চিকিৎসার আগে প্রতিরোধ চাই

সৈয়দ মাহবুবুল আলম
Published : 17 Jan 2011, 04:32 PM
Updated : 17 Jan 2011, 04:32 PM

দিন দিন মানুষের মাঝে রোগ বাড়ছে। রোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে সর্বসান্ত হচ্ছেন অনেকেই। ক্রমবর্ধমান রোগের জন্য জনসাধারণকে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা প্রদান রাষ্ট্র ও সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। রোগ সৃষ্টির অনেকগুলো কারনের মাঝে একটি বড় কারন হচ্ছে পরিবেশ দূষণ। পরিবেশ দূষণ রোগ বৃদ্ধির প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করছে জেনেও ব্যক্তি হিসেবে পরিবেশ দূষণ রোধে আমরা সক্রিয় নই। শুধুমাত্র সরকার বা প্রশাসনের উপর দায় চাপিয়ে দিয়ে নিজেদের পরিবেশ দূষণজনিত রোগ হতে আমরা নিজেদের মুক্ত রাখতে পারবো না।

অর্থনীতি ও পরিবেশ এ দুই শব্দের মাঝে লাভ হিসেবে আমরা অর্থনীতিকেই দেখি। পরিবেশ ধ্বংস বা দূষণের কারনে কী পরিমাণ মানুষের স্বাস্থ্য, অর্থনীতি বা দেশের পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে তা এখনো বিবেচনায় স্থান পায় না। বেসরকারী বা সরকারী কোন প্রকল্প বা কার্যক্রমে টাকার অংক দেখাতে পারলেই হলো। পরিবেশ, মানুষের স্বাস্থ্য এ বিষয়গুলো যেন গৌন হয়ে পড়ে। বাড়ছে পরিবেশ দূষণ, বাড়ছে রোগ, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনগন ও সরকারের চিকিৎসা খরচ। রোগ, পরিবেশ দূষণ বৃদ্ধি করছে দারিদ্র। কিন্তু অর্থনৈতিক উন্নয়নের কাছে পরিবেশ,  মানুষের স্বাস্থ্য স্থান পায় না। গুটিকয়েক মানুষের ব্যবসা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থের কাছে জিম্মি দেশের পরিবেশ ও জনগন। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে, স্বাস্থ্যনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দলিলেও রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অপেক্ষা চিকিৎসা ব্যবস্থাকে প্রধান্য দিতে দেখা গেছে। যদি আমরা মানুষকে সুস্থ্য রাখতে চাই তবে সুস্বাস্থ্য, রোগপ্রতিরোধ, অসংক্রামক ব্যাধির নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান জরুরি। স্বাস্থ্যসেবা নীতি বহুমাত্রিক বিষয়। সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হলে শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, পরিবেশ, অর্থনীতির মতো বিষয়গুলোতে গুরুত্ব প্রদান করা জরুরি। এককভাবে শুধুমাত্র একটি বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

পরিবেশ দূষণ, বিষাক্ত খাদ্য গ্রহণ, খাদ্যাভ্যাস ও জীবন-যাত্রার পরিবর্তনের ফলে আশংকাজনক হারে রোগ বিস্তার ঘটছে। বিশেষ করে বাড়ছে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, কিডনি সমস্যাসহ অন্যান্য দুরারোগ্য ব্যাধি। চিকিৎসা হয়ে উঠছে অত্যন্ত ব্যয়বহুল। ক্যান্সার আক্রান্ত একজন সামর্থবান রোগী চিকিৎসার জন্য কোটি টাকার উপরে খরচ করছে। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য ঔষধ, যন্ত্রপাতি ও অবকাঠমো তৈরিতে বিলিয়ন-ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করা হচ্ছে। তারপরও আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি রোগী সুস্থ হলেও রোগী ও তার পরিবারবর্গ, সমাজ ও রাষ্ট্র নানাভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর সমস্ত মানুষ নতুন নতুন সংক্রামক ব্যাধির ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। দিন দিন ঝুঁকি বাড়ছে। গবেষকেরা বলছেন, মনুষ্য প্রজাতি গত ২৫ বছরে ৩৫টি নতুন সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এ সকল ব্যাধি জনসংখ্যার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছড়িছে পড়ছে। রোগতত্ত্ববিদেরা বলছেন, পৃথিবীর মানুষ নতুন নতুন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মার্ক উলহাউস ২৫ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলেছেন, এই সময়ে মানুষ ৩৮টি নতুন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এই রোগগুলো মানুষের মধ্যে পূর্বে ছিল না। আর এসব রোগের ৭৫ শতাংশ এসেছে জীবজন্তু ও পশু-পাখি থেকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সংক্রামক ব্যাধির বিস্তার নিয়ে পর্যালোচনা করেছে। (গ্লোবালাইজেশন অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস: এ রিভিউ অব দ্য লিংকেজ)। তাতে দেখা যায়, ১৯৯৫ সাল থেকে ৩০টি নতুন ও পুরোনো রোগ নতুনভাবে আবির্ভূত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুসারে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি, রৈখিক জলবায়ু পরিবর্তন, বড় বড় বাধ নির্মান, বন উজাড় হওয়া, বিস্তীর্ণ ভূমি ন্যাড়া হওয়া-এসব কারনে রোগের আবির্ভাব হচ্ছে। প্রতি আট মাসে আসছে একটি নতুন রোগের ঝুঁকি, প্রতিরোধে দেশের প্রস্তুতি যথেষ্ট নয়।

এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিত্র প্রায় একই রকম। দেশের জনগনকে সুস্থ্য রাখতে পারলে তা সম্পদে রূপান্তর সম্ভব। তাই জাতিকে সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর গুরুত্ব দেয়া অত্যন্ত জরুরী। কারণ রোগ চিকিৎসা করার চাইতে, রোগ প্রতিরোধ উত্তম। কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মূলত চিকিৎসাকেন্দ্রিক হওয়ায় রোগ প্রতিরোধ বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে না। অথচ সচেতনভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করলে অধিকাংশ রোগই প্রতিরোধ করা সম্ভব। রোগ প্রতিরোধ ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য মঙ্গলজনক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত।

প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে মানুষের চিকিৎসার সহযোগিতা পাবার আকুতি। যাদের কিছুটা সুযোগ আছে তারা তাদের সমস্যা তুলে ধরতে পারে। অথচ অনেক মানুষ আছে যারা রোগের চিকিৎসা করাতে পারছে না, পাশাপাশি তাদের সমস্যাও তুলে ধরতে পারছে। আর এভাবে কত মানুষকে সহযোগিতা করা সম্ভব? এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশের ৮ লক্ষ ক্যান্সার রোগীর ৭ লক্ষই চিকিৎসা পাচ্ছে না। চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বসান্ত হচ্ছে মানুষ, এমন নজির অনেক রয়েছে। মানুষের দুর্ভোগ ও কষ্টকে সামনে রেখে, আমাদের স্থির করতে হবে আমরা কি রোগের চিকিৎসার জন্য মনোযোগী হবো, না রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার প্রদান করবো?

প্রচলিত আলোচনায় যদিও আমরা বলি রোগের চিকিৎসা হতে, প্রতিরোধই উত্তম। কিন্তু স্বাস্থ্য বিষয়ে নীতি, বাজেট এবং আলোচনায় আমরা মূলত উঠিয়ে নিয়ে আসি চিকিৎসা ব্যবস্থাকে। স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের যে কোন আলোচনায় প্রাধান্য পায়, কোথায় ডাক্তার নেই, ঔষধ নেই, হাসপাতাল নেই, সিট নেই, হাসপাতালের দুরবস্থা, দুর্নীতি, অনিয়ম, বাজেটে বরাদ্ধ কম, দালালদের উপদ্রব ইত্যাদি। এবং এর প্রতিটি বিষয়ই চিকিৎসাকেন্দ্রিক। অবশ্যই এই বিষয়গুলোর আলোচনা ও সমাধান জরুরি, কিন্তু এ সকল আলোচনায় হারিয়ে যায় আমরা কীভাবে রোগ হ্রাস বা প্রতিরোধ করতে পারি। বাংলাদেশ সংবিধানের দ্বিতীয়ভাগের অনুচ্ছেদ ১৫এ মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থার ক্ষেত্রে চিকিৎসাকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে এবং অনুচ্ছেদ ১৮ (১) এ জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নকে রাষ্ট্রের অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। কিন্তু সংবিধানের তৃতীয়ভাগে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি উল্লেখ্যযোগ্য না থাকায় তা বলবৎযোগ্য অধিকার হিসেবে দাবি করা যাচ্ছে না। দেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হলে, স্বাস্থ্যকে বলবৎযোগ্য মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়ে, সরকারকে রোগ প্রতিরোধকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

