শত মত পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করুক

হাসান মামুনহাসান মামুন
Published : 15 Dec 2015, 05:50 AM
Updated : 15 Dec 2015, 05:50 AM

দেশে যুদ্ধ চলাকালে এখানে বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা ঘটেছে এবং সেটি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে গিয়েই আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করে থাকি। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে যেসব মামলা দায়ের আর ইতোমধ্যে যেসব দণ্ড হয়ে এমনকি কার্যকর হয়ে গেছে, তার মধ্যে বুদ্ধিজীবী হত্যা বা এর পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে। সুতরাং বলা চলে, এবার একটা ভিন্ন তাৎপর্য নিয়ে আমরা পালন করছি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।

এটি যখন করছি, তখন এ প্রশ্নও নিজেদের উদ্দেশে করা উচিত হবে যে, স্বাধীন দেশেও মতভিন্নতা বা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার কারণে কি মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে না? যারা এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বা হচ্ছেন, তাদের সমর্থন করা বা না করার প্রশ্ন এখানে উঠছে না। এদের সমর্থন না করেও 'আইনের শাসনে' বিশ্বাসী যে কোনো মানুষ বলবেন, তাদের প্রতি বেআইনি আচরণ করা হয়েছে বা হচ্ছে এবং হত্যার বিচার তো হতে হবে।

অনেকেই প্রশ্নটা গুলিয়ে ফেলে বলেন, দেশে কি আরও হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে না? কিংবা বলা হয়, যে হত্যাকাণ্ডের কথা বলছেন, সেদিনই কি আরও পাঁচটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেনি? অবশ্যই ঘটেছে এবং ঘটে চলেছে। এ-ও ঠিক, আরও অনেক ক্ষেত্রে হত্যার মতো চরম অপরাধের উপযুক্ত শাস্তি হচ্ছে না। তাই বলে কি আলাদা করব না যে, অন্য কোনো রকম শত্রুতা ছাড়া শুধু মতভিন্নতার কারণেই কিছু মানুষকে হত্যা করা হয়েছে বা হচ্ছে?

তাদের সবাই নিশ্চয়ই একই পর্যায়ের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চাকারী নন বা একই ধারার নন কিংবা সবার প্রভাব এক নয়। তবু বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় নিয়োজিতদের আলাদা করে চিহ্নিত করা তো দরকার। এমনকি যিনি কোনো পক্ষের বিবেচনায় 'প্রতিক্রিয়াশীল বুদ্ধিজীবী' বলে চিহ্নিত, তাকেও এ কাতারভুক্ত করতে হবে। সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের যুগে এ ধরনের বুদ্ধিজীবীরা কিন্তু নবগঠিত রাষ্ট্রশক্তির দ্বারাও আক্রান্ত হয়েছেন। ওইসব ঘটনা এখন 'ভুল' বলে বিবেচনা করছেন তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাই।

মতভিন্নতার জন্য কাউকে দৈহিকভাবে আক্রমণ বা হত্যা করা যে কোনো দৃষ্টিকোণ থেকেই পরিত্যাজ্য ও শাস্তিযোগ্য– তা একজন মানুষ যে মতোই ধারণ করুন না কেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অনেকেই সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নিতে যাননি; কিন্তু যুদ্ধ চলাকালে, বিশেষত এর শেষদিকে তারাও নিহত হয়েছেন পরাজিত শক্তির হাতে। কেউ কেউ যুদ্ধের শেষদিকে কিছুটা নিশ্চিন্তমনে ঘরে ফিরেও আক্রান্ত হয়েছেন– যুদ্ধের সময়, এমনকি তারও আগে রাখা বুদ্ধিবৃত্তিক ভূমিকার জন্য।

যুদ্ধের সময় এসব ঘটনা মানবতাবিরোধী বা অপরাধমূলক হয়ে থাকলে স্বাধীন দেশে তথা শান্তির সময় কিছু মানুষ কোনো মতান্ধ গোষ্ঠী দ্বারা আক্রান্ত হলে সেটাও অপরাধের হবে। আবারও বলি, তাদের সমর্থন করা বা না করার প্রশ্ন উঠছে না। এমনকি তাদের ভূমিকা বা লেখালেখি 'উস্কানিমূলক' বিবেচিত হলেও বলতে হবে, এদের ওপর সংঘটিত হামলাগুলো বিশেষভাবে বিবেচ্য। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এ প্রশ্ন এড়াতে পারে না।

বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রে লেখালেখি বা মত প্রকাশ সম্পূর্ণ বাধাহীন নয়, এ-ও ঠিক। কেউ এ নিয়ে বিক্ষুব্ধ হলে মামলা রুজু করতে পারেন এবং এমন ক্ষেত্রে শাস্তি হয়ে যাওয়ার ঘটনাও রয়েছে। এ জায়গাটি সরকারের তরফ থেকে আরও কঠিন করে তোলার উদ্যোগও লক্ষ্যণীয়। তা বিতর্কও সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন সেটা নয়; বিতর্ক সৃষ্টি হলে তার এক রকম নিষ্পত্তিও হবে। কিন্তু প্রচলিত আইনের শরণাপন্ন না হয়ে কেউ বা কোনো গোষ্ঠী যদি বিচার হাতে তুলে নেয়, তবে এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে এটা নতুন করে বলা বোধহয় দরকার। যে দেশের উত্থান রুখতে না পেরে বিশেষত মুক্তিযুদ্ধের শেষদিকে বুদ্ধিজীবী হত্যার মেতে উঠেছিল পাকিস্তানি হানাদার ও তার সহযোগীরা, সে দেশটি বহুত্বে বিশ্বাসী আর উদার হবে বলেই অাশা ছিল। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ও বাহাত্তরে গৃহীত মূল সংবিধানে সেটাই লেখা হয়েছিল স্পষ্ট করে। এরপর সংবিধানে বেশ কিছু সংশোধনী এলেও চিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে কিন্তু সরাসরি খর্ব করা হয়নি। আর এ জন্য আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার তো দেওয়া হয়নি কাউকেই।

বিশেষ কোনো মতের কথা বলে যারা এসব ঘটাচ্ছে বলে দাবি করছে, সে বিষয়ে তাদের ভেতর থেকেও কিন্তু রয়েছে জোরালো ভিন্নমত। এ বিষয়ে ভিন্নমতাবলম্বীরা বলছেন, নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে 'সীমা লঙ্ঘনের উপযুক্ত শাস্তি' দিতে হলে সে ক্ষেত্রে আগে ওই ধরনের রাষ্ট্র ও বিচার ব্যবস্থা কায়েম করে নিতে হবে। আর ওই ক্ষেত্রেও আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। অভিযোগকারী, তদন্তকারী ও বিচারক অবশ্যই হবেন না একই ব্যক্তি বা গোষ্ঠী।

যাহোক, এসব ঘটনায় সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করা কঠিন নয়। নাজুক প্রশ্নেও সরকার দৃঢ়ভাবে বলতে পারে, যে কোনো হত্যারই বিচার হবে। নিছক মতভিন্নতা বা বুদ্ধিবৃত্তিক কারণে কেউ আক্রান্ত হলে সেটি বরং পাবে বিশেষ গুরুত্ব। এখানে প্রগতিশীলতা বা প্রতিক্রিয়াশীলতা খোঁজারও প্রয়োজন নেই। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের কাজ বরং হবে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা যথাসম্ভব অবারিত করা; শত মত পরস্পরের সঙ্গে যেন প্রতিযোগিতা করতে পারে, তার ব্যবস্থা করা।

মত প্রকাশের জন্য শুধু নয়, নিজ নিজ পছন্দে ধর্মচর্চা করতে গিয়েও মানুষ আক্রান্ত হতে শুরু করেছে এদেশে। ভিন্নধর্মাবলম্বী তো বটেই, একই ধর্মাবলম্বী কিন্তু কিছুটা ভিন্ন সম্প্রদায়ভুক্তরাও আক্রান্ত হচ্ছে। আগে হয়তো তাদের ওপর একটা চাপ ছিল; এখন করা হচ্ছে সরাসরি আক্রমণ। শত শত বছর ধরে ভিন্নভাবে জীবন যাপনকারী বাউল সম্প্রদায়ও আক্রান্ত হচ্ছে। অথচ তারা শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়ার গৌরব। জীবন, এমনকি মানুষের আধ্যাত্মিক জীবনকে ভিন্নভাবে দেখাটাই বোধহয় এদের অপরাধ!

