পিচঢালা এই পথটারে

সৌরিন দত্ত
Published : 18 Feb 2016, 06:56 AM
Updated : 18 Feb 2016, 06:56 AM

আমার জন্ম এবং শৈশব ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোলঘেঁষা একটি গ্রামে। কালো পিচঢালা রাস্তাটা হাম্মাদিয়া মসজিদের কোণা থেকে বাঁক নি্যে আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে চলে গেছে জানা-অজানা কত শত জনপদের বুক চিরে, মাঠের পারের দূরের দেশে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লালমুখো গোরা, নেপালি গোর্খা কিংবা শিখ সৈন্যরা আধাপাকা রাস্তায় ধুলো উড়িয়ে চলে যেত রেঙ্গুনে কিংবা আরাকানে। পরলোকগত পিতার কাছে শোনা তাঁর ছেলেবেলার সেই গল্প আজও আমাকে নাড়া দেয়। গোরা সৈন্যরা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় অর্ধনগ্ন ছেলেগুলোর দিকে কখনও-বা ছুঁড়ে দিত বিস্কুট; কখনও-বা একটা ফুটো পয়সা।

আমার পিতা আর তাঁর খেলার সাথীরা বেডফোর্ড কোম্পানির সেই সৈন্যবাহী ট্রাকের ভেঁপু শুনলেই মাঠের কাজ, হাতের কাজ বা পাঠশালা ছেড়ে দৌড়ে চলে আসতেন রাস্তার ধারে। পয়সা বা বিস্কুট নাই-বা মিলল, ধবধবে সাদা ইয়াবড় এক বিদেশি লোকের চেহারা দেখাও বড় প্রাপ্তি! রাজার জাত ব্রিটিশ। রাজদর্শনে যে পূণ্য হয় তা কে না জানে? কখনও-বা সেই ট্রাকে থাকত মাথায় বিশাল বোঁচকা-বাঁধা শিখ সৈন্য। একটু কম বয়সের ছেলেরা দূর থেকে পাগড়ি-বাঁধা শিখ দেখলেই কাবুলিওয়ালা ভেবে দিত ছুট।

একাত্তরের অত্যাচারী খানসেনারা এই রাস্তা দিয়েই তাদের পরাজয়ের পথে যাত্রা করেছিল। কুমিরার যুদ্ধ ছিল একাত্তরে প্রতিরোধের প্রথম প্রহরের সাফল্য যা নাকি যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। সত্তরের ভয়াবহ সাইক্লোনে কিংবা একানব্বইয়ের সেই প্রলয়ঙ্করী দুর্যোগে উপকূলের নিচু জলোচ্ছ্বাসপ্রবণ এলাকার মানুষ এসে এই রাস্তায় এসে আশ্রয় নিত।

দুপুরবেলার ভাতঘুমে হাজারো শব্দের কারণে তেমন সমস্যা না হলেও গভীর রাতে দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ঘুরে আসা ট্রাকগুলো সীতাকুণ্ডের মছজিদ্দা গ্রামের বুক চিরে যাওয়ার সময় খটাং করে গিয়ার বদলাত। ঠাকুমার পাশে শুয়ে আমি তখন বলতে পারতাম এটা বাস না ট্রাকের শব্দ– ঠিক যেমন করে সূচিকর্মনিপুণা পল্লীবধু বলে দিতে পারে কাঁথার সেলাইয়ের ফোঁড় দেখে, 'এই জায়গা থেকে ফোঁড়গুলো আরেক জনের'।

আমার পিসতুতো ভাইয়েরা পৈতৃক চাকরির সুবাদে থাকত লাকসাম রেলওয়ে কলোনিতে। অবাক বিস্ময়ে দেখতাম তারা শৈশবে সময়ের হিসাব রাখত ট্রেনের শব্দে। ভোররাতে 'টু ডাউন' (আমাদের  কাছে যেটি পরিচিত 'ঢাকা মেইল' হিসেবে) গেলে পিসেমশাই ঘুম থেকে উঠে গোসল করে কর্মস্থলে রওনা হতেন। সকাল দশটা কিংবা এগারটা নয়, উল্কা পাস হলেই উনার দুপুরের খাবার টিফিন ক্যারিয়ারে করে লাইনম্যানের হাতে দিয়ে আসতে হত। কারণ তার পরই উপকূল এক্সপ্রেসে সেই টিফিন ক্যারিয়ার পৌঁছে যাবে বিপুলাসার স্টেশনে।

