যেখানেই ‘অন্যায়’ সেখানেই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

ইয়ামেন এম হক
Published : 11 Nov 2015, 08:39 AM
Updated : 11 Nov 2015, 08:39 AM

২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের (এআই) কাছ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই স্বাধীনতাবিরোধী, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াতে ইসলামী নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিষয়ে বিবৃতি আসে। বিবৃতিতে এই দুই রাজাকারের ফাঁসির রায়ে তীব্র নিন্দা জানানো হয়; সঙ্গে বিচার, আসামিপক্ষের রায়, আপিল প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। আর এ নিয়েই ঝড় ওঠে দেশে ও বিদেশে থাকা বাঙালিদের মধ্যে।

একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র তার ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম অপরাধসমূহের বিচার কীভাবে করবে সে বিষয়ে কোনো বিদেশি শক্তি বা সংগঠনের হস্তক্ষেপ বা অযাচিত বয়ান এমনিতেই কাম্য নয়। তবে এ কথাও সত্যি যে, এই সংগঠনের এমন বিবৃতি নতুন কিছু নয়। কারণ সংগঠনটি প্রথম থেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস সদস্য কর্তৃক সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়ার তীব্র বিরোধিতা করে এসেছে। সাম্প্রতিক বিবৃতিটি তুলনামূলকভাবে আরও বেশি শিষ্টাচার-বহির্ভূত। এবার আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ বিচার ট্রাইব্যুনালকে (আইসিটি) প্রশ্নবিদ্ধ করতে গিয়ে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে চরম অপমানজনক মন্তব্য করা হয়েছে। বিবৃতির একাংশে বলা হয়:

Serious crimes were also committed by the pro-independence forces, but no one has been investigated or brought to justice for them.

অর্থাৎ অ্যামনেস্টি তাদের বিবৃতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং তাদের বাঙালি দোসর কর্তৃক গণহত্যা, গণধর্ষণ এবং লুণ্ঠনের ঘটনাবলী আর মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের নিজেদের সর্বস্ব বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করার সংগ্রাম, দুটো এক কাতারে নিয়ে এসেছে। বিবৃতিতে বলা হচ্ছে যে, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ দুপক্ষই করেছে; তাই দুদিকেরই বিচার না করে শুধু এক পক্ষের বিচার সুবিচার নয়।

এ ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে শুধু যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে তা নয়, সে সঙ্গে বিশ শতকের অন্যতম নৃশংস গণহত্যার ঘটনাটি তুচ্ছ করে ফেলা হয়েছে এতে। স্বাভাবিকভাবেই অনলাইনে ও অফলাইনে সর্বস্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী মানুষ প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের বেশ কজন নেতাও অ্যামনেস্টির বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন যে, অ্যামনেস্টির অত্যন্ত গর্হিত এ কাজের তীব্র প্রতিবাদ করছেন তাঁরা।

এমন সমালোচনার মুখে অ্যামনেস্টি তাদের অবস্থান পরিস্কার করার প্রচেষ্টায় ৬ নভেম্বর লন্ডনে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। 'অবস্থান পরিস্কার' করার নামে এটি একটি প্রহসন ছাড়া অন্য কিছুই ছিল না। পূর্ব বিবৃতির 'ব্যাখ্যা' দিতে গিয়ে সংগঠনটির বাংলাদেশ বিষয়ক গবেষক আব্বাস ফয়েজ একই আপত্তিকর মন্তব্যগুলো আবার করেন। তাঁর দেওয়া বক্তব্যর অংশবিশেষ দেখুন:

"আমরা কোনো অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীর মুক্তি চাইনি। আমরা শুধু বলেছি, বিচারটি যেন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও নিয়মকানুন মেনে হয়।… অ্যামনেস্টি একটি মানবাধিকার সংগঠন। বিশ্বের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, সেখানেই আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।… আমরা বলেছি, মুক্তিযুদ্ধকালে যারাই অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদেরই বিচার হওয়া উচিত। এমনকি যদি মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যেও এ ধরনের অপরাধী থেকে থাকে।''

'বিশ্বের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, সেখানে আমরা এর প্রতিবাদ জানাই'– অ্যামনেস্টির কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মুখের এ ধরনের বক্তব্য একটা বাজে রসিকতার মতো শোনায়। কারণ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে খ্যাতি থাকলেও ওদের মানবতা যে খুবই 'সিলেকটিভ'! এ জন্যদুটো উদাহরণ দ্রষ্টব্য।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাসমূহের কথা প্রথমে উল্লেখ করতে চাই। সে সময় হিটলারের নেতৃত্বাধীন নাৎসি জার্মানির বর্বরতা এবং ইহুদি গণহত্যার বিষয়ে সবাই অবগত। বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ঐতিহাসিক ন্যুরেমবার্গ আদালতে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত নাৎসি সদস্যদের বিচার-কার্যক্রম শুরু হয়। আজও কিন্তু ওই বর্বর অপরাধীদের বিচারকাজ চলছে। দুনিয়ার যে কোনো অঞ্চল থেকে নাৎসি যুদ্ধাপরাধীর খোঁজ পাওয়া গেলে তাকে গ্রেফতার করে এনে বিচারের সম্মুখীন করা হয়। বয়সের ভারে এসব যুদ্ধাপরাধী নুয়ে পড়লেও আইনের হাত থেকে তাদের রক্ষা নেই।

