বাংলাদেশ: রাষ্ট্র ও সংবিধান নিয়ে শূন্য মুহূর্তের তর্ক

রিফাত হাসান
Published : 23 Feb 2011, 05:02 PM
Updated : 23 Feb 2011, 05:02 PM

১.
রাষ্ট্র ও সংবিধান নিয়ে মনীষী-পণ্ডিতদের বিস্তর তাত্ত্বিক কথাবার্তার ফাঁদে না জড়িয়েও গঠনদশায় এর একটি মৌলিক দিক সম্পর্কে ভাবা যায়। সেটি হল, একটি ভূখণ্ডের মানুষের সামগ্রিক ও স্বাধীন রাজনৈতিক অভিব্যক্তির প্রকাশ ঘটে রাষ্ট্রে। রাষ্ট্র যদিও একটি কাল্পনিক সত্তা, গঠনদশাতেই অন্যান্য জরুরী শর্তগুলোর সাথে সাথে তাই সেই অভিব্যক্তির একটা পরিগাঠনিক দলিল তৈরি হয়। এটা ছাড়া রাষ্ট্র গঠন সম্পূর্ণ হয় না। আমরা যাকে সংবিধান বলি তা হল আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সেই পরিগাঠনিক দলিল। মূলত এই দলিল বলেই নাগরিকরা রাষ্ট্রের সাংগঠনিক একক এবং আইনী সত্তা। রাষ্ট্র সম্পর্কিত আলোচনায় আইন প্রণয়ন, আইনী সিদ্ধান্ত গ্রহণ, আইনের উৎস বিষয়ে নানান গুরুত্বপূর্ণ অনুমান ও দার্শনিকতা এই সংবিধানকে ঘিরেই বহাল থাকে। যদিও মূলত বলপ্রয়োগের ক্ষমতাই রাষ্ট্রের 'বৈধতা'কে বহাল রাখে, আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সংবিধানকে কেন্দ্র করেই নিজের অস্তিত্ব ও প্রকৃতি সুনির্দিষ্ট করে।

তাহলে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ও প্রকৃতি নির্ধারণের প্রশ্নে সংবিধান হল সবচেয়ে গুরুত্ত্বপূর্ণ প্রপঞ্চ। যে চরিত্রেরই হোক না কেন, সংবিধান একটি রাষ্ট্রের আরম্ভ-বিন্দুকে বৈধভাবে চিহ্ণিত করার দলিল। এবং একটি কার্যকর সংবিধান মোটাদাগে একটি কার্যকর রাষ্ট্রকে চিহ্ণিত করে, সে সংবিধান গণতান্ত্রিক বা অগণতান্ত্রিক যাই হোক না কেন। উপনিবেশিক-অউপনিবেশিক কায়েমি শাসক ও শোষক শ্রেণীর বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার, স্বাধীনতা, সমতা ইত্যকার বিবিধ রাজনৈতিক প্রশ্নে এদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের যে সাধ্য-সাধনা-আন্দোলন, ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্রগঠনের ঘটনায় তার পরিণত প্রকাশ ঘটে। একই বছরের ১০ এপ্রিল তারিখে অস্থায়ী মুজিবনগর সরকারের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাকে সংবিধান গ্রহণের আগ পর্যন্ত রাষ্ট্র গঠনে গণ-সম্মতির প্রাথমিক দলিল রূপে গ্রহণ করা হয়। একইসাথে, এই ঘোষণাটিতে ২৬ মার্চ ১৯৭১ থেকে রেট্রোসপেকটিভ ইফেক্ট দেয়া হয়, যাতে ঘোষিত রাষ্ট্রের কোন শূন্য মুহূর্ত চিহ্ণিত না হয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর ইতিপূর্বে পাকিস্তান রাষ্ট্রের সংবিধান রচনার জন্য আওয়ামীলীগের নির্বাচিত গণ-পরিষদ সদস্যদেরকে নিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য প্রথম সংবিধান গৃহীত হয়। বাংলাদেশের সংবিধান রচনায় পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্য নির্বাচিত গণ-পরিষদ সদস্যদের অংশগ্রহণ, এর বৈধতা, এর গণতান্ত্রিক বা গণবিরোধী চরিত্র ইত্যকার সকল বিতর্ককে পাশে রেখে মোটামুটি এই ঘটনাপঞ্জি দেয়ার একটা মূল সূত্র আছে। সেটি হল, রাষ্ট্রের সংবিধান-বিহীন কোন শূন্য মুহূর্ত চিহ্ণিত যাতে না হয় সেই চেষ্টাতে নোক্তা। কারণ রাষ্ট্র কখনো সংবিধানবিহীন থাকতে পারে না। থাকলে রাষ্ট্র থাকে না।

২.
রাষ্ট্র সংবিধানবিহীন থাকতে পারে না। কিন্তু ঠিক এই মুহূর্তে 'রাষ্ট্রে কোন নির্দিষ্ট সংবিধানটি কার্যকর আছে' এমন প্রশ্ন যদি দেখা দেয় তখন? সর্বসম্প্রতি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ঘটনাপঞ্জিতে আদালতকে ব্যবহার করে কিছু অভূতপূর্ব ঘটনা ও বিতর্ক ঘটে গেছে- যার প্রেক্ষিতে ঠিক এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোন নির্দিষ্ট সংবিধানটি কার্যকর আছে সেই কথাটি ঠিক করে বলা মুশকিল। আরো সুনির্দিষ্টভাবে বললে, এই মুহূর্তে রাষ্ট্র ঠিক কোন সংবিধানের অধীনে চলছে বা নাগরিকরা ঠিক কোন সংবিধানের অধীনে আদালতে প্রতিকার চাইতে পারে সে বিতর্ক উঠেছে।

সংবিধান নিয়ে এই সর্বসাম্প্রতিক বিতর্কের শুরু বহুল আলোচিত 'মুন সিনেমা হল মামলা' নামে একটি নিরেট দেওয়ানি মামলা থেকে। মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের আমলের শেষ দিকে ১৯৭৫ সালের ২৭ জুনে ইস্যুকৃত মুন সিনেমা হলের মালিকানা সম্পর্কিত শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি সিদ্ধান্তে মালিকানা হারায় এর মালিকপক্ষ। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করতে গিয়ে ১৯৭৬ সালে এই মামলার সূত্রপাত। ১৯৭৭ সালে হাইকোর্ট এই রিট আবেদনের পক্ষে রায় দিয়ে মামলাটি নিস্পত্তি করে। কিন্তু মরহুম জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকার এর abandoned properties (supplementary provisions) regulation 1977-এর বদৌলতে মুন সিনেমা হলের মালিকানা আগের দখলিস্বত্ত্বমূলে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্টের মালিকানায় রয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে ওই সম্পত্তির মালিকানাকে সামনে রেখে নতুন এক রিট মামলা দায়ের করা হয় যার বিষয় আর ওই সম্পত্তি নয়, বরং বিবেচ্য হলো তৎকালীন সামরিক শাসক জিয়ার ওই আইন জারির সাংবিধানিক এখতিয়ার ছিল কিনা। তখন থেকেই এই মামলাকে ১৯৭৫ সালে জেনারেল জিয়ার ক্ষমতা গ্রহণের বৈধতা নির্ণয়ের সাংবিধানিক তর্কে জড়িয়ে এটিকে একটি সাংবিধানিক মামলায় রূপান্তরিত করা হয়। এটাই বহুল আলোচিত মুন সিনেমা হল মামলার সারকথা, যা জনপ্রিয় বচনে পঞ্চম সংশোধনী মামলা হিশেবে পরিচিত।

৩.
এই মুন সিনেমা হল মামলার রায় হিশেবেই দেশের সর্বোচ্চ আদালত সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় প্রদান করে। অবশেষে আপিল বিভাগও এই রায় কিছু সংযোজন ও সংশোধনীসহ বহাল রাখে। এই মামলার রায় এবং এর ফলাফলের বিস্তারিত আলোচনা এই ক্ষুদ্র পরিসরে রীতিমত অসম্ভব। শুধু আলোচনার সুবিধার্থে কয়েকটা নোক্তা দরকার। তা হল যে 'এখতিয়ারে'র প্রশ্নে আদালতের এই মীমাংসা- সেই 'এখতিয়ার' নিয়েই সাংবিধানিক আইনের পরিসরে বহুত জরুরী তর্ক-বিতর্ক আছে। রাজনৈতিক বিষয়-আশয়কে আইনি এখতিয়ারের অধীনে নিয়ে আদালতকে দলীয় সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসার ঘটনাকে এই জায়গা থেকে প্রশ্ন ও সমালোচনা করা জরুরী। আবার, যে 'এখতিয়ার' বলে হাইকোর্ট পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের রায় প্রদান করলো, হাইকোর্টের সেই বিশেষ 'এখতিয়ার' কোন আইন বলে তৈরি হয়, তা যদি বিবেচনা করা হয় তা হলে এই রায়ের ফাঁপা অংশটি প্রকাশ হয়ে পড়ে। তা হল, মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে চতুর্থ সংশোধনীর ফলে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদ ও ১০২ অনুচ্ছেদ পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ফিরে এসেছিল।

এ দুটি অনুচ্ছেদের একটিতে মৌলিক অধিকার এবং অন্যটিতে সংক্ষুদ্ধ যে কোন নাগরিকের আবেদন শুনতে ও প্রতিকার দিতে নির্বাহী বিভাগের উপর আদেশ দেবার আদালতের ক্ষমতার বিষয় ছিল। মুন সিনেমা হল সংক্রান্ত আপিল বিভাগের সর্বশেষ রায়ে পঞ্চম সংশোধনীতে এই দুটি অনুচ্ছেদের ফিরিয়ে আনাকে condoned বা গ্রহণ বা ক্ষমা করা হয়েছে। কেননা পঞ্চম সংশোধনীর এই অংশটিকে বহাল রাখা না হলে হাইকোর্টের এই রিট মামলায় রায় প্রদানের অধিকার থাকে না। সোজা কথায়, এই রায় প্রদানের এখতিয়ার যা চতুর্থ সংশোধনী কেড়ে নিয়েছিল হাইকোর্ট থেকে, জিয়াউর রহমানের পঞ্চম সংশোধনী মূলেই হাইকোর্ট তা ফিরে পায় এবং আপিল বিভাগের রায়েও সে কথার স্বীকৃতি আছে। অন্যদিকে, মোস্তাক-সায়েম-জিয়াউর রহমান, এদের ক্ষমতারোহনের মূল ভিত্তি ছিল তাদের মুখের কথা, সামরিক আইন বা ফরমান যার কোন সাংবিধানিক ভিত্তি নেই। ফলত সংবিধানিক বিচারে তাদের ক্ষমতারোহন অবৈধ হতে বাধ্য। এ নিয়ে কারো কোন প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। বরং যে প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ, তা হল সাংবিধানিকভাবে 'অবৈধ' একটি ক্ষমতা থেকে উদ্ভূত যে 'এখতিয়ার', হাইকোর্টের সেই জুডিশিয়াল রিভিউর এখতিয়ারের 'সাংবিধানিক বৈধতা' কীভাবে তৈরি হবে। আবার, যে ক্ষমতাটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ, তার কিয়দ্বংশকে ঠিক কোন এখতিয়ার বলে আদালত গ্রহণ বা ক্ষমা করার ক্ষমতা রাখেন- এটিও জরুরী প্রশ্ন। কারণ, আদালতের এই কাজটির অর্থ হল আদালত সংবিধানে নতুন বিধান সংযোজন করতে ব্রতি হয়েছেন- যার কোন এখতিয়ার আদালতের নেই- বিদ্যমান সংবিধান অনুসারেই। ব্যাপারটিকে এইভাবে বলা যায়, সংবিধানে জিয়ার সামরিক ফরমানের জায়গায় আদালতের জুটিশিয়াল ফরমান স্থলাভিষিক্ত করার কথা বলা হয়েছে। যা মূলত জিয়ার সামরিক ফরমানের মতই পুরোপুরি অসাংবিধানিক। এবং অসাংবিধানিক হলে অবৈধ হতে বাধ্য।

এখানে একটা নোট রাখা প্রয়োজন, জরুরী অবস্থার পরিস্থিতিতে সংবিধান 'রদ' বা 'পরিবর্তন' হয় না। কিছু অংশ 'স্থগিত' করা হয় মাত্র। 'রদ' আর 'স্থগিতে'র এই ফারাকটা স্পষ্ট না করতে পারলে এই আলোচনা বুঝার বিপদ হতে পারে। কাগজে-কলমে মোটাদাগে তখনও একটি ধরা ছোঁয়া যায় এমন সংবিধান বহাল থাকে। সংবিধানের শূন্য মুহূর্ত থাকে না।

৪.
উপরের এই লম্বা জটিল বিতর্কের ফাঁদে পড়াটা বাংলাদেশের সংবিধানের জগদ্দল মহাবিপদ। এরকম আরো একটি মোটা দাগের বিপদ হলো হাইকোর্টের এমন রায়ের পরপর এটিকে সংসদে বিলের মাধ্যমে পাশের ব্যবস্থা ছাড়াই মুদ্রণের উদ্যোগ নেয়া। প্রথম দিকে মাননীয় প্রধান বিচারপতি সাংবাদিকদের সাথে আলাপে এমন পুনর্মূদ্রণের পরামর্শ দিয়ে বক্তব্য রেখে যা বলেন তার সারকথা হলো, 'আপিল বিভাগের রায়ের পরপরই সংবিধান স্বয়ংক্রিয়ভাবে আগের অবস্থায় পরিবর্তিত হয়ে গেছে। তাই এটির জন্য আর সংসদীয় কমিটির কার্যকলাপের দরকার নেই। তাই রায় অনুসরণ করে এটি এই মুহূর্তে পুনর্মুদ্রণ করে ফেলা দরকার।' পরবর্তীতে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার প্রণীত সংসদীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ, মাননীয় আইনমন্ত্রী এবং আরো কিছু বিশিষ্ট আইনজ্ঞ প্রথমদিকে সংসদকে এড়িয়ে সংবিধানের এমন পুনর্মুদ্রণের ব্যাপারে সমর্থন দেন। অবশেষে কিছুদিন আগে পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, আপিল বিভাগের রায় অনুসারে সংবিধানের পুনর্মুদ্রণ চুড়ান্ত। এদিকে, আবার পুনর্মুদ্রণ শেষ হওয়ার পর, সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ বলা শুরু করেছেন, এটি একটি ড্রাফট কনস্টিটিউশন। মূল কনস্টিটিউশন সংসদীয় কমিটি আবার ড্রাফট করবে।

একদিকে সাংবিধানিক বৈধতার হট্টগোল, অন্য দিকে ঠিক এমন মুহূর্তেই পরষ্পর বিরোধী বক্তব্যের ভিতর ঠিক কোন সুনির্দিষ্ট সংবিধানটি বর্তমানে বাংলাদেশের বৈধ সংবিধান, এই বিষয়টি নিয়ে নতুন বিতর্ক জন্ম নিয়েছে। আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী পুনর্মুদ্রিত সংবিধানটি, নাকি এই রায়ের আগে বহাল থাকা পূর্বেকার সংবিধান- যেখানে পঞ্চম সংশোধনী, সপ্তম সংশোধনী এইসব বহাল আছে? অনেকেই এটিকে চিহ্ণিত করছেন বাংলাদেশের 'সংবিধান-বিহীন কাল' হিশেবে। কিন্তু রাষ্ট্রবিজ্ঞান অনুযায়ী সংবিধান-বিহীন শূন্য রাষ্ট্র অসম্ভব। সাংবিধানিক শূন্যতা মানে রাষ্ট্র রাষ্ট্র হিশেবে সেই পরিস্থিতিতে নিজেকে নির্দিষ্ট করতে পারে নাই। তাই এই মুহূর্তে বাংলাদেশে নাগরিক অবস্থান থেকে এই বিষয়টি নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে প্রশ্ন করা দরকার, যে, আমরা ঠিক কোন নির্দিষ্ট সংবিধানের অধীনে আমাদের 'অধিকার', 'আইন', 'সুবিচার' এবং 'প্রতিকার'গুলো চিহ্ণিত করতে সমর্থ হবো। এ বিতর্কের সাথে, দলবাজির সীমাহীন দৌরাত্ম্যে বুদ হয়ে থাকা অবস্থা থেকে রাষ্ট্র ও তার সংবিধানকে বের করার তাগিদ এবং সংবিধান সম্পর্কিত রাষ্ট্রের গঠন দশা থেকে একটি গণতান্ত্রিক ও কার্যকর সংবিধানের জন্য যে মৌলিক বিতর্কসমূহের জরুরত ছিলো তার নতুনতর সূচনাও দরকার বলে আমরা মনে করি।

বরাত:
১. মুন সিনেমা হল / পঞ্চম সংশোধনী মামলায় আপিল বিভাগের রায়। এই লিঙ্কে পাওয়া যাবে: http://www.bdnews24.com/image/5th%20Amendment.pdf
২. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী
৩. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী

রিফাত হাসান : আইন, ধর্ম, রাষ্ট্র ইত্যাদি নিয়ে লেখালেখি করেন।