সময় সেখানে শব্দনির্ভর, জীবন সেখানে নিয়ন্ত্রিত হয় লোহার চাকার সঙ্গে লোহার ঘর্ষণে। গ্রামবাংলার প্রত্যেক ছেলের শৈশব সম্ভবত প্রচণ্ডভাবে পরিবেশ ও পরিপার্শ্ব-কেন্দ্রিক। আমি জানি না কিন্তু অনুভব করতে পারি চরমোনাই কিংবা বরিশালের কোনো ছেলে স্টিমারের ভেঁপু শুনে ফজরের নামাজ পড়তে ঘুম থেকে জেগে ওঠে কিনা।

পরম শ্রদ্ধেয় বিমান সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী কিংবা ডাক্তার সিরাজ ভাই যখন তাদের শৈশবের গল্প করেন, তখন অবাক বিস্ময়ে শুনি তাদের মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সাগরপাড়ের উদ্দাম উচ্ছলতা-ভরা কাহিনি। সাইক্লোনের সময় তাদের গরুর দড়ি খুলে দিয়ে পাহাড়ে যাওয়ার গল্প। ময়মনসিংহের কোনো শিশু জানেও না ভাটার সময় সমুদ্রে নামা একদম মানা। কিন্তু সে জানে শাপলার বিল ফাগুনে শুকিয়ে গেলে কীভাবে মাছ ধরতে হয়।

শৈশবের সেই স্বল্পপরিচিতির কারণেই হোক কিংবা শিশুতোষ কল্পনা বা সীমিত জগত-দর্শনের কারণে, আমার শৈশবের স্বপ্ন ছিল যানবাহনের চালক হওয়া। আমি ক্ষুদ্র বালক, একটি ভাঙ্গা চাকাই আমার সারাদিনের একমা্ত্র খেলার সাথী। সেই চাকা যেন আমার হাতে যাদুমন্ত্রের মতো কথা বলত। ডানে-বামে ঘুরিয়ে, গর্তের উপর লাফিয়ে আমার চাকা যেন রূপকথার পঙ্খীরাজ।

আজও দোয়েল চত্বর পার হবার সময় শিশু একাডেমির সামনে দুরন্ত নামের একটি ভাস্কর্য আমাকে আনমনা করে তোলে। খালি গায়ের ছেলেটি যেন আমি আর আমার হাতে চাকা ঘুরানোর কাঠি। নিষ্প্রাণ চাকাটি যেমন আমার হাতে প্রাণ পেত, তেমনি এক বিশাল প্রাণহীন দানবের যান্ত্রিক দেহে প্রাণ দিতেন আমাদের গ্রামের আলমগীর, জানে আলম, ইয়ার আহাম্মদ ড্রাইভাররা। কী অবলীলায় তারা নিয়ন্ত্রণ করতেন বিশাল সে সব বাহন। ট্রাক নিয়ে চলে যেতেন চট্টগ্রাম থেকে সাতক্ষীরা, সিলেট কিংবা চিলমারী বন্দর।

পনের দিন পর 'টিরিপ' শেষে তারা যখন ঘরে ফিরে গল্প করতেন, আমি লুকিয়ে শুনতাম। বড়দের আলাপ ছোটদের শোনা বারণ, কিন্তু সেই নিষিদ্ধ আকর্ষণ জয় করে আড়াল থেকে শুনতাম তাদের বিচিত্র সব অভিগ্গতা। বিভূতিভূষণের অপু যেমন প্রসন্ন গুরুমশাইয়ের গল্পে মুগ্ধ হয়ে ভাবত, 'বড় হইয়া সেও মুদীর দোকান করিবে', আমিও তেমনি ভাবতাম, 'বড় হয়ে আমিও ট্রাক চালাব'।

আমি ট্রাক চালাব; আরিচা ঘাটের জ্যামে পড়ে আামি দুদিন সিটে ঘুমাব; কোনো একবার রংপুর থেকে চাল নিয়ে আসার সময় আমার ট্টাকের চাকা পাংচার হলে বগুড়ায় আমি আরেক ট্রাক ড্রাইভারের বাড়ির রাতের অতিথি হব, আর আমাদের দোস্তি হবে সারাজীবনের। তার স্ত্রী আমাকে ধর্মভাই ডেকে আমার বউয়ের জন্য ঈদের সেমাই পাঠবে। আহা, কী সে জীবন! মুক্ত বিহঙ্গের।

যখন স্টিয়ারিং হুইলে বসব, একটি বছর আঠারোর ছেলে আমকে বলবে, 'ওস্তাদ, বাঁয়ে লন'। আমি সসাগরা পৃথিবীর অধীশ্বর নই, কিন্তু কারও কাছে আমি ওস্তাদ। কারও কাছে আমি প্রভু। মানসিংহের কাছে যেমন মহান সম্রাট আকবর! ছেঁড়া ছাতা আর রাজছত্র প্রা্যই চলে যায় এক বৈকুণ্ঠের দিকে।

