অ্যামাজনের কর্মপরিবেশ ও কর্পোরেট কালচার

এইচ এম মহসীন
Published : 9 Sept 2015, 02:32 PM
Updated : 9 Sept 2015, 02:32 PM

যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল-ভিত্তিক অনলাইন রিটেইলার অ্যামাজনের কর্মপরিবেশ নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসে ১৬ আগস্ট প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন কর্পোরেট বিশ্বে হৈচৈ ফেলে দিয়েছে। এখানকার প্রায় ১০০ সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাক্ষাতকারের ওপর ভিত্তি করে রচিত এই নিবন্ধে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভয়ংকর, নির্মম ও অমানবিক কর্মপরিবেশ বজায় রাখার অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে।

অ্যামাজন এমন একটি কোম্পানি যারা খুচরা বিক্রেতা হয়েও প্রতিনিয়ত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিনব পন্থায় ক্রেতাদের উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যমে নিজেদেরকে 'টেকনোলজি জায়ান্ট' হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। টেকনোলজির শীর্ষ অন্যান্য কোম্পানি, যেমন অ্যাপল ও গুগল যেখানে তাদের কর্মচারীদের ঈর্ষণীয় সুবিধা প্রদান করে, সেখানে অ্যামাজনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো শুধু অনাকাঙ্ক্ষিত নয়, বিস্ময়করও বটে। প্রতিবেদনটি এতই অপ্রত্যাশিত যে, প্রকাশিত হওয়ার তিন দিনের মধ্যে এটি নিউইয়র্ক টাইমসে এ যাবতকালে প্রকাশিত যে কোনো প্রতিবেদনের তুলনায় সবচেয়ে বেশি (প্রকাশিত মন্তব্যের সংখ্যার ভিত্তিতে) আলোচিত হয়েছে।

অভিযোগগুলোর সার সংক্ষেপ হচ্ছে, অ্যামাজন তাদের কর্মচারীদের সঙ্গে অত্যন্ত নির্দয় এবং অমানবিক আচরণ করে। প্রচলিত ৮টা-৫টা অফিস আওয়ারের পরিবর্তে কর্মচারীদের অনেক লম্বা সময় ধরে কাজ করতে হয়, এমনকি সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও তাদের কাছে কাজ প্রত্যাশা করা হয়। সন্ধ্যার পর ইমেইল পাঠিয়ে তৎক্ষণাৎ রিপ্লাই না পেলে, মধ্যরাতে মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠানো হয়। অমানবিক আচরণের ঘটনা শুধু উর্ধ্বতন বা অধস্তনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; সহকর্মীরাও আরেক জনকে ডিঙিয়ে পদোন্নতি পাওয়ার জন্য পরস্পরকে হেনস্তা করতে দ্বিধাবোধ করে না।

এ ক্ষেত্রে অ্যামাজন কর্তৃপক্ষই বরং সহকর্মীদের মধ্যে সহমর্মিতা বা সহাবস্থানের মানসিকতার বদলে 'ডারউইনিজম'এর প্রোমোট করে। কর্পোরেট টেলিফোন সিস্টেমে রেকর্ডেড বার্তার মাধ্যমে সহকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করার পন্থা বাতলে দেয়। অ্যামাজনের কর্মপরিবেশের ভয়াবহতা বোঝানোর জন্য এক সাবেক কর্মচারী তো বলেই বসেছেন যে, অ্যামাজনে কাজের চাপ এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খবরদারি এতই বেশি যে, তার পরিচিত প্রত্যেক সহকর্মীকেই তিনি কোনো না কোনো সময় কাঁদতে দেখেছেন।

নিঃসন্দেহে ভীষণ গুরুতর অভিযোগ। একবিংশ শতাব্দীর এই পর্যায়ে, অ্যামাজনের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানির কর্মচারীরা কাজের চাপ ও বসের নির্যাতনে চোখের পানি ঝাড়ছেন, এ তো রীতিমত রোমহর্ষক কাহিনি যা মধ্যযুগীয় ক্রীতদাস প্রথার কথা মনে করিয়ে দেয়।

