স্ট্যানলি কুবরিকের ‘স্পেস অডিসি’: বিজ্ঞানের খোলসে রাজনীতি

Published : 21 July 2015, 04:55 PM
Updated : 21 July 2015, 04:55 PM

মানুষ গল্প শুনতে ভালোবাসে। এটা বিবর্তনগত উন্নয়নে সহায়ক। গল্পের মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে জীবনের অভিজ্ঞতা তথা মূল্যবোধের সঞ্চালন ঘটে। এককালে মানুষ মুখে গল্প বলত, আর এখন বলে সিনেমার মাধ্যমে। তবে গল্প ছাড়াও সিনেমায় আরও কিছু থাকতে পারে। থাকতে পারে দর্শককে মোহিত করার মতো দৃশ্য; তাকে আবেগমথিত করা চরিত্র অথবা চমৎকার অভিনয়; অভিভূত করা এডিটিং; ক্যামেরার অসাধারণ কাজ; মনোমুগ্ধকর স্পেশাল ইফেক্ট। আর সিনেমায় গল্প যেহেতু দৃশ্যরূপে উপস্থাপিত, তাই গল্পের মাধ্যমে স্বপ্ন দেখানো সেখানে খুব সম্ভব, যদিও তার থাকতে পারে কোনো বিশেষ রাজনৈতিক-দার্শনিক উদ্দেশ্য।

স্ট্যানলি কুবরিকের ১৯৬৮ সালের ছবি '২০০১: আ স্পেস অডিসি' নিয়ে বলতে গেলে সিনেমার উৎকর্ষতার এমন বহু কিছু উল্লেখ করার আছে। গত প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে শৈল্পিক ও কারিগরি দিক দিয়ে একটি অসাধারণ চলচ্চিত্র হিসেবে এটি বিবেচিত হয়ে আসছে। চলচ্চিত্রকারদের জন্যও এটি একটি শিক্ষণীয় চলচ্চিত্র হিসেবে গণ্য। এর ড্রামা, সিনেম্যাটিক কনসেপ্ট ও স্পেশাল ইফেক্ট অসাধারণ। চাঁদে মানুষের অবতরণ যখন নিকট ভবিষ্যতের বাস্তবতা, তখন সেই দৃশ্য বাস্তবসম্মতভাবে ফুটিয়ে তোলা সহজ কথা নয়। মনে রাখতে হবে, মানুষ চাঁদে পা রাখার আগেই ছবিটি মুক্তি পেয়েছে।

সাদা চোখে এটি সাই-ফাই দর্শকদের জন্য চমৎকার একটি সিনেমা। আবার কেউ যদি এই ছবির কাহিনির সুপ্ত অর্থ বোঝেন তাহলে ছবিটি হঠকারী। এটি একটি ঝাঁ চকচকে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ধর্মীয় দর্শনের প্রচার। পরিচালক স্ট্যানলি কুবরিক নিজেই বলেছেন:

On the deepest psychological level the film's plot (2001: A Space Odyssey) symbolizes the search for God,

— 'রোলিং স্টোন' ম্যাগাজিনকে দেওয়া ইন্টারভিউ

'প্লেবয়' ম্যাগাজিনকেও তিনি বলেছেন:

I will say that the God concept is at the heart of 2001.

[রেফারেন্স ৯ ও ১০এ পাওয়া যাবে সাক্ষাৎকার দুটির উল্লিখিত অংশ]

কোন লক্ষ্য থেকে এমন একটা ছবি তৈরি করলেন স্ট্যানলি কুবরিক? জবাব হচ্ছে, সন্ত্রস্ত মানসিকতার সমর রাজনীতির দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন তারা। ষাটের দশকে ভিয়েতনামে কোনঠাসা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল কমিউনিস্ট আগ্রাসনের ভয়ে ভীত। দূরদেশে লুটপাট করা পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে স্বঘোষিত নাস্তিক সমাজতন্ত্রীদের দ্বারা। ঐ সময় তারা ভাবতেন, একমাত্র ধর্মই বুঝি এই 'বিপর্যয়' ঠেকানোর ভালো অস্ত্র।

ওদিকে, ১৯৬২ সালের অক্টোবরের 'কিউবান মিসাইল ক্রাইসিস' আমেরিকাকে নিজের দেশে পারমাণবিক আক্রমণের ভয়ে ভীত করে তোলে। সামরিক দিক দিয়ে নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে মিসাইল ডিফেন্সে অনেক বাজেট খরচ করতে হচ্ছে তখন তাদের। এই বাজেট যুক্তিসঙ্গত করতে মহাকাশ গবেষণা ও চাঁদ থেকে গ্রহ-গ্রহান্তরে গমন মানব জাতির জন্য অতীব জরুরি এবং নিকট ভবিষ্যতেই সম্ভব বলে সমাজে এক ধারণা তৈরির প্রয়াস শুরু হয় যাতে মানুষ ঐ স্বপ্নে বিভোর থাকে ও খরচাপাতি নিয়ে প্রশ্ন না করে।

পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষ করে আমেরিকা যুদ্ধের জন্য ধর্মকে সব সময় ব্যবহার করেছে। জর্জ বুশ ইরাক আক্রমণের আগে বলেছিলেন, তিনি নাকি স্বপ্নে দেখেছেন ঈশ্বর তাকে ইরাক আক্রমণ করতে বলেছেন:

President Bush said to all of us: 'I am driven with a mission from God'. God would tell me, 'George go and fight these terrorists in Afghanistan'. And I did. And then God would tell me 'George, go and end the tyranny in Iraq'. And I did.

[দ্য গার্ডিয়ান; অক্টোবর ৭, ২০০৫]

যুগে যুগে ধর্মকে ব্যবহার করে যুদ্ধ করতে গিয়ে শাসকেরা ঘোষণা করেছেন তারাই শত্রু দমনের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তি– দ্য চোজেন ওয়ান। '২০০১: আ স্পেস অডিসি' তেমনই এত তত্ত্বের প্রচারক। ঠাণ্ডা যুদ্ধকালে এই চলচ্চিত্র দার্শনিকভাবে তরুণ প্রযুক্তিপ্রেমী প্রজন্মের কাছে যে বক্তব্য রাখে তা হল, মহাবিশ্বের কোনো উন্নত মহাপ্রাণের সঙ্গে তাদেরই যোগাযোগ হয়েছে– তারাই সেই 'চুজেন ওয়ান'।

এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সেই পিউরিটান এলিটিস্ট আদর্শবাদ– আবেগ ও রাজনীতি মন্দ, মানুষ অসৎ আর প্রযুক্তিই ভালো। যে সব মানুষ কম্পিউটারের মতো, তারা শুদ্ধ। আমরা শুদ্ধ; কারণ আমরা মহাশক্তিধর সত্তার আশীর্বাদপুষ্ট। এটাই এলিটিজম।

প্রায় নির্বাক এই চলচ্চিত্রের কাহিনি বোঝা অবশ্য অত সহজ নয়। যারা মহাকাশ বিজ্ঞান, জীব-বিবর্তন, সাইবারনেটিক্স (বুদ্ধিমান কম্পিউটার) আর জীবনের দার্শনিক দিকগুলো নিয়ে ছোটখাট চর্চা করেন না তাদের কাছে এই ছবি অতি ধীর ও বিরক্তিকর মনে হতে পারে। তবে কাহিনি বুঝতে পারলে প্রায় নির্বাক ও আ্যাবস্ট্রাক্ট এই ছবি যেন দৃশ্যমান কবিতা।

ছবিটি কয়েক পর্বে ভাগ করা। 'দ্য ডন অব মুন' নামের প্রথম পর্বে দেখা যাচ্ছে, খরাময় পাথুরে অঞ্চলে দুদল হোমিনিড (মানব প্রজাতির প্রাইমেট) একটা ছোট জলাশয়ের দখল নিয়ে মারমুখী অবস্থানে। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় তারা হিংস্র শিকারি প্রাণির ভয়ে সেদিনের মতো যুদ্ধবিরতি দিয়ে গুহায় ফিরে যায়। ভোরের আলো ফুটতে থাকলে বাইরে বেরিয়ে একটা দল তাদের গুহার সামনের মাটিতে স্থাপিত মসৃণ নিকষ কালো অদ্ভুত আয়তাকার একটি বস্তু দেখতে পায়। যাকে বলা হয়েছে, 'মনোলিথ'– টিএমএ-জিরো (টাইকো ম্যাগনেটিক অ্যানোমেলি)। উৎসাহী কেউ কেউ সেটা স্পর্শও করে দেখে।

আজব দেখতে কোনো বুদ্ধিমান সত্তা-নির্মিত বস্তুটি যারা স্পর্শ করল তারা মৃত প্রাণির লম্বা হাড়গুলো লাঠির মতো করে ধরার কৌশল আয়ত্ত করে ফেলল। এরপর নিরস্ত্র বিবাদী দলকে (যারা মনোলিথ ছোঁয়নি) তারা সেই হাড় দিয়ে পিটিয়ে দ্রুত পরাজিত করে। অর্থাৎ কোনো দূর মহাশূন্যের বুদ্ধিমান সত্তার কৃপায় অস্ত্রের ব্যবহার শিখল প্রাইমেটরা।

