আড়িয়াল বিলে আর দেখা যাবে না মাছরাঙার পাখা ঝাপটানো

মারুফ মল্লিক
Published : 29 Jan 2011, 05:07 PM
Updated : 29 Jan 2011, 05:07 PM

আড়িয়াল বিল। দেশে এখন যে কয়েকটি শব্দ কম বেশি আলোচনার মধ্যে আছে তার মধ্যে এটি একটি। এখানে একটি অত্যাধুনিক বিমানবন্দর হবে। যতদুর জানি একটি স্যাটেলাইট শহরও হবে। কিন্তু আমাদের দেশের বিদ্যমান বিমান বন্দরটিকে আরও আধুনিকায়নের উদ্যাগ না নিয়েই প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আলোচিত আড়িয়াল বিলে বিমান বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে সরকার। এর পক্ষে বিপক্ষে অনেক কথা হচ্ছে। স্থানীয় জনসাধারণ প্রথমে এর বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করেছে। বার্তা সংস্থা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর তথ্য অনুসারে সে বিক্ষোভে প্রায় ৩০ হাজার স্থানীয় অধিবাসী অংশ নিয়েছিল। পরে বিমানবন্দর নির্মাণের পক্ষে আবার মানববন্ধনও হয়েছে। সরকারের একজন মন্ত্রীও সম্প্রতি বুকের রক্তের বিনিময়ে বিমানবন্দর নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা ভাষা আন্দোলনের জন্য বুকের রক্ত দিয়েছিলাম। রক্ত দিয়েছিলাম ৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে। নুর হোসেন, ডা. মিলনসহ অনেকেই স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রক্ত দিয়েছেন। এবার বিমান বন্দরের জন্য বুকের রক্ত দেওয়ার ঘোষণা এল।

গত কয়েক দশক ধরেই আমাদের রাষ্ট্র্রযন্ত্র এবং তার রাজনৈতিক ও পুঁজিবাদী স্বার্থান্বেষী মহল উন্নয়নের নামে একে একে গলা টিপে মেরে ফেলছে রাজধানীর আশপাশের সব নদী, বিল, জলাশয়। সারাদেশেই মোটামুটি একই অবস্থা। সারাদেশেই দখলের মহোৎসব চলছে।  হারিয়ে যাচ্ছে জলাভূমি। এ পরিস্থিতিতে আমাদের সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাদের আরও একটি বিমান বন্দর লাগবে। এবং সেটি কিনা নির্মাণ করা হবে একটি বিল ভরাট করে। সেটা যে কোন মূল্যেই হোক আর যে কোনও উপায়েই হোক। তার জন্য আমরা বুকের রক্ত দিয়ে দিবো। তাতে করে হাজার মানুষের ঘর উজার হোক, পাখির আবাস হারিয়ে যাক। হারিয়ে যাক মাছের বিচরণ ক্ষেত্র। এখানে আমাদের একটি বিমান বন্দর হতেই হবে। আমরা হয়তোবা আড়িয়াল বিলে মাছরাঙ্গার পাখা জাপটানো আর দেখবো না। দেখবো, সেখানে বড় বড় বিমান  উঠানামা করছে।

ইতিমধ্যেই রাজধানীর জলাশয়গুলোর সঙ্গে সঙ্গে উন্মুক্ত ভূমি একে একে দখল করে নিচ্ছে ভূমিদস্যুরা যেটি আগেই বলেছি। ভূমিদস্যুদের তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে সেনাবাহিনীর নামও। আমরা রূপগঞ্জে জনসাধারণের প্রতিরোধও দেখেছি। এর সঙ্গে শেষ সংযোজন হচ্ছে আড়িয়াল বিল। এটিকে আর রেহাই দেওয়া যাবে না। এখানে বিমান বন্দর করতে হবে। এটিকে গলাটিপে হত্যা করা হচ্ছে। এটি একটি জলাশল এবং এক ফসলী জমি। এবং অর্থনৈতিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত হয়েছে এখানে বিমান বন্দর স্থাপনই সবচেয়ে কার্যকরী। এর সঙ্গে আর কোনও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট এবং পরিবেশগত ঝুঁকিগুলো কোনও রকম পর্যালোচনা না করে এতবড় সিদ্ধান্ত নেওয়া কীভাবে সম্ভব তা আমার মত সাধারণ মানুষের বোধগম্য নয়। যেখানে বৈশ্বিক আবহাওয়া পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে আমরা সেখানে আমরা নিজেরাই দেশের পরিবেশকে ক্ষুদ্র পুঁজিবাদী স্বার্থের লক্ষ্যে আরও নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছি।