তবে শুধু ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সমালোচনা বা ব্লগের প্রতিবেদন পড়ে অ্যামাজন বা পুঁজিবাদী অর্থনীতির আধুনিক রূপটি কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আগে কয়েকটি বিষয় গভীরভাবে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। প্রথমত, অ্যামাজন সম্পর্কে প্রকাশিত রিপোর্টের সত্যতা কতখানি এবং উল্লিখিত অভিযোগগুলোর নীতিগত ভিত্তি কী? দ্বিতীয়ত, পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে বিনিয়োগকারীগণ অ্যামাজনের কাছ থেকে কী আশা করেন? তৃতীয়ত, অ্যামাজনের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, কঠিন কর্মপরিবেশের জন্য শুধু কি নির্বাহী কর্মকর্তাদের উচ্চাভিলাষ দায়ী নাকি তাদের গ্রাহকের চাহিদা ও প্রত্যাশা ওই পরিবেশ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে?

অ্যামাজনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সত্যতা নিয়ে বলতে হয়, যা রটে তার কিছু না কিছু বটে। যদিও অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী তার বিবৃতিতে দাবি করেছেন নিউইয়র্ক টাইমসে বর্ণিত কোম্পানির সঙ্গে তার চেনা (আসলে তার পরিচালিত) অ্যামাজনের কোনো মিল নেই, তবু শত শত সাবেক কর্মচারী যেহেতু একই ধরনের অভিযোগ করেছেন, তাই সব কিছু স্রেফ প্রোপাগাণ্ডা বলে উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।

ধরে নিই, এসব অভিযোগের প্রতিটি সত্য, তাই বলে অ্যামাজন কর্তৃপক্ষকে কি খুব বেশি দায়ী করা যাবে? অ্যামাজন তো কাউকে জোর করে চাকরি করতে বাধ্য করছে না। অধিকন্তু, যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থানের অবস্থা বাংলাদেশের মতো নয় যে, মানুষ নিরুপায় হয়ে অ্যামাজনে কাজ করবে। বরং এমন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ অনেকের কাছেই স্বপ্ন। বায়োডাটাতে অ্যামাজনে কাজ করার অভিজ্ঞতা লিখতে পারলে একজন চাকরিপ্রার্থীর মার্কেটিবিলিটি অনেক বেড়ে যায়। তাই অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রফেশনালরা ওখানে যোগ দেওয়ার সুযোগ পান।

অ্যামাজনের প্রচলিত কালচার বা কর্মপরিবেশ যাদের জন্য মানানসই নয়, তারা কিন্তু সহজেই ইস্তফা দিয়ে অন্য কোথাও চাকরি খুঁজে নিতে পারে। হাজার হাজার মানুষ ওই কোম্পানিতে শুধু নির্যাতিত হওয়ার জন্যই কাজ করছে না, নিশ্চয়ই ওখানকার বেতন-কাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আকৃষ্ট করে। তাই অ্যামাজনের কর্মপরিবেশ নির্দয় বা অমানবিক এ ধরনের কথা বলার খুব একটা সুযোগ নেই।

এবার খতিয়ে দেখা যাক অ্যামাজনে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক কর্মপরিবেশের অভিযোগটি। বলা হয়েছে, অ্যামাজনে সহকর্মীরা টিম মিটিংয়ে একজন অন্যজনের আইডিয়া প্রশ্ন বা যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে ছিন্নভিন্ন করার চেষ্টা করে। এটি এমন পর্যায়ে যায় যে, সহকর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ পর্যন্ত থাকে না।

এই অভিযোগের শেষের অংশটি খুবই গুরুতর। ব্যবসায়িক মিটিংএ একজন আরেক জনের আইডিয়া চ্যালেঞ্জ করতেই পারে, তবে সেটি কখনও ব্যক্তিগত পর্যায়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। আবার একটি সভার প্রত্যেকে যদি সব বিষয়ে একমত হন, তাহলে আর সভার দরকার কোথায়?