বিদেশের মাটিতে বসে যেদিন কাকা আলমগীর ড্রাইভারের মৃত্যুসংবাদ পাই, আমার হৃদয় ভেঙ্গে খান খান হয়ে যা্য শৈশবের স্বপ্নপুরুষের মৃত্যুতে। আজ থেকে বিশ বাইশ বছর আগে নগরবাড়ীর এক কিলোমিটাারের মধ্যে মুখোমুখি ট্রাক-বাস সংঘর্ষে আলমগীর ড্রাইভার মারা যান। পঞ্চম শ্রেণি পাস এক ড্রাইভারের মৃত্যু যে জাতীয় জীবনে অতি তুচ্ছ এক ঘটনা সেটি আমি অনুভব করি প্রবাসে থাকার কারণে। যদি সেদিন গ্রামের বাড়িতে থাকতাম, হয়তো সে রাতে আমার কাকি, আলমগীর ড্রাইভারের স্ত্রী রওশন আরার আহাজারিতে আমার ঘুম হত না।

ঢাকায থাকা সেদিনের যোগাযোগ বা সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বা যোগাযোগ সচিব বা সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রধান প্রকৌশলী যে গভীর ঘুমে ঘুমিয়েছিলেন, আল্লাহর কসম, আমার ঘুম সেদিন তার থেকে একটুও কম হয়নি। কারণ কাকি রওশন আরার আহাজারি সেদিন আমি শুনিনি। ওদের পিতৃহারা ছেলেদের ব্যাপারে আমার কোনো মাথাব্যথা ছিল না। ড্রাইভারের ছেলেদের ব্যাপারে আমরা কেউই চিন্তিত হই না! যেমন চিন্তিত নন সড়ক বিভাজক দেওয়ার ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকেরা। আর সে সব কারণেই হয়তো ঘটে যায় একের পর এক দুর্ঘটনা। সহপাঠী প্রিয়তম বন্ধু মিজান, আমেরিকার এক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংএর ছাত্র, ১৯৯৪ সালের ১৮ জুন দাউদকান্দির গৌরিপুরে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। সে ছিল এক অসাধারণ ক্রিকেটার।

ঢাকা চট্টগ্রাম সড়কে মাঝে মাঝেই নিজেই গাড়ি চালিয়ে যাই। কখনও কখনও পরিবার-পরিজনসহ। মাঝে মাঝে বেপরোয়া গতির উল্টো দিক দিয়ে আসা বিশাল আকারের যন্ত্রযান যখন বাজেভাবে পাশ কাটিয়ে যায়, আতঙ্কিত পরিজনকে বুঝতে দিই না যে, এইমাত্র মৃত্যুর খুব কাছ থেকে আমরা সরে এসেছি। বরং সান্ত্বনা দিই 'ও কিছু না' বলে। নিশ্চিত জানি, আর এক চুল এদিক ওদিক হলেই মহাসর্বনাশ ঘটত। তবু সে ভয় পরিবার-পরিজনের মধ্যে সংক্রামিত করতে চাই না। পরম করুণাময়কে মনে মনে ধন্যবাদ দিতে দিতে নিজের শুকিয়ে যাওয়া মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করি।

কোন পাগলে বলেছিল, 'মরণ রে তুঁহু মম শ্যাম সমান'। বেঁচে থাকাই 'মম শ্যাম সমান'।

আমারই মতো সরকারের টাকায়, মানে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় উচ্চশিক্ষা নেওয়া এক ডাক্তার কিছুদিন আগে কুমিল্লা থেকে রাতে রওনা দিয়েছিলন পরিবার-পরিজন নিয়ে। ভাগ্য তাঁর প্রতি প্রসন্ন ছিল না। একটি মালবাহী ট্রাক কেড়ে নেয় পরিজনসহ তাঁর জীবন। কেবল বেঁচে যায় তাঁর এক বছরের শিশু সন্তানটি। সংবাদপত্র সূত্রে জানলাম, এই বেদনাদায়ক মৃত্যুর কারণ মহাসড়কে সাইনবোর্ড না থাকা। কিছু দূর চার লেইন হয়ে কখন যে আবার দু লেইন হয়ে গেছে, ডাক্তার ভদ্রলোক তা বুঝতেই পারেননি। তিনি আশা করেছিলেন যে, কমপক্ষে এক কিলোমিটার দূর থেকে একটার পর একটা সাইনবোর্ড থাকবে, 'সামনে লেইন মার্জ' কিংবা 'সড়ক উন্নয়নকাজ চলিতেছে'।

পাঠক, আশা করি না 'সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত' টাইপের কোনো সৌজন্য। পলিসি মেকার এবং পলিসি বাস্তবায়নকারী ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা বিনয় প্রদর্শনের বিষয়টি বোধকরি দুর্বলতা বলে মনে করেন।

যে ছেলেটির শিক্ষাজীবন শুরু হওয়ার কথা ছিল ঢাকা শহরের কোনো এক অভিজাত স্কুলে, তার ভবিষ্যত আজ অনিশ্চিত। বাবা-মা বেঁচে থাকলে যে অনেক বড় কিছু হত তা বলছি না, কিন্তু এটা বলতে পারি, ওর মা ওর জন্য সুন্দর বক্সে টিফিন ভরে ওকে স্কুলে পাঠাতেন। ছুটি হলে স্কুল থেকে ওকে আনতে গিয়ে হয়তো অন্য মায়েদের বলতেন, 'ভাবি, লেখাপড়া্য ভালো হলে কী হবে, ও যা দুষ্টু না'! শীতের রাতে ছেলেটি মা-বাবার মাঝখানে শুয়ে লাথি মেরে লেপ ফেলে দিত। মা বলতেন, 'দুষ্টুমি করবে না'।

নাহ, সে সব খুনসুঁটির কথা বলার জন্য ওর মা-বাবা আজ বেঁচে নেই। এদেশের ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-কৃষিবিদ কিংবা শিক্ষকরা কোনো সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ দিয়ে জাতিকে উজ্জীবিত করতে পারেননি। তারেক মাসুদ কিংবা মিশুক মুনীর বেঁচে থাকলে হয়তো আরও দুএকটা ছবি বেশি দেখতাম। কিন্তু যারা দেশ চালিয়ে আসছেন অনেক বছর ধরে, তারা উদাসীন ছিলেন বলেই  তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীররা আজ উদাসী হাওয়ার মেঘের দেশে।

সুনামগঞ্জের এক নির্বাচিত পৌরপিতা পূর্ণিমা রাতে শহরের বাতিগুলো নিভিয়ে দিতেন। সড়ক দুর্ঘটনা সেই পৌরপিতার জীবন-বাতি নিভিয়ে দিয়েছে। পলিসি-মেকারদের অদূরদর্শিতার কাছে 'দুয়েকটি' প্রাণ কিছুই নয়!

দুহাজার পাঁচশ তেতাল্লিশ কোটি টাকা খরচ হওয়ার পর এগার বছরেও ঢাকা চট্টগ্রাম চার লেন প্রকল্প শেষ হয়নি। মূল প্রকল্প থেকে ৭৬ শতাংশ ব্যয় বাড়বে। আরও অনেক সময় লাগবে প্রকল্প শেষ হতে। একনেকের বৈঠকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কেউ রসিকতা করে বলেন, 'গড় আ্যয়ু বেড়ে গেল বলে প্রকল্পের আয়ু বেড়ে গেছে।' আল্লাহর রহমত, কেউ এ রকম নির্মম রসিকতা করে বলেননি যে, দেশে শিক্ষিতের হার বাড়ছে, তাই পুরনো চাকুরেরা মারা না গেলে নতুন চাকুরিতে কীভাবে ঢুকবে বেকার যুবকরা!

খুব সামান্য টাকা খরচ করলেই ঢাকা আরিচা সড়কের ডিভাইডারের কাজ সম্পূর্ণ করা যেত। বেঁচে যেতেন তারেক-মুনীর। কিন্তু কে করবে সে কাজ!

একনেকের বৈঠক হতেই থাকবে। দেশের উন্নয়নের জন্য এটি অপরিহার্য। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নির্বাহীরা সেই বৈঠকে আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন। কিন্তু তাঁরা কি প্রকল্পগুলো সময়মতো শেষ না হওয়ার জন্য দায়ীদের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারেন না? নাকি মহসড়কে মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত মানুষজনের স্বজনরা উন্নয়নের স্বার্থে ত্যাগ স্বীকার করতেই থাকবেন? ওদের পরিজন-সন্তানরা খুব বেশি হলে গগনবিদারী কান্না্য আকাশ বাতাস কাঁপাতে থাকবেন? 

এতিমের কান্না নাকি খোদার আরশ পর্যন্ত পৌঁছায়। তাঁর রহমতে একদিন রাস্তাটি যদি চার লেন হয়ে যায়, তাহলে হয়তো মুখোমুখি সড়ক দুর্ঘটনায় আর কেউ এতিম হবে না। নিরাশ আশাবাদীদের জন্য খোদা ছাড়া কেউ নেই!