ঋণ মানুষের অধিকার, দেনাও তাই?

Published : 11 Dec 2008, 07:20 AM
Updated : 4 Jan 2011, 07:19 PM

শিরোনামটি আমার নয়। শিরোনামের প্রথম অংশটি মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্ধৃতি, দ্বিতীয় অংশটি প্রথম অংশকে চ্যালেঞ্জ করে টমাস ডিক্টার নামের এক উন্নয়ন বিশেষজ্ঞের তোলা প্রশ্ন। গত ৩০ নভেম্বর নরওয়ের একটি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত আমার প্রামাণ্যচিত্র 'কট ইন মাইক্রো ডেব্ট'-এ তার সাক্ষাৎকার আছে।

প্রচারিত প্রামাণ্যচিত্রটি ছিলো ক্ষুদ্রঋণের ওপর নির্মিত একটি আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য চিত্রের নরওয়েজিয়ান সংস্করণ। প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণে আমরা গত কয়েক বছর ধরে কাজ করছিলাম। জানুয়ারির শেষ দিকে সুইডেন ও ডেনমার্কে এর নতুন সংস্করণ প্রচার হবে 'দ্য মাইক্রো ডেব্ট' নামে। অন্যান্য দেশও প্রামাণ্যচিত্রটি সম্প্রচার করবে বলে আমরা কেবল প্রত্যাশা করতে পারি। টমাস ডিক্টারের প্রশ্নটিই (দেনাও তাই?) আমাদের প্রামাণ্যচিত্রের মূল বক্তব্য: ক্ষুদ্রঋণ সত্যি দারিদ্র্য দূর করে? গরীবের হাতে একটা ক্ষুদ্র অংকের টাকা দেওয়া এবং বাকি কাজটুকু 'বাজারকে' করতে দেওয়াই কি দারিদ্র্য দূর করা?

মেক্সিকো, ভারত ও বাংলাদেশের অসংখ্য দরিদ্র মানুষের সঙ্গে কথা বলার পর আমার তা মনে হয় না।

বিশ্বের একশ' কোটি মানুষের –আমার ও আপনার মতোই–টাকা প্রয়োজন। কিন্তু ওই টাকার জন্য গরীব মানুষকে যখন ৩০ থেকে ২০০ শতাংশ হারে সুদ গুনতে হয় তখন যে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে যে এটা কিভাবে সম্ভব হচ্ছে? আমরাও তাই করেছি। ওই প্রশ্নটা তুলেছি। আমরা ঋণ বিষয়ক বইপত্র পড়েছি, দেখেছি অযৌক্তিক বাজারের কিছু পরিণতি; যেখানে ঋণগ্রহীতা গরীব মানুষেরা আমাদের বলেছেন, হয়রানি, ভয়-ভীতি ও হুমকি-ধমকির শিকার হওয়ার কথা। তারা আমাদের যা বলেছেন তা থেকে লাখ লাখ মাইল দূরের বিষয় দারিদ্র্য দূর করার এক নম্বর সমাধান ক্ষুদ্রঋণের বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ও ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হাসি হাসি মুখের থেকে। আমার জানা মতে, এবারই প্রথম কোনো টেলিভিশন প্রামাণ্যচিত্র ভিন্ন দিকে দৃষ্টি ঘুরিয়েছে, দেখাতে চেয়েছে মুদ্রার উল্টো পিঠ। ভিন্ন দিক, যেখানে ভারতে মরার জন্য মানুষ বিষ পান করছে বা আগুনে ঝাঁপ দিচ্ছে অথবা যেখানে ২০০ শতাংশ হারে সুদের ঋণে জর্জরিত হয়ে মেক্সিকোর দরিদ্র নারীরা সবকিছু হারাচ্ছে অথবা যেখানে দিনাজপুর এলাকার গ্রামবাসীরা তাদের দরিদ্র দশা থেকে এক বিন্দুও সরেনি।

অন্যদিকে, ঋণের সুদ দিতে বসত ঘর বিক্রি হয়েছে এবং এলাকা ছেড়ে বড় শহরে পালিয়েছে মানুষ। সাপ্তাহিক কিস্তি দিতে অলঙ্কার, বাসন-কোসন এবং থালা-বাটি এমনকি ঘরের চালের টিনও বিক্রি করেছে ঋণগ্রহীতারা। শুধু বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ও ব্যাংকই নয়, আছে স্থানীয় সুদখোররাও যারা আগের চেয়ে এখন আরো বেশি সক্রিয়।

