প্রকৃতি, জীবন ও বাংলাদেশের বন

দানেশ মিয়া
Published : 5 June 2015, 04:25 PM
Updated : 5 June 2015, 04:25 PM

বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ, প্রাণি, কীটপতঙ্গ, অণুজীব, মাটি, পানি, বাতাস এবং অন্যান্য জড় পদার্থের সম্মিলনে পৃথিবীর প্রাতিবেশিক অবস্থা বা বাস্তুসংস্থান সৃষ্টি হয়। আমরা খালি চোখে দেখি আর না-ই দেখি, এই প্রাতিবেশিক অবস্থা মানবসভ্যতার উন্নয়ন বজায় রাখার জন্য অনেকাংশে ভূমিকা পালন করেছে। এ অবস্থাগুলোই পৃথিবীর সমগ্র প্রকৃতি প্রকাশ করে।

এটি এখন সর্বজনগৃহীত যে, পৃথিবীর যতটুকু টেকসই উৎপাদন ক্ষমতা আছে, তার থেকে অনেক বেশি প্রাকৃতিক সম্পদ মানুষ ভোগ করছে। অনেক বাস্তুসংস্থান তাই এখন কঠিন বিপর্যয়ের মুখে আছে, যা আগের অবস্থায় আর কখনও ফিরে যাবে না। জনংখ্যা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনগণের অপরিণামদর্শী আচরণ এর জন্য দায়ী বলে অনেকে মনে করেন। প্রত্যেক মানুষের গড়ে ২.৭ গ্লোবাল হেক্টরের মাটি ও পানির চাহিদা রয়েছে। যেখানে পৃথিবীর উৎপাদনশীল মাটি ও পানির যোগান হচ্ছে ২.১ গ্লোবাল হেক্টর। তার মানে, এখনই পৃথিবীর উৎপাদন ক্ষমতার তুলনায় আমরা ৩০ শতাংশ সম্পদ বেশি ব্যবহার করছি।

ওদিকে, ২০০৭ সালের হিসাব মতে, বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষের গড় চাহিদা হচ্ছে ০.৬২ গ্লোবাল হেক্টর। যেখানে উৎপাদন ক্ষমতা হচ্ছে মাত্র ০.৩৮ গ্লোবাল হেক্টর। যার মানে দাঁড়ায়, বাংলাদেশের বাস্তুসংস্থান আনেক আগেই টেকসই উৎপাদনশীলতা হারিয়েছে। পৃথিবীর বর্তমান ভোগ ও উৎপাদন ক্ষমতার ধারা যদি বজায় থাকে, তাহলে ২০৫০ সাল নাগাদ ৯.৬ বিলিয়ন জনসংখ্যার প্রয়োজন মেটানোর জন্য বর্তমান পৃথিবীর সমান মোট তিনটি পৃথিবীর প্রয়োজন পড়বে।

২০৫০ সালের মধ্যে এ রকম উৎপাদনশীল তিনটি পৃথিবীর মতো গ্রহ পাওয়া একেবারেই অসম্ভব। তাহলে পৃথিবীর সম্পদ-উৎপাদনের প্রাকৃতিক যে ক্ষমতা আছে, এর মধ্য থেকেই আমাদের সতর্ক হয়ে চলার বিকল্প নেই। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন তা পৃথিবীর প্রাকৃতিক উৎপাদন ক্ষমতা বিঘ্নিত করতে না পারে। তাই এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম হচ্ছে, ''Seven billion dreams. One planet. Consume with care." — বাংলায় মোটামুটি এ রকম বলা যায়, ''শত শত কোটি মানুষের জীবন ও স্বপ্ন হচ্ছে একটি গ্রহ নিয়েই, তাকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে।''

আধুনিক বৈশ্বিক অর্থনীতি ও পৃথিবীর প্রাকৃতিক সুস্বাস্থ্য পরস্পরেরর সঙ্গে অপরিহার্যভাবে জড়িয়ে রয়েছে। সর্বত্র আজ ডাক উঠেছে ক্ষয়শীল প্রকৃতি পুনর্জীবিত করার; কারণ তা না হলে বৈশ্বিক অর্থনীতির সুস্থতাও হারাতে হবে। আজকের প্রকট বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতি যে কারণেই সৃষ্টি হোক না কেন, এটি দ্রুত কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রকৃতির সুস্থতা যে মহৌষধ হিসেবে কাজ করবে, সে বিশ্লেষণ অনেকেই করছেন।