দোহার, নবাবপুর ও শ্রীনগরের আড়িয়াল বিলের স্থানীয় জনসাধারণের ভাষ্য অনুসারে শুধুমাত্র এ বিলের উপর নির্ভর করে জীবন ধারণ করছে কয়েক লাখ মৎসজীবি ও কৃষিজীবী। কর্তৃপক্ষ তাদের বিশ্লেষণে বলেছেন এ বিমান বন্দর স্থাপিত হলে একটি অর্থনৈতিক "হাব" এ পরিণত হবে। অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে। তবে স্থানীয় জনসাধারণের ভাগ্যের পরিবর্তন কতটা হবে সে প্রশ্ন ভবিষ্যতের জন্য রইল। সরকারের দেওয়া ধারণা অনুসারে এটি হবে উন্নত প্রযুক্তির একটি বিমান বন্দর। সেখানে প্রযুক্তিগত শিক্ষায় দক্ষ ব্যাক্তিরাই সুযোগ পাবেন। হয়তোবা এতে দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা ভূমিকা রাখতে পারে।

আড়িয়াল বিলের জলাভূমি কত প্রজাতির পাখির আবাসস্থল সে সম্পর্কে আমাদের সুনিশ্চিত ধারণা নেই। তবে পরিবেশবাদীরা হয়তোবা বলতে  পারবেন। ইতিমধ্যে সরকার বলেছেন এখানে বেশি মানুষের আবাস নেই। কারও খুব বেশি ক্ষতি হবে না। কিন্তু মাননীয় সরকার কি জানেন শুধু মানুষই নন অন্য প্রাণীদেরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। আরও একটি শঙ্কা কাজ করছে, সেটি হচ্ছে যদি এ জলাভূমি বন্ধ করা হয়, তাহলে বর্ষার অতিরিক্ত পানির চাপের গতি পরিবর্তিত হয়ে আশপাশের স্থানীয় এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

কিছু বিকল্প প্রস্তাবনা

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার এ অর্থ দিয়ে বিকল্প কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে। সরাসরি বা হুট করেই আড়িয়াল বিলে বিমানবন্দর নির্মাণের বিরোধিতা করছি না। এর প্রয়োজনীয়তার দিকগুলো নিয়ে ভাবতে হবে। দেশের বিদ্যমান অন্যান্য সমস্যাগুলোর সঙ্গে ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ কতটা যৌক্তিক সে বিষয়েও ভেবে দেখা উচিত।

আমরা জানি আমাদের দেশের অনেক সমস্যা আছে। এরপরও দেশ এগিয়ে চলছে এবং আরও এগিয়ে যাবে। আমরা আশাবাদী। এই ৫০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে এসব অনেক সমস্যারই কিছুটা সমধান সম্ভব। তাহলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। আমরা মনে করি বিমানবন্দরের টাকা দিয়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের কিছু গুরুতর সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। বেকারত্ব দূর করে দারিদ্র বিমোচনে সহায়ক হতে পারে। দেশের হতদরিদ্র মানুষ উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পাবে। যা থেকে দেশ ও জাতি বিমানবন্দরের চেয়ে বেশি উপকৃত হবে। তাই আমাদের মনে হয় এত টাকা ব্যয়ে একটি বিমানবন্দর নির্মাণ বিলাসী পদক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়।

দেশের প্রায় ১৭/১৮ কোটি মানুষের সবাই বিদেশে যাবে না। এটি সম্ভবও না। অল্প কিছু মানুষ বিদেশে যায়। এদের জন্য এত টাকা ব্যয়ে নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের যৌক্তিকতা নেই। অনেকেই এক্ষেত্রে থাইল্যান্ড বা মালয়েশিয়ার কথা উদাহরণ হিসেবে বলতে পারেন। কিন্ত থাইল্যান্ড বা মালয়েশিয়ার ফেলানীরা অভাবের কারণে প্রতিবেশী দেশে কাজ শেষে ফেরার পথে বুলেটে মুত্যুবরণ করে, ৪/৫ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে থাকে না।