একটি ক্ষুদ্র পালক ও পাঁচটি ছানা
আমাদের প্রামাণ্যচিত্রের একটি অংশ গ্রামীণ ব্যাংক ও মুহাম্মদ ইউনূস। প্রায় এক মাস তারা বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের মনোযোগের কেন্দ্রে ছিলেন। এ ক্ষেত্রে নৈর্ব্যক্তিকভাবে বলতে পারি, বিখ্যাত ডেনিস কবি হ্যানস ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসনের সেই রূপকথার গল্পের মতো যাতে একটি ক্ষুদ্র পালক পাঁচটি ছানায় রুপান্তরিত হয়। শুধু তাই নয়, সেগুলো ভীতিকরও।

বাংলাদেশ, ফ্রান্স, ইতালি এবং ব্রিটেনের খুব বেশি সাংবাদিক নরওয়েজিয়ান ভাষায় সাবলীল নয় তাই বিষয়টি নিয়ে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। তবে কাজটি ঠিকভাবে না করার জন্য এটা কোনো দোহাই হতে পারে না।

গ্রামীণ ব্যাংক ও ইউনূসকে নিয়ে আমি এতো বেশি ভুল দেখেছি ও পড়েছি যে গ্রামীণ ব্যাংক ও মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে গুজব রটনাকারী বিভিন্ন সাংবাদিক ও বিশ্লেষকদের শোধরাতে আমার বেশিরভাগ সময় ব্যয় হয়েছে। আমার প্রামাণ্যচিত্রের মূল বক্তব্যের ব্যাপক ভুল ব্যাখ্যা ও ভুল বোঝাবুঝির কিছু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সংশোধনের সুযোগ দেওয়ায় আমি আনন্দিত:

* ইউনূস বা গ্রামীণ ব্যাংকের সমৃদ্ধির জন্য গ্রামীণ ব্যাংক থেকে গ্রামীণ কল্যাণে তহবিল সরানো হয়েছে– এরকম আমরা কখনো বলিনি বা দাবি করিনি।

* ওই অর্থের কোনো অপব্যবহার বা দুর্নীতি হয়েছে বলে আমরা কখনো বলিনি বা দাবি করিনি।

* গ্রামীণ ব্যাংক কোনো আইন ভেঙেছে আমরা কখনো এমন বলিনি বা দাবি করিনি।

তবে আমরা যা বলেছি এবং এখনো বলছি তা হলো:

* তহবিল স্থানান্তর নরওয়ে ও বাংলাদেশের মধ্যকার চুক্তির লঙ্ঘন ছিলো।

* গ্রামীণ ব্যাংককে দেওয়া নরওয়ের অনুদানের বাকি অর্থ কী হয়েছিলো নরওয়ের আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদনে সে বিষয়ে কোনো গ্রহণযোগ্য উত্তর নেই।

* তথাকথিত 'সমঝোতা'য় আসলে কী ছিলো তা নিয়ে আমরা এখনো বিভ্রান্ত।

* আমরা অনেক নথি প্রকাশ করেছি যেগুলো নোরাডের দপ্তরগুলো এবং নরওয়ের ঢাকা দূতাবাসে 'গোপনীয়' হিসেবে অভিহিত। আমরা প্রশ্ন করেছি, তহবিল স্থানান্তরে কোনো সমস্যা না থাকলে নথিগুলো জনগণের কাছ থেকে আড়াল করে রাখা হয়েছে কেন? এখন পর্যন্ত কেউ এ প্রশ্নের উত্তর দেয়নি।

* অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রথম সচিব গ্রামীণ কল্যাণ থেকে গ্রামীণ ব্যাংকে তহবিলের পুরো অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে গেলেন কী কারণে তা নিয়ে আমরা এখনো বিভ্রান্ত। আমরা এখনো জানি না কেন এটা হয়েছিলো। (তবে আমি পড়েছি, মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন সব অর্থ শেষপর্যন্ত (কখন?) ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তা হয়ে থাকলে কেন সেটা করা হলো যেখানে বলা হচ্ছে তহবিল স্থানান্তরে কোনো সমস্যা ছিলো না?)