এখানেই সেই বিখ্যাত সিনেমাটিক শট। জেতার পর ঐ দলের নেতা হাড়টা আকাশের দিকে ছুঁড়ে দেয়। সেটা ঘুরতে ঘুরতে ওপরে ওঠে যায়। তখনই কাট শটে দেখা যায় মহাশূন্যে একইভাবে ঘুরছে ডাম্বেল আকৃতির একটি স্পেস স্টেশন। প্রি-হোমোস্যাপিয়েন যুগ থেকে আমরা চলে যাই এক লাফে ২০০১ সালে।

দ্বিতীয় পর্ব 'টিএমএ-ওয়ান'এর কাহিনি চাঁদে। চাঁদের পিঠে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে রয়েছে সোভিয়েত ও মার্কিনিদের বেস স্টেশন। কিছু একটা লুকোছাপা চলছে দুদেশে। গুজব রটেছে, মহামারী দেখা দিয়েছে আমেরিকান বেসে, তাই সেটা এখন বিচ্ছিন্ন। আসলে আমেরিকান বেসে আবার দেখা গিয়েছে 'মনোলিথ'। সেটা তারা গোপন রাখতে চায় সোভিয়েতদের কাছ থেকে। চন্দ্রপৃষ্ঠে খননকাজ করতে গিয়ে সেটা পাওয়া যায় এক রাতে। সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে 'মনোলিথ' থেকে রেডিও সংকেত ছুটে যায় বৃহস্পতির দিকে।

তৃতীয় পর্ব 'জুপিটার মিশন'এ দেখা যায়, আঠার মাস পর মহাকাশযান ডিসকভারি ছুটে চলেছে বৃহস্পতির দিকে। ছয় মহাকাশচারীর তিনজন ক্রায়োজেনিক নিদ্রায়, দুজন ভ্রমণরত। শেষের জন সদাজাগ্রত মিশনের সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণকারী। আসলে সে মানববুদ্ধি অনুকরণকারী, অত্যাধুনিক কথা-বলিয়ে কম্পিউটার যার নাম 'হ্যাল- ৯০০০'। যদিও সে কিছুটা আবেগও প্রদর্শন করে মাঝে মধ্যে, তবে সেটা আসল কিনা তা নিয়ে কেউ নিশ্চিত নয়।

মিশন চলছিল রুটিনমাফিক। হঠাৎ 'হ্যাল' মিশন ক্রু 'ডেভ বো-ম্যান'কে বলে যে, মিশনটা সন্দেহজনক, সে এ বিষয়ে বিশেষ কিছু জানে কিনা। 'বো-ম্যান' অবাক হয়। 'হ্যাল' বলে, অতিমাত্রায় নিরাপত্তা, বাকি ক্রুদের মিশন শুরুর আগে থেকেই ঘুমপাড়ানো এসব দেখে তার সন্দেহ হয়েছে। সে রিপোর্ট করে, বাইরে প্রধান আ্যান্টেনার একটা যন্ত্র নষ্ট হয়ে যাবে বলে তথ্য মিলছে, সেটা মেরামতের জন্য মহাকাশযানের বাইরে কাজ করতে হবে। তারা ইভিএ করে সেটা খুলে নিয়ে আসার পর 'হ্যাল' বলে, সেটা ঠিকই আছে।

পৃথিবীতে থাকা মিশন কন্ট্রোলের কাছে এমনটা ঘটার কারণ জানতে চায় অন্য ক্রুরা। কন্ট্রোল বলে, তাদের কাছে 'হ্যাল'এর যে জমজ ইউনিট রয়েছে তাকে দিয়ে পরীক্ষা করানোর পর দেখা গেছে যে, ডিসকভারির 'হ্যাল' ত্রুটিপূর্ণ কাজ করেছে। গোপন আলাপে দুজন মহাকাশচারী সিদ্ধান্ত নেয় 'হ্যাল'এর নিয়ন্ত্রণক্ষমতা কমিয়ে দেবার। কিন্তু 'হ্যাল' তাদের লিপ রিডিং করে সেটা বুঝে ফেলে।

মিশন ক্রু 'পুল' আবার ইভিএ করতে যায় প্রধান আ্যান্টেনার ঐ যন্ত্র পুনঃস্থাপন করতে। 'বো-ম্যান' দেখে, সংযোগ-রজ্জু ছিঁড়ে 'পুল' মহশূন্যে হরিয়ে যাচ্ছে। তখনও সে বুঝতে পারেনি যে, 'হ্যাল' এই অপকর্ম করেছে। 'পুল'কে বাঁচাতে 'বো-ম্যান' দ্রুত পড (ছোট যান) নিয়ে বের হয়ে যায়। গিয়ে দেখে, 'পুল'এর আক্সিজেন টিউবও কাটা। 'বো-ম্যান' বুঝতে পারে, এটা দুর্ঘটনা নয়। ফিরতে গিয়ে সে দেখে, 'হ্যাল' পড বে ডোর (ডিসকভারিতে ঢোকার দরজা) আটকে দিয়েছে। বাকি তিন ঘুমিয়ে থাকা ক্রুকেও দ্রুত মেরে ফেলেছে। তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জরুরি দরজা দিয়ে ডিসকভারিতে ঢোকে 'বো-ম্যান'। প্রথমেই 'হ্যাল'কে অকার্যকর করে সে। 'হ্যাল' শাট-ডাউন হলে চালু হয় এক গোপন ভিডিও বার্তা। যাতে জুপিটার মিশনের আসল উদ্দেশ্য পঠিত হয়। চার মিলিয়ন বছরের পুরনো চাঁদে পাওয়া 'মনোলিথ' ওপরে বৃহস্পতির দিকে রেডিও বিকিরণ করছে, সে কথাও জানা যায়।

