রাষ্ট্রীয় সফর সফল করার সহজ উপায়

শফিক রেহমান
Published : 6 April 2010, 02:38 PM
Updated : 6 April 2010, 02:38 PM

সম্পূর্ণ কল্পিত, অবাস্তব ও অবিশ্বাসযোগ্য সংলাপ মালা

দৃশ্য ১.

স্থান : চায়নার রাজধানী বেইজিংয়ে গ্রেট হল অফ দি পিপল-এ রাষ্ট্রীয় মিটিং রুম।

কাল : ১৮ মার্চ ২০১০

চরিত্র : চায়নার প্রধানমন্ত্রী (চাপ্রম), বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (বাপ্রম) এবং দুজন ইন্টারপ্রেটার বা দোভাষী।

চাপ্রম : চায়নায় আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি। আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি আপনার এই সফরের পর চায়না-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব সম্পর্ক এক নতুন পর্যায়ে উন্নীত হবে।

বাপ্রম : আমরাও ঠিক সেই রকমটাই আশা করি।

চাপ্রম : পূর্ব অনুষ্ঠিত আলোচনা অনুযায়ী আমরা আজ এখানে উপস্থিত হয়েছি তিনটি অ্যাকর্ড বা চুক্তিপত্র এবং একটি এমওইউ বা সমঝোতাপত্রে স্বাক্ষর করতে।

বাপ্রম : হ্যা। এই তিনটি চুক্তিপত্র হবে, এক. অর্থনৈতিক ও কারিগরি খাতে সহযোগিতা যেখানে চায়না দেবে পর্যাপ্ত গ্রান্ট বা মঞ্জুরি, দুই. শাহজালাল ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি নির্মাণের একটি কাঠামো প্রস্তুত এবং তিন. সপ্তম বাংলাদেশ-চায়না মৈত্রী সেতু নির্মাণ বিষয়ে। আর সমঝোতাপত্রটি হবে তেল ও গ্যাস খাতে বাংলাদেশ-চায়নার সহযোগিতা বিষয়ে।

চাপ্রম : চমৎকার। আপনি সবই জানেন দেখছি। বেইজিংয়ে আর কি করতে চান আপনি?

বাপ্রম : ২০০৮-এর অলিম্পিক গেমস উপলক্ষে নির্মিত বেইজিংয়ের স্টেডিয়ামটা দেখবো।

চাপ্রম : এই স্টেডিয়ামটা দর্শনীয় স্থানই বটে। ৪২৩ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার খরচ করে এই স্টেডিয়ামটা আমরা বানিয়েছিলাম। এটিই হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্টিল স্ট্রাকচার। এর নাম স্টিলের খাচা হওয়াই সঙ্গত ছিল। তবে এর নাম আমরা দিয়েছি বার্ডস নেস্ট বা পাখির নীড়। কিন্তু এখনো চায়নার সবচেয়ে বড় দর্শনীয় স্থান হচ্ছে দি গ্রেট ওয়াল বা চায়নার বিশাল দেয়াল। এই গ্রেট ওয়াল বিষয়ে তথ্যগুলো জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।

বাপ্রম : দয়া করে কয়েকটি তথ্য আমাকে বলবেন কি?

চাপ্রম : অবশ্যই। আনন্দের সঙ্গে বলবো। যিশু খৃস্টের জন্মের পাচশ বছর আগে অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে চায়নার উত্তর অঞ্চলে এই দেয়াল বানানোর কাজ শুরু হয়েছিল। তারপর প্রায় ২১০০ বছর জুড়ে এই দেয়াল নির্মাণ, মেরামতি, পুনঃনির্মাণ প্রভৃতি কাজ চলে ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত। পাথরে তৈরি এই দেয়াল তৈরি করা হয়েছিল চায়নিজ সাম্রাজ্যের উত্তর সীমান্তকে রক্ষার জন্য। মিং বংশের রাজত্বের সময়ে এই দেয়ালের বেশিরভাগ তৈরি হয়েছিল। পূর্বে শানহাইগুয়ান থেকে পশ্চিমে লপ নুর পর্যন্ত বিস্তৃত এই দেয়ালটির তার শাখা-প্রশাখাসহ দৈর্ঘ ৮,৬৫১ কিলোমিটার বা ৫,৫০০ মাইল। এটি চওড়ায় সর্বোচ্চ ৯.১ মিটার বা ৩০ ফিট। চিন্তা করুন ৩০ ফিট চওড়া দেয়াল ৫,৫০০ মাইল জুড়ে চায়নাকে শতাব্দীর পর শতাব্দী সুরক্ষিত রেখেছে। (হাসি মুখে) পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম এই দি গ্রেট ওয়াল।

বাপ্রম : এই ওয়াল আমি দেখেছি। সত্যিই অতি আশ্চর্যজনক সৃষ্টি!

