ভূমিকম্প-ঝুঁকি : ঢাকা ও মেক্সিকো কি একই পথের পথিক

নাজমুস সাকিব
Published : 18 April 2011, 01:34 PM
Updated : 18 April 2011, 01:34 PM

ঢাকা মহানগরীর জনসংখ্যা গত এক শতকে বেড়েছে প্রায় ১২০ গুণ আর আয়তনে বেড়েছে প্রায় ২০ গুণ। ঢাকামুখী এই জনস্রোতের চাপের কারণে ঢাকা ও এর চারপাশে সরকারী ও বেসরকারী উভয়খাতেই অনেক আবাসন প্রকল্প করা হয়েছে। একই সাথে ডেভেলপারদের সংখ্যাও বেড়েছে অনেকগুণ। শহরবৃদ্ধির এই মহোৎসবে অনেক ক্ষেত্রেই নির্মাণ কাজের মানের চাইতে এর দ্রুততা এবং মাটির গুনগত মানের চাইতে জমির অবস্থান আর দামের গুরুত্ব অনেক বেশি হয়ে উঠেছে আমাদের কাছে। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই যখন ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দূর্যোগের আশংকা তৈরি হয় তখন আতঙ্কিত না হয়ে আমাদের কোন উপায় থাকে না।

ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বর্তমানে বেশ বড় ধরনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০ বছর মেয়াদী যোগাযোগ পরিকল্পনা (STP) এবং বেশ কয়েকটি নতুন রাস্তা ও ফ্লাইওভারের নির্মান যাতায়াতের পাশাপাশি আবাসন শিল্পেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। বর্তমানেই ঢাকার পাশের জলাশয় আর নিচু জমিতে যে সংখ্যক আবাসন প্রকল্প আছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলে এর সংখ্যা অবশ্যই অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।

ভূমিকম্পে ঢাকার অবস্থার ব্যাপারে আলোচনার আগেই মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটির ব্যাপারে কয়েকটা বিষয় দেখে নেয়া দরকার। প্রায় ৭০০ বছর আগে অ্যাজটেকরা লেক টেক্সকোকোর অগভীর অংশে তাদের তেনোচতিতলান নগরীর সূচনা করে। বহুযুদ্ধের পর পনেরো শতকে তা এর্নান কর্তেসের হাত ধরে স্প্যানিশ আয়ত্বাধীনে আসে; নাম হয় মেক্সিকো। রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক কারনে শহর বহুগুন বৃদ্ধি পায় কিন্তু একই জায়গায়- ১৫০ থেকে ২৫০ ফুট গভীর লেক ভরাট করে। ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৫ এর সকাল ৭:১৯ –এ এই শহরে ৮.১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত করে। এর কেন্দ্র ছিল প্রায় ৩৫০ কিমি দূরে। কমপক্ষে ১০,০০০ জনের প্রাণহানী আর ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়। সেই সাথে ৪১২ টি ভবন ধ্বসে পড়ে আর তিন হাজারের উপর ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ভূমিকম্পের দুইটি দিক বিশেষজ্ঞদের বিস্মিত করে। প্রথমতঃ এই দূরত্বে ঘটা ভূমিকম্পের জন্য এই মাপের ক্ষয়-ক্ষতি হওয়া উচিত নয়; দ্বিতীয়তঃ যেখানে মূল ভূকম্পন ছিল কেবল দুই সেকেন্ডের সেখানে মাটি কাপঁছিলো প্রায় তিন থেকে চার মিনিট আর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ছয় থেকে পনেরো তলা ভবনগুলো।

মেক্সিকো সিটির এই দুরবস্থার সবগুলো পূর্বসঙ্কেত ঢাকাতেও বিদ্যমান- অর্থাৎ জলাশয় ভরাট করা মাটি ও তার উপরে দুর্বল স্থাপনা। ঢাকা কি তাহলে একই পথে যাচ্ছে? এর জবাবের পাশাপাশি এই নিবন্ধে আমরা নগরায়নের প্রক্রিয়ায় নতুন ভরাট জমিতে তৈরি বাড়িগুলোর ভূমিকম্প-ঝুকিঁর ব্যাপারে কিছু আশঙ্কা, কিছুটা হতাশা আর অল্প কিছু আশার কথা বলবো।

