এক গেরিলা প্রেসিডেন্টের কাহিনি

নাদিরা মজুমদার
Published : 30 March 2015, 02:31 PM
Updated : 30 March 2015, 02:31 PM

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ উরুগুয়ে। সেই দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন হোসে মুহিকা বা খোসে মুখিকা। ১ মার্চ, ২০১৫ থেকে আর প্রেসিডেন্ট নন তিনি। শাসনতন্ত্র অনুযায়ী পরপর দুবার প্রেসিডেন্ট হওয়া চলে না; তাই ৬৫ শতাংশ জনপ্রিয়তা থাকলেও পরবর্তীজনের জন্য সরে এসেছেন। মুখিকা উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন পাঁচ বছর। যৌবনকালে ছিলেন 'টুপামারো' গেরিলা। সে সুবাদে চে গুয়েভারা, ফিদেল ক্যাস্ট্রোরা কাছের মানুষ। সামরিক সরকার তাঁকে তের বছর নির্জন কারাবাসে আটকে রেখেছিল; অত্যাচারও করেছে প্রচুর। জেল থেকে দুবার পালিয়েছেন বলেই হয়তো দুবছর তাঁকে গভীর কুয়ার নিচে রাখা হয়েছিল। জেলবাসের জন্য মুখিকার খেদ নেই; বরং বলেন যে, সেটি তাঁর মানসিক ও নৈতিক গঠনে সাহায্য করেছে।

প্রেসিডেন্ট থাকাকালে কোনোদিনই বিলাসবহুল প্রেসিডেন্ট ভবনে থাকেননি। রাজধানী মন্টেভিডিয়ো থেকে আধঘণ্টা (গাড়িতে) দূরে তাঁর গ্রামের বাড়ি রয়েছে; সেখানেই স্ত্রী ও তিনপেয়ে কুকুর মানুয়েলাকে নিয়ে বসবাস করছেন। বেতন যা পেতেন (মাসিক এগার হাজার ডলার), তার কুড়ি শতাংশ যেত নিজের রাজনৈতিক আন্দোলনে; বাকিটা দান করতেন জনহিতৈষী সংস্থাকে।

১৯৮৭ সালের ফক্সওয়াগন বিটল গাড়ি চালান। ২০১৩ সালে আরব দেশের এক শেখ এক মিলিয়ন ডলার দিয়ে গাড়িটি কিনতে চেয়েছিল; কারণ বোধহয় ছিল মুখিকাকে নতুন গাড়ি কেনা বাবদ কৌশলে আর্থিক সাহায্য দেওয়া। ইতোমধ্যে পৃথিবীর দরিদ্রতম প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর পরিচয় ছড়িয়ে পড়েছিল। মুখিকা অবশ্য গাড়িটি বিক্রি করেননি; বরং মানুয়েলা ও স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে বেরোন নীল রঙের ওই ফক্সিতেই।

এক সাক্ষাৎকারে মুখিকা বলেছিলেন, ''আগাপাশতলা আর্দশবাদে মোড়ানো আমি প্রেসিডেন্ট হলাম, কিন্তু তারপরেই প্রথম চোট দিল রূঢ় বাস্তব।''

এই বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করতে কষ্ট করতে হয় না। মুখিকা যখন বলেন উরুগুয়েকে তিনি বিশ্বমানচিত্রে তুলে এনেছেন, তা মোটেই বানিয়ে বলা নয়। গরুচারণে নির্ভরশীল দেশটি, যেখানে প্রায় সাড়ে তিন মিলিয়ন মানুষের বাস, সেটি জ্বালানি-রফতানিকারক দেশে পরিণত হয়। ২০০৪-২০০৫ সালে ৩৯ শতাংশ উরুগুয়েন দারিদ্রসীমার নিচে বাস করত; সেটি এখন ১১ শতাংশের কম। চরম দীনতার মধ্যে থাকা মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে মাত্র ০.৫ শতাংশে।

জিডিপির হিসাবে ঋণের অংক ২০০৩ সালের ১০০ শতাংশ থেকে ২০১৪ সালে হল ৬০ শতাংশ। একইভাবে রাষ্ট্রীয় ঋণ এবং ডলার-মুদ্রা ব্যবহারের পরিমাণ ২০০২ সালের ৮০ শতাংশ থেকে কমে ২০১৪ সালে হয়েছে ৫০ শতাংশ। মুখিকার ভাষায়, সমানাধিকারের সমীকরণে বছরগুলো ইতিবাচক।

লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে প্রগতিশীল নেতার তালিকার প্রথম স্থানটি দখল করে আছেন তিনি। বছরের পর বছর ড্রাগ পাচারবিরোধী যুদ্ধে পরাজিত অবসন্ন দক্ষিণ আমেরিকায় তিনি অন্য পন্থা নিলেন। বললেন যে, মারিখুয়ানার চেয়ে ড্রাগ পাচার আসলে অনেক অনেক বেশি ভয়ঙ্কর ও বিপজ্জনক। আইন করে মারিখুয়ানাকে বৈধ করে দিলেন; আইনি বিধির নিয়ন্ত্রণে লোকে চাষ ও বিক্রি করবে। ফলে আজেবাজে ভয়ঙ্কর সব ড্রাগ পাচারের দরকার হবে না। একই পদ্ধতি ইউরোপের একাধিক দেশে পরীক্ষামূলকভাবে বৈধ করা হয়েছে। ড্রাগ পাচার হ্রাসে এ সিদ্ধান্ত কতটা প্রভাব ফেলবে, তার জন্য আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে।

আরও কিছু দুঃসাহসিক কাজ করেছেন। গর্ভপাত (প্রথম তিন মাস পর্যন্ত) বৈধ করা হয়েছে। সমকামীদের বিবাহ করার অধিকার মঞ্জুর করা হয়েছে। ২০১৩ সালে বিবাহ-বিচ্ছেদও বৈধ করা হয়। এ নিয়ে বললেন, ''নবরীতি প্রবর্তনে, আমাদের মন-মানসিকতার গভীর শিকড়বদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। সারা বিশ্ব থেকে আগত অভিবাসী, নৈরাজ্যবাদী ও উৎপীড়িতদের নিয়ে আমাদের দেশ। এর ফলে লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে সেকিউলার দেশ হয়েছে উরুগুয়ে। এখানে গির্জা ও রাষ্ট্রের মধ্যে স্বচ্ছ পৃথকীকরণ লক্ষণীয়। আমি বলতে পারছি যে, আমি প্রেসিডেন্ট, তবে ঈশ্বরে আমার বিশ্বাস নেই।"

অবশ্য ২০১৩ সালের জুনে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে তিনি দেখা করতে গেলে তাঁকে উষ্ণ অর্ভ্যথনা দিয়ে গ্রহণ করেছিলেন পোপ।

প্রেসিডেন্টশিপ শেষ করার আগে মুখিকা উল্লেখযোগ্য আরেকটি কাজ করেন। কুখ্যাত গুয়ানতানামো বের ('গিটমো' নামেও বহুল পরিচিত) ছয় মার্কিন বন্দিকে উদ্বাস্তু হিসেবে উরুগুয়েতে আশ্রয়দানের ব্যবস্থা করেন। ২০০১ সালের 'নাইন এলেভেন' ঘটনার পরপরই পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে সন্দেহভাজন অনেককে পাকড়াও করে এনে গিটমোতে আটকে রাখা শুরু হয়। উপরোক্ত ছজন এই দলভুক্ত। এদের কাহিনি বলার আগে গিটমোর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস দ্রুত ঝালাই করে নেওয়া যাক।

দ্বিতীয় দফায় সমুদ্রযাত্রাকালে, ১৪৯৪ সালের ১৩ এপ্রিল ক্রিস্টোফার কলম্বাস গুয়ানতানামোতে অবতরণ করে এর নাম দেন 'পোয়ের্টো গ্রান্ডে' বা 'গ্র্যান্ড পোর্ট'। ডায়েরিতে লেখেন, ''সন্দেহাতীতভাবেই বিশাল আয়তনের, কালো জলের চওড়া এক উপসাগর।''

কলম্বাসের অবতরণের চারশ বছর বাদে, স্পেনীয়-আমেরিকান যুদ্ধ চলাকালীন, ১৮৯৮ সালের ১০ জুন মার্কিন মেরিন গিটমোতে অবতরণ করে। যুদ্ধের ফলাফল মার্কিনিদের পক্ষে যায়। সে থেকে গিটমো মার্কিন নিয়ন্ত্রণে। ১৯০৩ সালে 'প্ল্যাট অ্যামেন্ডমেন্ট' নামক এক সংশোধনীর মাধ্যমে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিয়োডর রুজভেল্ট কিউবার নতুন সরকারকে গিটমোর জন্য ভাড়া বাবদ বার্ষিক দুহাজার ডলার দেওয়ার চুক্তি সই করেন। চুক্তিবলে নতুন সরকার গিটমোতে মার্কিন নৌঘাঁটি মেনে নেয়। ১৯৩৪ সালে আরেক রুজভেল্টের (ফ্রাঙ্কলিন ডিলানো) আমলে 'প্ল্যাট অ্যামেন্ডমেন্ট' বাতিল করে আরেকটি ভাড়ার চুক্তি হয়। সেটিতে কিউবার পক্ষে যারা সই করেন, তাদের মধ্যে ফালখেনসিয়ো বাতিস্তাও ছিলেন। পরবর্তী পঁচিশ বছর বাতিস্তা দ্বীপদেশটির মহাশক্তিশালী পুরুষ হিসেবে বিবেচিত হন।

