যৌননিগ্রহ: মানুষ যখন শয়তানের বন্ধু

প্রিসিলা রাজপ্রিসিলা রাজ
Published : 11 July 2015, 09:55 AM
Updated : 11 July 2015, 09:55 AM

১.

৫ জুলাই, ২০১৫; রোববার; সকালে অফিসে যাচ্ছি। সারাজীবন হেঁটে-বাসে অফিস করে আমাকে এখন সিএনজিতে যেতে হয়। কারণ অফিসটা গুলশানের মুখে। যানজট না থাকলে কলাবাগান থেকে সিএনজিতে যা পনের মিনিটের দূরত্ব, অফিস খোলার দিনে তা দেড়-দুই ঘণ্টার দূরত্বে পরিণত হয়। যেদিন সিএনজি পাই না সেদিন অফিসে পৌঁছানো এক বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা।

সেদিন সিএনজি পাইনি। ফলে রিকশায় কাওরান বাজার গিয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে পরে উঠলাম উত্তরাগামী বিআরটিসি বাসে। পৌনে এক ঘণ্টা পর মহাখালী ফ্লাইওভারের গোড়ায় নেমে রাস্তা পার হয়ে রেল সিগন্যালের দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। কাছাকাছি যেতে সিগন্যালের লোহার দণ্ড নেমে এল। আমরা পথচারীরা দণ্ডের নিচ দিয়ে ভেতরে ঢুকলাম। মালগাড়ি যাচ্ছিল। উদ্দেশ্য, মালগাড়িটি চলে গেলে পোল ওঠানোর আগেই রাস্তা পার হয়ে কলেরা হাসপাতালের গোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা রিকশায় উঠব।

যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম সেখানে গায়ে গায়ে ভিড় ছিল না। আমার পিঠে ভারী রুকস্যাক, হাতে আরেকটা ব্যাগ। এক লহমায় ঘুরে দাঁড়িয়ে দেখি লোকটা রেললাইন ধরে দ্রুত হেঁটে যাচ্ছে। সে আমার বুকে হাত দিয়েছে। কিন্তু আমি ঘুরে দাঁড়াব বা এত দ্রুত হবে সেটা এমনটা সে ঠাহর করতে পারেনি। যারা রাস্তাঘাটে এসব করে বেড়ায় তারা মেয়েদের নিরব যন্ত্রণা দেখতেই অভ্যস্ত। যৌনলাঞ্ছনায় একজন নারীর মুখ বেঁকেচুরে গেছে, কিন্তু কাউকে সেটা সে বলতে পারছে না, কামসুখের এ-ও এক খোরাক বৈকি। আমার স্টাফ মিটিং শুরু হয়ে গেছে, বাসে থাকতেই অফিস থেকে ফোন এসেছিল। আমি কী করব? এই শহরে বড় হতে হতে বুড়ো হতে চললাম, এই শহরের কয়েকশ পুরুষ রাস্তায় আমার শরীরে হাত দিয়ে যৌনসুখ হাতিয়েছে। বহু নিগ্রহে জর্জর শরীরে, মনে কি আর ক্ষোভের উন্মেষ হওয়া উচিত, না সাজে?

আমি রেললাইন ধরে লোকটার দিকে দ্রুত ধেয়ে যাই। তাকে ধরে ফেলি। তার বয়স ষাটের নিচে হওয়া কঠিন। তাকে বলি: ''আপনি কী করলেন?''

''কী করলাম?''

তারপর আমার প্রবল প্রতিবাদ। লোকটি প্রতিবাদে অভ্যস্ত নয়, সে পালানোর উদ্যোগ করে।

ঠিক তখনই– ''আপনি মুরুব্বিকে অপমান করছেন কেন?''

ছেলেটি সুবেশ। বয়স তিরিশের আশেপাশে। বোঝা যায় সে আমারই মতো অফিসযাত্রী।

''বাবার বয়সী লোকটাকে কোন সাহসে অপমান করছেন?''

সে আমার দিকে তেড়ে আসে, ''রাস্তাঘাটে মানুষের গায়ে একটু লাগলেই যদি আপনাদের এত অপমান লাগে তো গাড়িতে চড়তে পারেন না?''

স্পষ্ট বাংলা উচ্চারণ বলে দিচ্ছে ছেলেটার ডিগ্রির কাগজপত্র আছে। আমি সেখানেই জমে গিয়েছিলাম। তার তেড়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ঘিরে প্রায় শখানেক লোক জমে গেল। সবাই কথা বলতে চায়; সবারই বক্তব্য এক, আমি বাবার বয়সী লোকটিকে মিথ্যা অভিযুক্ত করেছি। আর এই মিথ্যা অভিযোগের জন্য আমাকে তো কিছু শাস্তি পেতেই হবে, তাই না?

