মেধাসম্পদ: ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নবুনন

মোস্তাফা জব্বার
Published : 29 April 2011, 03:08 PM
Updated : 29 April 2011, 03:08 PM

অন্য বছরের মতো ২০১১ সালের ২৬ এপ্রিল বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস পালিত হয়েছে। সকালে রে‌লী হয়েছে।  খবরের কাগজে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। দুপুরে সেমিনার হয়েছে। বিকালে বিটিভিতে প্রচারিত হয়েছে টক শো। তারও আগে ২৩ এপ্রিল ২০১১ প্রথমবারের মতো গ্রন্থ ও কপিরাইট দিবস অনাড়ম্বর আনুষ্ঠানিকতা দিয়ে পালিত হয়েছে। কিন্তু যে কারণে এই দিনগুলো পালিত হলো সেই মেধাসম্পদের দশা যেমনটি নাজুক ছিলো দিনে দিনে সেটি আরও নাজুক হচ্ছে। অথচ আমরা একটি মেধাভিত্তিক সভ্যতায় জ্ঞানভিত্তিক একটি সমাজ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করে বসে আছি।

ডিজিটাল প্ল্যানেটের অংশ হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার দৃঢ়প্রত্যয়ে সামনে এগুতে থাকা বাংলাদেশের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ডিজিটাল যুগে আমরা কোন সম্পদ সঙ্গে  নিয়ে যাবো। একটি কৃষিভিত্তিক সমাজে চাষের জমি, গরু বাছুর, পরিশ্রমী মানুষ এইসব সম্পদ আমাদের জন্য যথেষ্ট ছিলো এবং সেইসব সম্পদ নিয়ে কৃষি যুগে আমরা সোনার বাংলায় সুখ-সমৃদ্ধির সাথে বসবাস করতাম। শিল্পযুগের সিড়িতেই আমরা পা দিতে পারিনি। ফলে ঐ যুগের সম্পদ আমাদের বলতে গেলে নেই। যতোটুকু ছিটেফোটা আমাদের শিল্প কলকারখানা রয়েছে সেগুলো প্রধানত সেবাখাতের শিল্প প্রতিষ্ঠান।  ফলে আমরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলছি তখন কার্যত একটি কৃষিভিত্তিক দেশকে শিল্পযুগ লাফ দিয়ে পার হয়ে ডিজিটাল যুগে পৌঁছানোর কথা বলছি। এই পরিবর্তনটির একটি চিত্র আমরা দেখতে পারি।

ওপরের  রেখাচিত্রটি মার্কিন অর্থনীতিতে চারটি প্রধান খাতের অবদান বিষয়ক।  এটি আপটুডেট নয়। এখন থেকে একুশ বছর আগের রেখাচিত্র এটি। কিন্তু তবুও এর সহায়তায় যুগ পরিবর্তনের চিত্রটি স্পষ্ট হয়েছে। এককালের কৃষি অর্থনীতি   যে কেমন করে শিল্পযুগ পার হয়ে তথ্যযুগে পৌঁছেছে সেটি এই রেখাচিত্রটি থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়। ১৮৬০ সালে যে মার্কিন অর্থনীতিতে কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের অবদান শতকরা প্রায় ৯৮ ভাগ ছিলো এবং তথ্যের অবদান ছিলো মাত্র শতকরা ২ ভাগের মতো ১৯৯০ সালে-অর্থাৎ ১৩০ বছরে সেটি পুরোটাই বদলে গেছে। তথ্য এককভাবে শতকরা ৫০ ভাগ অবদান রেখেছে। বিগত ২১ বছরে এই চিত্র অবশ্যই আরও বদলেছে এবং আমি ধারণা করি এটি যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের ক্ষেত্রেও পরিবর্তনটা একেবারে কম নয়। এখন আমাদের কৃষি জিডিপির শতকরা মাত্র ২০ ভাগ অবদান রাখে। এক সময়ে এটি শতকরা ১০০ ভাগ ছিলো। এই সময়ে আমাদের প্রবৃদ্ধি অনেক বেশি হয়েছে সেবা খাতে। আমাদের খুব কাছের দেশ থাইল্যান্ড তাদের সৃজনশীল থাইল্যান্ড কর্মসূচি ঘোষণা করার পর একটি দেশের সমৃদ্ধির জন্য যে কয়টি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছে সেগুলো হলো এরকম: কৃষি-শিল্প-তথ্য-জ্ঞান ও সৃজনশীলতা। ভ্যালু এডিশন নামক বিষয়টির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান হচ্ছে তথ্য, জ্ঞান ও সৃজনশীলতার। আমাদের জন্য এটি এজন্য খুবই গরুত্বপূর্ণ যে এই তিনটি ক্ষেত্রই মেধাসম্পদ সংশ্লিষ্ট। যদিও আজকালের শিল্প খাত বা কৃষিতেও মেধাসম্পদের ব্যাপক প্রয়োগ রয়েছে তথাপি আমরা যে ডিজিটাল যুগের স্বপ্ন দেখছি তাতে সবচেযে বড় ভূমিকা থাকবে তথ্য-জ্ঞান এবং সৃজনশীলতার।

আমাদেরকে এই কথাটি সম্ভবত বলে দিতে হবেনা যে তথ্য-জ্ঞান ও সৃজনশীলতার পেছনে মুখ্য ভূমিকাটি মানুষের। এই মানুষগুলো আবার শুধুমাত্র মানুষ নয়-ওরা মেধাবী  মানুষ। সৃজনশীল  কাজের মানুষ। আমরা দুনিয়ার কোন প্রান্তে এই জ্ঞানকর্মীদের অবস্থা কেমন তার একটি চিত্র দেখতে পারি। এতে দেখা যাবে যে উত্তর আমেরিকা, জাপান, তাইওয়ান, চীন, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া ও চীনের পর ভারতের অবস্থান। অথচ আমরা এই জ্ঞানকর্মী তৈরির তালিকাতেই নেই। একই সাথে আমরা সারা দুনিয়ার গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে ব্যয় করার চিত্রটিও দেখতে পারি। এই চিত্রেও দেখা যাবে যে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় যেখানে ইউরোপে সেখানে আমাদের নামই নেই তালিকায়।

আমরা খুব সহেজেই যেটি বুঝতে পারি সেটি হলো মেধা দিয়ে তৈরি সৃষ্টিই হচ্ছে মেধাসম্পদ। তবে যে বিষয়টি আমাদের বোঝার প্রয়োজন হতে পারে সেটি হলো মেধাসম্পদ আসলে কী কী? এখন পর্যন্ত আইনের আওতায় মেধাসম্পদ হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত বিষয়গুলো হলো কপিরাইট, প্যাটেন্ট, ডিজাইন, ট্রেডমার্ক, ট্রেড সিক্রেট, জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন, ট্রাডিশনাল নলেজ ইত্যাদি। আমরা যারা ব্যবসায়ী তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হলো কপিরাইট, ট্রেডমার্ক, প্যাটেন্ট, ডিজাইন, ট্রেড সিক্রেট ইত্যাদি। জিআই এবং ট্রাডিশনাল নলেজ প্রধানত সম্প্রদায়গত বিষয়। কপিরাইট সাধারণত বই-সঙ্গীত, চলচ্চিত্র, সফটওয়্যার, শিল্পকর্ম, ফটোগ্রাফি ইত্যাদি বিষয়ক। ট্রেডমার্ক হচ্ছে পণ্যের পরিচিতি বিষয়ক। ডিজাইন হচ্ছে পণ্যের নকশা বিষয়ক। অন্যদিকে প্যাটেন্ট হলো আবিষ্কার বিষয়ক।

ব্যবসায়ী বা সৃজনশীল মানুষদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মেধাসম্পদ সৃষ্টি ও তা রক্ষা করা। আমরা আমাদের ট্রেডমার্ক, ট্রেড সিক্রেট ও ডিজাইনগুলো নিবন্ধন করে রক্ষা করতে পারি। একই সাথে আমরা আমাদের আবিষ্কারকে প্যাটেন্ট করতে পারি। আমাদের অন্যান্য সৃষ্টি যেমন-বই, সফটওয়্যার, সিনেমা, সঙ্গীত ইত্যাদিকে কপিরাইটের আওতায় রক্ষা করতে পারি।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশে কেবলমাত্র কপিরাইট বিষয়টিতে মোটামুটি নিবন্ধন হয়ে থাকে। মেধাস্বত্ত্বের অন্য খাতগুলোতে তেমন আগ্রহ আমাদের নেই। আমাদের নিজেদের প্যাটেন্টের দরখাস্ত নেই বললেই চলে। ডিজাইনে কিছুটা আগ্রহ আমাদের আছে। তবে ট্রেডমার্কে আমরা এখনও তেমন আগ্রহী নই।

মেধাস্বত্ত্ব বিষয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট করা দরকার যে, এটি এমন এক স্বত্ত্ব যা নির্দিষ্ট সময়ের পরে উত্তীর্ণ হয়ে যায়। আসলে এটি মেধাস্বত্ত্বের অধিকারীকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মনোপলি প্রদান করে।

আমাদের দেশে কেবল যে মেধাস্বত্ত্ব সৃষ্টিতে অনাগ্রহ তাই নয়-আমরা মেধাস্বত্ত্ব রক্ষাতেও আগ্রহী নই। আমাদের মাঝে এই ধারণা কাজ করে যে, মেধাস্বত্ত্ব রক্ষা করলে বিদেশীরা উপকৃত হবে এবং আমরা নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো। এটি হতে পারে এজন্য যে, আমাদের মেধাস্বত্ত্ব না থাকায় আমাদেরকে অন্যের মেধাসম্পদ মূল্য দিয়ে ব্যবহার করতে হয়। হয়তো আন্তর্জাতিক সমঝোতার অংশ হিসেবে আমরা কিছু সময়ের জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা মেধাস্বত্ত্ব আইন প্রয়োগ করা থেকে রেয়াত পেতে পারি। কিন্তু এটি কোন না কোন সময়ে শেষ হয়ে যাবে। তখন মেধাস্বত্ত্বের চাপে পড়ে আমাদের নাজুক অবস্থা হয়ে দাড়াবে। উন্নত দেশগুলো ব্যবসা বাণিজ্যকে মেধাস্বত্ত্বের সাথে যুক্ত করে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করে থাকে। ফলে মেধাস্বত্ত্ব না মানলে আমাদের অন্য ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাধ্য।

আমাদের মতো একটি দেশে যারা মেধাসম্পদ তৈরি করেন তাদের অবস্থা খুবই নাজুক। সবচেয়ে বড় বিপদটি হচ্ছে মেধাসম্পদের মূল্য এবং মর্যাদা আমাদের কাছে নেই। আমাদের রাষ্ট্র-সমাজ-অর্থনীতি কোথাও মেধার চর্চা নেই এবং আমরা মেধাভিত্তিক একটি সমাজের জন্য সাংস্কৃতিকভাবে তৈরি নই। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা মুখস্থনির্ভর-সেখানে সৃজনশীলতার চর্চা করা হয়নি। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ট্রেডিং নির্ভর। সেখানেও আমরা সৃজনশীলতাকে গুরুত্ব দিইনা। আমাদের সমাজ নকলনির্ভর। আমরা সৃজনশীল মানুষদেরকে মর্যাদা দিইনা। এমনকি আমাদের রাজনীতি অর্থ ও পেশিনির্ভর হবার ফলে এখানেও মেধাবী মানুষের অংশগ্রহণ নেই বললেই চলে।

দুঃখজনক হলো, রাতারাতি এই অবস্থার পরিবর্তন করা যাবেনা। আমাদের চারপাশ খুব দ্রুত বা রাতারাতি পাল্টে যাবে সেটি মনে করার কারণ নেই। এখনও আমাদের নীতি নির্ধারকরা বিতর্ক করেন যে মেধাসম্পদ রক্ষা করলে আমরা লাভবান হবো না, বিদেশিরা লাভবান হবেন। এখনও দেশে কেউ যদি তার নিজের মেধাসম্পদ রক্ষা করার  চেষ্টা করেন তবে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। এখনও দেশে নকলবাজের পক্ষে মানুষের পাল্লা ভারী। এখনও রাষ্ট্র নকলবাজকে শাস্তি দেবার বদলে পৃষ্ঠপোষকতা করে।