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ১৯৬১ সালে লন্ডনে জন্ম নেওয়া অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কিন্তু এসব বিচারের বিষয়ে কখনও উচ্চবাচ্য করেনি। বয়সের কথা বিবেচনা করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি মানবতা কেন দেখানো হচ্ছে না এমন ধারা কথা বলে তাদের আহাজারি করতেও কখনও দেখা যায়নি।

অন্যদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ী মিত্রবাহিনীর (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ফ্রান্স) বিরুদ্ধেও কিন্তু মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করা যায়। মানব ইতিহাসের নৃশংসতম যুদ্ধাপরাধটি করেছে খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তদানীন্তন মার্কিন প্রশাসন জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে অ্যাটম বোমা ফেলার পর দুলাখের উপর জাপানি নাগরিক নিহত হন। আহত হন আরও লাখ লাখ। সে এলাকার পরিবেশেও এ বোমার ব্যাপক প্রভাব পড়ে যা এখনও কেটে যায়নি। এমন নৃশংসতার কিন্তু বিচার হয়নি; এমনকি মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘটনার জন্য কখনও দুঃখ প্রকাশও করা হয়নি।

সবচয়ে ট্র্যাজিক বিষয় হল, হিরোশিমায় 'অ্যানোলা গে' নামের বোয়িং চালিয়ে 'লিটল বয়' নামের বোমাটি নিজের হাতে ছুঁড়ে দিয়ে এসেও মার্কিন বিমানবাহিনীর বোমারু পল টিব্বেটস বীর হিসেবে সম্বর্ধনা পেয়েছেন স্বদেশে। একই ঘটনা ঘটেছে নাগাসাকিতে 'ফ্যাট ম্যান' নামের বোমা নিক্ষেপকারী ইউএস আর্মি এয়ারফোর্সের চার্লস সুইনির বেলায়। সুইনি ২০০৪ সালে এবং টিব্বেটস ২০০৭ সালে বার্ধক্যজনিত কারণে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেন– জীবনে কখনও এত ভয়াবহ যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের জন্য বিচারের মুখোমুখি না হয়েই।

'যেখানে দেখিব মানবাধিকার লঙ্ঘন সেখানেই প্রতিবাদ করিব'– এই 'ধনুর্ভঙ্গ' পণ করা নোবেল পুরস্কারজয়ী সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কি কখনও টিব্বেটস ও সুইনির বিচার চেয়েছে? তাদের কাছে কি কখনও মনে হয়নি যে, এরা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অপরাধ দুটি নিজেদের হাতে সংঘটন করেছেন বলে ওদের বিচার হওয়া জরুরি? বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যাদের এত কথা– দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অক্ষশক্তির প্রবীণ সদস্যদের বিচারের বিষয়ে যাদের রয়েছে অনাপত্তি– সেসব বিবেচনায় নিলে মিত্রশক্তির দ্বারা সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের পরিমাণগত ও গুণগত উভয় দিকের ভয়াবহতার হিসাব করে সেসব ঘটনার বিচারের জন্য অ্যামনেস্টির মতো সংগঠনের উচিত ছিল বিশ্বজুড়ে জনমত গড়ে তোলা। তারা কি তা করেছে?

ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়ও মার্কিন সেনাবাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধের নজির একাধিক। অন্যতম নৃশংসতম ঘটনাটি 'মাই লাই ম্যাসাকার' নামে পরিচিত। ১৯৬৮ সালের ১৬ মার্চ দক্ষিণ ভিয়েতনামের একটি এলাকায় ৩৪৭ থেকে ৫০৪ জন নিরস্ত্র ভিয়েতনামীকে একদল মার্কিন সৈন্য নির্মমভাবে হত্যা করে। ধর্ষিত হন একাধিক নারী। মেরে ফেলার পর তাদের লাশ ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়া হয়।

এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার শুরুতে ২৬ জন মার্কিন সেনাসদস্যের বিচার হলেও দোষী সাব্যস্ত হয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হন কেবল একজন– লেফটেন্যান্ট উইলিয়াম ক্যালি জুনিয়রকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলেও সাড়ে তিন বছর গৃহবন্দি হিসেবে রাখার পর তার বাকি শাস্তি মওকুফ করে দেওয়া হয়। ক্যালি এখনও বেঁচে আছেন এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন।