একাত্তরে যারা দেশটা স্বাধীন করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন, যেসব বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী নিহত হন, তারা কিন্তু এমন দেশ চাননি বা দেশটির এমন পরিণতি কল্পনা করতে পারেননি। তারা নিশ্চিতভাবেই পাকিস্তানি ধারা থেকে বেরিয়ে আসা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কথা ভেবেছিলেন, যেটি হবে নানা ধর্ম-বর্ণ ও মতের মানুষ দিয়ে গড়া এবং তাদের প্রত্যেকের কর্তব্যের মতোই অধিকারও থাকবে সমান। এদের কেউ অন্যায়ভাবে আক্রান্ত হলে তার ন্যায়বিচার পাবেন।

এখানে রাষ্ট্রশক্তি, কর্তৃপক্ষ, রাজনৈতিক দল, ক্ষমতাবান গোষ্ঠী ও আগ্রাসী ব্যক্তির দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে সঠিকভাবে মত প্রকাশ করতে না পারার কথাটাও তুলতে হবে। আমরা অনেক সময় একটি বলে আরেকটি বলি না। দু'দিক থেকেই কিন্তু চাপ রয়েছে। নির্দিষ্ট করে বললে, জোরালোভাবে সরকারবিরোধী মত প্রকাশের পরিবেশ হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত। সরকার-বিরোধিতা যে অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্র বিরোধিতার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে না, তাও নয়।

এদেশে যারা বিরোধী দল বলে বিবেচিত, বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে তাদের পক্ষাবলম্বনকারীরা চাপের মধ্যে নেই, এটি বলার সুযোগ কি রয়েছে? সরকারের পক্ষাবলম্বনকারী থাকলে বিরোধী দলের পক্ষাবলম্বনকারী বুদ্ধিজীবীও থাকবেন। দলীয় বৃত্তের বাইরেও তারা থাকতে পারেন। এদের কোথাও নিষিদ্ধ না করা বা কোনো রকম চাপে না ফেলাটাও সমানভাবে কাম্য। নিজ আদর্শ ও অবস্থান উন্নততর বা সঠিক মনে হলে এটি তো আরও না করার কথা। এ ক্ষেত্রেও চিন্তা দিয়ে চিন্তা মোকাবেলার পথ ধরতে হবে।

এক চৌকস ফেসবুক ব্যবহারকারী তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, 'চিন্তা করার স্বাধীনতা কিন্তু রয়েছে'। তিনি বলতে চেয়েছেন, চিন্তা প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। কথাটা অত সরাসরি বলা যাবে না হয়তো; তবে বলা যেতে পারে, চিন্তা প্রকাশের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা, বাধা বা সঙ্কট রয়েছে। এটা কেবল জঙ্গি নয়; রয়েছে রাষ্ট্রশক্তির আশ্রয়ে থাকা গোষ্ঠীর দিক থেকেও। অনেকে আবার প্রথমটিকে জাস্টিফাই করার জন্য দ্বিতীয়টির কথা বেশি করে বলছেন। প্রয়োজন হ'ল দু'টির কথা বলা এবং দু'টিরই বিরোধিতা করা।

চিন্তা করতে পারলাম, বড়জোর নিজ নিজ বৃত্তে তা প্রকাশ করলাম; কিন্তু সেটা প্রচার করতে পারলাম না কিংবা এমনভাবে করলাম যে, ওতে মন ভরলো না, আবার স্পষ্টভাবে কিছু প্রকাশও পেল না– কোনো ক্ষেত্রেই এমনটা কাম্য নয়। সংবিধান বা আইনে যেটাই বিবৃত হোক, বাস্তবে কী ঘটছে, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া জরুরি। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে এ প্রশ্নের প্রতি অবহেলা দেখানো চলে না।

