মন্ত্রীদ্বয়ের শপথভঙ্গ ও মন্ত্রিত্ব থাকা না-থাকা

আবু সাইয়ীদ
Published : 4 Sept 2016, 04:08 PM
Updated : 4 Sept 2016, 04:08 PM

যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর চূড়ান্ত রায়ের আগে গত ৫ মার্চ এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এর জেরে পরে তাদের করা নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের আপিল বিভাগ ২৭ মার্চ দুই মন্ত্রীকে আদালত অবমাননার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন। একই সঙ্গে আদালত রায় দেন, সাত দিনের মধ্যে এ অর্থ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে এক সপ্তাহের জন্য কারাভোগ করতে হবে দুই মন্ত্রীকে।

পাঁচ মাস পর গত ১ সেপ্টেম্বর ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি আপিল বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সংবিধানে বর্ণিত আইনের শাসন রক্ষার যে শপথ বিবাদীরা (মন্ত্রীদ্বয়) নিয়েছেন, সেই দায়িত্বের প্রতি তাঁরা অবহেলা করেছেন। তাঁরা আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং সংবিধান রক্ষা ও সংরক্ষণে তাদের শপথ ভঙ্গ করেছেন।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে শপথভঙ্গের বিষয়টি সামনে আসায় এখন আবার নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে যে, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আর মন্ত্রী থাকতে পারবেন কি না। এ প্রশ্ন গত ২৭ মার্চেও ওঠে। সাজাপ্রাপ্ত কেউ মন্ত্রী থাকতে পারেন কি না– এ বিষয়ে তখন আলোচনা-সমালোচনা হয়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, "এ বিষয়ে এই মুহূর্তে আমার পক্ষে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব নয়। সংবিধানে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা আছে বলে আমার মনে হয় না। তবে এর সঙ্গে নৈতিকতার ব্যাপারটি জড়িত।"

পরে তিনি বলেন, "এ বিষয়ে মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেবে।"

কেউ কেউ বলেছেন, আদালত অবমাননার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত দুই মন্ত্রীর নৈতিক কারণে পদত্যাগ করা উচিত।

সংক্ষিপ্ত রায়ের পর মন্ত্রিত্ব যাওয়া না-যাওয়া নিয়ে যে প্রশ্ন এসেছিল তা হল, সাজাপ্রাপ্ত কেউ মন্ত্রী থাকতে পারবেন কি না। আর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পরও প্রশ্নটি একই রয়ে গেছে; কারণের জায়গায় কেবল বলা হচ্ছে কোনো মন্ত্রী শপথভঙ্গ করলে তিনি স্বপদে বহাল থাকতে পারবেন কি না।

দেশে এ ধরনের ঘটনা প্রথম হওয়ায় কেউ নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পাচ্ছে না। তবে আইনজ্ঞরা বলছেন, আইন বা সংবিধানে এ বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কিছু উল্লেখ না থাকলেও নৈতিক কারণে দুই মন্ত্রীর তাদের পদে থাকার সুযোগ থাকে না।

আইনজীবী শাহদীন মালিক সংক্ষিপ্ত রায় প্রদান এবং পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ– উভয় সময়েই এ বিষয়ে তাঁর সুস্পষ্ট মতামত দিয়েছেন। তিনি মনে করেন না যে, মন্ত্রীদ্বয়ের স্বপদে থাকার আর কোনো সুযোগ রয়েছে।

শাহদীন মালিক যেভাবে এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য প্রকাশ করেছেন, অন্য আইনজ্ঞদের ক্ষেত্রে কোথায় যেন পাশ কাটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সুনির্দিষ্টভাবে তাঁরা কোনো মন্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকছেন। সরকারের উচ্চ মহল থেকেও একই মনোভাব প্রকাশ করা হচ্ছে। কেউ কোনো মন্তব্য করছেন না।

সরকারের উচ্চ মহলের নীরবতায় এটা মনে করার সঙ্গত কারণ রয়েছে যে, মন্ত্রীদ্বয়ের মন্ত্রিত্ব থাকার পক্ষে তাদের দিক থেকে জোরালো কোনো বক্তব্য নেই, বরং এই নীরবতায় মনে হচ্ছে, মন্ত্রীদ্বয় আপন ইচ্ছায় পদত্যাগ করবেন– এমনটাই হয়তো তাঁরা চাইছেন।

বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোর কিছু আলোচনাতে কেউ কেউ মন্ত্রীদ্বয়ের পদত্যাগের পক্ষে মত দিলেও ভিন্নমত পাওয়া গেছে। দু-একজন আলোচক বিষয়টিকে মুক্তিযুদ্ধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ বিষয়াদির সঙ্গে মিলিয়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। যেহেতু ৫ মার্চ যুদ্ধাপরাধের সাজাবিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সাজা হয়েছে, তাই তাঁরা এ রায় 'যৌক্তিক' মনে করেন না। আর তা মনে না করলে মন্ত্রীদ্বয়ের পদ হারানোরও প্রশ্ন আসে না।

মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে মিলিয়ে বিষয়টি আবেগময় করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। দুই মন্ত্রীর যেটুকু মন্তব্য এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে তাতেও মুক্তিযুদ্ধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের উপর ভর করে তাঁরা এ সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন। তবে একটা বিষয়ে ভাবার অবকাশ রয়েছে যে, যাঁরা সুযোগ পেলেই বিচার বিভাগ নিয়ে কটাক্ষ করেন, তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে কাজ করেন, না কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী কাজ করেন।

স্বাধীন বিচার বিভাগের রূপকল্প তো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অন্তর্নিহিত। আর মন্ত্রী হয়ে প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে এমন বক্তব্য প্রদান কতটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাপ্রসূত, তা ভাবার অবকাশ রয়েছে।

৫ মার্চের ওই গোলটেবিল আলোচনায় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর মামলার পুনঃশুনানি দাবি করেন। ওই শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেলকে অংশ না নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এই মামলার আপিলের শুনানিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন দলের কাজ নিয়ে প্রধান বিচারপতির অসন্তোষ ও মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ করেন, অ্যাটর্নি জেনারেলও একই সুরে কথা বলছেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক প্রধান বিচারপতির মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান।

প্রধান বিচারপতি শুনানিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন দলের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করার প্রেক্ষিতে ওই আলোচনার সূত্রপাত। প্রধান বিচারপতি বা আদালত এ ধরনের যে কোনো প্রশ্ন বা অসন্তোষ উপস্থাপন করার অধিকার রাখেন এবং এটা আদালতের কার্যক্রমেরই অংশ।

তাহলে দুজন মন্ত্রী হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে উঠলেন কেন? কেন আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলেন প্রধান বিচারপতির উপর? কেনই-বা তাঁর প্রতি আস্থাহীন হয়ে উঠলেন তাঁরা? কেনই-বা আলোচকবৃন্দ মনে করলেন, প্রধান বিচারপতি মানবতাবিরোধী বিচারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন দল এ বিচার কার্যক্রমের একমাত্র 'সাচ্চা' সমর্থক।

একেক যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে ৮-১০টি করে অভিযোগ আনা হচ্ছে, অথচ কয়টা অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দিতে পেরেছেন ট্রাইব্যুনাল? এত বড় বড় অপরাধী, কেন তাদের ফাঁসির দড়ি গলায় পড়তে হল না? অনেক অপরাধের অভিযোগ থেকেই তো আসামীরা খালাস পেয়ে যাচ্ছে। মানবতাবিরোধী বিচারের প্রথম রায়ে তো ট্রাইব্যুনাল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেন কাদের মোল্লাকে। তখন ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি বা প্রসিকিউশন নিয়ে কোনো সন্দেহমূলক কথা ওঠেনি।

আপিল বিভাগের রায়েই কাদের মোল্লার ফাঁসির আদেশ হয়– এটি মানবতাবিরোধী বিচারের প্রথম মৃত্যুদণ্ড। আপিল বিভাগের ওই বেঞ্চে বিচারপতি এস কে সিনহাও ছিলেন, যিনি বর্তমানে প্রধান বিচারপতি।

মানবতাবিরোধী বিচারের আপিল বেঞ্চের একজন বিচারক হওয়ার কারণে তাঁর গ্রামের বাড়ি আক্রান্ত হয়। এছাড়া পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের আপিল বিভাগে কোনো একজন বিচারপতির পক্ষে একা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়, তিনি যদি হন প্রধান বিচারপতিও। যে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে হবে সর্বসম্মতিতে অথবা সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের ভিত্তিতে। যেমন শপথভঙ্গের পর্যবেক্ষণটি এসেছে পাঁচ-তিনের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির মতের ভিত্তিতে।প্রধান বিচারপতি চাইলেই এই সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের ভিত্তিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতির সিদ্ধান্তে রূপান্তরিত করতে পারেন না।

এসবই মন্ত্রীদের জানা কথা। তাহলে কেন এমন আলোচনা হল? এর পেছনের রহস্য কী? আর যদি কোনো অন্তর্নিহিত কারণ থেকে থাকে, যা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের পক্ষে জানা সম্ভব নয়, যদি ওনাদের কাছে নির্ভরযোগ্য তথ্য থাকে, তাঁরা যদি মনে করেন যে, প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে এমন বিতর্কের যৌক্তিক কারণ রয়েছে, তাহলে প্রধান বিচারপতি তাঁর পদে আসীন থাকেন কীভাবে?