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, আমার কর্মক্ষেত্রে উর্ধতন কর্মকর্তারা সব সময় তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য অধস্তনদের উৎসাহিত করেন। অনেক সময় তারা বলেন, 'যদি সবাই আমার মতামতের সঙ্গে একমত হন, তাহলে আপনাদের এই মিটিংয়ে আসার দরকার কী? আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাইকে নোট পাঠিয়ে দিলেই তো হয়।' অর্থাৎ, উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে 'জ্বি হুজুর' করার বিষয়টি বরং নেতিবাচক হিসেবেই দেখা হয়।

ধরে নিন, একটি নতুন প্রোডাক্টের আইডিয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। যদি অভ্যন্তরীন টিম বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে চিন্তা না করে, সমালোচকের দৃষ্টিতে পণ্যের গুণাবলী বিশ্লেষণ না করে পণ্যটি মার্কেটে ছেড়ে দেয়, সে পণ্যের ব্যবসায়িক সফলতার সম্ভাবনা কিন্তু অনেক কম। তাই কর্মক্ষেত্রে বিতর্ক 'হেলদি কনফ্লিক্ট' হিসেবেই বিবেচনা করা উচিত।

এবার আসা যাক বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার বিষয়ে। কোনো পাবলিক কোম্পানি সম্পর্কে যখন নেতিবাচক পাবলিসিটি হয়, তখন তার শেয়ারের দামের ওপর তৎক্ষণাৎ নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যেমন, ২০০১ সালে নাইকির পণ্য তৈরির কারখানায় মানবেতর পরিস্থিতিতে পোশাক ও স্পোর্টস পণ্য তৈরি-সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর নাইকির শেয়ারের দাম অনেক কমে গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, ক্রেতাদের মধ্যে নাইকির পণ্য বর্জনের আহবানে বিভিন্ন সময়ে মিছিল, প্রতিবাদ পর্যন্ত হয়েছে।

অ্যামাজনের কর্মপরিবেশ নিয়ে উল্লিখিত নেতাবাচক রিপোর্টটি প্রকাশ হওয়ার পরও, এত বিশদ টেলিভিশন রিপোর্ট, আলোচনা, ব্লগিং হলেও, কোম্পানির শেয়ারের দামে এতটুকু প্রভাব পড়েনি। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের কাছে ওই রিপোর্ট মোটেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনি। কেউ হয়তো বলতে পারেন, বিনিয়োগকারীরা শুধু মুনাফার ব্যাপারটিতেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, কীভাবে ওই প্রবৃদ্ধি এসেছে সেটি মুখ্য বিষয় নয়। নাইকির উদাহরণ কিন্তু প্রমাণ করে যে, যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীরা একটি কোম্পানির নৈতিক চরিত্রের ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করে।

তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, অ্যামাজনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের ফলে কেন কোম্পানির শেয়ারের দামে প্রভাব পড়ল না? আমার ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রে অ্যামাজনের মতো একটি কোম্পানিতে অমানবিক কর্মপরিবেশের ব্যাপারটি খুব বিশ্বাসযোগ্য হয়নি অথবা বর্ণিত ঘটনাগুলো বিনিয়োগকারীদের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত মনে হয়নি। এর কারণ হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে যারা পরিশ্রমী ও মেধাবী তাদের চাকরি পেতে খুব বেশি সমস্যা হয় না। প্রকৃতপক্ষে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে পঞ্চাশ লাখেরও বেশি চাকরি খালি রয়েছে। তাই কর্মচারীদের প্রতি অন্যায় চর্চা চাপিয়ে পার পাওয়ার সুযোগ কম। কারণ তারা ইচ্ছে করলেই চাকরি ত্যাগ করে অন্য কোম্পানিতে চলে যেতে পারে।

অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, নতুন করে লোক রিক্রুট ও ট্রেনিং করার বিশাল খরচ এড়ানোর জন্য কোনো কোম্পানিই চায় না যে, তাদের কর্মচারীরা চাকরি ছাড়ুক। তাই যারা অ্যামাজনে কাজ করেন, তারা এর ভালো-মন্দ জেনে ও মেনেই চাকরি করেন।

