উন্নয়ন সম্ভাবনার স্বর্ণদিগন্তে দাঁঁড়িয়ে

বাহাদুর ব্যাপারী
Published : 28 Sept 2014, 09:45 AM
Updated : 28 Sept 2014, 09:45 AM

২০০১ সালে পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এক বিশাল ছাত্র-গণসম্বর্ধনায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে 'দেশরত্ন' উপাধি দেয়, তখন বিএনপি-জামাতচক্র একে বাঁকা চোখে দেখেছিল। কিন্তু আজকে, শেখ হাসিনার ৬৮ তম জন্মদিনে দাঁড়িয়ে এ কথা জোর গলায় বলা যায় যে, ছাত্রলীগের ওই উদ্যোগ যথার্থ ছিল। তিনি আসলেই দেশের রত্ন।

১৯৯৬-২০০১ পর্বে শেখ হাসিনা মূলত একটা কল্যাণমূলক অর্থনীতির ভিত্তি রচনা করেন। তারই অংশ হিসেবে ড. কুদরাত-এ-খুদা কমিশনের যুগোপযোগী সুপারিশগুলোর ওপর ভিত্তি করে শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেন; যুগ যুগ ধরে অবহেলিত গ্রামীণ, বিশেষ করে প্রান্তিক মানুষের, প্রাথমিক স্বাস্থ্য-অধিকার নিশ্চিত করতে অভিনব কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা চালু করেন; প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যক্তিখাত জড়িয়ে উৎপাদন ক্ষমতা ১৬০০ মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে প্রায় ৪০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেন; সম্প্রচার মাধ্যমকে সরকারের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করে দেন।

সর্বোপরি, দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তিনি শান্তিপূর্ণ পন্থায় রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে প্রধানত '৭৫-পরবর্তী সামরিক সরকারগুলোর ভুল নীতির কারণে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণাকারী পাহাড়ি রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামকে শান্তির ধারায় নিয়ে আসেন। এই কাজ করতে গিয়ে ওই বিদ্রোহীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দানকারী ভারতের সঙ্গে যে সফল কূটনেতিক বোঝাপড়া গড়ে তোলেন তারও তুলনা বিশ্বের ইতিহাসে খুব বেশি পাওয়া যাবে না।

এ কথা বলা অতিরঞ্জন হবে না যে, ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আওয়ামী লীগকে হারিয়ে না দেওয়া হলে, অর্থাৎ সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা হলে, বাংলাদেশ আজকে বিশ্বেও কাছে যে অমিত সম্ভবনার দেশ বলে পরিচিতি পাচ্ছে তা সেদিনই সম্ভব হত। মনে রাখতে হবে, ২০০১ সালের অক্টোবরে ক্ষমতা পাওয়ার পর বিএনপি-জামাত জোট দেশকে শুধু রাজনৈতিক নয়, প্রায় সব দিক দিযেই পিছিয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার সরকারকে ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর প্রথমেই ওই ঘাটতি পূরণ করতে হয়েছে। সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে এ ঘাটতিটুকু সৃষ্টি হত না।

যা হোক, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে, সাধারণ নির্বাচনের ঠিক আগে, শেখ হাসিনা যে দিনবদলের সনদ এবং 'ভিশন ২০২১' ঘোষণা করেন তাতেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, বাংলাদেশ এক নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। গত ছয় বছরের সালতামামি নিলে দেখা যাবে, কী রাজনীতি, কী অর্থনীতি, কী কূটনীতি, তিনি যেখানেই হাত দিয়েছেন সেখানেই সাফল্য পেয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খাত ধরে সংক্ষেপে কিছু আলোচনা করলে বিষয়টা পরিষ্কার হতে পারে।