বিগত খসড়া স্বাস্থ্যনীতিতে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে উল্লেখ করা হলেও, নীতি বাস্তবায়নের কৌশলের ক্ষেত্রে বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি। যেমন উপক্রমনিকায় হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস অতিরিক্ত মোটা হওয়া, মানসিক রোগের পরিমান সম্পর্কে কোন তথ্য নেই। পানি দূষণ, পরিবেশ দূষণ, বায়ু দূষণ, শব্দদূষণ এবং কৃষি ও খাদ্য দ্রব্যে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্য ক্ষতির বিষয়ে উল্লেখ্য নেই। আবার অসংক্রামক রোগের কারণগুলো ও তা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে কোন ধরণের সুস্পষ্ট নীতি বলা হয়নি। এ বিষয়গুলো নীতি বাস্তবায়নের কৌশলে স্থান পায়নি।

স্বাস্থ্য যে কোন দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন উপাদান। স্বাস্থ্যের উন্নতি শুধু শ্রমশক্তির দক্ষতাকেই বৃদ্ধি করে না, এটি মানব মূলধনের অন্যান্য বিষয় যেমন শিক্ষার শক্তিকেও উন্নত করতে সহায়তা করে। জাতিকে সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থাকে উন্নত করার চাইতে, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিতে হবে। রোগ প্রতিরোধ করা গেলে স্বাস্থ্য খাতের ব্যয় কমানো সম্ভব, যা আমাদের অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান করবে।

রোগ প্রতিরোধ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের সুস্বাস্থ্যকে নিশ্চিত করবে। তবুও সারা বিশ্বে স্বাস্থ্য সেবা উন্নত করার লক্ষ্যে রোগ প্রতিরোধের চেয়ে চিকিৎসাকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন রোগের ঔষধ তৈরিতে বিলিয়ন-ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করছে। অথচ এসব রোগের প্রতিরোধের জন্য আশানুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যসেবা আজ বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, ক্যান্সারসহ অনেক অসংক্রামক রোগ রয়েছে, এসব রোগের চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। অথচ একটু সচেতন হলেই এসব রোগ বহুলাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

বিশ্বে রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাবে, দিন দিন অসংক্রামক রোগের সংখ্যা বাড়ছে। এ সব রোগ উন্নত বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য প্রধান কারণ।

পূর্বেই বলা হয়েছে পরিবেশ দূষণ অসংক্রামক ব্যাধির অন্যতম কারণ। অর্থনৈতিক উন্নয়নের নামে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন দূষিত করছে পরিবেশ। বাংলাদেশের পানি, নদী, জলাশয়, বায়ু আজ মারাত্মক দূষণের শিকার। পানি বাহিত রোগ  প্রকট আকার ধারণ করছে। পরিবেশ দূষণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও সাময়িক অর্থনৈতিক ক্ষতির আশংকায় পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। অপর দিকে নিত্য নতুন স্থাপিত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে পরিবেশ দূষণ না করে সে বিষয়েও পদক্ষেপ সীমিত। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ কথা বলা যায়, শিল্প দূষণের ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি অগ্রাধিকার পাচ্ছে। এক দিকে অব্যাহত পরিবেশ দূষণ, অপর দিকে অসংক্রামক ব্যাধির বিরুদ্ধে প্রচারণা কতটুকু জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন করছে তা প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়। জনস্বাস্থ্য উন্নয়নকে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হলে, শিল্পদূষণ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

কৃষিজ ও প্রাণীজ খাদ্যে রাসায়নিক দ্রব্য বহুলভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, সংরক্ষনসহ বিভিন্ন কাজে অর্থনৈতিক লাভের বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। রাসায়নিক সার, ঔষধ ও কীটনাশনের ব্যবহার আজ আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কার্যক্রমের লক্ষ্য তথাকথিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর এ ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য প্রধান্য পাচ্ছে না।

স্বাস্থ্য নিয়ে বানিজ্যের অর্থ হচ্ছে মানুষের শরীরকে পণ্যে পরিণত করা। মানুষকে সুস্থ্য রাখতে হলে প্রথমেই রোগ প্রতিরোধের মতো ব্যবস্থাগুলোকে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। রোগ প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সুস্থ্য জাতি বা স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন কোনভাবেই সম্ভব নয়। যদি রোগ প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তবে চিকিৎসা খরচ, রোগ ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। যা জাতির সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করবে। আর তাই স্বাস্থ্যনীতি ও স্বাস্থ্য পরিকল্পনায় রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে প্রধান্য দিতে হবে।

সৈয়দ মাহবুবুল আলম : সংগঠক, নীতি বিশ্লেষক এবং তরুণ আইনজীবি।