চতুর্থ পর্ব 'জুপিটার অ্যান্ড বিয়ন্ড দ্য ইনফিনিট'। একাই বৃহস্পতির কক্ষপথে পৌঁছায় 'বো-ম্যান'। সেখানে সে দেখা পায় আরেকটি বিশাল মনোলিথের। সেটির কাছে যাওয়া মাত্রই রঙিন আলোর ঝলকানির এক ঘূর্ণির মধ্যে নিমজ্জিত হয় সে। শুরু হয় সৃষ্টিকর্তা সত্তার সঙ্গে তার মিলিত হবার যাত্রা।

তাহলে ছবিটির সারমর্ম কী? সেটি হল, দূর আসমানের কোনো অতিবুদ্ধিমান সত্তার ছোঁয়ায় আমরা বুদ্ধিমত্তা লাভ করে মানুষ হয়েছি (টিএমএ-জিরো)। মহাশূন্য-ভ্রমণ শেখার পর তারা (টিএমএ-ওয়ান) আমাদের বলেছে বৃহস্পতির দিকে যাত্রা করতে। কিন্তু মানুষের আবেগ ও গোপন রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ 'বিশুদ্ধ' কম্পিউটারকে বিভ্রান্ত করে তাকে বিপথে চালিত করেছে। অতিবুদ্ধিমান সত্তা যাদের নির্বাচিত করেছে তারাই 'দ্য চোজেন ওয়ান'। আর এভাবেই মানুষের লক্ষ বছরের আবেগ, ভালোবাসা, রাজনীতি ও যুদ্ধে বহু ত্যাগ ও আদর্শে পশু থেকে মানবিকতায় উত্তরণের সংগ্রামের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে এই চলচ্চিত্রে।

খ্যাতনামা মিথতত্ত্ববিদ জোসেফ ক্যম্পবেল বলেছেন, প্রাকৃতিক বা আদি ধর্মগুলোর চেয়ে আসমানের ধর্মগুলোর ক্ষতিকর দিক এই যে, সেগুলো প্রকৃতি থেকে মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। প্রকৃতি-ধর্মে যেখানে ভালো-মন্দ সকল বস্তু ও প্রাণির মধ্যে ঈশ্বর বিদ্যমান, তাই সব কিছুই পূজনীয় এই ধারণা দেয় এবং তাতে সারা পৃথিবী একীভূত সত্তায় পরিণত হয়, আসমানি ধর্ম তার বিপরীত। সেখানে মানুষ সব কিছু থেকে আলাদা, উন্নত; কারণ ঈশ্বরের ছোঁয়ায় তার সৃষ্টি। এমনকি মানুষের আবেগ, ভালোবাসা, রাজনীতি এ সবই পথভ্রষ্টকারী। মানুষের পরম লক্ষ্য ঈশ্বরের সঙ্গে মিলিত হওয়া, সাত আসমানের উপরে।

স্বয়ং বিজ্ঞানের খোলসে এমন প্রকৃতিবিরোধী ও অবৈজ্ঞানিক দর্শনের প্রচার সত্যি এক অসাধারণ ফাঁকিবাজি। এ যেন মধ্যযুগের কোনো যুদ্ধবাজ রাজাকে ধর্মগুরুর আশীর্বাদের রূপকথা শোনানো হচ্ছে– 'যাও, ওগিয়ে যাও, শত্রু খতম কর, তুমিই 'দ্য চোজেন ওয়ান'। সমাজতন্ত্রের প্রসারের ভয়ে ভীত এবং মিসাইল গবেষণায় বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার নাসাতে লগ্নি করার সময় এমন এক বিজ্ঞানসম্মত ধর্মীয় আশীর্বাদের খুবই প্রয়োজন ছিল।

সন্দেহ নেই, পশ্চিমা বিজ্ঞান-সংস্কৃতির অনেক কিছুই আজও এমন হঠকারী ও বিভ্রান্তিকর।

সিরাজুল হোসেন: লেখক, আলোকচিত্রী।