সার্বিকভাবে বাংলাদেশে মেধাসম্পদ সৃষ্টি ও সুরক্ষার অবস্থা অত্যন্ত করুণ।  কেবলমাত্র বছরে একটি মেধাস্বত্ত্ব দিবস এবং একটি কপিরাইট দিবস পালন করেই আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন করতে পারবোনা। আমি মেধাসম্পদ সৃষ্টি ও রক্ষার জন্য কিছু অগ্রাধিকারভিত্তিক সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেশ করছি।
১) জাতীয় আয়ের দুই শতাংশ গবেষণা ও উন্নয়নে ব্যয় করতে হবে। ২) ব্যবসা প্রতিষ্ঠান-শিল্প-কল-কারখানা ও ব্যক্তিগত গবেষণা ব্যয়কে করমুক্ত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে গবেষণা ও আবিস্কারের জন্য সরকারীভাবে বরাদ্দ দিতে হবে। ৩) বেসরকারী খাতের গবেষণা ও আবিষ্কারের জন্য প্রণোদনা দিতে হবে এবং জাতীয় পুরষ্কারসহ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। ৪) দেশব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার বিস্তার ঘটাতে হবে এবং বিজ্ঞান ও গণিত চর্চাকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। ৫) মেধাস্বত্ত্ব দপ্তরসমূহকে একীভূত করে ওয়ান স্টপ সেবা চালু করতে হবে। মেধাসম্পদ দপ্তরসমূহে প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত স্থায়ী জনবল নিয়োগ দিতে হবে। ৬)  ট্রেডমার্ক, কপিরাইট এবং ডিজিাইন ও প্যাটেন্ট আইনসমূহ আপডেট করতে হবে এবং জি আই ও ট্রাডিশনাল নলেজ আইনসহ নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে। আমদানী  নীতি ও কাস্টমস আইন সংশোধন  করে মেধাস্বত্ত্ব সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করতে হবে। ৭) মেধাসম্পদ আইন প্রয়োগ করার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। তথ্য মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় গঠিত টাস্কফোর্সকে সক্রিয় করতে হবে। ৮) মেধাসম্পদ আইনগুলোকে মোবাইল কোর্টের আওতায় আনতে হবে এবং মেধাস্বত্ত্ব আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের অভিযান চালাতে হবে। ৯) মেধাসম্পদ সংক্রান্ত মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করতে হবে এবং এজন্য বিশেষ আদালত প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পুলিশ ও বিচারকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ১০) সরকার নিজে কোন পাইরেটেড বা কাউন্টারফ্রেটসহ মেধাস্বত্ত্বের লঙ্ঘন হয় এমন কোন পণ্য ব্যবহার করবে না। ১১) মেধাসম্পদ বিষয়ে জাতীয়ভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।     ১২) মেধাসম্পদ নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রয়োগ করতে হবে। ১৩) মেধাসম্পদ মূল্যায়ণের ব্যবস্থা করতে হবে। ১৪) মেধাসম্পদ নিবন্ধন ও বিচারের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দিতে হবে।
আমরা লক্ষ্য করেছি যে, বছরে একদিন মেধাসম্পদ চর্চা করেই আমাদের সময় কেটে যাচ্ছে। নিয়ম রক্ষা বা আনুষ্ঠানিকতাতেই আমরা নিজেদেরকে বন্দী করে রাখছি। আমাদের অঙ্গীকার যদি হয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা তবে কোনভাবেই কেবলমাত্র বাহ্যিক আনুষ্ঠানিকতায় মেধাসম্পদের বিষয়টিকে আবদ্ধ রেখে দিলে চলবেনা। আমাদের মেধাসম্পদ সৃষ্টিতে আন্তরিক হতে হবে-মেধাসম্পদ রক্ষায় সকল শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। যদি আমরা ভেবে থাকি যে ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে কেবল কম্পিউটার হাতে ঘুরে বেড়ানো এবং পাইরেসি করা তবে একদিন আমরা ডিজিটাল প্ল্যানেটের সবচেয়ে দুর্বল দেশে পরিণত হবো। আমরা কেউ নিশ্চয়ই তেমনটি চাইনা।