যদি মনে হয় যে, প্রধান বিচারপতি বেঞ্চে থাকলে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে না, তাহলে ধরেই নেওয়া যায় তাঁর নৈতিক স্খলন ঘটেছে! তাহলে কেন তাঁকে অভিশংসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি? বরং কেন মন্ত্রীদ্বয় নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন? কোনো অন্যায়ের পথে পা বাড়ালে কেউ বিচারের ঊর্ধ্বে থাকবেন না।

অতিকথন এবং শঙ্কা আমাদের জীবনে নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিষয়টি এতটাই দুর্বল ভাবব যে, সব সময় একধরনের শঙ্কা আমাদের তাড়িয়ে বেড়াবে? আমাদের হেরে যাওয়ার ভয় থাকবে? পঁচাত্তর ও পঁচাত্তর-পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ যখন আমাদের হারাতে পারেনি, তখন আমাদের হারাবে, এমন শক্তি কোথায়?

কেউ উচ্চ আদালতের রায়ের সঙ্গে একমত হতে না-ই পারেন, কিন্তু ওই রায় আমলে নিতে হবে সবাইকে। এটাই একমাত্র মামলা, যে মামলার শুরুর দিন আপিল বিভাগের নয়জন বিচারপতির সবাই উপস্থিত ছিলেন। রায়ের দিন বিচারপতি বজলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন না বলে রায়ে উনি ব্যতীত অন্য সবাই স্বাক্ষর করেন।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে দুটি বিষয় উঠে এসেছে। এক– আদালত অবমাননা; দুই– শপথভঙ্গ। এখন ভেবে দেখতে হবে আদালত অবমাননা এবং শপথভঙ্গ– এ দুটি অপরাধ কতটা গুরুতর। বিষয়টি নিশ্চয় আইন বিশেষজ্ঞরাই ভালো বলতে পারবেন।

তবে সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা যা বুঝি তা হল, আদালত অবমাননা এবং শপথভঙ্গ করেছেন, এমন রায়ের পরও যদি কেউ স্বপদে (মন্ত্রী অথবা শপথ গ্রহণকারী অন্য যে কেউ হোক) বহাল থাকেন অথবা এ রায়ের ফলে অন্য কোনো প্রতিফলন না ঘটে, তাহলে শপথভঙ্গ কোনো অপরাধ বা কোনো অনুচিত কর্ম– এমনটা কেউ কোনোদিন মনে করবেন না। শপথভঙ্গ স্বাভাবিক কর্ম হিসেবেই বিবেচিত হবে।

ভবিষ্যতে অন্য কোনো ঘটনার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় এবং পরবর্তী পদক্ষেপ (যদি মন্ত্রীদ্বয় স্বপদে বহাল থাকেন অথবা এই রায়ের ফলে অন্য কোনো প্রতিফলন না ঘটে) রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে। তাতে ধরে নেওয়া হবে যে, শপথভঙ্গ এমন কোনো অনুচিত কর্ম নয় যার জন্য কাউকে শাস্তি পেতে হবে। আর যদি এই রায়ের ফলে মন্ত্রীদ্বয় পদত্যাগ করেন অথবা অন্য কোনো শাস্তি ভোগ করেন, তাহলে ভবিষ্যতে এটি শপথভঙ্গের শাস্তি হিসেবে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

সুতরাং আপিল বিভাগের এই রায়ের ফলে পদ খোয়া যাক বা অন্য কিছুই হোক– একটা কিছু যে হওয়া উচিত, তা সাধারণ বোধে অনুভব করা যায়।

কেউ কেউ মনে করছেন, শপথভঙ্গের জন্য মন্ত্রীদ্বয়ের মন্ত্রিত্ব থাকবে কি না, সে বিষয়ে আপিল বিভাগ কিছু বলেননি। সংবিধান বা প্রচলিত কোনো আইনে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু বলা নেই। অর্থাৎ আবার ঘুরেফিরে বিচার বিভাগের ওপরই সিদ্ধান্তের ভার দিয়ে দেওয়া।

এখন ধরা যাক, নৈতিক দায়িত্বের বিষয়টি বিবেচনায় না নিয়ে দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করলেন না এবং শপথভঙ্গের রায় সাধারণ কোনো বিষয় নয়, গুরুতর বিবেচ্য বিষয়– তাহলে কি কোনো সমাধান না হয়ে সিদ্ধান্তহীনতার মধ্যেই বিষয়টি ঝুলে থাকবে?

নাকি আবার উচ্চ আদালতকেই এগিয়ে আসতে এর সমাধানে?