কোন বাড়ির ভূমিকম্প-ঝুকিঁ মূলতঃ দু'দিক থেকে বিবেচনা করা হয়। প্রথমতঃ গাঠনিক (স্ট্রাকচার) প্রকৃতি তথা এর বিভিন্ন অংশের শক্তি আর ভূমিকম্পের ঝাকুঁনীতে এর আচরণ ও অটুট থাকার ক্ষমতা এবং দ্বিতীয়তঃ মাটির অবস্থা। আমাদের দেশের স্থাপনার নির্মান তদারকির গাফিলতি খুবই সাধারণ ঘটনা। এমনকি ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ ছাড়াই বাড়ি তৈরির (এবং ভেঙ্গে পড়ার) ঘটনাও বিরল নয়। আবার যত্নের সাথে তৈরি বিল্ডিংও বিরল নয় যেখানে একাধিক দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার এর নির্মাণের তদারকি করেছেন। নির্মাণ কাজের এই অনির্ধারিত ধরনের জন্য এর বিশ্লেষণ করা বেশ কষ্টসাধ্য এবং মোটাদাগে কোন মন্তব্য করা সম্ভব নয়।

কিন্তু মাটির প্রকৃতির ক্ষেত্রে তুলনামূলক আলোচনা করা অনেকটাই সহজসাধ্য কেননা এর বৈশিষ্ট্য অঞ্চলভেদে মোটাদাগে মোটামুটি স্থির থাকে। ঢাকার ক্ষেত্রে বলা যায় যে এর মাটি প্রধানত দুই রকম। ঢাকা নগরীর প্রায় ৬০ ভাগ মাটি হল শক্ত লাল মাটি ( মধুপুর ক্লে) আর বাকি ৪০ ভাগ হল ভরাট মাটি ( Fill) (রহমান, ২০০৪) । অবশ্য নগরায়নের ফলে এই ভরাট মাটির পরিমাণ ক্রমশঃই বাড়ছে। ভরাট মাটির এলাকাগুলোতে স্থানভেদে ৪০ থেকে ১০০ ফুট গভীরতা পর্যন্ত নরম মাটি বা Loose বালি দিয়ে ভরাটকৃত। ১৮৯৭ সালে সংঘটিত রিখটার স্কেলে ৮.৭ মাত্রার* ভূমিকম্পটির মতো কোন ভূমিকম্পের পূনরাবৃত্তি ঘটলে শক্ত মাটির এলাকায় ক্ষতির তীব্রতা** সর্বোচ্চ ৮ এবং ভরাট মাটির এলাকায় স্থানভেদে ৯ থেকে ১০ পর্যন্ত হতে পারে। সংযুক্ত ম্যাপে ঢাকার ক্ষেত্রে এলাকাভেদে এই ক্ষতির তীব্রতা কোথায় কত হতে পারে তার ধারণা পাওয়া যাবে। ক্যান্টনমেন্ট এলাকা বাদে মোটামুটিভাবে ঢাকা মহানগরীর সবগুলো থানার জন্যই এই ম্যাপটি প্রযোজ্য। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, সব ভরাট করা অঞ্চলই ৯- ১০ তীব্রতার অংশে আছে।

ভরাট করা মাটিকে ভূমিকম্প ঝুঁকির দিক দিয়ে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণগুলোর একটি বলে গন্য করা হয়। এর তিনটি কারণ রয়েছে; মাটির লিক্যুইফেকশন ( তরল-আচরণ), ভূমিধ্বস (গ্রাউন্ড সাবসিডেন্স) এবং মাটি ও স্থাপনার মধ্যে অনুরণন ও কম্পনবৃদ্ধি। লিক্যুইফেকশন আক্ষরিকভাবেই মাটির তরলের মত আচরণ করাকে বোঝায়। শুধুমাত্র বালি মাটিতে অর্থাৎ যে মাটির দানাগুলো একে অন্যের সাথে লেগে থাকতে পারে না তাতে এরকম হতে পারে। সবচেয়ে সহজবোধ্য উদাহারণ দেয়া যেতে পারে রাস্তার নিচের পানির পাইপ ফেটে গেলে পানির চাপে তার উপরের বালির উথলে ওঠা দিয়ে। ভূমিকম্পের সময় যে ধাক্কা আসে তার কারণে বালি ও এর সংলগ্ন পানির উপরে চাপের তৈরি হয় যা বালিকে অনেকটা ভাসিয়ে তোলে। এতে ওই মাটির কোন রকম ভার বহনের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে এর উপরের স্থাপনা আক্ষরিক ভাবেই মাটির ভেতরে ডুবে যায়। লিক্যুইফেকশন হওয়ার জন্য বালির পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হল বালিতে যথেষ্ট পানি থাকতে হবে। এই শর্তটি ঢাকার জন্য কিছুটা হলেও শাপে বর হয়েছে কেননা মূল ঢাকাতে অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের কারণে পানির স্তর অনেক নিচে চলে গিয়েছে। ফলে ঢাকার মূল অংশে লিক্যুইফেকশনের সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কম। তবে বর্ষার সময় বা যেসব এলাকা কোন জলাধার বা নদীর কাছে অবস্থিত সেক্ষেত্রে এরকম ঘটার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