১৯৫৯ সালে কিউবান বিপ্লবের সাফল্য বাতিস্তার পৌষ মাসের অবসান ঘটায়। নতুন সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে গিটমো ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে। যুক্তরাষ্ট্র বরং নতুন কিছু শর্ত আরোপ করে। 'গুয়ানতানামো: আ ক্রিটিক্যাল হিস্ট্রি' নামক বইয়ে রজার রিকার্ডো লিখেছেন, ''১৯৫৯ সাল থেকে গিটমো বিরামহীন বিবাদের উৎসে পরিণত হয়, যা কিউবায় সশস্ত্র মার্কিন হস্তক্ষেপের আশঙ্কা বৃদ্ধি করে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী গুয়ানতানামো ঘাঁটির প্রধান তাৎপর্য স্রেফ রাজনৈতিক (যেমন, নজরদারি করা)।"

১৯৩৪ সালের রুজভেল্ট-বাতিস্তা চুক্তি অনুযায়ী, চুক্তি বাতিলের জন্য দুপক্ষেরই সম্মতির শর্ত থাকায়, কিউবাকে গিটমো ফেরত দেওয়া জটিল হয়ে পড়ে। ফলে দ্বীপটিকে ক্যাস্ট্রোর কিউবা 'অধিকৃত ভূখণ্ড' হিসেবে বিবেচনা করতে থাকে। ১৯৯৬ সালে পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে ওঠে। প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন 'হেলমস বার্টন ল' সই করেন যার মোদ্দা কথা ছিল, গিটমো ফেরত পেতে হলে কিউবান সরকার ওয়াশিংটনের সমর্থনপুষ্ট কি না তা বিবেচ্য হবে। ১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্য চীনকে অধিকৃত হংকং ফিরিয়ে দেয়; পর্তুগাল ১৯৯৯ সালে ফিরিয়ে দেয় ম্যাকাও দ্বীপ; ২০০০ সালে পানামাকে পানামা খাল ফেরত দেওয়া হয়। এই ঐতিহ্য ধরে যুক্তরাষ্ট্র কিউবাকে হয়তো একদিন গিটমো ফেরত দিয়ে দেবে। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য ভাড়া বাবদ কিউবাকে চেক পাঠানো অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু ক্যাস্ট্রো সরকার কোনোদিনই সেগুলো ছুঁয়ে দেখেনি।

এবারে অধিকৃত গিটমোতে সংঘটিত ঘটনাবলি ও কর্মকাণ্ডের মুক্ত কালানুক্রম দেওয়া যাক।

২০০২ সালের ৮ জানুয়ারি কিউবানরা জানতে পারে যে, আফগান যুদ্ধে ধৃত বন্দিদের গিটমোতে রাখা হবে। ১১ জানুয়ারি প্রথম কুড়ি বন্দিকে আনা হয়। বলা হয়, এরা সবাই আইনবহির্ভূত কমব্যাটেন্ট, যুদ্ধবন্দি নয়। অর্থাৎ জেনিভা কনভেনশনে বিবৃত অধিকারগুলো এদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কিন্তু ১৮ জানুয়ারি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মেরি রবিনসন বলেন, বন্দিরা সবাই যুদ্ধবন্দি, জেনিভা কনভেনশনভুক্ত অধিকারগুলো পাওয়ার অধিকার তাদের রয়েছে।

এ নিয়ে পরে ক্যাস্ট্রো লেখেন, ''আমরা ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করতে পারিনি যে, মার্কিন সরকার এখানে বীভৎস নির্যাতন কেন্দ্র স্থাপনের তোড়জোড় করছে।"

২০০৬ সালের ১৩ জুন 'দ্য সিচুয়েশন রুম' অনুষ্ঠানে 'সিএনএন'এর ওলফ ব্লিৎসজার গিটমোর বন্দিজীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে শফিক রসুলের একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করেন। সাক্ষাৎকারের অনুলিপির লিংক:

২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ওবামা গিটমোর নৌঘাঁটির বন্দিশালাটি বন্ধ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু ২০ মে মার্কিন সিনেট ভোটাভুটি করে এটি রাখার পক্ষে রায় দেয়। অর্থাৎ প্রেসিডেন্টের নির্দেশনামা বাতিল হয়ে যায়।

এবার গিটমো থেকে আগত ছয় উদ্বাস্তু প্রসঙ্গে আসা যাক। এদের চারজন সিরীয়, একজন ফিলিস্তিন, অন্যজন তিউনেসীয়। এক দশকেরও বেশি তারা নিরুদ্ধ ছিল। তাদের বিরুদ্ধে কুকর্মের (সন্ত্রাসের) প্রমাণাদি পাওয়া যায়নি। তাই চার্জ দাখিলও সম্ভব হয়নি, ছেড়ে দিতেই হয় তাদের। কিন্তু তারা যাবে কোথায়? ফলে ২০০৯ সাল থেকে তারা রিলিজের অপেক্ষায়, গুয়ানতানামোতেই। ২০১৪ সালের মার্চে মুখিকা ঘোষণা করেন, প্রেসিডেন্ট ওবামার 'এক্সপ্রেস অনুরোধে' সাড়া দিয়ে গিটমোর এই পাঁচজনকে (শেষতক অবশ্য ছয়জনকে) আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছেন তিনি। ইত্যোবসরে সুইৎসারল্যান্ড, স্পেন, স্লোভাকিয়া, পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড, হাঙ্গেরি, জার্মানি, ফ্রান্স, বুলগেরিয়া এবং লাতিন আমেরিকার কয়েকটি দেশ গিটমোর 'সন্ত্রাসীদের' আশ্রয় দিয়েছে।

উরুগুয়েনরা প্রেসিডেন্ট মুখিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তিনিই পৃথিবীর একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি গাড়ি থামিয়ে অজানা পথিককে তুলে নেন, তাকে নিয়ে আসেন রাজধানী পর্যন্ত। কিন্তু এই সর্বশেষ দুঃসাহসিকতায় তারা প্রেসিডেন্টের সমালোচনামুখর হয়ে ওঠে। বলে, যুক্তরাষ্ট্রের নিজেরই পাকানো তালগোলের জট খুলতে আমরা কেন সাহায্য করব।

বেশ কড়া ডোজের সমালোচনাই বটে! মুখিকা স্বীকার করে বলেন, ''আমরা বহুবারই যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছি; তা অব্যাহত রাখব ঠিকই। গিটমোতে এইসব লোককে বার বছর ধরে মুক্তিবঞ্চিত রাখা হয়। তারা ছিল অবিশ্বাস্য রকমের ভয়ানক এক পরিবেশে (ওয়াটার বোর্ডিং, রেকটাল রিহাইড্রেশনসহ)। নিদারুণ লজ্জাকর ব্যাপার! সেখানে বর্তমানে যে ১২০ কি ১২১ জন তের বছর ধরে নিরুদ্ধ রয়েছে, তারা কখনও বিচারক বা সরকারি উকিল দেখেনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তাই এমন এক সমস্যা ঘাড় থেকে নামাতে চাইছেন। তাই বিভিন্ন দেশকে অনুরোধ করছেন বন্দিদের আশ্রয় দিতে। আমি বললাম, পারব। সিদ্ধান্তটি আসলে হিতব্রতের সদিচ্ছাজ্ঞাপনের ইঙ্গিত মাত্র।"

অবশেষে উরুগুয়েনরা প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়। এখন ছয় উদ্বাস্তু মুক্ত আকাশের নিচে মুক্ত বায়ু গ্রহণ করছে।

এ সুবাদে মুখিকা কিউবা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। সে বিষয়ে পৃথকভাবে লেখার আশা রাখি। কলহ নয়, নিতান্ত বিনয় ও নম্রতাসহ নিজের অবস্থানে অটল থাকার উদাহরণ প্রেসিডেন্ট খোসে মুখিকা। তিনি সেই প্রেসিডেন্ট, যার দীপ্তিময় যৌবন কাটে নির্বাসনে। আর আজ তিনি নিরভিমান কৃতজ্ঞ; বিশ্বের প্রতিভাবান ইনটেলেকচুয়াল ব্যক্তিত্বের একজনে পরিণত হয়েছেন।

নাদিরা মজুমদার: বিশ্লেষক, লেখক, সাংবাদিক।