পৃথিবীর প্রকৃতিস্থতা রক্ষার জন্য বনের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু বনের ক্রমবর্ধমান ক্ষয় তা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে নষ্ট করছে। পৃথিবীতে এখনও প্রায় চার বিলিয়ন হেক্টর বন টিকে আছে। সুতরাং বৈশ্বিক অর্থনীতি সুস্থ রাখার জন্য এই বন যে কোনো মূল্যে টিকিয়ে রাখতে হবে। হারিয়ে যাওয়া বনভূমিও ফিরিয়ে আনতে হবে বন্য আবহে।

এপ্রিল ২০০৯ পর্যন্ত পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা প্রায় ৬.৭৭ বিলিয়ন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সর্বোচ্চ হার ১৯৬২-১৯৬৩ সালে বার্ষিক ২.২ শতাংশ হলেও ২০০৭ সালে তা ১.১৯ শতাংশে এসে পৌঁছেছে। তা সত্ত্বেও ২০৫০ পর্যন্ত পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা বাড়তেই থাকবে বলে জনসংখ্যা বিশারদদের ধারণা। তাদের হিসাবে ২০৫০ সাল পর্যন্ত এই জনসংখ্যা প্রায় ৯.৬ বিলিয়নে পৌঁছাবে।

পৃথিবীর সর্বত্র জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ও ঘনত্ব সমান নয়। মহাদেশ হিসাবে মোট জনসংখ্যা ও ঘনত্বের বিচারে এশিয়া সবচেয়ে জনবহুল। বাংলাদেশ শুধু এশিয়াতেই নয়, সমগ্র পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি জনবহুল। বর্তমানে এর মোট জনসংখ্যা হচ্ছে ১৫,৫৬,৮৮,৬৬০ জন। আর প্রতি বর্গ কিলোমিটারে এখানে প্রায় ১,০৫৫ জন বাস করে।

বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নিয়ে ভারত পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল দেশ। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা প্রতিনিয়তই তাদের নিজস্ব প্রয়োজনে প্রাকৃতিক বন ও সৃজিত বনের উপর কাষ্ঠল ও অকাষ্ঠল দ্রব্য সংগ্রহের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করছে। শুধু তাই নয়, অধিক জনসংখ্যার জন্য অধিক বসতবাটি নির্মাণ, অধিক খাদ্যের প্রয়োজন মিটানোর জন্য কৃষিক্ষেত্রের বিস্তার ও শিল্প স্থাপনার জন্য বনভূমির আকার ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হয়ে আসছে।

এই চাপ কমানো না গেলে জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান প্রেক্ষাপটে অতি বৃষ্টিপাতে মাটিক্ষয়, বন্যা, বৃষ্টিপাতের পুনরাবর্তন এবং ভূত্বকের অভ্যন্তরে পানির সঞ্চয়ের ক্রমহ্রাসমানতার উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিশেষ করে বনে বার্ষিক উৎপাদিত বনজদ্রব্যের পরিমাণের চেয়ে বেশি মাত্রায় বন থেকে এর সংগ্রহই বনের অব্যাহত উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত করছে। বনের ক্ষয়ও হচ্ছে মূলত এ জন্যই।

শিল্পোন্নত দেশে কাঠের ব্যবহার হচ্ছে কাগজ উৎপাদনের জন্য, আর গরিব দেশগুলোতে জ্বালানি হিসাবে। বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশেই মোট শক্তি ব্যবহারের অর্ধেকেরও বেশি জৈব জ্বালানি থেকে আসে। আর তা গ্রামীণ এলাকায় শতকরা প্রায় ৯০ শতাংশ। জৈব জ্বালানির বেশিরভাগই আসে গৃহস্থালি বন ও কৃষিক্ষেত্র থেকে। এর মধ্যে গৃহস্থালি বন থেকে উদ্ভূত জৈব জ্বালানির ব্যবহার সর্বোচ্চ। সেখানে আবার জ্বালানি কাঠের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। গ্রামীণ এলাকায় যত জৈব জ্বালানি ব্যবহার করা হয়, তার প্রায় ৯০ শতাংশই রান্নাবান্নার জন্য। রান্নায় যেসব চুলা ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর বেশিরভাগই কম দক্ষতাসম্পন্ন। যার ফলে জ্বালানি কাঠের ব্যবহার স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি।

কাঠের এসব ব্যবহার কমিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার যে অন্তর্নিহিত দক্ষতা প্রত্যেক দেশের আছে, তা যদি কাজে লাগানো যায়, তাহলে বনের ক্ষয় অবশ্যই আটকানো সম্ভব।