* কর বিষয়ক কারণে তহবিল স্থানান্তর করা হয়েছিলো– এটিই ছিলো নোরাড ও নরওয়ের ঢাকা দূতাবাসের নথিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি।

* 'কর প্রশ্নটি' আমাদের কাছে বিভ্রান্তিকর। কর-এর কারণে ওই তহবিল স্থানান্তর করা হয় আমার জানামতে এ বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন মুহাম্মদ ইউনূস। আমরা শুধু তার ব্যক্তিগত চিঠি থেকে উদ্ধৃতি দিতে পারি। আমরা এখনো জানতে চাই তহবিল স্থানান্তরের পেছনে কী কারণ/উদ্দেশ্য ছিলো।

* নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি গ্রামীণ ব্যাংককে নরওয়ের অর্থ সহায়তা দেওয়া শেষ হলে গ্রামীণ ব্যাংক ও নরওয়ের ঢাকা দূতাবাসের অংশগ্রহণে একটি যৌথ মূল্যায়ন (একক কোনো মূল্যায়ন নয়) বিষয়ে সম্মতি হয়। ওই মূল্যায়নে তহবিল স্থানান্তর নিয়ে একটি শব্দও উল্লেখ করা হয়নি কেন?

মূল্যায়ন কমিটির প্রধানের মতে, এটা চুক্তির অংশ ছিলো না। কেন তা মূল্যায়নের অংশ ছিলো না তার উত্তর আমরা কখনো পাইনি। মূল্যায়নের শর্তগুলো কে নির্ধারণ করেছিলো?

গ্রামীণ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানতে আমি খুব আগ্রহ নিয়ে ওয়েবসাইটটি পড়ি; কারণ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংকের একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকার নিতে আমি প্রায় ছয় মাস চেষ্টা করেছি। তিনি ও ব্যাংকটি এতে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এটা তাদের সিদ্ধান্ত। ক্ষুদ্রঋণ জনপ্রিয় করতে বিশ্বের সবচেয়ে নিবেদিত প্রাণ একজন ব্যক্তি অসংখ্য ইমেইলে আমার তোলা অনেক জটিল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেছেন এতে আমি শুধু অনুতাপই করতে পারি।

চলুন সমাজকে 'গ্রামীণিকরণ' করি

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এ এর আগে এক লেখায় আফসান চৌধুরী ঠিকই বলেছেন: ক্ষুদ্রঋণ নিতান্তই একটি সাধারণ ঋণ ব্যবস্থা এবং দারিদ্র্য দূর করার মতো কোনো অলৌকিক সমাধান তা নয় যেভাবে দাতা সংস্থাগুলো, গ্রামীণ ব্যাংক এবং ক্ষুদ্রঋণের সাফল্যের প্রচারক সংগঠনগুলো বিক্রি করে আসছে।

প্রায় সব উন্নয়নশীল দেশে ক্ষুদ্রঋণ যেভাবে কাজ করে তা যতটা সরল বলে মনে হয় ঠিক ততোটা সরল নয়। ভারতে এসকেএস এবং মেক্সিকোর কমপার্তামোস তাদের প্রাথমিক শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে এ বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়েছিলো যে দরিদ্র মানুষকে ব্যবহার করে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। ইউএনডিপির তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের বাস্তব পরিস্থিতি ইউনূসের 'দারিদ্রকে যাদুঘরে দেখা'র বক্তব্যের বিপরীত। ইউএনডিপি'র ১৯৯০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৮৪ শতাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। ২৯ বছর পর ইউএনডিপি'র বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ৮১ শতাংশ মানুষ ২ মার্কিন ডলারের কম টাকা খরচে বেঁচে  থাকে (টিকে থাকে!)।

ক্ষুদ্রঋণ চালু হওয়ার তিন দশক পর এবং বাংলাদেশ বিশ্বে ক্ষুদ্রঋণের মাতৃভূমি হওয়ায় যে কেউ আশা করতে পারে যে বাংলাদেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে আসার কথা। দুঃখজনকভাবে তা হয়নি; কারণ দারিদ্র্য এতো সহজ বিষয় নয়। মানুষ নানা কারণে দরিদ্র হয়, বেসরকারি খাতকে 'গ্রামীণিকরণ' তার সমাধান নয়। আমাদের প্রামাণ্যচিত্রে টমাস ডিক্সটার বলেছেন, "আমরা সবাই বিল গেটস হতে পারি না। আমরা কেন বিশ্বাস করি যে গরীব মানুষ আমার-আপনার চেয়ে ভালো উদ্যোক্তা।"