বৃদ্ধ বরাহ ততক্ষণে শক্তি সঞ্চয় করে ফেলেছে, মহাবিবেকবান তরুণ আর জনতার রোষ ছাপিয়ে তার গলা শোনা গেল: ''আমি মুক্তিযোদ্ধা। মাইয়া মানুষ বইলা তোরে ছাইড়া দিতাছি। নাইলে…।''

হাতের ভঙ্গি করতে থাকে যার অর্থ সে আমাকে ধর্ষণ করত। ইংরেজিতে একেই বলে 'মব'। মারমুখী মবের মাঝখানে একা মানুষ কতটা অসহায় হতে পারে তার অভিজ্ঞতা ঢাকা শহরে আছে পকেটমারদের, মাঝে মাঝেই যাদের মৃত্যুসংবাদ কাগজে পড়তে হয়। আর আছে আমার মতো গুটিকয়েক মহিলার যারা সব বিপদের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে যৌনলাঞ্ছনাকারীকে প্রতিহত করতে চেয়েছে।

মুহূর্তে স্থির করি, এই ঝুঁকি নেব। প্রথমেই আমার পক্ষে সেই মুহূর্তে যতটুকু রক্ষাকবচ নেওয়া সম্ভব সেটা নিই। তেড়ে আসা পুরুষদের উপেক্ষা করে ফোন দিই সাংবাদিক বন্ধুকে। তাকে পুলিশে ফোন করতে বলি। তারপর আবারও সেই বীরপুঙ্গব, সেই বৃদ্ধ বরাহ আর জনতার মুখোমুখি হই। বীরপুঙ্গবকে বলি: ''কলাবাগান থেকে এ পর্যন্ত আসতে আমাকে হাঁটতে হয়েছে, রিকশায় চড়েছি, বাসে একগাদা পুরুষের মধ্যিখানে বসেছিলাম। তাদের সঙ্গে আমার ধাক্কা লেগেছে, কারও গায়ে আমার হাত লেগেছে, কারও হাত আমার গায়ে লেগেছে। তাদের কাউকে কিছু না বলে, এইখানে এসে হঠাৎ করে এই বাপের বয়সী লোকটার বিরুদ্ধে কেন আমি যৌনহয়রানির অভিযোগ আনব?''

বীরপুঙ্গবের উত্তেজনা তখন চরমে। তার বাক্যবাণ ধেয়ে আসতে থাকে। আমি একই প্রশ্ন আবারও উচ্চারণ করি: ''এই প্রশ্নের উত্তর আপনাকে দিতে হবে।''

তার অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছিল নিশ্চয়ই।

''আপনার বাপ-ভাইরা সব লুচ্চা। সেই জন্যই আপনি রাস্তাঘাটে সবাইকে লুচ্চা মনে করেন''– এই বাণী ছুঁড়ে দিয়ে সে দ্রুত চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধ বরাহও অকুস্থল ত্যাগ করে। আমি সেখানেই মারমুখী জনতার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকি, একটাই প্রশ্ন করতে থাকি সমবেত পুরুষদের।

থানায় জানাতে বলেছি হয়তো কেউ কেউ শুনেছিল এবং আমার স্থির দাঁড়িয়ে থাকা দেখেই বোধহয় মারমুখী পুরুষদের কেউ কেউ একটু থমকে গিয়েছিল, তারা একটু দূরে সরে গেল। কিছুক্ষণের মধ্যে অন্যরাও তাদের অনুসরণ করে। এরপর তাদের মধ্যে থেকে দাবি আসতে থাকে আমি যাতে ঐ স্থান ত্যাগ করি। আমি উত্তরে বলি, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা আমার প্রশ্নের জবাব না দিচ্ছে ততক্ষণ আমি যাব না।

ইতোমধ্যে এক দাড়িটুপিধারী আমাকে বললেন: ''আপনার পোশাক তো অসভ্য। আপনার পোশাক দেইখাই তো বোঝা যায় আপনার মানসম্মান নাই।''

আমি তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলি: ''না, আমার মান-সম্মান নাই। সব মান, সব সম্মান আপনার।''

কয়েক জন যারা একটু আগেও তেড়ে এসেছিল তারা বারবার বলতে থাকে, আমার যদি সম্মানের ভয় থাকে আমি যেন সরে যাই। আমি তাদের বলি: ''এই পরিস্থিতি আমি তৈরি করি নাই, আপনারা করেছেন। কেন করেছেন তার জবাব নিয়ে তারপর আমি যাব।''