কাগজ পুনরাবর্তনের মাত্রা বিভিন্ন উন্নত দেশে বিভিন্ন রকম। ওয়াশিংটনের আর্থ পলিসি ইনস্টিটিউটের Laster R. Brownএর তথ্যমতে, সবচেয়ে বেশি কাগজ উৎপাদনকারী প্রথম দশটি দেশের মধ্যে চীন ও ফিনল্যান্ড যথাক্রমে ৩৩ ও ৩৮ শতাংশ কাগজ পুনরাবর্তন করে। অথচ দক্ষিণ কোরিয়া ও জার্মানিতে এ হার যথাক্রমে ৭৭ এবং ৬৬ শতাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর সর্বোচ্চ কাগজ ব্যবহারকারী হলেও কাগজের পুনরাবর্তনের মাত্রা দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে অনেক কম। দক্ষিণ কোরিয়া যে মাত্রায় কাগজের পুনরাবর্তন করছে, সে মাত্রায় যদি পৃথিবীর প্রত্যেক দেশ করে, তাহলে মণ্ডের প্রয়োজন এক তৃতীয়াংশ কমে যেত। তাতে বনের উপর নির্ভরশীলতাও অনেকাংশে কমবে।

কাগজের ব্যবহার কমানোর জন্য কতগুলি কৌশল অবলম্বন করা যায়। বিশ শতকে কাগজ ব্যবহারের একটি বিশেষ দিক আমরা বিশ্লষেণ করলে খুঁজে পাই; তা হচ্ছে, কাগজজাত দ্রব্য একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া এবং তা পুনরাবর্তন না করা। একবার ব্যবহারযোগ্য কাগজজাত দ্রব্য ব্যবহার না করে বিকল্প দ্রব্য ব্যবহার করা হলে কাগজের ব্যবহার অনেকাংশে কমবে। যেমন, ফেসিয়াল টিস্যু, কাগজের ন্যাপকিন, শিশুদের ডায়াপার, কাগজের শপিং ব্যাগ ব্যবহার না করে পুনঃব্যবহারযোগ্য কাপড় পরতে পারি।

বনজদ্রব্য ব্যবহারে পরিবর্তনের ধারণাই হয়তো বনরক্ষায় যথেষ্ট নয়। পৃথিবীর যেসব দেশে বেশি বেশি বন ধ্বংস হচ্ছে, যেমন বাংলাদেশসহ চীন, ফিলিপিন্স ইত্যাদি দেশে আইনের মাধ্যমে বন সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। এ পর্যন্ত আইন প্রয়োগ করে প্রায় ২৯০ মিলিয়ন হেক্টর বনভূমির কাঠ কাটা বন্ধ করা গেছে।

বিভিন্ন দেশে গৃহীত সরকারি নানা পদক্ষেপের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন ও পরিবেশ বিষয়ক এবং আর্থিক সংস্থাগুলো বনরক্ষায় এগিয়ে আসছে। ১৯৯৭ সালে বিশ্ব ব্যাংক World Wide Fund for Nature (WWF)এর সঙ্গে জোট বেঁধেছে বিশ্বব্যাপী বনের টেকসই ব্যবহার ও সংরক্ষণের জন্য। তারা ২০০৫ সালের মধ্যে বিভিন্ন দেশে ৫৫ মিলিয়ন হেক্টর বনভূমি সংরক্ষিত ঘোষণা করতে সহযোগিতা করেছে। ২০০৫ সালের মাঝামাঝি তারা ঘোষণা দিয়েছে যে, ২০২০ সালের মধ্যে বনধ্বংস শূণ্যের কোটায় নিয়ে আসতে সব রকম সহযোগিতা করবে।

আন্তর্জাতিক মানের একটি বড় কর্মসূচি Forest Stewardship Council (FSC)এর মাধ্যমে পৃথিবীব্যাপী পরিচালিত হচ্ছে। এটি বিভিন্ন দেশে বনজদ্রব্য সংগ্রহের উপর সনদ দেওয়ার কাজ করছে। যেসব দেশ বড় আকারের বনজদ্রব্য রফ্তানি করে থাকে, এই কর্মসূচির ফলে তারা ক্রমান্বয়ে বনজসম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার দিকে ঝুঁকছে। এ পর্যন্ত ৭৬ দেশের প্রায় ৮৮ মিলিয়ন হেক্টর বনভূমিতে FSC অনুমোদিত সংস্থা সনদ দিচ্ছে।

