পশ্চিমবঙ্গে প্রত্যাবর্তন, না পরিবর্তন

বিভুরঞ্জন সরকারবিভুরঞ্জন সরকার
Published : 4 May 2016, 08:22 AM
Updated : 4 May 2016, 08:22 AM

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধান সভার নির্বাচন শুরু হয়েছে ৪ এপ্রিল। ছয় পর্বের ভোটগ্রহণ শেষ হবে ৫ মে। কিন্তু ফলাফল প্রকাশ হবে ১৯ মে। অর্থাৎ ১৯ মের আগে জানা যাচ্ছে না, কে হবেন পশ্চিমবঙ্গের নতুন মুখ্যমন্ত্রী। তবে নির্বাচন ঘোষণার সময় যে রকম সবাই অনেকটা জোর দিয়েই বলছিলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবেন, প্রথম পর্বের নির্বাচন হওয়ার পর থেকেই আর সে রকম জোর দিয়ে প্রায় কেউই বলছেন না। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এখন বিভক্ত মতামতই দিচ্ছেন। কেউ বলছেন, প্রত্যাবর্তন অর্থাৎ মমতা আবার ফিরে আসছেন। আবার কেউ বলছেন পরিবর্তন অর্থাৎ মমতা নয়, মুখ্যমন্ত্রী হবেন নতুন কেউ। আবার ত্রিশাঙ্কু বা ঝুলন্ত পার্লামেন্টের কথাও কেউ কেউ বলছেন।

২০১১ সালের বিধান সভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বিপুল জয় পেয়েছিলেন। ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনের অবসান ঘটিয়ে কেবল পশ্চিমবঙ্গ নয়, সারা ভারতেই রাজনৈতিক মহলে মমতা চাঞ্চল্য তৈরি করেছিলেন। সে সময় তার জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। মমতার নামে মানুষের মধ্যে এক ধরনের উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল। একদিকে তার সাদাসিধে জীবনযাপন, অন্যদিকে কাউকে তোয়াক্কা না করার লড়াকু মনোভাব– দুইয়ে মিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে উঠেছিলেন এক কথায় অপ্রতিরোধ্য। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তাকে দিদি বলে সম্বোধন করেন। দিদির মধ্যে মানুষ দেখেছিল নিজেদের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির স্বপ্ন।

বামফ্রন্টের টানা ৩৪ বছরের শাসনে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কিছুটা যেন হাঁপিয়ে উঠেছিল। তাছাড়া একনাগাড়ে দীর্ঘদিন শাসন ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতি-অনিয়মের পাঁকে জড়িয়ে পড়েছিল বামফ্রন্ট, বিশেষ করে বামফ্রন্টের প্রধান শরিক দল সিপিএমএর নেতাকর্মীরা। সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা, তথা গরিব মেহনতি মানুষের শাসন বা রাজত্ব কায়েমের কথা বলে দলের বা ফ্রন্টের কর্তৃত্বপরায়ণ যে শাসন কায়েম করা হয়েছিল, তাতে গরিব-মেহনতি মানুষ নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের তেমন কিছু খুঁজে পায়নি। উদোর ফুলেছে সিপিএম ক্যাডারদের।

পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান অনেকটা ধুমকেতুর মতো। তাই ২০১১ সালের নির্বাচনে তার দল হেসেখেলে বিজয়ী হয়েছে। ২৯৪টি বিধান সভা আসনের ১৮৪টি দখল করে মমতা অনায়াসে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসতে সক্ষম হয়েছিলেন। গত নির্বাচনে বামেরা পেরেছিল ৬০টি আসন আর কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ৪২টি আসন। ২০১১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এক ধরনের সমাঝোতার মাধ্যমেই নির্বাচনে লড়েছিল কংগ্রেস। গত নির্বাচনের আগে হাওয়া ছিল সম্পূর্ণই তৃণমূলের অনুকূলে। বাজি ধরেই সবাই বলতেন, মমতাই হবে মুখ্যমন্ত্রী, ধরাশায়ী হবে বামফ্রন্ট। বাস্তবে হয়েছিলও তাই।

কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। মাত্র পাঁচ বছরের মমতার ঔজ্জ্বল্য অনেকটাই যেন ম্লান হয়ে এসেছে। যে দিদির নামে জনসভায় মানুষের ঢল নামত, সেই দিদি এবার আর মানুষকে ততটা টানতে পারছেন না বলেই শোনা যাচ্ছে। তারপর বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস আসন সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচন করায় তৃণমূল্যের জন্য সহজ জয়ের সম্ভাবনা কমে এসেছে। দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্ক ভুলে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের সঙ্গে কোনো ধরনের ঐক্য বা সমঝোতা হবে এটা মমতা ভাবতে পারেননি।

এই নির্বাচনী সমঝোতা ছাড়াও আরও কিছু ঘটনা মমতার জন্য গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বড় বড় সব দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় মানুষ হতবাক। দিদির সততার ইমেজ ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে কয়েকটি ঘটনা। এবার বিধান সভা নির্বাচনে তাই অন্যতম ইস্যু হয়ে উঠেছে তৃণমূলের দুর্নীতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দুর্নীতির উর্ধ্বে আছেন বলে নির্বাচনের আগে পর্যন্ত অনেকেই মনে করতেন। কিন্তু তিনি দুর্নীতিবাজদের পক্ষে এতটাই সাফাই গাওয়া শুরু করেন যে, তাতে তার নিজের সততাও প্রশ্নবিদ্ধ হতে থাকে।

তাছাড়া গত পাঁচ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সম্পত্তিও বেশ কয়েক গুণ বেড়েছে বলেই শোনা যাচ্ছে। তিনি যে আয়কর রিটার্ন দিয়েছেন, তাতেই তার সম্পদ বৃদ্ধির তথ্য আছে। পরনে কম দামি শাড়ি, পায়ে হাওয়াই চপ্পল– দিদির এই ছবির সঙ্গে মিলছে না সরকারের দুর্নীতির সব কেচ্ছা-কাহিনি। স্লোগান উঠেছে 'দিদির পায়ে সস্তা চটি, সঙ্গে সব কোটিপতি'।

প্রথমে ২০১৩ সালে, অর্থাৎ ক্ষমতা গ্রহণের দুই বছরের মাথায় মমতার সরকার ও দলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সারদা কেলেঙ্কারির ঘটনা মমতা এবং তৃণমূলের ভাবমূর্তিতে কালি মেখে দেয়। সারদায় গচ্ছিত গরিব মানুষের আমানতের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের মন্ত্রী, সাংসদ, নেতার নাম জড়িয়ে যায়। পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্র সারদা কেলেঙ্কারির অভিযোগ মাথায় নিয়ে ১৬ মাস ধরে কারাগারে আছেন এবং জেল থেকেই এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে মুখ্যমন্ত্রী উল্টো তাদের পক্ষেই কথা বলছেন।

এবার নির্বাচনের আগে আগে ফাঁস হয় আরেক দুর্নীতির ঘটনা। নারদকাণ্ড বলে পরিচিতি পাওয়া এই ঘটনায় ভিডিও ছবিতে তৃণমূলের ১১ মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ককে ঘুষ গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে। এই ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধপক্ষ স্বাভাবিকভাবেই একে একটি বড় ইস্যু করে তোলে।

মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং তার সঙ্গী-সাথীরা প্রথম দিকে একে বানোয়াট বা বিরোধীদের মিথ্যাচার বলে বুলি কপচালেও পরে যখন বুঝতে পারেন ঘটনা অসত্য নয়, তখন মমতার নিজের সুর ও স্বরও কিছুটা নরম হয়ে আসে। মমতা এক নির্বাচনী প্রচার সভায় বলেছেন, মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার আগে নারদকাণ্ড জানলে তিনি অভিযুক্তদের নির্বাচনে মনোনয়ন দিতেন না। অবিনয় এবং ঔদ্ধত্যই যে মমতার বৈশিষ্ট্য তিনিই কি না ভোটারদের কাছে সবিনয়ে আবদার করেন, 'ভুলত্রুটি যদি কিছু করেও থাকি, তারপরও আমার মাথার ওপর থেকে আপনাদের আশীর্বাদের হাত সরিয়ে নেবেন না।'

মমতার এই আবদার মানুষ রক্ষা করেছে কি না, তা জানা যাবে আগামী ১৯ মে, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর।

সারদা কেলেঙ্কারি ও নারদকাণ্ডের ঝাঁজ সামলাতে হিমশিম তৃণমূলের ওপর চেপে বসে আরেক বোঝা। কলকাতা শহরের নির্বাচনাধীন একটি উড়ালপুল (ফ্লাইওভার ব্রিজ) ভেঙে কমপক্ষে ২৭ জনের প্রাণহানির ঘটনার দায়ও তৃণমূল সরকারের ওপরই চাপে। প্রথমে মমতা এই বলে পার পেতে চেয়েছিলেন যে, ওই উড়াল পুলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল বামফ্রন্টের আমলে, কাজেই ভেঙে পড়ার দায় তাদেরই। কিন্তু ক্রমেই জানা যায় যে, তৃণমূলের একটি সিন্ডিকেট নিম্নমানের নির্মাণ মন্ত্রী সরবরাহ করার কারণেই ভেঙে পড়েছে উড়ালপুল।

যে সিঙ্গুরের জমি রক্ষা আন্দোলন মমতাকে পাদপ্রাদীদের আলোয় নিয়ে এসেছিল, বামফ্রন্ট সরকারকে করেছিল বিপর্যস্ত, সেই সিঙ্গুরও এখন মমতার গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। টাটা কোম্পানি কম দামের ন্যানো গাড়ি বানানোর জন্য হুগলি জেলার সিঙ্গুরে কারখানা তৈরির জন্য জমি চেয়েছিল। বামফ্রন্ট সরকার জমি দিয়েও ছিল। কিন্তু বাধ সাধেন মমতা। জমি দিতে অনিচ্ছুক কৃষকদের সংগঠিত করে তিনি এমন আন্দোলন গড়ে তোলেন যে, টাটা সেখান থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়ে গুজরাট চলে যায়। আর কপাল পোড়ে বামফ্রন্টের। মমতার হয় পোয়াবারো।

ক্ষমতার আসার পাঁচ বছরেও কিন্তু সিঙ্গুরের কৃষকদের জমি ফেরৎ দিতে পারেননি মমতা। ফলে তার বিরুদ্ধে এখন সেখানকার কৃষকরাও ক্ষুব্ধ।

এতসব কাণ্ডের পর মমতা আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবেন, এটা আশা করতে পারছেন না অনেকেই। আবার এটাও বলা হচ্ছে যে, মমতার জনপ্রিয়তার ধস নেমেছে ঠিকই, কিন্তু তার মানে এই নয় যে, এবারই মানুষ তাকে বিদায় জানাবে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বামফ্রন্টকে ৩৪ বছর সময় দিয়েছে, আর দিদিকে দশ বছরও দেবেন না?

গত নির্বাচনে ১৮৪ আসনের জায়গায় এবার হয়তো আসন সংখ্যা ২০-২৫টি কমবে। সরকার গঠনের ম্যাজিক সংখ্যা ১৪৮টি আসন পেতে হয়তো মমতার সমস্যা হবে না। জনমত সমীক্ষা নিষিদ্ধ থাকায় এবার নির্বাচন নিয়ে কেউ আগাম আভাস দিতে পারেনি। তবে মানুষ যেভাবে দলবেঁধে বিপুল সংখ্যার ভোট দিচ্ছেন, তাতে বাম-কংগ্রেস জোট দাবি করছে, তারাই এবার ভোটে জিতছে এবং সরকার গঠন করতে চলেছে। তবে মানুষ মমতাকে ফিরিয়ে আনার জন্য না পরিবর্তনের জন্য বিপুল সংখ্যায় ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছে সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।