চাপ্রম : এই পাচ দিন সফরের শেষ দিনে আপনি যাবেন, কুনমিংয়ে। সেখানে আপনার সঙ্গে দেখা হবে ইউনান প্রদেশের গভর্নর মি. জিন গুয়াগং-য়ের সঙ্গে। যদিও আমরা আজকে তিনটি চুক্তিপত্র এবং একটি সমঝোতাপত্রে সই করবোÑ তবুও এসবই বাস্তবায়িত হবে একটি শর্ত সাপেক্ষে।

বাপ্রম (অবাক হয়ে) : একটি শর্ত! সেই শর্তটা কি? এ বিষয়ে আমার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. দীপু মনি এবং পররাষ্ট্র দফতর তো কিছুই আমাকে বলেনি!

চাপ্রম : এটা ওরা কেউ জানেন না। আপনাকে এই শর্ত বিষয়ে জানাবেন গভর্নর জিন গুয়াগং। তার আগে আগামীকাল আপনার সঙ্গে দেখা হবে আমাদের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও-য়ের সঙ্গে। আশা করি আপনার এই সৌজন্য সাক্ষাৎ আনন্দদায়ক হবে।

দৃশ্য ২

স্থান : এমপার্ক গ্র্যান্ড হোটেল, কুনমিং

কাল : ২১ মার্চ ২০১০, লাঞ্চ আওয়ার

পাত্র : ইউনান প্রদেশের গভর্নর জিন গুয়াগং, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, দুজন ইন্টারপ্রেটার এবং দুজন ফুড টেস্টার।

জিন গুয়াগং : অনেক ধন্যবাদ এই লাঞ্চে অতিথি হবার জন্য। আপনি জানেন কুনমিংয়ে কিছু বাংলাদেশি আছেন। বাংলাদেশি খাবারের জায়গা আছে। আমরা ইচ্ছা করলে আপনার জন্য বাংলাদেশি খাবারের আয়োজন করতে পারতাম। কিন্তু আমরা মনে করেছি চায়নাতে এসে আপনি চায়নিজ খাবারই খেতে পছন্দ করবেন। তাই আজকের লাঞ্চ মেনুতে সব চায়নিজ।

বাপ্রম : ঠিকই করেছেন। তবে দেখবেন সব যেন হালাল হয়। সাপ, ব্যাঙ, ইদুর, কুকুর যেন না থাকে।

জিন গুয়াগং : আমরা সে বিষয়ে কড়া নজর রেখেছি। সব হালাল এবং বিষমুক্ত খাবার ও পানীয় সার্ভ করা হবে। কোনো খাবার এবং পানীয়তে বিষ আছে কি না সেটা পরীক্ষা করার জন্য দুজন ফুড টেস্টার আমরা রেখেছি। প্রতিটি খাবার ও পানীয় সার্ভ হবার আগে ওরা দুজন (উপস্থিত দুই ফুড টেস্টারের দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে) টেস্ট করে দেখবেন। তারপর সেটা আপনাকে সার্ভ করা হবে। আমরা জানি আপনি অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশে সেনা-সমর্থিত গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যখন সাবজেলে বন্দি ছিলেন তখন আপনাকে স্লো ফুড পয়জনিং করা হয়েছিল। তাই চায়নাতে আপনাকে যেসব ফুড ও ড্রিংকস সার্ভ করা হয়েছে এবং হবে সেসব সম্পর্কে আমরা একস্ট্রা কেয়ারফুল আছি।

বাপ্রম : আপনাদের দূরদর্শিতার তারিফ করতেই হয়। কি খাওয়াবেন আজ?

