ছোট ছোট পত্রিকার প্রচার-প্রচারণা অনেক বড় ভূমিকা রেখেছিল।

রেডিও ছিল প্রধান মাধ্যম, কিন্তু একই সঙ্গে ছোট ছোট পত্রিকাগুলো ধারণ করত গোটা বাংলাদেশে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষের ভাবনা-চিন্তা-মতামত। সেদিক থেকে '৭১ সাল আমাদের গণমাধ্যমের শ্রেষ্ঠ সময়।

২.

স্বাধীনতার পর গণমাধ্যম যতটা প্রবল শক্তি নিয়ে আসে– সেটা অবশ্য ছিল একটি নব্যস্বাধীন দেশের জন্য স্বাভাবিক– কিন্তু কাঠামোগতভাবে ততটা প্রাবল্য ছিল না। সরকারি পত্রিকা হিসেবে সবচেয়ে বড় উপস্থিতি ছিল 'দৈনিক বাংলা'র। কিন্তু ১৯৭৩ সালে ইউএসআইএসের (তৎকালীন মার্কিন তথ্য সার্ভিস) ঘটনার পর পত্রিকাটির প্রধান দুই মানুষ– হাসান হাফিজুর রহমান ও তোয়াব খান– দুজনকেই সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর পত্রিকাটি আর জ্বলজ্বলে ছিল না।

(প্রসঙ্গত, ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি ভিয়েতনামে মার্কিন হামলার প্রতিবাদে মস্কোপন্থী বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন 'ভিয়েতনাম দিবস' পালনের ডাক দেয়। এ উপলক্ষে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের বিপরীতে অবস্থিত তৎকালীন ইউএসআইএস দপ্তরের সামনে এলে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে নিহত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মতিউল ইসলাম ও মীর্জা কাদেরুল ইসলাম নামে আরেক ছাত্র।)

'দৈনিক বাংলা' ছাড়া অন্য দুটি পত্রিকা অনেক মানুষ পড়ত; এর একটি শেখ মণির 'জয় বাংলা', যা ছিল আওয়ামীপন্থী এবং অন্যটি 'গণকণ্ঠ'। দ্বিতীয় পত্রিকাটি ছিল জাসদের। বলাই বাহুল্য, উভয় পত্রিকাই ছিল খুবই রাজনৈতিক এবং তাদের পাঠকও ছিল স্ব স্ব রাজনৈতিক মতাদর্শী বা মনোভাবাপন্ন। কিন্তু সবচেয়ে সফল ছিল 'ইত্তেফাক', যার ভাষা ও বিষয় ব্যাপ্তির কারণে শহর ও গ্রামে সবখানেই তারা জনপ্রিয় ছিল। ছোট পত্রিকা খুব একটা ছিল না। এর অন্যতম কারণ, যেটুকু পুঁজি লাগে ছোট পত্রিকা করতে তা আগ্রহী মানুষের হাতে ছিল না। কিন্তু ব্যবসা যে বাড়ছিল তার প্রমাণ 'ইত্তেফাক'এর ক্লাসিফায়েড বিজ্ঞাপনের রমরমা।

এই ক্ষুদ্র পুঁজির বিকাশের মাধ্যমে 'ক্ষুদ্র ও মধ্যবিত্ত' অংশ উঠে আসছিল, যারা তুলনামূলকভাবে 'ইত্তেফাক' পাঠকদের চেয়ে আধুনিক ও মুক্তমনা; এদের বেশির ভাগই ছিল নগরকেন্দ্রিক মানুষ। তাদের প্রধান পরিসর ছিল 'সাপ্তাহিক বিচিত্রা', যেটা 'দৈনিক বাংলা'র চেয়ে সফল– সব অর্থেই।

বাকশাল হওয়ার পর সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে সব পত্রিকা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এ সময়টা খুব একটা দীর্ঘ ছিল না। এরপর আসে মার্শাল ল। কিন্তু গণমাধ্যম মুক্ত হলে বাড়তি পুঁজি খাটানোর আকাক্সক্ষা এর পূর্বে অল্পবিস্তর দেখা গেলেও মূলত তার বড় ধরনের প্রকাশ ঘটতে শুরু হয় এরশাদের ক্ষমতাগ্রহণের পর। অর্থাৎ পুঁজি তৈরি হয়েছে ১৯৭২-১৯৮৪ সময়কালে, যে পুঁজি অর্জিত বিত্তের প্রসার ও রক্ষার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। সে কারণে এরশাদের সময় অনেক পত্রিকা বাজারে আসতে শুরু করে।