নতুন করে বনের সৃজন প্রাকৃতিক বনের উপর চাপ কমাতে পারে। ২০০৫ সাল নাগাদ পৃথিবীতে মোট সৃজিত বন ছিল ২০৫ মিলিয়ন হেক্টর। সৃজিত বনে বল্লি কাঠের (Timber) উৎপাদন পৃথিবীব্যাপী বার্ষিক প্রায় ৪৩২ মিলিয়ন ঘন মিটার। যা সকল কাঠ উৎপাদনের ১২ শতাংশ। তাহলে বাকি ৮৮ শতাংশ নিশ্চয়ই প্রাকৃতিক বন থেকে আহরিত হয়। FAO (Food and Agriculture Organization of the United Nations) ধারণা করে, ক্ষয়প্রাপ্ত বনভূমি অন্য কোনো কাজে ব্যবহার না করে শুধু সৃজিত বনের জন্য ব্যবহার করা হলে সৃজিত বনের এলাকা ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। আর তাতে আগামী তিন দশকে দ্বিগুণেরও বেশি কাঠ আহরণ করা যাবে।

তাহলে এটি বোঝা যায় যে, এটি পৃথিবীর সকল শিল্পকাঠের চাহিদা মেটাতে পারবে এবং তা নিশ্চয়ই প্রাকৃতিক বনের উপর চাপ কমাবে।

দক্ষিণ কোরিয়া বন পুনঃসৃজনের ক্ষেত্রে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। ৫৫ বছর আগে কোরিয়ার যুদ্ধ শেষ হলে দেশটির প্রায় সব বন ধ্বংস হয়ে যায়। ষাটের দশকের প্রথম দিকে প্রেসিডেন্ট পার্ক চুং হিএর নেতৃত্বে ও অনুপ্রেরণায় কোরিয়ান সরকার বড় ধরনের বন পুনঃসৃজন কর্মসূচি হাতে নেয়। এতে গ্রামীণ সমবায় গঠনের মাধ্যমে হাজার হাজার লোক ন্যাড়া পাহাড়গুলোতে গাছ লাগানো শুরু করে। বর্তমানে সেখানে প্রায় ৬৫ শতাংশ জায়গা বনে আবৃত। যা প্রায় ৬ মিলিয়ন হেক্টরের সমান। নতুন করে গাছ লাগানোর জন্য এখন সেখানে কোনো জায়গা খুঁজে পাওয়া দুস্কর।

এ নিবন্ধের লেখক নিজে ঘুরে ঘুরে দক্ষিণ কোরিয়ার বনায়নের সাফল্য যাচাই করেছে। লেখক এতটাই মুগ্ধ হয়েছে যে, বনধ্বংসের এ সময়ে কোরীয়দের সাফল্যগাথা পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার অনুপ্রেরণা অনুভব করে।

অধিক দক্ষতাসম্পন্ন রান্নার চুলা ও রান্নার বিকল্প জ্বালানি, কাগজের বিজ্ঞানসম্মত পুনরাবর্তন, একবার ব্যবহারযোগ্য কাগজের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা পৃথিবীর বনের উপর চাপ কমাতে পারে বলেই এই নিবন্ধ মত প্রকাশ করে। পাশাপাশি নতুন বন সৃজন ও পূনঃসৃজন বনজদ্রব্যের চাহিদা মিটিয়েও প্রাকৃতিক বন সংরক্ষণ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার সাফল্যের পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে।

তবে প্রত্যেক কর্মসূচিতে জনসাধারণকে জড়ানো না গেলে সাফল্য আসবে না। এ জন্য সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা দরকার। সবার উপর দরকার রাজনৈতিক প্রতিজ্ঞা। যা দেশকে পরিবেশবান্ধব হয়ে টেকসই উন্নয়নের দিকে ধাবিত করবে।

এই পৃথিবী আমাদের। যাদের কর্মকাণ্ডের ফলে পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে পড়ছে, তাদেরকে শুধু দোষারোপ করে বসে থাকার সময় নেই। পৃথিবীর সব মানুষকে এখন দায়িত্বশীলতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। সে আত্মবিশ্বাস আমাদের মধ্যে তৈরি হতেই হবে যে, যদি সবাই একসঙ্গে কাজ করি, তাহলে সব বিপর্যয় আমরা মোকাবেলা করতে পারব।

ড. দানেশ মিয়া: অধ্যাপক, বনবিদ্যা ও পরিবেশবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।