আবার পানির স্তরের নেমে যাওয়া আরেক দিক দিয়ে ভূমিধ্বসের আশঙ্কা তৈরি করে। মাটির পানিবাহী স্তরটিকে অনেকটা পানি ভর্তি স্পঞ্জের মত ভাবা যায়। পানি বের হয়ে গেলে উপরের ওজনের চাপে এই স্তরটি বসে যেতে পারে। এই প্রসঙ্গে আবারো মেক্সিকো সিটির কথা আসে। একই রকমভাবে অপরিমিত পানি উত্তোলনের ফলে আর দুর্বল মাটির কারণে শহরটি কিছু কিছু জায়গায় ৩০ ফুট (তিনতলার সমপরিমান) পর্যন্ত ডেবে গিয়েছে। ঢাকায় এখনো এই অবস্থা দেখা যাচ্ছেনা তার প্রধান কারণ হল ঢাকার মূল অংশের উপরিভাগের মাটি অপেক্ষাকৃত শক্ত। তবে ভরাট করা মাটিতে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তৃতীয় যে ঘটনাটি ভয়াবহ ফল তৈরি করতে পারে তা হল মাটি আর স্থাপনার মধ্যে অনুরণন। অনুরণন হয় তখনই যখন দুইটি জিনিসের কম্পনের হার এক হবে। প্রকৃতপক্ষে, প্রতিটি জিনিসেরই নিজ নিজ স্বাভাবিক কম্পন কাল রয়েছে। মাটির কম্পনকাল এর গঠন, উপাদান আর ঘনত্বের উপর নির্ভর করে। একইভাবে, কোন স্থাপনার ক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি প্রধানত এর উচ্চতা এর কম্পনকাল নির্ধারন করে দেয়। মেক্সিকোর ক্ষেত্রে ভরাট করা কাদামাটির কম্পনকাল ১ সেকেন্ডের কাছাকাছি ছিল আর ৬-১৫ তলা ভবনের কম্পনকাল ১-২ সেকেন্ড। কম্পনকালগুলোর একে অপরের কাছাকাছি হওয়ার কারণে অনুরণন হয়েছিল। এর ফলে কম্পন ছিল দীর্ঘস্থায়ী এবং এর প্রাবল্যও ছিল বেশি । একারণেই ঐ ভূমিকম্পে ৬ থেকে ১৫ তলা ভবনের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছিল। ৬ এর কম ও ১৫ এর বেশি তলাবিশিষ্ট ভবনের কম্পনকাল যথাক্রমে ১ সেকেন্ডের কম ও ২ সেকেন্ডের বেশি এবং এই কারণে এদের ক্ষতি অনেক কম হয়েছিল। আবার নরম মাটি তথা ভরাট করা মাটি যেকোন কম্পনকেই বাড়িয়ে তোলে। অর্থাৎ ভূমিকম্পের জন্য মাটি যত মিলিমিটার সরণের (উপরে-নিচে বা পাশাপাশি কেপেঁ ওঠার) কথা তাকে বাড়িয়ে তোলে। আর এই সরণের হারের উপরেই কোন স্থাপনার কতটুকু ক্ষতি হবে তা নির্ধারিত হয়। বাংলাদেশের ভরাট মাটির ক্ষেত্রে এই কথাগুলো একইভাবে প্রযোজ্য। বিশেষ করে দুর্বল স্থাপনাগুলো অনুরণনের ফলে সৃষ্ট এর বড়মাপের কম্পনকে প্রতিহত করতে পারবে না।