যারা ওই সময়ে পত্রিকার মালিক হন, তারা অবস্থাসম্পন্ন এবং সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে তাদের বিত্তায়ন ঘটছিল। একই সঙ্গে মধ্যবিত্ত শ্রেণি অনেক বড় হয় এবং তাদের কণ্ঠস্বর হিসেবে উপস্থিত হয় কয়েকটি পত্রিকা; এসব পত্রিকার অন্যতম 'আজকের কাগজ'। আর শফিক রেহমানের 'যায়যায়দিন' ছিল একটি বিপ্লবী পত্রিকা। কারণ, এই প্রথম কম খরচে যে পত্রিকা ছাপা যায় এবং মূলধারায় অংশ নেওয়া যায় তা পত্রিকাটি প্রমাণ করেছে। অর্থাৎ কণ্ঠস্বরের সংখ্যা গণমাধ্যমের পরিসরে বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে মধ্যবিত্তের যেমন প্রসার ঘটে তেমনি বড় পুঁজি বাজারে প্রবেশ করে। তারা যেমন প্রিন্ট মিডিয়ায় খরচ করতে থাকে তেমনি তাদের আগ্রহ বাড়তে থাকে টেলিভিশনের দিকে। অর্থাৎ গণমাধ্যমের পরিসরে টেলিভিশনের পদধ্বনি শোনা যায়।

খুচরা পত্রিকা সমসময়ই মধ্যবিত্তের নিজস্ব প্রকাশের মাধ্যম। এদের সূত্র খুঁজতে গেলে যেতে হবে লিটল ম্যাগাজিনের কাছে– যেটা কম বিত্তের মানুষের গণমাধ্যম। আর মধ্যবিত্ত শ্রেণির যেটা শুরু হয় 'বিচিত্রা' দিয়ে, ক্রমে যা 'বিচিন্তা' হয়ে দাঁড়িয়েছে 'প্রথম আলো'তে।

টেলিভিশন মৌলিকভাবে স্বতন্ত্র ধারা। এটা সম্ভব হয়েছে অনিয়ন্ত্রিত বিত্তায়নের জন্য। টেলিভিশন মালিকরা সরকারের বিপক্ষে কখনোই যাবে না, সরকারকে অখুশি করবে না। কারণ, তারা যে বিত্ত উপার্জন করেছে তা সরকারের সহায়তা ছাড়া সম্ভব না। তাদের পুঁজি রক্ষা ও বৃদ্ধি ব্যহত করতে তারা চাইবে না। সে কারণে পূর্বের যে 'প্রতিবাদী মডেল' ছিল তার বদলে আমরা গণমাধ্যমে 'সহযোগী মডেল' দেখতে পাই।

পূর্বের মডেল ছিল উঠতি পুঁজিবাদের আর বর্তমানেরটি প্রতিষ্ঠিত পুঁজিবাদের। যেহেতু টেলিভিশনের গোটা ব্যবস্থাটাই সরকার নিয়ন্ত্রিত এবং সব সিদ্ধান্তই হয় রাজনীতি চিন্তা করে, সেহেতু এ বলয় থেকে বের হয়ে আসার সম্ভাবনা কম।

প্রিন্ট মিডিয়ার ক্ষেত্রে 'প্রথম আলো' বাজারে এতই বিস্তৃত যে অন্য পত্রিকা বের হলেও খুব বেশি সুবিধা করতে পারছে না। এতে বোঝা যায়, প্রিন্ট মিডিয়ার পরিসর অনেক সংকুচিত হয়ে গেছে। এবং প্রভাব বা মুনাফা কোনোটাই প্রিন্ট মিডিয়া থেকে তেমন মাত্রায় সম্ভব না। কিন্তু গণমাধ্যমের এই পর্যায়ে পরিবর্তন পুঁজির কারণে হয়নি, হয়েছে প্রযুক্তির কারণে।

৩.

প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়াটা গোটা গণমাধ্যমের চিন্তা পালটে দিয়েছে। এখন অসংখ্য কারণে লোকে আর পত্রিকা পড়তে চায় না। একই সঙ্গে ইন্টারনেটের কারণে সবাই ডিজিটালের দিকে চলে যাচ্ছে। যতগুলো প্রিন্ট মিডিয়া রয়েছে তাদের প্রায় প্রতিটিরই অনলাইন সংস্করণ রয়েছে। এতে বোঝা যায়, তাদের পরিচয় প্রিন্ট মিডিয়া হলেও প্রসার ইন্টারনেটের কারণে।

ইন্টারনেট, থ্রিজি প্রযুক্তি, মোবাইল, কম্পিউটার ইত্যাদির সহজলভ্যতার কারণে আরাম-আয়েশে মানুষ যেখানে খুশি যখন খুশি অনলাইনে ঢুঁ মারতে পারে। এটি খুবই সুবিধাজনক একটি দিক। বলা যায়, প্রিন্ট মিডিয়া এখন আর তেমনভাবে উপস্থিত নয়। যেহেতু সরকারও নতুন গণমাধ্যমের অনুমতি দিচ্ছে না বা তার হয়তো দরকারও নেই, সেহেতু অনেক বড় পুঁজিওয়ালারা অনলাইনের দিকে ঝুঁকছে। এর বড় প্রমাণ বসুন্ধরা গ্রুপের বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, প্রাণ গ্রুপের জাগোনিউজ ডটকম ইত্যাদি।

গণমাধ্যমের এই ক্রান্তিলগ্নে প্রিন্ট মিডিয়া চলে যাচ্ছে, অনলাইন আসছে। এমনকি টেলিভিশনেরও অনলাইন ভার্সন বা সংস্করণ চালু হচ্ছে।

তবে অনলাইন মিডিয়া নতুন একটি সংকট তৈরি করেছে। প্রথমত, এটি বানাতে খুবই কম পয়সা লাগে। যার ফলে বড় পুঁজির স্থান– টেলিভিশনও তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে গেছে। যারা কোটি কোটি টাকা খরচ করে পত্রিকা, টেলিভিশন চ্যানেল করেছে, তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হচ্ছে অনলাইনের সঙ্গে, যার খরচ মাত্র কয়েক লাখ বা তারও কম।

অর্থাৎ যারা অর্থনৈতিক পুঁজি ব্যবহার করে সামাজিক পুঁজি সংগ্রহের উদ্দেশ্যে গণমাধ্যমের পরিসরে প্রবেশ করেছিলেন, তাদের অনলাইন ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। টেলিভিশনের সংখ্যা এত বেড়ে গেছে যে বিজ্ঞাপনের দাম অনেক কমে গেছে। সে কারণে রুগ্ন টেলিভিশনের সংখ্যা বাড়ছে। অনেকের টিকে থাকাই দায়; সেখানে অনলাইন প্রতিদ্বন্দ্বিতা 'মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা' হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যেহেতু অনলাইন পত্রিকার লাভ-লোকসানের হিসাব অনেক ছোট, সে কারণে বেশ কিছুদিন ধরে এদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠিত পত্রিকা, সুশীল সমাজের একটি অংশ ও সরকার এদের সমালোচনা করছে। ছোট অনলাইনের বিপক্ষে যেসব যুক্তি দেখানো হয়– যেমন: তারা দায়িত্বজ্ঞানহীন– সেই একই যুক্তি কিন্তু বড় পত্রিকার বিরুদ্ধেও দেখানো যায়। যদিও সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ওপর খবরদারি-নজরদারি বেশি।

আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখেছি, অনেক অনলাইন সংবাদমাধ্যম অনেক প্রতিষ্ঠিত পত্রিকার চেয়ে তথ্যবহুল ও বস্তুনিষ্ঠ খবর পরিবেশন করে থাকে।

হাজারো অনলাইনকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব কি না, তা বোঝা দরকার। যতদিন পর্যন্ত গণমাধ্যমে প্রবেশ করা পুঁজির বিষয় ছিল, ততদিন পর্যন্ত সরকারের নিয়ন্ত্রণ ছিল; যেহেতু বড় পুঁজিবাদীদের নিয়ন্ত্রণ করা সহজ। কিন্তু এই ছোট ছোট অনলাইন নিয়ন্ত্রণ করা কতটা সম্ভব– সেটা চিন্তা করতে হবে। যেহেতু এসব ছোট ছোট গণমাধ্যমের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সংশ্লিষ্টতা প্রবল, তাই নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েও সরকার খুব একটা সফল হয়নি। সে কারণে ছোট ছোট অনলাইন সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কিন্তু ঐতিহ্যের দিক থেকে এই ছোট ছোট অনলাইন আমাদের মুক্তিযুদ্ধকালীন ছোট ছোট পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত। সেসব পত্রিকা যারা পড়েছেন, তারা দেখেছেন– পত্রিকাগুলো সঠিক খবর যেমন ছাপত, তেমনি দায়িত্বজ্ঞানহীন খবরও ছাপত।
ছোট পত্রিকা সবসময়ই সমাজের কণ্ঠস্বর– সেটা আমরা পছন্দ করি আর না-ই করি। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে– কী ছাপানো যায় বা যাবে না, সেটা দেখাতে পারি। কিন্তু তাদের ওপর ছড়ি ঘোরানোর চেষ্টা করে লাভ নেই। সরকারের কথা সরকার-ঘনিষ্ঠরাই শুনবে, অর্থাৎ যাদের সঙ্গে সরকারের লাভ-লোকসানের হিসাব রয়েছে।

বর্তমানে রাষ্ট্রে সরকারি ও সামাজিক অংশের মধ্যে ব্যবধান তৈরি হয়েছে। এই দুই পরিসরের কণ্ঠস্বর একই অবস্থান থেকে একই কথা বলবে– এটা আশা করা যায় না। অতএব আমাদের দেশের গণমাধ্যমের যে বর্তমান চিত্র সেটি বড় পরিসরের যে বৈপরীত্য, স্ববিরোধিতা, বৈষম্য বিদ্যমান তারই চিহ্ন বহন করে।

সমাধান একপেশে নিয়ন্ত্রণে নয়, সবার জন্য পরিসরে জায়গা দেওয়া। আইন করে অনলাইন নিয়ন্ত্রণের যুগ বোধহয় শেষ হয়ে গেছে।