স্ক্যান্ডিনেভিয়ার কল্যাণমূলক রাষ্ট্রগুলো দেখিয়েছে, একটি কল্যাণকর সমাজ প্রতিষ্ঠার অর্থ হচ্ছে দেশের জনগণকে বিনামূল্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, ভালো অবকাঠামো, কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের কর প্রয়োজন। এ উন্নয়ন কয়েক প্রজন্মের প্রচেষ্টার ফসল এবং তা মুক্তবাজারের কারবারি বা লোভী কোনো সুদখোর ব্যক্তি বা এনজিও বা ব্যাংকের হাত ধরে হয়নি, হবে না।

নিজের আয়ের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ আয়কর দেওয়া অনেকটা মর্ষকামের মতো ব্যাপার মনে হতে পারে। কিন্তু স্ক্যান্ডিনেভিয়ায় এটাই বাস্তবতা। পক্ষান্তরে একটি টাকাও ব্যয় না করে আমার সন্তানরা চিকিৎসক বা অধ্যাপক হতে পারে। এমনকি লেখাপড়ার জন্য তারা রাষ্ট্রের কাছ থেকে টাকাও পায়। অর্থ ব্যয় না করেই আমি একটি হৃদপিণ্ডের জন্য প্রয়োজনে শল্য চিকিৎসা নিতে পারি।। চাকরি হারালে রাষ্ট্র আমাকে খাওয়ার ও মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর টাকা দেবে।

আলোচনা উঠলে বেশিরভাগ মানুষই বলে, ক্ষুদ্রঋণ পরিচালনা একটি ব্যয়বহুল ব্যাপার। ব্যাংক ও এনজিওগুলোর বিশাল প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হয় এবং এ কারণে তাদের মাত্রাতিরিক্ত সুদ "নিতেই হয়"। আমার প্রশ্ন: ব্যবস্থাটা যে এরকম তার দোষ কি গরীব মানুষের? সপ্তাহে তারা কী পরিমাণ টাকা তুলে আনে এবং কী পরিমাণ ঋণ দেয় তার জন্য ঋণ পরিচালনা কর্মকর্তাদের বেতন দিতে হবে? আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়া বেশিরভাগ ঋণগ্রহীতা বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে তিন থেকে সাত ধরনের ঋণ নিয়েছে–এর প্রধান কারণ কিস্তি দিতে ব্যর্থ হওয়া ঋণগ্রহীতাদের পুরনো ঋণ শোধে নতুন ঋণ দেওয়া হয়েছে। তথাকথিত "সাফল্যের হার" অর্জনের জন্যই এটা করা হয়েছে যে হার ডেনিস ব্যাংকগুলোর চেয়েও বেশি।

মৌলিক ভোক্তা অধিকারের কী অবস্থা? ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রে কি সেগুলো থাকে? ভারত ও বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে আমাদের সঙ্গে যাদের দেখা হয়েছে তাদের প্রায় সবাই লিখতে বা পড়তে জানে না। আমরা প্রশ্ন করেছিলাম: লেখাপড়া না জানলে ঋণপত্রে কী লেখা আছে তা জানেন কীভাবে?

তারা বলেন, "ঋণ কর্মকর্তা আমাদের বলে দেন।"

সবকিছু সুন্দর হবে– এরকম বুঝিয়ে একজন অন্ধকে মহাসড়ক পার হতে বলার মতো ব্যাপার এটা।

এই বিষয়গুলোতে আরো কার্যকর অনুসন্ধানের আহ্বান জানিয়েছেন আফসান চৌধুরী। আমি তাতে পুরোপুরি একমত। অবশ্য অনেক তথ্য-প্রমাণ ও প্রতিবেদন রয়েছে যেগুলোতে ক্ষুদ্রঋণের "অসফল দিকগুলো" তুলে ধরা হয়েছে।

সমস্যা হলো, কেউই শুনতে চায় না।

এখন তাদের শোনার সময়।

অনুবাদ: আজিজ হাসান