জিন গুয়াগং : ট্রাডিশনাল চায়নিজ খাবার সাধারণত ছোট ছোট টুকরো বা পোর্শনে হয়, ফলে সেসব চপ স্টিকস দিয়ে খেতে সুবিধা হয়। সাধারণত চায়নিজ মেনু তৈরি হয় বিপরীত জাতীয় ফুডকে ব্যালান্স করে। যেমন হট ফুডকে ব্যালান্স করা হয় কোল্ড ফুড দিয়ে। পিকলড ফুড বা আচার জাতীয় সংরক্ষিত ফুড ব্যালান্স করা হয় ফ্রেশ ফুড দিয়ে। অনেক মশলাযুক্ত ফুড ব্যালান্স করা হয় কম মশলাযুক্ত ফুড দিয়ে। আমরা শুরু ও শেষ করবো চায়নিজ টি দিয়ে। আপনি বোধ হয় জানেন, চায়নিজরা মনে করে জীবন ধারণের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সাতটি বস্তু হচ্ছে, জ্বালানি কাঠ, চাল, তেল, লবণ, সয়া সস, ভিনিগার এবং চা।

বাপ্রম : এটা জানতাম না।

জিন গুয়াগং : আমরা টেবিলে ছুরি-কাটাচামচ রেখেছি। ইচ্ছা করলে সেসব ব্যবহার করতে পারেন। পাশেই চপ স্টিকসও রেখেছি। ৩,২০০ বছর আগেও আমরা চায়নিজরা চপ স্টিকস দিয়েই যে খেতাম তার প্রমাণ পাওয়া গেছে ইয়িন-এর ধ্বংসাবশেষে। সভ্য আচার-আচরণের বিকাশ যে প্রথম চায়নাতেই হয়েছিল তার প্রমাণ ৩,২০০ বছর আগেও চায়নিজরা আঙ্গুল দিয়ে নয়, চপ স্টিকস দিয়ে খেত।

বাপ্রম : চপ স্টিকস ধরা জানি না। তাই আমি আজ কাটাচামচ দিয়ে খাবো।

জিন গুয়াগং : শুরু করা যাক তাহলে।

ডাইনিং টেবিলে খাবার ও পানীয় সার্ভ শুরু হলো। ফুড টেস্টার দুজন সেসব চেখে দিলেন।

জিন গুয়াগং (খেতে খেতে) : আমাদের প্রধানমন্ত্রী মি. ওয়েন জিয়াবাও বিষয়ে আপনি কি জানেন?

বাপ্রম : তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী চায়নার স্টেট কাউন্সিলের ষষ্ঠ এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। স্ট্যান্ডিং কমিটিরও সদস্য তিনি। দেশের প্রকৃত ক্ষমতার অধিকারী এই স্ট্যাডিং কমিটি এবং এর নয় সদস্যের মধ্যে তার স্থান তৃতীয়। (হেসে) অর্থাৎ, চায়নাতে তিনিই সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি। একদিকে প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যদিকে স্ট্যান্ডিং কমিটির তিন নাম্বার সদস্য।

জিন গুয়াগং : উত্তরাধিকার সূত্রে নয়, নিজের যোগ্যতা বলেই তিনি শীর্ষে পৌছেছেন। পেশাগতভাবে তিনি একজন জিওলজিস্ট ও ইঞ্জিনিয়ার। বেইজিং ইন্সটিটিউট অফ জিওলজি থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি নিয়েছেন। চায়নার কমিউনিস্ট পার্টিতে এখন যে চতুর্থ প্রজন্ম নেতৃত্ব দিচ্ছে, তিনি তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

বাপ্রম : তার সঙ্গে কথা বলে আমি মুগ্ধ হয়েছি। তবে সেই আলোচনার শেষে তিনি একটা রহস্য করেন। তিনি একটা শর্তের কথা বলেছিলেন, যেটা…

জিন গুয়াগং : হ্যা। সেটা আপনাকে অবশ্যই বলবো। তার আগে বলুন, আপনি কি মনে করেন, আপনার এই চায়না সফর সফল হয়েছে? আপনার সব আশা পূরণ করেছে?

বাপ্রম : আমার তো মনে হয় খুব সফল হয়েছে। অবশ্য শর্তটা জানলে আমি এই সাফল্য সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারতাম।

জিন গুয়াগং : আপনি কি ডিপ সিপোর্ট বা গভীর সমুদ্রবন্দর এবং চট্টগ্রাম থেকে মিয়ানমার হয়ে কুনমিং পর্যন্ত রোড ও রেল যোগাযোগ বিষয়ে আলোচনা করতে চান না? আপনাকে জানিয়ে রাখি আমরা মিয়ানমার, শ্রী লংকা এবং পাকিস্তানে ডিপ সিপোর্ট তৈরি করতে যাচ্ছি। আমাদের ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় একটা সিপোর্ট করে দেব।

বাপ্রম (চিন্তিত মুখে) : সেক্ষেত্রে এটা কি মনে হতে পারে না যে ইনডিয়াকে ঘিরে রাখার জন্য চারটি সিপোর্ট আপনারা করতে চান?

জিন গুয়াগং : সেটা ইনডিয়া মনে করতে পারে বৈকি। চট্টগ্রাম-কুনমিং রোড-রেল যোগাযোগ স্থাপিত হলে ইনডিয়া আরো মনে করতে পারে, বাংলাদেশ তাদের এড়িয়ে সরাসরি চায়নার সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠ স্ট্র্যাটেজিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও আশা করেছিলেন আপনি এই সেন্টিমেন্টের ঊর্ধে উঠে একটা দেয়াল নির্মাণ বিষয়েও আমাদের সাহায্য চাইবেন।

বাপ্রম : সেজন্যই কি তিনি দি গ্রেট ওয়াল সম্পর্কে এত তথ্য আমাকে দেন?

জিন গুয়াগং : হ্যা। আমরা জানি আপনার পার্টি ক্ষমতায় আসার পরে ফেব্রুয়ারি ২০০৯-এ ঢাকায় বিডিআর বিদ্রোহ হয়েছিল। তারপর থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত প্রায় অরক্ষিত আছে। বিডিআর সদস্যদের নিরস্ত্র রাখা হয়েছে। আমরা অবশ্য এটাও জানি যে আপনি ফিরে গিয়ে কিছু অস্ত্র দেবেন। কিন্তু আমরা ভেবেছিলাম, ইনডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত রক্ষা সমস্যাটির স্থায়ী সমাধানের জন্য দি গ্রেট ওয়ালের মডেলে একটা ওয়াল তৈরির জন্য আমাদের সাহায্য চাইবেন। ইনডিয়া কাটাতারের বেড়া দিচ্ছে। আপনারা পাথরের ওয়াল দিন। এতে দেশের সুরক্ষা হবে। চোরাচালান বন্ধ হবে। বিএসএফের গুলিতে আর বাংলাদেশি নিহত হবে না। চাই কি একটা টুরিস্ট এট্রাকশনও হতে পারে এই ওয়াল।

বাপ্রম : বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখতে হবে। এর সঙ্গে ইনডিয়া জড়িত। কিন্তু এখন বলুন সেই শর্তটা কি যার ওপরে নির্ভর করছে চুক্তিগুলোর বাস্তবায়ন।

জিন গুয়াগং : আপনি জানেন, আপনার পিতার শাসন আমলে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি চায়না। পাকিস্তানের সঙ্গে সুদীর্ঘকালের বন্ধু সম্পর্কের মূল্য দেয়ার কারণে আমরা একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করিনি। তারপর বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও আমরা স্বীকৃতি দেইনি। শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পরে আমরা স্বীকৃতি দিয়েছিলাম। তারপর জিয়াউর রহমান যখন বাংলাদেশের শাসক হন তখন চায়না-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মোড় নেয়। জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে আমাদের দুই দেশের মধ্যে বন্ধু সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিনি প্রয়াত হলেও আমরা তাকে শ্রদ্ধা করি।

বাপ্রম (মুখে গভীর বিরক্তির চিহ্ন) : আপনি জিয়াউর রহমানের কথা টেনে আনছেন কেন? শর্তের সঙ্গে ওই অখ্যাত মেজরটার সম্পর্ক কি?

জিন গুয়াগং : সম্পর্ক আছে বলেই তো বলছি। আপনি জানেন আধুনিক চায়নার রূপকার ছিলেন আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় নেতা দেং জিয়াও পিং। আপনি জানেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও। আর কুনমিং এয়ারপোর্ট থেকে যখন দেশে ফিরবেন তখন লক্ষ্য করবেন চায়নার এই সপ্তম বৃহৎ এয়ারপোর্টের নাম কুনমিং উজিয়াবা এয়ারপোর্ট। আমরা জানি, জিয়া নামের প্রতি আপনার প্রচন্ড এলার্জি আছে। জিয়া নাম দেখলেই আপনি তা বদলে ফেলার নির্দেশ দেন। তাই আমাদের শর্ত থাকবে চায়না-বাংলাদেশের কোনো চুক্তিপত্র, সমঝোতাপত্র, স্মারকপত্র, সফরসূচি, কর্মসূচি প্রভৃতিতে দেং জিয়াও পিং, ওয়েন জিয়াবাও, উজিয়াবা এয়ারপোর্ট প্রভৃতি নাম বদলানো যাবে না, বাদও দেয়া যাবে না। বহু চায়নিজ নামের অচ্ছেদ্য অংশ জিয়া এবং সেটা বজায় রাখতে হবে। এটাই আমাদের একমাত্র পূর্বশর্ত।

৫ এপ্রিল ২০১০