রাজনৈতিক মহলে এখন নানা রকম হিসাব-নিকাশ চলছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূলকে হারানোর মতো শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারেনি বাম-কংগ্রেস জোট। আসলে এটা কোনো শক্তিশালী নির্বাচনী জোটও নয়। ঐক্য জমাট বাঁধেনি। আলগা ঐক্যের বিষয়টি মানুষের বুঝতে কষ্ট হয়নি। বেশ কিছু আসনে এই দুই পক্ষের আসন সমঝোতা হয়েছে। আবার কিছু আসনে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রার্থীও দিয়েছে। ফলে তাদের ঐক্য নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের বিভ্রান্তি আছে।

বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের রাজনৈতিক সম্পর্কও খুব একটা মধুর নয়। দীর্ঘদিন পশ্চিমবঙ্গে শাসন ক্ষমতায় থাকার বামফ্রন্টের হাতে নির্যাতন-নিগ্রহের শিকার হয়েছে অসংখ্য কংগ্রেস নেতাকর্মী। নানা রকম রাজনৈতিক চাপ ও বাধ্যবাধকতায় দুই পক্ষের মধ্যে আসন সমঝোতা হলেও ভোটররা যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোট দেবে, তার কোনো লক্ষণ কোনো ঘটনা থেকেই দেখা যায়নি।

দুই দলের নেতারা এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে মানুষের কাছে সেভাবে ভোট প্রার্থনাও করেননি। একটি মাত্র নির্বাচনী সভার বামফ্রন্টের প্রবীণ নেতা ও পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী একমঞ্চে উঠে দায় সেরেছেন এবং তাদের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চেয়েছেন।

আগের বারের নির্বাচনে বিজেপি ১৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এবার তাদের ভোট বাড়বে না কমবে? যদি কমে তাহলে তাদের আগের বারের ভোটগুলো কে পাবে। তৃণমূল না বাম-কংগ্রেস? যদি বিজেপির ভোট বাড়ে তাহলে কাদের ভোট কমবে?

এ সব কিছু নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করবে। ২৭ শতাংশ মুসলিম ভোট নিয়েও জল্পনা-কল্পনা আছে। এক সময় বাম-কংগ্রেসের দখলেই ছিল মুসলিম ভোট। কিন্তু এখন এই ভোটে কারও একচেটিয়া আধিপত্য নেই। মুসলিম ভোট পক্ষে টানার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি লাগাতার প্রচেষ্টা আছে। এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির সঙ্গে মমতার এক ধরনের গোপন সমঝোতা হয়েছে বলে প্রচার আছে। কারণ বিজেপির কাছে বাম-কংগ্রেসের চেয়ে মমতা বেশি গ্রহণযোগ্য। কারণ এক সময় মমতা বিজেপির জোট-সঙ্গী ছিলেন।

নির্বাচনী প্রচারে এসে অবশ্য তৃণমূল এবং মমতার বিরুদ্ধে অনেক শক্ত কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একে কেউ কেউ লোক-দেখানো বলে মনে করছে। মোদি পশ্চিমবঙ্গের এক নির্বাচনী সভায় বলেছেন, 'মা-মাটি-মানুষের নাম করে ক্ষমাতায় এসেছে। এখন মৃত্যু (মওত) আর মানির কারবার চলছে। টিএমসির (তৃণমূল কংগ্রেস) মানে, টি- টেরর, এম-মওত, এবং সি-করাপসান।'

অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'কংগ্রেস উচ্ছে (করলা)। সিপিএম নিমপাতা। বাবলা গাছের কাঁটা হয়েছে বিজেপি। বাবলা গাছের কাঁটা, না উচ্ছে-নিমপাতা, কোনটা খাবেন?'

মমতার প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে ১৯ মে।