দ্বিতীয় দফায় যে বছর তিনি ক্ষমতা নেন সে বছর বাজেটের আকার ছিল ৯৯ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি, যা চলমান অর্থবছরে আড়াই গুণেরও বেশি বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এই সময়ে জিডিপির বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি ছিল রেকর্ড ছয় শতাংশের ওপরে। রপ্তানি আয় ইতোমধ্যে ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে; ধারণা করা হচ্ছে ২০২০ সালের আগেই তা ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০০৮ সালের আগস্টে ছিল আট বিলিয়ন ডলার; তা এখন ২২ বিলিয়ন ডলার। ধারাবাহিক বাম্পার ফলনের সুবাদে এ বছর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো– এক সময়ে মার্কিন পিএল-৪৮০-র গমের জন্যে তীর্থের কাকের মতো যাকে অপেক্ষা করতে হত– বাংলাদেশ চাল রপ্তানি করছে।

২০০৭-০৮ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ৬০৮ ডলারের মতো; এখন তা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ১২০০ ডলার ছুঁই ছুঁই করছে। ২০০৫ সালে দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল ৪০ শতাংশ মানুষ, এখন তা ২৫ শতাংশ বা তার কিছু বেশি। ২০০৯ সালে সামগ্রিকভাবে সাক্ষরতার হার ছিল ৫০ শতাংশ, যা এখন ৭০ শতাংশ। প্রাথমিকে ভর্তির হার দু'বছর আগেই প্রায় ১০০ ছুঁয়েছে; ঝরে পড়ার হারও ২০-এর কোঠায় নামিয়ে আনা হয়েছে। মাধ্যমিকে পাশের হার ৯০ ছাড়িয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিকেও তা ৮০-এর কাছাকাছি।

এখনও মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম হলেও শিক্ষার কোনো স্তরেই ভর্তিসংকট বলে কিছু নেই। এই সেদিনও সেশন জ্যাম ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ রোগ, এখন দু'একটি ছাড়া সবাই এ রোগ থেকে মুক্ত। শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময়েই উচ্চশিক্ষা শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করছে। এমনকি, উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর আগে তাদেরকে অন্তত এক বছর বসে থাকতে হত, এখন তারা যে বছর পাশ করছে সে বছরই উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারছে।

বিএনপি-জামাত জোট আমলে বন্ধ করে দেওয়া ১২ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক আবারও চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে একেবারে অজ পাড়াগাঁয়ের মানুষও এখন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে, নারীরা পাচ্ছে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর হাতে গর্ভকালীন ও প্রসব-উত্তর সেবা। এর ফলে নবজাত শিশুমৃত্যুর হার ২০০৯ সালের চেয়ে অর্ধেকেরও কমে নেমে এসেছে, একই অবস্থা প্রসবকালীন মাতৃমৃত্যুর হারেরও। এসব অর্জন জাতিসংঘের কর্তাব্যক্তিদের এতটাই আপ্লুত করেছে যে, মিডিয়ার খবর অনুসারে, তাঁরা এখন কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার কর্মসূচি নিতে যাচ্ছেন।

২০০৯ সালের ৩২০০ মেগাওয়াটের বিপরীতে আমরা এখন ৭৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারি, প্রয়োজনীয় গ্যাস পেলে তা আরও ১০০০ মেগাওয়াট বাড়ানো যায়। ২০১৯ সালের মধ্যে উৎপাদনে আনার লক্ষ্য নিয়ে বাগেরহাট, কক্সবাজারের মহেষখালি, পটুয়াখালিসহ দেশের বিভিন্নস্থানে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের যে কর্মযজ্ঞ চলছে তা এশিয়ান জাযেন্ট চীন, জাপান, ভারত, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশেরই নজর কেড়েছে।