মাই লাইএর গণহত্যার পরপর পৃথিবীজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় ওঠে। তখনও কিন্তু অ্যামনেস্টির পক্ষ থেকে কোনো রকম প্রতিবাদ দেখা যায়নি। এখনও মাই লাই বা ভিয়েতনামে সংঘটিত অন্য কোনো যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো মার্কিন সেনাসদস্যের বিচারের বিষয়ে অ্যামনেস্টি কোনোভাবেই সোচ্চার নয়।

এমন সব উদাহরণ থেকে দেখা যায়, অ্যামনেস্টি তাদের 'মানবতা' খুবই বেছে বেছে বিলিয়ে দেয়। সেই মানবতা নাৎসি যুদ্ধাপরাধী বৃদ্ধ হলেও উতলা হয় না; কিন্তু একাত্তরে বাংলাদেশে যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে তাদের বেলায় হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মিত্রবাহিনীর সদস্য বা ভিয়েতনামে অংশগ্রহণকারী মার্কিন সেনাসদস্যদের যুদ্ধাপরাধের বেলায় শীতনিদ্রা যাপন করে সেই একই মানবতা। ওদের ফিল্টারে গোলাম আযম, কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান, সাকা চৌধুরী, মুজাহিদের মতো নরপিশাচরা হয়ে যায়, 'অপরাজনীতির শিকার'।

সংগঠনটি যে খুব একটা স্বচ্ছ নয় তার একাধিক প্রমাণও রয়েছে। গত আগস্টে টাইমস অব লন্ডনের প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টির ধর্ম এবং মানবাধিকার বিষয়ক ডিরেক্টর ইয়াসমিন হুসেইনের সঙ্গে মিশরের মুসলিম ব্রাডারহুডের যোগাযোগ থাকার অভিযোগ ওঠে। যুক্তরাজ্যের বিতর্কিত সংগঠন কেইজের সঙ্গে অ্যামনেস্টির সম্পর্কও সাম্প্রতিককালে আলোচনায় এসেছে। কেইজ এক বিবৃতিতে কুখ্যাত আইসিস জঙ্গি 'জিহাদি জন'কে (যার নামে একাধিক পশ্চিমা নাগরিককে ক্যামেরার সামনে জবাই করে হত্যা করার অভিযোগ আছে) নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করে সমালোচিত হয়। এ রকম একটি সংগঠনের সঙ্গে অ্যামনেস্টির বেশ নিবিড় জোট ছিল। এমনকি মুসলিম কয়েদিদের উপর নির্যাতন বন্ধের আহবান জানিয়ে অ্যামনেস্টি ও কেইজ যুগ্মভাবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে একটি চিঠিও পাঠায়। জিহাদি জনের সঙ্গে কেইজের সুসম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হবার পর অ্যামনেস্টি সংগঠনটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।

অ্যামনেস্টির কর্ণধারদের কপটতার আরেক উদাহরণ পাওয়া যায় ২০১১ সালের এক প্রতিবেদনে। সংগঠনটির এক সময়ের সেক্রেটারি জেনারেল আইরিন খান ২০০৯ সালে পাঁচ লক্ষ পাউন্ডের গোপন চুক্তি করে তাঁর চাকরি ছেড়ে দেন। অবাক হওয়ার মতো বিষয় এই যে, এর কয়েক মাস আগেই আইরিন খান নিজে বিশ্বের দারিদ্র নিঃশেষ করার লক্ষ্যে ঘটা করে প্রচারণা শুরু করেন। অ্যামনেস্টির ভণ্ডামির সবচেয়ে বড় নিদর্শন বোধহয় এটাই।

নীতিগতভাবে দৈন্য এমন এক সংগঠন যে সাকা চৌধুরী এবং মুজাহিদের মতো দুই চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে ফাঁসির দড়ি থেকে বাঁচাতে গিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সূর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের চরম অপমান করে বসবে, এতে অবাক হবার কিছু নেই। দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশের সুশীল সমাজের একাংশ অ্যামনেস্টির নানা সময়ের বিবৃতির রেশ ধরে রাজাকারদের বিচার-প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে এসেছে। কিন্তু অ্যামনেস্টির 'মানবতা' যে কতটা কপটতায় ভরপুর, কতটা সিলেকটিভ, সে মুখোশ উন্মোচনের দরকার আছে।

'আমরা একাত্তরের গণহত্যার বিচার চাই' বলে দাবি করলেও অ্যামনেস্টি দণ্ডিত রাজাকারদের মানবাধিকার নিয়েই এখন পর্যন্ত অনেক বেশি সোচ্চার। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে তাই তাদের আগ্রহ কোনো মানবিক দায় থেকে না হয়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

ড. ইয়ামেন এম হক: হাইড্রলজিস্ট, ন্যাশনাল অশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, পেনসিলভেনিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

রেফারেন্স:

1.

2.

3.

4.

5.

6.