যে কোনো আদর্শ বা অবস্থানের নামে ভিন্নমতাবলম্বীকে পীড়ন বা হত্যার মতোই মত প্রকাশ করতে না দেওয়া বা আধাআধি করতে দেওয়াটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য খুব ক্ষতিকর। আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করলাম, বুদ্ধিজীবী হত্যার জন্য সম্ভাব্য বিচারিক নিষ্পত্তিও করলাম; কিন্তু একই সঙ্গে মত প্রকাশের সুযোগ সঙ্কুচিত করতে করতে সীমাবদ্ধ করে ফেললাম– শেষ পর্যন্ত এমনটি ঘটলে তা কিন্তু 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা'র পরিপন্থী হবে।

একদা আমরা দেখেছি, সোভিয়েত ইউনিয়নসহ বেশ কিছু দেশে সমাজতন্ত্রের পথ ধরে সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে এমনকি নিজ দলের ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন করা হয়েছে নিষ্ঠুরভাবে। আর সেটাও মহিমান্বিত করা হয়েছে। সমাজতন্ত্রীদের অবদানের কথা স্বীকার করেও বলতে হয়, গত শতাব্দীতে দেশে দেশে তাদের হাতে যত মানুষ নিহত হয়েছে, তা হিসাব করতে গেলে শিউরে উঠতে হবে। এসব করেও ব্যবস্থাটি কিন্তু টিকিয়ে রাখা যায়নি।

এখন এমনও বলা হচ্ছে, ভিন্নমতাবলম্বী দমন না করে তাদের সঙ্গে সহাবস্থান ও বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির পথে গেলেই বরং ভালো হত। ব্যবস্থাটি হয়তো এতে সংশোধিতও হতে পারত। সমাজ ও সভ্যতা এগিয়ে নেওয়ার মতো মহতী কর্মেও যারা এমন মতান্ধতার পরিচয় দিয়েছিল– তাদের ব্যর্থতার কথা মনে রাখতে পারে এখন যারা মতান্ধতা থেকে উগ্রতার পরিচয় দিচ্ছে, তারা। আদর্শের সঠিকতা-বেঠিকতা নয়, এখানে বলা হচ্ছে বিরোধ নিষ্পত্তিতে অনুসৃত পন্থার কথা।

একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নানা ধরনের মানুষ বাস করবে, তাদের থাকবে বিভিন্ন মত বা জীবনাদর্শ। সেগুলো প্রকাশ পাবে এবং প্রতিযোগিতা করবে পরস্পরের সঙ্গে। রাষ্ট্র বরং দেবে তার নিশ্চয়তা। রাষ্ট্রের হয়ে সরকার এতে রেফারির ভূমিকায়ও অবতীর্ণ হতে পারে। তার কাজ অবশ্য হবে 'বাড়াবাড়ি' নিয়ন্ত্রণ, প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। আর অবশ্যই এ ক্ষেত্রে হত্যার মতো ঘটনা রোধ করা এবং তেমনটি ঘটে গেলে এর বিচারে সর্বোচ্চ সচেষ্ট হওয়া।

কাউকে যেন মত চেপে রাখতে না হয়, সেটাও নিশ্চিত করা চাই। মত চেপে রাখা মানে কিন্তু মতের মৃত্যু নয়। এটা কখনও না কখনও, কোনো না কোনোভাবে প্রকাশ পাবেই। তখন হয়তো আরও খারাপভাবে পাবে। প্রয়োজনীয় হল পাল্টা মত দিয়ে সেটা পরাস্ত করা। তার সঙ্গে সমন্বয়ও করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে একটি স্থিরচিত্ত সরকার বরং পারে নিজের বিষয়ে সমালোচনা আহ্বান করতে। সরকারের বাইরে যেসব মতান্ধ গোষ্ঠী রয়েছে, তারা হয়তো তখন এ থেকে উপযুক্ত বার্তা পাবে। সরকারের পক্ষেও সহজ হবে ওদের নিয়ন্ত্রণ করা।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে লিখতে বসে মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে এসব চিন্তা করে দেখা এবং কারও প্রতি বিরূপ না হয়ে পুরনো কথাগুলোই নতুনভাবে একটি নিবন্ধে প্রকাশ করাটা আশা করি সংবিধান ও আইনের অনুবর্তীই হল।

হাসান মামুন: সাংবাদিক, কলামিস্ট।