দুর্বল মাটিকে ( নরম কাদা বা Loose বালি) ভূমিকম্প সহনীয় করার অনেক পদ্ধতি আছে। একটি হতে পারে মাটিতে গর্ত করে মোটা পাইপ ঢুকিয়ে বালি পূর্ণ করা এবং এই বালিকে চাপ দিয়ে শক্ত করে ফেলা। একে বলা হয় স্যান্ড কম্প্যাকশন পাইল। আবার বালিমাটিকে মেশিনের মাধ্যমে ঝাঁকুনি দিয়েও তার ঘনত্ব বাড়ানো যায়। এই প্রক্রিয়ার নাম ভাইব্রো-ফ্লোটেশন। এই প্রক্রিয়া মাটির লিক্যুইফেকশনের সম্ভাবনা কমায়। আবার একটি ১০-৪০ টন ওজনের বলকে ১৫-৩০ ফুট উচু থেকে ফেললেও মাটির গুনগত মানের উন্নতি হয়। প্রকৃতপক্ষে, কোন মাটির জন্য কোন ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে তা মাটি ও এলাকাভেদে অনেক পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারনভাবে ভরাট মাটিতে পাইলিং ছাড়া কোন স্থাপনা করা উচিৎ নয়। তবে এই ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন পাইলটি এর গায়ের সাথে মাটির ঘর্ষণের মাধ্যমে শক্তি না পায় (ফ্রিকশন পাইল) কেননা এই দুর্বল মাটির পক্ষে শক্তির যোগান দেয়া সম্ভব নয়; এর বদলে পাইলের শেষ প্রান্তের মাধ্যমে শক্ত মাটিতে সাপোর্টের ব্যবস্থা করতে হবে (এন্ড বিয়ারিং পাইল)।

সবশেষে কিছু আশার কথা। প্রথমত ঢাকার অধিকাংশ ভবনই শক্ত লাল মাটিতে রয়েছে, দ্বিতীয়ত ঢাকার ভরাট করা অংশে এখনো তুলনামূলকভাবে অনেক কম সংখ্যক উঁচু ভবন রয়েছে। ফলে বর্তমানে ঝুঁকির পরিমাণ কিছুটা হলেও কম। কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদে খুব স্বাভাবিকভাবেই ভরাট করা এলাকা যেমন বাড়বে তেমনি ভরাট করা মাটিতে উচুঁ ভবনও তৈরি হবে। তাই এইসব অংশে জনবসতি আরো বাড়ার আগেই সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি হওয়া দরকার যেন তারা ভরাট করা মাটিতে বাড়ি তৈরির আগে যথাযথ ব্যবস্থা নেন। রাজউকসহ অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোরও এই ব্যাপারে এগিয়ে আসা উচিৎ। জাতি হিসেবে আমাদের দুর্নাম আছে যে আমরা সময়ের কাজ সময়ে করি না যার ফলে আমাদের অনেক বেশি মূল্য দিতে হয়। কিন্তু এই বিষয়ে কাজ করার সময় এখনো শেষ হয়ে যায় নি। তাই সময় থাকতে সবারই ভূমিকম্পের প্রতিরোধ বা ক্ষয়-ক্ষতি কমানোর বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

*তীব্রতার (ইন্টেন্সিটি) স্কেল মানুষের অনুভূতি, আসবাবপত্র ও স্থাপনার ক্ষতির উপর ভিত্তি করে তৈরি (মডিফায়েড মার্কেলী স্কেল)। এটি ১-১২ স্কেলে (ছোট থেকে বড় হিসেবে) মাপা হয়। স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে এই স্কেলকে সরাসরি ব্যবহার করা হয়। একই ভূমিকম্পের জন্য এলাকা ভেদে এর মান বিভিন্ন হতে পারে।
**রিখটার স্কেলের মাত্রা ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলে এর শক্তি মুক্তির মাত্রা (এনার্জি রিলিজ) নির্দেশ করে। স্থাপনার নির্মাণের ক্ষেত্রে এই স্কেল ব্যবহার করা উচিৎ নয়। একটি ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে এর মান স্থির থাকে অর্থাৎ কোন এলাকার মাটির অবস্থা ও ভুমিকম্প ঘটার মূল এলাকা (এপিসেন্টার) থেকে এর দূরত্বের উপর নির্ভরশীল নয়। তাই কোন ভবনকেই রিখটার স্কেলে নির্দিষ্ট মাত্রার ভূমিকম্পরোধী বলা সম্ভব নয় যদিও বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপনে এরকম দাবি করা হয়ে থাকে।

নাজমুস সাকিব : লেকচারার, ডিপার্টমেন্ট অফ সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (আইইউটি), গাজীপুর।
ডঃ মেহেদী আহম্মদ আনসারী : অধ্যাপক, পুরকৌশল বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা।