চাই রোড সেফটি চ্যাম্পিয়ন

অপূর্ব সাহা
Published : 15 Oct 2014, 06:21 PM
Updated : 15 Oct 2014, 06:21 PM

সড়ক দুর্ঘটনা এক 'নিঃশব্দ মহামারী'। শব্দবন্ধটি সাম্প্রতিক সময়ে বহুল উচ্চারিত এবং শ্রুত। মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী কিন্তু ইত্যোবসরে বিভিন্ন পাবলিক গ্যাদারিং-এ স্বীকার করে নিয়েছেন যে, সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশে এক মহামারী আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন সভা-সেমিনারে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং চিন্তাবিদগণ বেশ জোরেসোরে শব্দবন্ধটি উচ্চারণ করছেন।

তারা যখন বলেন, আমি খেয়াল করে দেখেছি তাদের মনের গভীরে জমে ওঠা ত্রাস মুখের অভিব্যক্তিতে কী বিকট ছায়া ফেলছে! সত্যিই তারা শঙ্কিত। কারণ একযুগ ধরে তারা প্রত্যক্ষ করছেন। প্রতিদিন সড়কে খুন হওয়া মানুষের রক্তের বিনিময়ে তারা যা পাচ্ছেন, তা হাওয়াই মিঠার মতো উদ্বায়ী আর পলকা। অর্জন প্রায় কিছুই হচ্ছে না। কথা হচ্ছে, প্লান আর অ্যাকশন হচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। চিন্তাবিদগণ বুঝতে পারছেন, তাদের নিষ্ফলা উচ্চারণ সাধারণ মানুষের মনের তীব্র শঙ্কা নিবারণ তো করছেই না, বরং উসকে দিচ্ছে। এমন অনেক মানুষকে চিনি যাদের কাছে সড়কপথে ভ্রমণ আতংকের নামান্তর।

অসচেতন সাধারণ মানুষ, পূর্বে অজ্ঞানতাপ্রসূত অবস্থায় গাড়িতে চেপে প্রায় কিছুই না জেনে মৃত্যু আলিঙ্গন করেছে অথবা বরণ করে নিয়েছে পঙ্গুত্ব। এখন সচেতন হচ্ছেন তারা, আর মৃত্যু কিংবা পঙ্গুত্ব দুই-ই তাদের কাছে হয়ে উঠছে আরও বেশি ত্রাসের। কিছুদিন আগে আমার এক সচেতন নিকটাত্মীয়া বাসে করে ঢাকা থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলেছেন। ফোনে তিনি আমাকে বললেন, যাত্রার শুরু থেকেই তার নাকি বুকের ভেতর ঢিপ ঢিপ করছিল; বাসের ম্যানুভার শুরু থেকেই তাকে ভয়ংকর কিছুর সংকেত দিচ্ছিল। সচেতনতা দুর্ঘটনার আগের পরের মুহূর্তগুলো নারকীয় করে তুলেছিল।

তবু সচেতনতা দরকার। পথচলার ক্ষেত্রে সচেতন হলে, এ কথা অনস্বীকার্য যে, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব। আপনি সচেতন হয়ে পথ চললে, অন্য গাড়ি আপনাকে চাপা দিতে পারবে না। আপনি সচেতন হয়ে গাড়ি চালালে অন্য গাড়ি কিংবা পথচারীর সঙ্গে দুর্ঘটনায় জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যাবে। তাই সচেতন যাত্রী হয়ে যানবাহনে চাপলে ভ্রমণ শঙ্কাযুক্ত হয়ে উঠলেও, সড়কে নরহত্যা হ্রাসে সচেতনতার বিকল্প নেই।

বিশেষ করে আমাদের মতো দেশে, যেখানে বিদ্যমান প্রায় ৮ হাজার কিলোমিটার মহাসড়কের এক ইঞ্চিও মহাসড়কের সংজ্ঞার ভেতরে ফেলা যাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। গ্রাম-গঞ্জের ভেতর দিয়ে যে হাজার হাজার কিলোমিটার সড়ক রয়েছে তা ভীষণ সর্পিল, বাঁকসঙ্কুল, সড়ক-চিহ্ন এবং নির্দেশনাহীন প্রায়। অর্থাৎ এদেশে সড়ক প্রকৌশলে 'নিরাপত্তা' বিষয়টা অনেকাংশেই অনুপস্থিত। বিষয়টা এমন নয় যে শুধু নির্মাণকালীন সময়ে কিছু ফিচার ও আঁকিবুকি কেটে দিলেই হল। প্রয়োজন তার পরিচর্যা আর রক্ষণাবেক্ষণ এবং সময়ের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে বিনির্মাণ।

যেমন, একসময় ভাবা হত স্পিডব্রেকার হাইওয়েতে দুর্ঘটনা কমায়। এখন ধারণা পাল্টে গেছে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, প্রচলিত স্পিডব্রেকার সড়ক দুর্ঘটনার সুতিকাগার। তাই এখন স্পিডব্রেকার নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে, অথবা ভিন্ন প্রকৌশলের ব্রেকার স্থাপনের জন্য বলা হচ্ছে। তাই বলতে হবে, সড়ক প্রকৌশল হচ্ছে একটি ডাইনামিক বিষয়, যা দাবি করে চলমান গবেষণা আর বিপুল এক্সপার্টাইজেশন। এ কথা অত্যুক্তি নয় যে, দেশে এই খাতে চরম অপ্রতুলতা বিরাজমান।

সড়ক নিরাপত্তার আরেকটি ভাইটাল বিষয় হচ্ছে, সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থাপনা। এটা অত্যন্ত জটিল ও বহুমুখী; কোন সড়কের কোন লেন কখন কোন যানবাহনের জন্যে খুলে দেওয়া হবে, কতগুলো যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে; জরুরি বা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কী হবে; দুর্ঘটনা ঘটলে দুর্ঘটনাস্থল কতক্ষণের মধ্যে ক্লিয়ার হবে, ভিকটিমরা কতক্ষণের মধ্যে মেডিকেল সুবিধার আওতায় আসবে ইত্যাদি নানাবিধ বিষয় এর সঙ্গে জড়িত। সঠিক ব্যবস্থাপনা শুধু দুর্ঘটনার আশঙ্কাই হ্রাস করে না বরং যানজট নিরসন করে সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানোর সম্ভাবনা ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দেয়।

ক্রমবর্ধমান যানবাহনের প্রেক্ষাপটে পৃথিবীর অনেক দেশেই এখন জোর দেওয়া হচ্ছে পরিবহন ব্যবস্থাপনার উপর। সীমিত সড়ক ব্যবস্থায় এর আর কী বিকল্প হতে পারে? আমাদের দেশে ঈদোৎসবের সময় জনগণের ভ্রমণ কণ্টটকমুক্ত করতে ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এ রকম আলটপকা কিছু সিদ্ধান্ত দেখতে পাওয়া যায়। তারপর যে-কে সে-ই। এসব সিদ্ধান্তে সামগ্রিকতা বলে কিছু নেই, যা আছে তা হচ্ছে সিদ্ধান্তগ্রহীতাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বা সাময়িক বাহবা কুড়ানোর পাঁয়তারা। সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থাপনা হতে হবে সমন্বিত। আলটপকা কিছুর সময়িক চটকদারিত্ব থাকতে পারে, স্থায়িত্বশীলতার তিলমাত্র তাতে থাকে না।

তাহলে আমাদের আশা কোথায়? আছে। আশা নিহিত আছে সচেতনতা সৃষ্টির সম্ভাবনার মধ্যেই। কোন এনজিও কোন দাতা সংস্থার আর্থিক অনুদানে কবে একটা নির্দিষ্ট এলাকায় সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করবে, সেদিকে তাকিয়ে থাকা কোনো কাজের কথা বলে আমার মনে হয় না। তারা যে কোনো ভূমিকা পালন করছে না, তা কিন্তু নয়, বরং তারা এ ক্ষেত্রে, আমি বলব বেশ জোরদার ভূমিকাই রাখছে। কিন্তু মাত্রা তো অপ্রতুল। এভাবে কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তোলা অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

আমি সম্প্রতি সচেতনতা সৃষ্টির সম্ভাবনাময় ইঙ্গিত লুকিয়ে থাকতে দেখেছি সরকারি সেটআপের মধ্যেই। পাঠকগণ অনেকেই হয়ত জানেন যে, বাংলাদেশে সড়ক নিরাপত্তার সর্বোচ্চ সংস্থা হচ্ছে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল, যার সভাপতি হচ্ছেন খোদ যোগাযোগ মন্ত্রী। এই কাউন্সিলের আওতায় দেশের প্রতিটি জেলা, মেট্রোপলিটন এলাকা এবং যে সকল উপজেলার মধ্য দিয়ে জাতীয় বা আঞ্চলিক মহাসড়ক রয়েছে সে সকল উপজেলায় রয়েছে বা থাকার কথা, যথাক্রমে জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটি এবং উপজেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটি যাদের কাজ স্থানীয় পর্যায়ে সড়ক নিরাপত্তার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা দূর করার প্রচেষ্টা চালানো।

সম্প্রতি ব্র্যাকের পক্ষ থেকে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে বেশ কিছু পরামর্শ সভা করেছি। এইসব সভা করতে গিয়ে আমি খেয়াল করেছি প্রায় কোনো জায়গাতেই এই কমিটিগুলোর অস্তিত্ব নেই। না কাগজে-কলমে, না বাস্তবে। অনেকে যারা ওই কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত থাকার কথা, তারা কমিটির নাম পর্যন্ত জানেন না।

অথচ ২০০৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জারিকৃত 'সপ/বিআরটিএ/৩-এম-৮/৯৬-১১৬' নং প্রজ্ঞাপনে স্পষ্ট বলা হয়েছে সড়ক নিরাপত্তা কমিটি গঠন করার কথা। জেলা পর্যায়ে কমিটির সভপতি হবেন জেলা প্রশাসক অথবা পুলিশ সুপার। কমিটির অন্যান্যদের মধ্যে থাকবেন আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির (আরটিসি) সকল সদস্য মেট্রো এলাকার গণসংযোগ কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন, নির্বাহী প্রকৌশলী-সওজ, নিবাহী প্রকৌশলী-এলজিইডি, চেম্বার অব কমার্স-এর প্রতিনিধি, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের একজন করে সর্বাধিক ০৪ জন প্রতিনিধি (জেলা প্রশাসক/পুলিশ কমিশনার কর্তৃক মনোনীত)। বিআরটিএ-এর স্থানীয় কর্মকর্তা (বিআরটিএ'র চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত) থাকবেন কমিটির সদস্য সচিব।

নিঃসন্দেহে ব্রিলিয়ান্ট কম্পোজিশন। এই ধরনের পদাধিকারী মানুষগুলো ইচ্ছা করলে স্থানীয় পর্যায়ে ভেঙে ফেলতে পারেন অচলায়তন, পাল্টে ফেলতে পারে সড়ক পরিবহনের খোলনলচে।

এই কমিটির কার্যপরিধিও ব্যাপক, যার মধ্যে রয়েছে:

১. জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনআরএসসি) স্থানীয় ইউনিট-এর দায়িত্ব পালন এবং উক্ত কাউন্সিল ও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালা ও গাইডলাইনের আওতায় এলাকায় সড়ক নিরাপত্তা কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন ও বাস্তবায়ন তদারকী করা এবং সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান।

২. এলাকার সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রিভিউ করে এর উন্নয়নে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন।

৩. তুলনামূলকভাবে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে এমন এলাকার/স্থানের তালিকা প্রণয়ন করে প্রতিকারমূলক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।

৪. কমিটি প্রতি ৩ মাসে কমপক্ষে একবার এবং সভাপতির ইচ্ছানুসারে জরুরি বিবেচনায় যে কোনো সময় বৈঠকে মিলিত হবে।

উপজেলা পর্যায়ে কমিটির সভাপতি হবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আর কাজের পরিধি কম-বেশি একই রকম।

এই কমিটিগুলোর ভেতরে অপার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেখতে পেয়ে আমরা এগুলো পুনর্গঠন এবং সক্রিয় করে তুলতে অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। ফলশ্রুতিতে, ইতোমধ্যে বেশ কিছু জেলা এবং উপজেলায় কমিটিগুলো পুনর্গঠিত হয়েছে। কমিটির সদস্যগণ নিয়মমত বৈঠক করতেও শুরু করেছেন।

উদাহরণস্বরূপ বলব ময়মনসিংহের কথা। এ বছরের জুলাইতে জেলা প্রসাশক এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কমিটিটি গঠন করার পর গত অগাস্টে কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আমার মতে বৈঠকটি ছিল বৈপ্লবিক। কারণ এক টেবিলে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার পাশাপাশি বসে সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত স্থানীয় নানাবিধ সমস্যা এবং তা সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এটা সামান্য ব্যাপার নয়।

সভার রেজুলেশনটি আমার দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। আমি অভিভূত। কর্ম-পরিকল্পনার মধ্যে ট্রাফিক সপ্তাহ পালনের সিদ্ধান্তসহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং পরিবহন চালক-শ্রমিকদের সঙ্গে সচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজন করার কথা বলা হয়েছে।

পরবর্তী এক কনসাল্টেশন সভায় পুলিশ সুপার এবং সেখানকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আমার শুধু রোড সেফটি অ্যাকটিভিস্টই মনে হয়নি, চ্যাম্পিয়নও মনে হয়েছে। জেলা প্রশাসক মহোদয়কে তো শুরু থেকেই অ্যাকটিভিস্ট হিসেবে পেয়েছি।

এটা একটা মডেল, যা আশাজাগানিয়া। কিন্তু এটা হতাশার সমুদ্রে ছোট্ট প্রবালদ্বীপের মতো। একে ছড়িয়ে পড়তে হবে। চৌষট্টি জেলায় এবং সকল উপজেলায় সড়ক নিরাপত্তা কমিটি গঠন বা পুনর্গঠন করতে হবে। সরকারের জন্য এটা কঠিন কোনো টাস্ক নয়।

শুধু পুনর্গঠন করে বসে থাকলে চলবে না। নিয়মিত সভাগুলো যেন অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। সভা মানে কাগুজে সভা নয়। পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তা তদারকি এবং ফলোআপের ব্যবস্থা করতে হবে।

জাতিসংঘ সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যাপক গুরুত্ব দিয়ে ২০১১ থেকে ২০২০ সালকে 'সড়ক নিরাপত্তা দশক' ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিষয়টা প্রাধান্য-তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছে। সিদ্ধান্ত-গ্রহীতাদের কথা শুনলে মনে হয় তাদেরও আন্তরিকতার তেমন একটা অভাব নেই। সেই সূত্রে আমার পরামর্শ হচ্ছে, কমিটিগুলোর ভেতর গতিশীলতা আনতে কিছু বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়া যেতেই পারে। দেশে এবং দেশের বাইরে কমিটির সদস্যদের নিয়মিত এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের বা এক্সপোজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সর্বাধুনিক জ্ঞান এবং দক্ষতার তো বিকল্প নেই।

এছাড়া প্রতি বছর সড়ক নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য চ্যাম্পিয়ন কমিটি এবং স্বতন্ত্র চ্যাম্পিয়নদের শনাক্ত করে পুরষ্কৃত করা যেতে পারে।

জেলায় জেলায় উপজেলায় উপজেলায় এ রকম রোড সেফটি চ্যাম্পিয়ন গড়ে তুলে আমার ধারণা, খুব সহজেই আমরা সড়কে হত্যা বন্ধ করতে না পারলেও, অল্পদিনের ব্যবধানে সহনীয় মাত্রায় নিয়ে আসতে পারব।

অপূর্ব সাহা: ব্যবস্থাপক, ব্র্যাক সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচি।