চারটি ছবির গল্প

শামারুহ মির্জা
Published : 7 Feb 2011, 05:57 PM
Updated : 7 Feb 2011, 05:57 PM

ফটোগ্রাফির এনালেটিক্যাল কিংবা থিওরেটিক্যাল ব্যাপারগুলো খুব একটা না বুঝলেও এটা বোঝা কঠিন নয় যে, একটি ফটোগ্রাফ দর্শকের মগজে একটা গল্প তৈরি করে দেয় । একটা সময়ের গল্প, একটা মুহূর্তের গল্প, কখনও একটা জীবনের গল্প ।
একটি ফটোগ্রাফে কি ছবি তোলার ঠিক আগ মুহূর্তে কিংবা পর মুহূর্তে কী ঘটেছিল তা জানা যায়? ফটোগ্রাফ কি ম্যানিপুলেট করা যায় না ? তবু সাধারণ মানুষের ধারণা, ছবি মিথ্যা বলে না! ফটোগ্রাফির শুরু হয়েছিল ১৮৩০ সালের দিকে , এবং সেই থেকে বদলে গেল মানুষের চোখে পৃথিবীকে দেখা! থেমে থাকা মুহূর্ত হয়েও একটি ফটোগ্রাফ মানুষের মগজে যুগের পর যুগ চলতে থাকে, তাই বিশ কিংবা তিরিশ বছর পরেও, এ্যালবামের পাতা উল্টালে নস্টালজিক মানুষ ফিরে যায় অতীতে, স্পর্শ করে ঘটনাটিকে । বুকের ভেতরটা হুহু করে উঠে ।

ফটোগ্রাফ শুধু ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণেই নয়, সাংবাদিকতারও একটা অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে আজ । ফটোগ্রাফ যেকোনো রিপোর্টের অক্ষরগুলোকে নিয়ে যায় আরেক মাত্রায়। রিপোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতা বেড়ে যায় অনেক যখন পাঠক একটা ছবিও দেখে ভাষ্যের সাথে । কে না জানে; "Seeing is believing"।
১৯৯০ এর দশকে ডিজিটাল প্রযুক্তি এসে বদলে দেয় পুরো প্রেস ফটোগ্রাফি । ফিল্ম ক্যামেরার মতো সময় সাপেক্ষ প্রসেসিং নেই, তাই মুহূর্তেই পৌঁছে যায় ছবি পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে । বিভিন্ন সেন্সর সাইজের নানান রকমের ক্যামেরা নিয়ে বাজারে উপস্থিত হোল হ্যাসেলব্লাড, লেইকা, নাইকন, ক্যানন, মামিয়া, পেনট্যাক্স আর সনি । ২০০০ এর দশকে এসে "SLR" এর জায়গা করে নেয় "dSLR", যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে সাংবাদিকতায়। বিশ বছর আগে ডার্ক রুম ছাড়া যেখানে কোন সংবাদপত্রের অফিস কল্পনাই করা যেত না, আজ সেখানে বড় বড় প্রতিষ্ঠানেও ডার্ক রুম নেই ।

আধুনিক ফটো-সাংবাদিকতার জনক বলা হয় হেনরি কার্টিয়ের ব্রেসোঁকে। ফ্রেঞ্চ ফটোগ্রাফার ব্রেসোঁর ছবি তোলার স্টাইলটি পরিচিত ছিল "স্ট্রিট ফটোগ্রাফি" নামে যা পরবর্তীতে বহু বিখ্যাত ফটোগ্রাফারের প্রেরণার উৎস। ব্রেসোঁর এক বিখ্যাত উক্তি – "To take photographs means to recognize – simultaneously and within a fraction of a second – both the fact itself and the rigorous organization of visually perceived forms that give it meaning. It is putting one's head, one's eye and one's heart on the same axis"। ১৯৪৮ সালে গান্ধীর শেষকৃত্যের ছবি তুলে পুরো পৃথিবীতে সাড়া ফেলে দেন ব্রেসোঁ। এভাবেই শক্তিশালী ফটোগ্রাফ পুরো পৃথিবীকে নাড়িয়ে দেয়, জাগিয়ে তোলে ঘুমন্ত বিবেককে । এমনি কিছু ছবির গল্প বলবো এই লেখাতে ।

১৯৭২ সালের ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়কার একটি ছবি তুলে এ. পি.'র ফটোগ্রাফার নিক উট জিতে নেন পুলিত্জার পুরস্কার । ছবিটি '৭২ সালে World Press Photo of the Yearও মনোনীত হয় । নিকের বিখ্যাত ছবির সেই মেয়েটি ছিল থি কিম ফুক । দক্ষিণ ভিয়েতনামের ত্রাং বাঙ গ্রামে থাকত ফুক । সেদিন ছিল ৮ই জুন, ১৯৭২ সাল । ৯ বছর বয়সী ফুক এবং আরো অনেকে পালিয়ে যাচ্ছিল নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে । শত্রু সৈন্য সন্দেহে ফুকের দলটির উপরে নাপাম বোম ফেলে এয়ার ফোর্স । মুহূর্তেই মারা যায় ফুকের দুই আত্মীয় এবং আরো দুই গ্রামবাসী । ফুকের পুরো শরীর পুড়ে যায়, উলঙ্গ হয়ে মেয়েটি দিগ্বিদিক ভুলে দৌড়াতে থাকে রাস্তায় । চিৎকার করতে থাকে, "নং কুয়া, নং কুয়া"(প্রচণ্ড গরম, প্রচণ্ড গরম)। ঠিক সেই মুহূর্তেই নিকের ক্যামেরার শাটার ক্লিক করে ওঠে, সৃষ্টি হয় এক ঐতিহাসিক ফটোগ্রাফের । ছবিটি মানবজাতিকে আরো একবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় রাজায়-রাজায় যুদ্ধে সাধারণ মানুষের অসহায়ত্ব । মজার ব্যাপার হলো, আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নিক্সনের সন্দেহ ছিল এই ছবিটির সত্যতা নিয়ে! তিনি মনে করতেন ছবিটি বানোয়াট! যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে প্রেসিডেন্টরা চিরকালই বোধ হয় মগজহীন-হৃদয়হীন ব্যক্তিতে পরিণত হয়!

(ছবিটি দেখতে পারেন http://www.gallerym.com/work.cfm?ID=280 লিঙ্কে গিয়ে ।)
সময়টা ১৯৮৯ । স্টুয়ার্ট ফ্রাঙ্কলিনের একটি ছবি পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের চেতনাকে স্পর্শ করে গভীরভাবে । শুরুটা হয়েছিল মাত্র তিন হাজার ছাত্রের অনশন দিয়ে । সাত সপ্তাহে সেটা পরিণত হয় লাখো মানুষের মুক্তি সংগ্রামে! স্থান তিয়েনান্ম্যাম স্কয়ার ; ট্যাঙ্কের পর ট্যাঙ্ক এগিয়ে আসছে ছাত্রদের দিকে । হঠাৎ একটি ছেলে দাড়িয়ে গেল ট্যাঙ্কের সামনে, একা, নিরস্ত্র, দৃঢ়, হাতে শুধু ছোট্ট দুটো ব্যাগ । ট্যাঙ্কের ভিতরে থাকা সৈন্য স্তম্ভিত । ছেলেটির প্রচণ্ড সাহসের কাছে নতজানু হয়ে সৈন্য তাকে পাশ কাটিয়ে চলে যায় । বিশাল, ভয়ংকর ট্যাঙ্কের সামনে অটল দাড়িয়ে থাকা শীর্ণকায়, ছোটখাটো এই ছেলেটির ফটোগ্রাফ দেখে পুরো পৃথিবী চমকে যায় । বাজার ফেরত ছেলেটি কে ছিল আমাদের আজো জানা হয়নি, কিন্তু তার আকাংখার সাথে নিজেকে রিলেট করতে মোটেও অসুবিধা হয় না । মানুষের চিরকালের আকাংখা, মুক্তির আকাংখা । এর তীব্রতায় মানুষ যে মহামানবে পরিণত হয়, ফ্র্যাঙ্কলিনের এই ছবিতে তাই যেন আবার প্রমাণিত হয় ।

ছবিটি দেখতে পারেন http://www.worldsfamousphotos.com/index.php/2007/03/21/tiananmen-square-1989/ লিঙ্কে গিয়ে ।
কিছুদিন আগেই তিউনিসিয়ায় এক যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটে গেল । এক একটি ছবি দেখছিলাম আর মর্মে মর্মে অনুভব করছিলাম তিউনিসিয়ার বিপ্লবের উত্তাপ । ঐক্যবদ্ধ মানুষের শক্তির মত বিস্ময়কর আর কিছুই বোধ হয় নেই পৃথিবীতে ! চোখ আটকে যায় একটি ছবিতে । ছবিটি ইমেদ-এর বাসার লিভিং রুমের। দেখলে মনে হয় যেন যুদ্ধ ক্ষেত্র ! ছাদ ভেঙ্গে পরেছে, বিশাল পিলারগুলো বিধ্বস্ত, কোথাও কোন আসবাবপত্র অবশিষ্ট নেই। গনঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সাধারণ জনতার ব্যাপক লুণ্ঠনের শিকার হয় শাসক গোষ্ঠীর বিলাসবহুল ভিলাগুলো। ছবিটির পরতে পরতে জনতার ঘৃণা মূর্ত। পালিয়ে যাওয়া তিউনিসিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বেন আলীর স্ত্রী লায়লা ত্রাবেলসি । লায়লারই ভাগ্নে হলো ইমেদ । ২০০৬ সালে ৩ মিলিয়ন ডলারের একটি বিলাসবহুল ইয়ট হারিয়ে যায় কোর্সিকার কোস্ট থেকে । এক সপ্তাহ পরে ইয়টটি দেখা যায় তিউনিসিয়ার সমুদ্র সৈকতে, তাতে নতুন রংয়ের প্রলেপ । ধারণা করা হয়, ইমেদ ছিল এই ইয়ট হাইজ্যাকের পিছনে। ইমেদের দুর্ভাগ্য, ইয়টটির মালিক ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট সারকোজির ঘনিষ্ঠ বন্ধু ব্রুনো রজার । অতএব, এক লক্ষ ডলার দেয়া সত্ত্বেও ইয়টটি ইমেদের হজম করা হয় নি ।

আবার তার সৌভাগ্যও বটে যে বেন আলী, সারকোজির ঘনিষ্ঠ মিত্র । তাই ইমেদ আর তার ভাই ময়েজ ইন্টারপোলের লিস্টে থাকা সত্বেও তাদের বিরুদ্ধে কখনই কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি । ইমেদ থেমে থাকে নি । থেমে থাকেনি ইতালি থেকে তার জন্য দামী সুট আসা । থামেনি দামী সিগার উপভোগ এবং ফ্রেঞ্চ ওয়াইন পান । প্রায়ই বিলাসবহুল, জাঁকজমক পার্টি হতো তার প্রাসাদোপম ভিলায় অথবা লা-গুলোতের একটি রেস্তোরাঁয় । এখানে জেনে রাখা ভালো, ইমেদ নিজেই ছিল লা-গুলোতের মেয়র । ইমেদের একটি দাতব্য সংস্থা ছিল; "নুর" তার নাম । "নুর" গরীব বাচ্চাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করত । অতি উত্তম! অবশ্য দুষ্টজনের (!) মুখে শোনা যায় অন্য কথা । "নুর" ছিল আসলে একটি আগাগোড়া চাঁদাবাজ সংস্থা । "নুর"কে ব্যবহার করে ইমেদ চাঁদা আদায় করত ধনী উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে ।

স্বৈরাচারী বেন আলী, তার ক্ষমতাধর স্ত্রী লায়লা এবং দুর্নীতির বরপুত্র ইমেদের প্রতি সাধারণ মানুষের তীব্র আক্রোশ শুধু তাদের ভিলা লুট করার মধ্যেই থেমে থাকে নি। বেন আলী ও তার পরিবার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও জানা যায়, গত ১৪ই জানুয়ারি, পালাতে গিয়ে তিউনিসিয়া বিমানবন্দরে ধরা পরে ইমেদ, এবং নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় তাকে।

প্রচুর সিনেমা দেখত ইমেদ । সহচরদের "গড ফাদার" সিনেমার একটি উক্তি প্রায়ই মনে করিয়ে দিত সে – "Never hate your enemies, it affects your judgement "!
ইমেদের বাসার লিভিং রুমের ছবিটি দেখতে পারেন http://www.newstimes.com/news/article/Tunisians-hail-fall-of-ex-leader-s-corrupt-family-961033.php লিংকে গিয়ে।
এবার অন্য একটি ছবির গল্প । ছবিটি জেতে নি কোনো পুরস্কার । ২০১১ সালের জানুয়ারি মাস । একটি ভারতীয়, দু-তিনটি বাংলাদেশী দৈনিক পত্রিকা আর কিছু অনলাইন সাইটে একটি ফটোগ্রাফ দেখা গেল । কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে পনের বছরের এক কিশোরীর প্রাণহীন শরীর । পরনে তার উজ্জ্বল লাল-নীল জামা । কাছেই এক সৈন্য দাঁড়ানো । জানা গেল, ছবির সেই মেয়েটির নাম ফেলানি । বর্ডার পার হয়ে, বছর দশেক আগে সে দিল্লি গিয়েছিল তার পরিবারের সাথে । বোধ হয়, মঙ্গা থেকে বাঁচতে ! দিল্লিতে ফেলানি ইট ভাঙত । কিছুদিন আগে ফেলানির বাবার হঠাৎ উপলব্ধি "মেয়ের বিয়ের বয়স হয়েছে"! মেয়েকে নিয়ে মোহাম্মদ নূর ইসলাম ফিরছিল বাংলাদেশে । কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে যায় নূর ইসলাম । দুরুদুরু বুকে ফেলানি বেড়ায় ওঠে , হঠাৎ কাঁটাতারে আটকে যায় ওর লাল-নীল জামা । ভয়ে চিৎকার করে উঠে । সঙ্গে সঙ্গে বি.এস.এফ.-এর গুলি। জানা যায়, গুলি লাগার পরেও চার ঘণ্টা বেঁচে ছিল ফেলানি । যেভাবে বৈদ্যুতিক তারে শক খেয়ে ঝুলতে থাকে দাঁড় কাক, একইভাবে ফেলানি ঝুলছিল আর পানি, পানি করে চিৎকার করছিল । ফেলানিকে নিয়ে কোনো গল্প লেখা হবে না কিংবা বেলি রোডের নাটকপাড়ায় ফেলানি হবে না কোনো চরিত্র । সঞ্জীব চৌধুরী বেঁচে থাকলে হয়তোবা লিখতেন আরেকটি গান – "আহ ফেলানি" !

(বাংলাদেশ পুলিশের হাতে ধর্ষিত এবং নিহত ইয়াসমিনকে নিয়ে ১৯৯৬-এ সঞ্জীব লিখেছিলেন- "আহ ইয়াসমিন", গানটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল)
জানা হয় নি ফেলানির এই ছবিটির ফটোগ্রাফার কে ছিলেন । তবে আমার ধারণা, ছবিটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে পুলিত্জার না হলেও, ছোটখাটো পুরস্কার বোধ হয় ঠিকই জিততেন ফটোগ্রাফার ভদ্রলোক । কেনইবা নয়? দারিদ্র্য, মৃত্যু, নো ম্যানস ল্যান্ড , এ সবকিছুই তো ফটোগ্রাফির চমৎকার সব সাবজেক্ট ! কাঁটাতারের বেড়ায় যখন মেয়েটির প্রাণহীন শরীরটা ঝুলছিল, একটি বিখ্যাত আলোকচিত্রের কি জন্ম হচ্ছিল ? ভারতের বন্ধুত্ব, বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা, সরকারের ভূমিকা, বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবীদের নীরবতা, কি করা যেতে পারে কিংবা কি করা যেতে পারত—সবকিছু ছাপিয়ে ছবির সেই মেয়েটির প্রাণহীন দেহের একমাত্র অভিমানী উচ্চারণ – "একটি পাসপোর্টের জন্য?" নাকি "দারিদ্র্যই অভিশাপ" ?

একটি ফটোগ্রাফ একটি সময়কে ধারণ করে । ভিয়েতনামের রাস্তায় পুড়ে যাওয়া শরীর নিয়ে ফুকের ছুটে যাওয়া আমাদের চাক্ষুষ করা হয় নি , শোনা হয় নি তার চিৎকার " খুব গরম, খুব গরম"- , তবু ছবিটি দেখলে চলে যেতে হয় ফুকের পাশে, তার শরীরের পুড়ে যাওয়া ক্ষত যেন আমাদের স্পর্শ করে । এখানেই একটি শক্তিশালী ফটোগ্রাফের ক্ষমতা । একেকটা ছবি, একেকটা ইতিহাস ।
আর আমাদের ছবির সেই মেয়েটি, একান্তই আমাদের ফেলানি, সেও হয়ে যায় ইতিহাস ।

কৃতজ্ঞতা স্বীকার – ফাহাম আব্দুস সালাম, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ফটোগ্রাফি সম্পর্কিত টেকনিকাল তথ্যগুলোর জন্য) ; Newsweek এর ৩১শে জানুয়ারি, ২০১১ সংখ্যা (তিউনিসিয়ার বিপ্লব সম্পর্কিত তথ্যের জন্য); আনন্দবাজার পত্রিকার ৮ই জানুয়ারি, ২০১১ সংখ্যা (ফেলানির ছবিটির জন্য); বিভিন্ন ফটোগ্রাফি সাইট।
শামারুহ মির্জা :শিক্ষক ও গবেষক।