সহিংসতা ও সংলাপ

হাসান মামুনহাসান মামুন
Published : 14 Feb 2015, 05:11 AM
Updated : 14 Feb 2015, 05:11 AM

নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে সংলাপের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সরকারের তরফ থেকে সেটা চটজলদি নাকচ হয়ে যাওয়ায় অবাক হইনি। বিএনপির প্রতিক্রিয়া অবশ্য জানাই গেল না। দলটি মনে হয় একে ইতিবাচকভাবেই নিত। অবরোধে যাওয়ার আগে বিএনপি নেত্রী কিন্তু বলেছিলেন তাঁর সাত দফা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু করতে। সরকার সেটাও নাকচ করে দিয়েছিল। তারপর এ বছরের ৫ জানুয়ারি ঘিরে কী কী হয়েছে, সেটা তো সবারই জানা।

খালেদা জিয়া ও বিএনপির বিরুদ্ধে অবরোধ অবশ্য শুরু করেছিল সরকার। বিএনপি তার সঙ্গীদের নিয়ে এভাবে তার জবাব দেবে, সেটা কি সরকার জানত? অনেকে বলেন, বিএনপিকে এ রকম একটা পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে সরকার। কৌশল হিসেবে সেটা করতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি পাল্টা কী কৌশল নেবে, সেটাও বিবেচ্য। দলটি কি মাসের পর মাস টানা অবরোধ (এর মাঝে আবার হরতাল) চালাবে এবং সেটা হবে সহিংসতাময়?

এসএসসি পরীক্ষাসহ কোনো কিছুতে একটুখানিও ছাড় না দিয়ে তারা যে কাণ্ডটা করছেন, সেটি দুনিয়ার কোনো সভ্য দেশে শুধু একটা জাতীয় নির্বাচন ঘিরে হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, শান্তি ও সংঘর্ষ প্রভৃতি বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন, এমন কয়েক জনের কাছে জানতে চেয়েও এর সদুত্তর পাইনি। যেটা কোথাও হয়নি, তা আমাদের দেশে হতে পারবে না, বিষয়টি মোটেও এমন নয়। তবে এর তো একটা সাধারণ গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে।

টানা অবরোধে সহিংসতা যদি নাও হত, তাহলেও কি এটা গ্রহণযোগ্য হত? সহিংসতা না হলে এটা কার্যত ভেঙেই পড়ত অবশ্য। বিএনপিপন্থীরাও সপ্তাহের পর সপ্তাহ ঘরে বসে থাকত না তাদের দলটির ক্ষমতায় ফিরে আসা দেখতে। খবরে প্রকাশ, এ দলের লোকজনের মালিকানাধীন বাস-ট্রাক, কল-কারখানা প্রভৃতি চলছে। অবরোধ-হরতালে পেট্রোল বোমা হামলায় যেসব নিরীহ মানুষ হতাহত হচ্ছে, তার মধ্যেও রয়েছে বিএনপিপন্থীরা।

বিএনপি অবশ্য বিবৃতির পর বিবৃতি দিয়ে বলেই যাচ্ছে, অবরোধ-হরতাল ডাকলেও তাদের লোকজন এতে নাশকতা করছে না, করছে নাকি সরকার ও তার লোকজন। সরকারের উদ্দেশ্য, বিএনপি ও তার জোটসঙ্গীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া। প্রথমত, বিএনপি এসব বিবৃতি দিচ্ছে দেরিতে– তার ওপর সহিংসতার দায় চেপে বসার পর। দ্বিতীয়ত, সরকারকে ঢালাওভাবে দায়ী করে নিজেদের সাধু বলে চিত্রিত করার চেষ্টা মনে হয় গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। এখানে সাধারণ গ্রহণযোগ্যতার কথা বলা হচ্ছে। আলাদাভাবে বললে, বিএনপি সমর্থকগোষ্ঠী কিন্তু মোটামুটিভাবে তার দলের অফিসিয়াল বক্তব্য গ্রহণ করবে। কিন্তু সবাই তো অন্ধ নয়। আবার যারা সরকারবিরোধী, তারা শুধু এই একটি কারণে বিএনপির প্রতি বিরূপ হয়ে পড়বে বলে মনে হয় না। এর সপক্ষে তারা বরং যুক্তি জোগাবে যে, সরকারই বিএনপিকে এদিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপিপন্থী এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবীও এমন যুক্তি তুলে ধরেছেন এর মধ্যে।