বিমানবন্দর না করে ওই টাকা দিয়ে কিছু উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে যা দেশের ও জনসাধারণের জন্য ভবিষ্যতে অর্থ ও মঙ্গল দুই আনবে। অনেকেই বলে থাকেন আমাদের শিক্ষার মান কমে আসছে। এটি আর নতুন কিছু নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশে প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে। না, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন নেই। উন্নত দেশগুলোর দিকে যদি তাকাই তাহলে আমরা দেখতে পাবো এমন অনেক শহর আছে যে শহরে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। কিন্তু এরপরও ওই শহরের সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে না। দেশের প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে একটি করে মানসম্পন্ন অত্যাধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যেতে পারে। যেখানে প্রাথমিক পর্যায় থেকে কলেজ পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষা দেয়া হবে। যে প্রতিষ্ঠানে দেশের মেধাবীদের উপযুক্ত বেতন দিয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। শুধু সাধারণ শিক্ষা নয় এখানে কারিগরি শিক্ষা দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের আধুনিক বিজ্ঞান প্রযুক্তির জ্ঞান দেওয়া হবে। সর্বোপরি কমপ্লিট-এডুকেশন দেওয়া হবে। এখান থেকে বের হওয়ার পর একজন শিক্ষার্থী দেশের সম্পদে পরিণত হবে। সে এরপর আর উচ্চ শিক্ষা নিক আর নিক। সে দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জ্ঞাত থাকবে। সাহিত্য ও সংস্থৃতিতে তার অবস্থান থাকবে। সে দেশের ফুটবল কিংবদন্তি সালাউদ্দিনের নাম জানবে। সে জাদুকর সামাদের কথা জানবে। আবার সে হাসন রাজা বা লালন শাহের কথাও জানবে। আমার ধারণা বাংলাদেশের অধিকাংশ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা হয়ত ভালোভাবে এসব জানে না।

অথবা ওই টাকা দিয়ে দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান খোলা যেতে পারে। বিদেশে শ্রমবাজার ধরার জন্য এখানে জনশক্তি তৈরি করা হবে। যেহেতু রেমিট্যান্স আমাদের আয়ের অন্যতম উৎস। তাই এ খাতের জন্য আমাদের বিশেষ পরিকল্পনা নিতে হবে। দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান কোনও ভাবেই দেশের অভ্যন্তরে করা সম্ভব নয়। এর জন্য যে বিশাল কর্মসূচি ও বরাদ্দ দরকার তা আমাদের আর্থসামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে বাস্তবসম্মত নয়। তাই বিভিন্ন দেশে সর্বোচ্চ কতজন শ্রমিক পাঠানো যায় দক্ষ হিসেবে সে বিষয়ে আমাদের নজর দেওয়া উচিত। জেলা পর্যায়ে এসব বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর জন্য বিভিন্ন ভাষা থেকে শুরু করে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে। আমরা জানি পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোসহ বেশ কয়েকটি উন্নত দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ধীরগতির হওয়ায় ওই সব দেশে সহসাই জনশক্তির ঘাটতি দেখা দেবে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশ এ ঘাটতি মোকাবেলায় কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।  ডেনমার্ক স্কিলড ওয়ার্কারদের গ্রিন কার্ড কর্মর্সূচির আওতায় দক্ষ শ্রমিকদের সে দেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। অস্ট্রিয়া এ বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছে যে এ বছরই তারা এ ধরনের কর্মসূচি শুরু করতে পারে। জার্মানীও এ নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে বলে তাদের শ্রমমন্ত্রী সম্প্রতি জানিয়েছেন। আমরা দক্ষজনবল তৈরি করে এ বিশাল শ্রমবাজার ধরতে পারি। তাহলে আমাদের দেশ থেকে কাউকে গলাকাটা পাসপোর্টে ইউরোপে আসতে হবে না। অমানবিক কষ্টের শিকার হতে হবে না। এসব প্রতিষ্ঠানে কারিগরি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ শেষে শুধু বিদেশেই নয় দেশেও উন্নয়নেরও অংশিদার হওয়া যাবে। কী বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তা বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজারের পরিস্থিতি ও চাহিদার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা যেতে পারে। যতদূর জানা যায়, বর্তমানে কানাডাতে সেবিকা পেশার জনশক্তির চাহিদা রয়েছে। এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি প্রদান করা যেতে পারে।

এছাড়া ওই টাকা দিয়ে দেশের ন্যূনতম পুরাতন বিভাগীয় শহরগুলোতে সম্ভব হলে নতুন বিভাগীয় শহরে একটি করে টারশিয়ারি পর্যায়ের উন্নত অত্যাধুনিক হাসপাতাল ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান করা যেতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেই দেখা যায় দেশের একমাত্র উচ্চমানের এ সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাসপাতালটিতে মানুষের ভিড়। কেউ হয়ত একটি শয্যার জন্য মাসের পর মাস অপেক্ষা ঘুর করছেন। কিন্তু পাচ্ছেন না। আবার স্থানীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও এ চিকিৎসা সম্ভব না। একটি বিমানবন্দরের চেয়ে এ ধরনের ৫/৬টি আধুনিক হাসপাতাল থেকে দেশের জনসাধারণ অনেক বেশি সুবিধা পাবে। টাকার হিসেবে এর মূল্যায়ণ করা যাবে না। এছাড়া বিদেশে রোগীদের যাওয়া কমে আসলে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। উপরন্ত আমরা যদি উন্নত সেবা দিয়ে বিদেশী রোগীদের আকর্ষণ করতে পারি তাহলে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়বে, পর্যটন শিল্পেরও বিকাশ ঘটবে।

আমাদের সর্বশেষ প্রস্তাবটি সাম্প্রতিক একটি মর্মান্তিক বিষয়ে নিয়ে। ভারত সীমান্তে ফেলানীর ঝুলন্ত লাশ আমরা পত্রিকার মাধ্যমে সবাই দেখেছি। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে ফেলানী অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে সীমানা আইন লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু বিএসএফ যা করেছে তা সরাসরি মানবাধিকারের লঙ্ঘন। যাই হোক আমাদের আলোচ্য বিষয় কেন ফেলানী বা তার মতো সীমান্তবর্তী মানুষ এভাবে ভারতে যায়। উত্তর খুব সহজ। অভাব। ড. ইউনূসের ক্ষুদ্রঋণ তাদের অভাব দূর করতে পারেনি বা সেখানে পৌঁছেনি। এজন্যই তারা ভারতে যায়। বিভিন্ন পণ্যের চোরাচালানে জড়িত থাকে। মাঝে মাঝে বিএসএফ-এর গুলিতে মারা পরে। আমরা মনে করি নতুন বিমানবন্দরের টাকা দিয়ে সীমান্তবর্তী মানুষদের জন্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশের 'অ্যাকটিভ লেবার মার্কেট পলিসি'র মতো কর্মসূচি গ্রহণ করে তাদের শ্রম বাজারে প্রবেশ করিয়ে দারিদ্র ও অভাব দূর করা যেতে পারে। এতে নিরপরাধ মানুষের জীবন রক্ষা হবে। দারিদ্র বিমোচনও হবে।

বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে একটি নতুন বিমানবন্দর না করে উল্লেখিত বিষয়গুলো ভেবে দেখা যেতে পারে। আর বিমানবন্দরের পাশেই যে একটি স্যাটেলাইট শহর গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে তা না করে গাজিপুরে একটি আইটি ভিলেজ করার জন্য যে জমি বছরের পর বছর ধরে পরে আছে সেটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত। যদি ইতিমধ্যেই এটি বাস্তবায়িত না হয়ে থাকে।
মারুফ মল্লিক:সুইডেনে উচ্চতর পড়াশুনা করছেন।
নাজিব জামান: সুইডেনে পাবলিক হেলথে এম এ করছেন।