এবার কয়েক জন বোরকাধারী এবং মাথা-কান ঢাকা মহিলা এগিয়ে আসেন; মুখচোখ ঠেলে তারা বলেন: ''এই মহিলা, আপনি একটা অসভ্য। আপনের পর্দা নাই, ওড়না নাই। আপনের মানসম্মান নাই। আপনে যান এইখান থিক্যা।''

আমি তাদের চোখের দিকে তাকিয়ে বলি: ''না, আমার মানসম্মান নাই।''

লোকজন আস্তে আস্তে সরে যেতে থাকে। আমি তখন কয়েক জন লোক, ইতোমধ্যে যাদের চিনে ফেলেছিলাম, তাদের ডাকি। এবার তারা কেন যেন ভয় পেয়ে যায়। তারা আর কাছে আসতে চাচ্ছিল না। বললাম: ''ভয় পাবেন না। যে লোকটা আমাকে যৌননিগ্রহ করেছে তার সম্পর্কে কথা বলব।''

এবার তারা কাছে আসে। জিজ্ঞেস করি লোকটাকে তারা চেনে কিনা। একজন বলে চেনে। সে আশেপাশেই কোথাও থাকে।

''নাম জানেন?''

''না।''

তাদের বলি মামলা করব বলেই লোকটার সম্পর্কে তথ্য নিচ্ছি। আরেক জন কাছে এসেছিল; সে জানায়, আমি যদি মামলা করি তবে একশ জন সাক্ষী দিয়ে তারা মামলা ব্যর্থ করে দেবে। আরও এক তরুণ বলল: ''ঐ যে লোকটার আপনি প্রতিবাদ করলেন, এরপর সে হয়তো আর এই কাজ করবে না। কিন্তু আপনি মামলা করলে এখানে নিরীহ লোকগুলার হয়রানি হবে। আপনার মানবতা নাই?''

আমি জিজ্ঞেস করি, এই নিরীহ লোকগুলাই দশ মিনিট আগে আমাকে ঘিরে ধরেছিল পিষে ফেলবে বলে, তখন তাদের মানবতা কোথায় ছিল?

ছেলেটা বলতে থাকে, ''তবু…।''

২.

পুলিশ-পর্ব। লোকগুলোর সঙ্গে কথা শেষ করে সিগন্যালের কাছে সড়কদ্বীপে ট্রাফিক অফিসারদের জটলার দিকে যাই। তাদের জানাই আমি যৌনহয়রানির শিকার হয়েছি। সার্জেন্টটি পাশের ট্রাফিক বুথ দেখিয়ে বলেন, ''ওরা ক্রিমিন্যাল বিষয় ডিল করে। আপনি ঐখানে যান।''

আমি ভাবি, সার্জেন্ট আমার অভিযোগ শুনে একবারের জন্য হলেও তো সেই জায়গায় গিয়ে ঘটনাটা শুনতে পারত। এটা যান-চলাচলের সমস্যা নয়। যৌনহয়রানির কোনো ঘটনা ঘটলে পুলিশ মাত্রেরই সাড়া দেওয়ার নির্দেশনা থাকা উচিত।

যাহোক, আমি বুথে গেলাম। পুলিশ কর্মকর্তা বিরক্ত-চক্ষু নিয়ে তাকালেন। কী হয়েছে জানতে চাইলেন। পাশে দুটো চেয়ার খালি থাকা সত্ত্বেও আমাকে বসতে বললেন না। আমি ঠাণ্ডা গলায় জানাই যে, আমাকে বসে বলতে হবে। একটু থতমত খেয়ে বসতে বললেন। আমি অভিযোগ জানাই। উনি বললেন যে, মহাখালী সিগন্যালের এই চত্বরটুকু চারটা থানার অধীনে। জিআরপি বা গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ, তেজগাঁও, বনানী আর কাফরুল।

''এখানে নানা ধরনের ক্রাইম ঘটে; কারণ অপরাধীরা বিষয়টা জানে।''

অর্থাৎ ঘটনা তদন্তের এখতিয়ার নিয়ে পুলিশি টানাহেঁচড়ার সুযোগ নেয় অপরাধীরা। কেন পুরো সিগন্যাল চত্বরটাকে একটা থানার আওতায় আনা যায় না তা নিয়ে আলাপ করার মতো অবস্থা আমার ছিল না। আমি শুধু জানতে চাইলাম, আমার মামলা কোন থানায় পড়বে। ভদ্রলোক আর তার সহকর্মী মিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দিলেন, আমাকে কাফরুল থানায় যেতে হবে। উনি জানালেন যে, এটা কাফরুল থানার শেষ সীমানা। কাফরুল থানার ওসির নম্বরও দিয়ে দিলেন। সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ দিয়ে বের হয়ে অফিসের উদ্দেশে রিকশা নিই।