বিএনপিকে গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া হয়েছে, এটা অবশ্য স্বীকার করতে হবে। সরকার সমর্থকদের কাছে এটা বললে তাদের দিক থেকে আবার যুক্তিপূর্ণ জবাব মিলছে না। সরকারপন্থী বুদ্ধিজীবীরাও শুধু এটা বলছেন যে, কেন সহিংস আন্দোলনে ঝুঁকে পড়ল বিএনপি? সহিংসতার অধিকার কারও নেই। মহৎ আদর্শের নামে সহিংসতা করেও দুনিয়ায় টিকে থাকা যায়নি। এটা বিএনপির উচিত ছিল চিন্তা করে দেখা। যে কোণঠাসা পরিস্থিতিতে দলটি পড়েছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসতে গ্রহণযোগ্য কোনো পন্থা বের করতে হত তাদের। তাহলে বোঝা যেত, দলটির মধ্যে এক ধরনের দূরদৃষ্টি রয়েছে।

১৫৩/১৫৪ আসনে বিনা ভোটে নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পরও বিএনপি আগেও কিন্তু সহিংস আন্দোলন থেকে সরে আসেনি। ওই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর তো নির্বাচন ঠেকানোর কোনো সুযোগ ছিল না। তারপর হঠাৎ আবার কী বুঝে 'আন্দোলন' থেকে সরে গেলেন বিএনপি নেত্রী। সরকারও অবস্থান বদলে ফেলে বলল, তারা পূর্ণ মেয়াদে দেশ পরিচালনার ম্যান্ডেট পেয়েছেন। এরপর একটা বছর শান্তিপূর্ণভাবে দেশ চালাতেও দিলেন বিএনপি নেত্রী। নাকি এর মধ্যে তারা কেবল সহিংস আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েছেন?

দল গোছানোর কাজও তো করেনি বিএনপি। প্রশাসনের চাপে সেটা অতটা সম্ভবও ছিল না। তাহলে কি যে পরিস্থিতি এখন দেখছি, কেবল তার প্রস্তুতি চলেছে? এতে যে বিরাট পুঁজি বিনিয়োজিত হয়েছে, সেটা বোঝা যায়। কিন্তু সরকার এতদিনেও সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করতে পারছে না কেন? নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা চলাকালেও একই ঘটনাবলী ঘটেছিল। সেগুলোর তদন্তও শেষ হয়নি।

সত্যি বলতে, এর কোনো সদুত্তর নেই। ওইসব ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ২০ সদস্য মারা গিয়েছিল, এটা আবার জোরেসোরে বলা হচ্ছে। যদি প্রশ্ন করি, রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকেও তার তদন্তটুকু কেন এগিয়ে নিতে পারলেন না বা নিলেন না, এটা কি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মনোবলের জন্যও ক্ষতিকর নয়? কেবল আর্থিক ক্ষতিপূরণ জোগালেই চলবে? আইনমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, ছ'মাসের মধ্যে এ সময়কার নাশকতার একটা বিহিত নাকি হবে।

আগেরগুলোরও বিহিত যেন হয়। নইলে বিএনপি-জামাতের এ দাবিও দেশের এক বিরাট জনগোষ্ঠীর কাছে এক রকম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে যে, আসলে সরকারই এগুলো করিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর দোষ চাপিয়েছে। তাই তো কোনো তদন্ত-টদন্ত হচ্ছে না! পুলিশের ওপর যেসব হামলা হয়েছে, তার পাশাপাশি নিরীহ মানুষের ওপর সংঘটিত হামলার তদন্ত করতে হবে। কারণ এগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধ।

কেবল একাত্তরে এটা সংঘটিত হয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশে, গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের পর বারে বারে এ ধরনের অপরাধ ঘটছে– তাও সেটা কেবল জাতীয় নির্বাচন ঘিরে। কারণ এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রাষ্ট্রক্ষমতার প্রশ্ন। যে কারণে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে এমন কিছু হচ্ছে না। প্রধান দু'দল মিলে সেটাকে বরং দুর্বল করে রেখেছে। তারা কেবল লড়ছে রাষ্ট্রক্ষমতা নিয়ে।

এতে নিজেরা মুখোমুখি হচ্ছে না আর; পুলিশও এখন কম আক্রান্ত হচ্ছে। টার্গেট হয়ে পড়েছে নিরীহ মানুষ আর পণ্য পরিবহন তথা অর্থনীতি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও এটা হয়েছিল, তবে বিক্ষিপ্তভাবে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এটি মনে হয় পেয়ে গেল সাধারণ রূপ। অবরোধ আর হরতাল ডেকে এখানে-ওখানে চোরাগোপ্তা হামলা ও কিছু লাশ ফেলা, এটাই 'আন্দোলন' এখন।

দেশে এবং বিশেষত বিদেশে এটা গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না বলে এর দায় আবার সরকারের ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছে। এ ক্ষেত্রে নাগরিক সমাজের উচিত নয় কেবল রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে সংলাপের কথা বলা। উচিত নয় শুধু এভাবে বলা যে, আলোচনায় বসে গেলেই সহিংসতা আর থাকবে না। তার মানে, যা হওয়ার হয়েছে, এসব ভুলে গিয়ে সংলাপে বসে যেতে হবে!

এটা হয় না। সহিংসতা রোধ ও সংলাপ আয়োজন, দুটোই 'অ্যাড্রেস' করতে হবে নাগরিক সমাজকে। শুধু সংলাপের কথা বললে সরকার মনেই করবে যে, তারা বিরোধী দলের হয়ে নেমেছেন। সহিংসতার জন্য বিরোধী দলই দায়ী, এভাবে বলারও দরকার নেই। যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ নেই বলে তার সুযোগও নেই। কিন্তু এসব অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি তুলতে হবে।

তদন্তের প্রচলিত ব্যবস্থাটি না হয় আস্থা হারিয়েছে। সে ক্ষেত্রে একটা বুদ্ধি বের করতে হবে নাগরিক সমাজকে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগকে আমরা মানি। একে বলি 'সর্বশেষ আশ্রয়স্থল'। সে ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, তাদের যুক্ত করে অন্তত বড় কয়েকটি সহিংস ঘটনা বা নাশকতার তদন্ত হোক। আইনমন্ত্রী বলেছেন, যথেষ্ট কঠোর আইন নাকি রয়েছে এসব বিচারের।

এমন কথাও নাগরিক সমাজ বলতে পারে, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনকে যুক্ত করে হলেও নিরীহ মানুষ হত্যার বিচার হোক। কারণ আবারও বলি, এগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধ। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সংঘটিত হয়নি বলে একে কিছুটা ব্যতিক্রমী বলেও মনে হয়। ব্যতিক্রমী ঘটনার তদন্ত ও বিচারে ব্যতিক্রমী ব্যবস্থার সুপারিশ করতেই পারে নাগরিক সমাজ।

তাদের কিন্তু এদিকে যেতে দেখা যাচ্ছে না। যেন এগুলো কোনো বিষয় নয় বা এসব ঘটতেই পারে। আমি কিন্তু বলছি না, বিএনপি আমলে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা বাদ। মালিক-শ্রমিক অন্তর্দ্বন্দ্বে মিনিবাসে যাত্রী পুড়িয়ে কয়লা বানানোর ঘটনাও এর অন্তর্ভুক্ত হোক। দেশের মালিক যারা, তাদের পুড়িয়ে মারাটা যেন কারও অধিকারের পর্যায়ভুক্ত হয়ে না পড়ে। তাহলে কিন্তু পরবর্তী শাসনামলে এটা আরও বেশি করে ঘটবে।

সহিংসতার কঠোরতম নিন্দা ও এর বিচার দাবি করেই বলতে হবে, সংলাপে বসুন। নাশকতাময় আন্দোলনে জড়িয়ে বিএনপির একটা রূপান্তর ঘটেছে, এটা আমিও মনে করি। আওয়ামী লীগেও আগেকার দলটাকে দেখতে পাচ্ছি না। জানি না, ক্ষমতা থেকে ছিটকে পড়লে তারা কী আচরণ করবেন তখনকার সরকারটির সঙ্গে। সেটা পরের কথা, কিন্তু এখন 'সন্ত্রাসী দল' বিএনপির সঙ্গেই সংলাপে বসতে হবে।

সরকার নিজেও এর উদ্যোগ নিতে পারে, এমনটা বলে যে, পাশাপাশি সহিংসতার তদন্তও চলবে। এর বদলে 'বন্দুকযুদ্ধে' বিরোধী দলীয় কর্মী বা 'ক্যাডার'দের নিহত হওয়ার প্রায় রোজকার ঘটনায় কিন্তু দেশে-বিদেশে খারাপ বার্তা যাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার বদলে প্রশাসনের ওপর নির্ভরশীলতাও বাড়ছে এতে। সরকারের রাজনৈতিক সত্তা দুর্বল হয়ে পড়ছে।

সরকারের মধ্যে যদি দুর্বলতা না থাকে, তবে বিএনপিকে তারা এমন প্রস্তাবও দিতে পারেন, সহিংস ঘটনাবলীর তদন্তে কী ধরনের ব্যবস্থা চান, সেটাও বলুন। শুধু সাত দফা প্রস্তাব দিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন চাইলে হবে না। নিরীহ মানুষ হত্যার বিচারও হতে হবে। এখন কোনো কারণে সরকার এদিকে না গেলে নাগরিক সমাজকে যেতে হবে। নাকি তারা চান যে, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন এটা করতে বলুক?

দূষিত বা রুগ্ন রাজনীতির কথা আমরা অনেকেই বলছি। শুধু নির্বাচন আর ক্ষমতাকেন্দ্রিক আন্দোলনে বারে বারে নিরীহ মানুষকে জিম্মি করা এবং তার ওপর নির্লজ্জ আঘাত হানার মধ্যে কি এর সর্বোচ্চ প্রকাশ ঘটেনি? তাহলে সেটা ধরেই আমাদের এগোতে হবে, এমনকি পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের দিকে। এতে জাতীয় পর্যায়ের নেতারাও যদি আসামি হয়ে যান, যাবেন, কারও মুখের দিকে তাকানোর দরকার নেই।

দেশটা এসব নেতার নয়, দুই বা তিনটি দলেরও নয়। আপ্তবাক্যের মতো শোনালেও আলোচনার এ পর্যায়ে এসে কথাটা বলতে হবে। এটাও বলতে হবে, প্রায় অভিন্ন জাতিগত সত্তার এ জনপদকে যারা গোত্রের মতো বিভক্ত করে সুবিধামতো 'রাজনীতি' করছেন, তাদের জবাবদিহির একটা কার্যকর ব্যবস্থা এবার করা চাই।

এ ক্ষেত্রে পরবর্তী নির্বাচন কবে হবে, সেটা বিএনপির দিক থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলেও যারা গণতন্ত্র চায়, তাদের জন্য জরুরি হল, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে খেলার নিয়মটা বাতলে দেওয়া। নাগরিক সমাজ এখানে ভূমিকা রাখতেই পারে। তবে তাকে খেয়াল করতে হবে, সেটা যেন কোনো পক্ষকে সুবিধা করে না দেয়। উভয় পক্ষ জিতবে না বোধহয়, তবে দু'পক্ষকেই একটু করে হারতে হবে।

বিএনপি-জামাতকে সহিংসতার দায় একটু বেশি নিতে হবে বৈকি। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এতে অভিযুক্ত হলে সেটা তাদের মেনে নিতে হবে। ক্ষমতাসীনদের ক্ষেত্রেও কথাটা একইভাবে প্রযোজ্য। আর তাদের মেনে নিতে হবে, ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচনের ভিত্তিতে পূর্ণ মেয়াদে একটা দেশ চালানো যায় না। তিন বছরের মাথায় হলেও একটা নির্বাচন তাদের দিতে হবে।

এর মধ্য দিয়ে দেশে একটা ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হোক। অর্থনীতির যে বিপুল ক্ষতি হল, নতুন কর্মযজ্ঞে পরিপূরণ হোক সেটারও। নইলে যে অদৃষ্টপূর্ব পরিস্থিতি চলছে, তা থেকে উত্তরণে কোনো রকম ছন্দপতন ঘটে গেলে কোনো পক্ষই কাউকে দোষ দিতে পারবে না।

বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। শুধু জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক বিরোধ আর হীন রাজনৈতিক সংঘাতে সেটি পুড়ে মরতে পারে না।

হাসান মামুন: সাংবাদিক, কলামিস্ট।