প্রকৃতপক্ষে, অ্যামাজনের কর্মপরিবেশ অন্য দশটি কোম্পানির চেয়ে আলাদা হবে সেটি একজন আগ্রহী চাকরিপ্রার্থীর খুব সহজেই বোঝার কথা। এর কারণ হচ্ছে, সেখানকার বেতন-কাঠামো যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির চেয়ে আলাদা। এখানে একজন শিক্ষানবিস ও চিফ নির্বাহী কর্মকর্তার মূল বেতনের পার্থক্য খুবই কম। তবে বেতনের ফিক্সড অংশের তুলনায় বোনাস অর্জনের সুযোগ (ভেরিয়েবল অংশ) অনেক বেশি।

অ্যামাজনের সফলতা অর্জনের ক্ষেত্রে একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর অবদান যত বেশি, তার অর্জিত বোনাসের পরিমাণও তত বেশি। এ ধরনের বেতন-কাঠামো গঠনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, কর্মচারীরা যাতে কোম্পানিতে নিজেদের অংশীদারিত্ব অনুভব করে। এছাড়াও শুধু সিনিয়রিটি বা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি নির্ধারণের বদলে, অ্যামাজনে মেধা ও কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে পদোন্নতি নির্ধারিত হয়। তাই যে প্রফেশনালরা ৮ টা–৫টা ধরনের ধরাবাঁধা সময়ে কাজ করতে আগ্রহী, তাদের এখানে সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। অ্যামাজনে চাকরি নেওয়ার আগে অথবা যোগদানের অল্প সময়ের মধ্যেই একজন কর্মচারীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা যে, এখানকার কর্মপরিবেশ বা কালচার তার ব্যক্তিত্ব ও জীবনের লক্ষের সঙ্গে মেলে কি না।

অ্যামাজনের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও কঠিন কর্মপরিবেশের জন্য একতরফাভাবে কোম্পানির নির্বাহীদের দায়ী করা ঠিক হবে বলে মনে করি না। আগেই বলেছি, প্রতিযোগিতার এই যুগে বেসরকারি একটি কোম্পানিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক পরিবেশ থাকা কোম্পানির সফলতার পূর্বশর্ত। আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা কিন্তু অ্যামাজনের কাছ থেকে সবচেয়ে কম দামে শিপিং চার্জ ছাড়াই ভালো পণ্য দ্রুততম সময়ে ডেলিভারি পাওয়ার আশা করে। একইভাবে বিনিয়োগকারীরাও অ্যামাজনের কাছ থেকে প্রথাগত খুচরা বিক্রেতার তুলনায় উচ্চ মুনাফা ও প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশা করে।

গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের এই উচ্চ আশা মেটাতে গিয়েই অ্যামজনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কঠিন পরিশ্রম করতে হয়। ট্র্যাডিশনাল সিনিয়রিটি-বেইসড সরকারি চাকরিসুলভ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে ব্যক্তি উদ্যোক্তা বা কোম্পানির পার্টনারের মতো মানসিকতা সৃষ্টি করতে হয়, আর সেটিই যেন স্বাভাবিক।

বস্তুত পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে বিকাশের স্বার্থে কর্পোরেট হাউসগুলোতে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা জিইয়ে রাখা এবং তাদের কাছ থেকে তাদের পরিশ্রম ও মেধার সর্বোচ্চ প্রত্যাশা করাটা এখন অস্বাভাবিক বিষয় নয়। বাংলাদেশেও এখন কর্পোরেট কালচারে এই চর্চাগুলো হচ্ছে। ব্যক্তির জন্য এই পরিবেশে অভিযোজন করাটাই তাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

এইচ এম মহসীন: স্ট্র্যাটেজি প্রফেশনাল।

তথ্যসূত্র:

১. নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন:

২. ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব লেবারের ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকসের হোম পেইজ:

৩. অ্যামাজনের সিইও জেফ বেজোসের বার্তা: