নিরাপদ ইন্টারনেট: আলোচনা শুরু হোক

তৌফিক ইমরোজ খালিদী
Published : 29 August 2015, 12:10 PM
Updated : 29 August 2015, 12:10 PM

আজকের দিনে প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধের কথা যখন ওঠে, তখন মূলত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (আইসিটি) কথাই বোঝানো হয়।

প্রতিদিন নতুন নতুন প্রযুক্তি আমাদের হাতে আসছে, সেই সঙ্গে তামাদি হয়ে যাচ্ছে পুরনো উদাহরণগুলো। 'প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধ'কে এক কথায় সংজ্ঞায়িত করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

বার্গলার অ্যালার্মের কল্যাণে অনেক শহরের মানুষ আজ সিঁধেল চুরির কথা ভুলেই গেছে।

ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা অনেক সমস্যার সমাধান করেছে, কিন্তু জন্ম দিয়েছে নতুন অনেক সমস্যার। অপরাধ ঠেকাতে 'নজরদারি' সহায়ক হয়েছে, কিন্তু কাজ করছে দমনের হাতিয়ার হিসেবেও।

নিরাপত্তার নামে বসানো এসব ক্যামেরার নজরদারি আমাদের অনেকের জীবনেই বড় ধরনের বিড়ম্বনার জন্ম দিচ্ছে। নাগরিক অধিকার নিয়ে যারা কাজ করেন, তাদের অনেকেই এ বিষয়টিকে দেখছেন সাধারণের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন হিসেবে।

এসব ক্যামেরা কখনো কখনো এমন ছবিও তুলছে, যা তোলার অধিকার আইনে দেওয়া হয়নি। আমাদের বাংলাদেশের সাম্প্রতিক একটি ঘটনা এখানে উদাহরণ হিসেবে বলা যায়। কয়েক বছর আগে পারসোনার বিরুদ্ধে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা ব্যবহার করে সীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে, যা সে সময় সংবাদের শিরোনাম হয়।

যেসব দেশে মানুষের চেয়ে গাড়ির সংখ্যা বেশি, সেখানেও গাড়ি চুরির ঘটনা একসময় নৈমত্তিক বিষয় ছিল।

এরপর এল নতুন নতুন প্রযুক্তি। অ্যালার্ম, ট্র্যাকিং ডিভাইস, মালিকের আঙুলের ছাপ চিনতে পারে এমন চাবি…। এছাড়া চুরি যাওয়া গাড়ি খুঁজে বের করতে বা এর অবস্থান সনাক্ত করতে কাজে লাগে, এমন নানা প্রযুক্তি এল।

কিন্তু যিনি প্রযুক্তির পোকা নন, আইনবিদ বা আইনপ্রয়োগকারীও নন- যিনি কেবলই একজন সাংবাদিক বা প্রকাশক, তার সামনে প্রযুক্তিনির্ভর এসব অপরাধের এসব ঘটনা আসে ভিন্ন মাত্রা নিয়ে। দুটি বিষয়কে বোধগম্যভাবে এক জায়গায় আনতে আমাকে হয়তো কোনো সহকর্মী বা বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে হয়, যিনি এসব বিষয়ে আগ্রহ বা সম্যক ধারণা রাখেন।