অফিস থেকেই কাফরুল থানার ওসিকে ফোন দিলাম। উনি থানায় আসতে বললেন। পুলিশ বিভাগে এই একটা ভালো ব্যাপার হয়েছে। যে কোনো থানার ওসিকে ফোন দিলে তারা ফোন ধরেন এবং একটা পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করেন। এর আগে আরেকটা ঘটনায় আমার একই অভিজ্ঞতা হয়েছে।

বন্ধু, প্রামাণ্য চলচ্চিত্রকার ফৌজিয়া খানকে ফোন দিয়ে জানাতেই সে মোহাম্মদপুর থেকে সঙ্গে সঙ্গে সিএনজি নিয়ে চলে আসে। এরপর দুজনে মিলে কাফরুল থানায় গেলাম। ওসিকে তার ঘরেই পাওয়া গেল। আরও দুজন দর্শনার্থী সোফায় বসে আছেন। টেলিভিশনে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ চলছে। ওসি ফোনে ব্যস্ত। অপর প্রান্তের ব্যক্তিকে বারবার অনুরোধ করছিলেন যেন তাকে হৃদয়ে একটু স্থান দেওয়া হয়। 'ভাই' সম্বোধন না করলে মনে হত অপর প্রান্তে বুঝি কোনো নারী আছেন। মিনিট বিশেক পর আমাদের দিকে তাকানোর অবসর হল তার।

মন দিয়েই আমার কথা শুনলেন তিনি। শেষে বললেন, যে লোকটি আমাকে যৌনহয়রানি করেছে সে আমার প্রতিবাদে পালাতে উদ্যত হয়েছিল, কিন্তু আমার বিপদটা ডেকে এনেছিল সেই তরুণ অফিসযাত্রী। তার কারণেই এলাকার জনতা আমার প্রতি মারমুখী হয়েছিল। আমি কি সেই যৌননিগ্রহকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাই, নাকি সেই তরুণ ও জনতার বিরুদ্ধে?

আমি উত্তর দিই, আমি আমার যৌননিগ্রহকারীর বিচার চাই; কারণ এদের শাস্তি হলে তবেই লোকে বুঝবে যৌনহয়রানিকারীকে সমর্থন করার অধিকার তাদের নেই।

ফৌজিয়া জানায়, আমি, সে এবং আমাদের আরও কয়েক বন্ধু রাস্তায় যৌনলাঞ্ছনাকারীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার বিষয়টি নারীর নিরাপত্তার জন্য জরুরি বলে বিশ্বাস করি। বিশ্বাস করি এটি প্রত্যেকের সামাজিক কর্তব্য। আমার মনে পড়ে যায়, কয়েক বছর আগে কাঁঠালবাগানে ফৌজিয়াকে হামদর্দের এক কর্মী যৌনলাঞ্ছনা করেছিল। ফৌজিয়া প্রতিবাদ করলে হামদর্দের কর্মীরা তার তখনকার কর্মস্থল সময় টেলিভিশনে তাণ্ডব চালিয়েছিল।

ওসি আমাকে অভিযোগ লিখতে বললেন। তারপর এসআই কামরুজ্জামানকে নির্দেশ দিলেন ঘটনাস্থলে যেতে। আমরা অভিযোগ লিখে জমা দিয়ে মহাখালীর উদ্দেশে রওনা দিই।

বৃদ্ধ বরাহ কি আর থাকে? সকালের মারমুখী জনতাও গর্তে লুকিয়েছে। মহিলার গায়ে হাত দেওয়ার ঘটনা কি আদৌ কিছু? সকালের হিংস্র মজা নেওয়া গেছে, এই ঢের। এসআই আমাদের জানালেন, এলাকাবাসীর সঙ্গে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিশ্চিত হয়েছেন যে, সকালে এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। তিনি ওসিকে সে মতোই জানাবেন।

''তাহলে আমরা মামলা নিচ্ছি'', তিনি আমার কাছে জানতে চান। আমি মামলা নিতে বলি। তিনি জানালেন, তিনি আশা করছেন পরদিন আমাকে মামলার কাগজের কপি দিতে পারবেন।

কাফরুল মডেল থানার দ্রুত সাড়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই আমরা। এসআই বলেন, এ তাদের কর্তব্য।

পরদিন থেকে এখন পর্যন্ত এসআইকে কয়েক বার ফোন দিয়েছি। ভদ্রলোক ফোন ধরেননি। আশা করছি, তিনি ফোন ধরবেন অথবা নিজেই জানাবেন।

কলাবাগান, ঢাকা; ৭ জুলাই, ২০১৫