পদ্মা সেতু, একাধিক মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, ঢাকার মেট্রো রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, সোনাদিয়ার গভীর সমুদ্রবন্দর ইত্যাদি মেগা প্রকল্প এসব দেশের বিভিন্ন কোম্পানিকে বাংলাদেশমুখী করে তুলছে। দেশগুলোর প্রত্যেকে চট্টগ্রামে নির্মীয়মাণ কোরীয় বিশেষ ইকোনমিক জোনের আদলে এলাকা বরাদ্দের জন্য সরকারের কাছে দেনদরবার করছে। জাপান তো এমনও মনে করছে যে, বাংলাদেশের অবকাঠামো ও শিল্প-উন্নয়ন তার নিজের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি হতে পারে। অন্তত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের বিগ-বি পরিকল্পনাতে এমনটিই বলা আছে।

২০০৩-০৪ সালেও আমরা বিশ্বের বিভিন্ন মুরুব্বি দেশ ও সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত প্যারিস কনসোর্টিয়ামের কথা শুনতাম, যার বার্ষিক বৈঠকটি হত আমাদের বাজেট প্রণয়নের আগে আগে। তখন আমাদের অর্থমন্ত্রী 'ভিক্ষার ঝুলি' নিয়ে ছুটতেন ওই বৈঠকের উদ্দেশে। মূলত ওই বৈঠকে প্রাপ্ত ঋণ ও সাহায্য প্রতিশ্রুতির ওপর ভর করেই আমাদেও বাজেট প্রণীত হত। কয়েক বছর আগে কনসোর্টিয়ামটি বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (বিডিএফ) নামে ঢাকাতেই বসার আয়োজন করে।

গত তিন বছর বৈঠকটি হচ্ছে না। কিন্তু তার জন্যে আমাদের বাজেট প্রণয়ন আটকে থাকছে না। এখন আমরা বাজেট করি মুলত আমাদের রাজস্ব আহরণের ওপর ভর করে। বৈদেশিক সাহায্য খুব একটা আসে না, আমরাও এর জন্য দেনদরবার করি না। বিদেশ থেকে যা আসে তা মূলত ঋণ, সেটাও পরিমাণে খুব বেশি না; জিডিপি'র দুই শতাংশেরও কম। এই ঋণও অনেকাংশেই আমরা আমাদের শর্তেই গ্রহণ করি।

এ প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে, পদ্মাসেতু নিয়ে দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রের ক্রীড়নক হয়ে পড়ায় শেখ হাসিনা ২০১২ সালে ওই প্রকল্পে দেয় বিশ্বব্যাংকের ১.২ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রত্যাখ্যান করেন। কিছুদিন আগে অবশ্য, সংস্থাটি ওই সময়ে অনুসৃত তাদের কার্যক্রম সঠিক ছিল না বলে স্বীকার করেছে এবং ওই একই পরিমাণ অর্থ অন্য প্রকল্পে দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে, সম্প্রতি, আইএমএফও চলমান ইসিএফ (এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফেসিলিটি) ঋণের বাইওে আরও কিছু ঋণ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু বাংলাদেশ বলে দিয়েছে আপাতত তা না হলেও চলবে।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা যখন বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ প্রত্যাখ্যান করে নিজস্ব অর্থে পদ্মাসেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন তখন সুশীল সমাজের প্রায় সবাই হায় হায় রব তুলেছিলেন। একদিকে টকশোতে, আরেকদিকে বিভিন্ন পত্রিকায় দিনের পর দিন তারা বলে ও লিখে বেড়িয়েছেন যে, এতে দেশটা দুনিয়াতে একঘরে হয়ে পড়বে এবং এর ধারাবহিকতায় অচিরেই ভয়াবহ সংকটে পড়বে। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে এর উল্টোটা। খবরে প্রকাশ, উক্ত ঋণের বাইরেও বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি মোটা অংকের ঋণচুক্তি খুব শিগগিরই স্বাক্ষর হতে চলেছে।

আগেই বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া দুনিয়ার সব বড় বড় অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশকে কাছে টানার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র কিছুটা গোস্বা করেছে, কারণ শেখ হাসিনা মার্কিন কর্তাদের বহু অনুরোধ এবং চোখরাঙানি সত্ত্বেও এদেশে তাদের অনুচরদের যা-ইচ্ছে-তা করতে দিচ্ছেন না। মজার ব্যাপার হল, একই ব্যক্তিবর্গ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরও সমস্বরে একই রকম আশংকা প্রকাশ করেছিলেন, শুধুমাত্র আরেকবার হতাশ হওয়ার জন্য।

সম্প্রতি পরিচালিত দুটো জরিপে বলা হয়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ মনে করে দেশ সঠিক ধারায় চলছে; তারা সরকারের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট। জরিপ দুটোর একটা করেছে ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউন, আরেকটি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পিউ রিসার্চ সেন্টার। আসলে দেশের বেশিরভাগ মানুষ শেখ হাসিনাকে চিনতে পারলেও ওই সুশীল ব্যক্তিরা পারেননি। পারেননি বলেই তাদের কেউ কেউ এখনও জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত ১/১১-টাইপ সরকার গঠনের স্বপ্ন দেখেন, কেউবা বিএনপির ছেঁড়া পালে বাতাস দেওয়ার নিষ্ফল চেষ্টা করে চলেছেন।

তারা বুঝতে পারছেন না, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর শুধু রক্তের উত্তরাধিকার নন, আদর্শেরও যথার্থ উত্তরাধিকার। এ কথা কে অস্বীকার করবে যে বঙ্গবন্ধু ও বাঙালি জাতি এক ও অভিন্ন সত্তা? আবার তিনি আওয়ামী লীগকে একই ধারায় গড়ে তুলেছিলেন বলেই আইয়ুব ও ইয়াহিয়া দলটিকে শত চেষ্টার পরও নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি। ১৯৭৫ সালে ওদেরই এদেশীয় প্রেতাত্মারা দলটিকে ধূলোয় মিশিয়ে দিতে চেয়েছিল, ওই একই কারণে তা-ও সফল হয়নি। আজকে যে '৭৫-এর পটপরিবর্তনের প্রধান সুবিধাভোগী একসময়কার দোর্দণ্ড প্রতাপশালী বিএনপি শেখ হাসিনার সামনে দাঁড়াতে পারছে না, তার কারণও এখানেই নিহিত। বঙ্গবন্ধুর পর বাঙালিকে শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউই এতটা আপন করে ভালোবাসেনি।

আর এই ভালোবাসা তাঁকে যে শক্তি যুগিয়ে চলেছে তার জোরেই তিনি আরেকটি ১/১১-এর প্রবল আশংকা উপেক্ষা করে দেশকে গণতন্ত্রের ধারায় রাখতে পেরেছেন। দেশি-বিদেশি সকল অপশক্তির রক্তচক্ষু এড়িয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার চালিয়ে যেতে পারছেন। ভারতসহ প্রতিবেশিদের সঙ্গে আজন্ম বিরাজমান সমস্যাগুলোর একে একে সমাধান করে চলেছেন। সর্বোপরি, নিজেকে শুধু এশিয়া নয়, বিশ্বপরিসরে প্রভাবশালী ও মর্যাদাবান নেতাদের সারিতে তুলতে পেরেছেন।

শেষ কথা হিসেবে তাঁর সম্পর্কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক একটি মন্তব্য একটু পরিবর্তন করে বলা যায়, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে একটা পাসপোর্ট দিয়েছেন, শেখ হাসিনা সে পাসপোর্ট মর্যাদাবান করে তুলেছেন।

আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা বঙ্গবন্ধুকে অকালে হারিয়েছি, আমাদের সৌভাগ্য আমরা শেখ হাসিনাকে পেয়েছি। তাঁর ৬৮তম জন্মদিনে আমরা তাঁর দীর্ঘ জীবন কামনা করি।


বাহাদুর ব্যাপারী:
সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ; সহ-সম্পাদক, কেন্দ্রীয় উপ কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।