মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া একটি বিবৃতি দিয়েছেন এবং সেটি দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের কাগজে। দাবি করেছেন, দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী অপরাধের সঙ্গে তার পরিবারের একজনেরও সম্পৃক্ততা নেই। সোজা কথায়, পিঠ বাঁচাতে চেয়েছেন তার মেয়ের জামাই, সাবেক লেফটেনেন্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মাহমুদের। ইনি অপসারিত হয়েছেন, তবে আদালতে এখনও দোষী সাব্যস্ত হননি।
দেখাই যাচ্ছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী নিজের পরিবারের দুর্যোগ সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
প্রথমত, ঘটনাটির তদন্ত চলছে। যা কিছু তদন্ত বাধাগ্রস্ত করতে পারে তা-ই অগ্রহণযোগ্য। দুর্ভাগ্যজনক হল, মন্ত্রী অন্যরকম ভেবেছেন। তিনি স্রেফ ভুলে গেছেন যে, শীতলক্ষ্যায় হতভাগ্য সাতটি মরদেহ ভেসে ওঠার আগেই তার জামাতা র্যাবের নারায়ণগঞ্জ ইউনিট-প্রধানের চাকরি খুইয়েছেন। অর্থাৎ তারেক সাঈদ মাহমুদ প্রথমেই সন্দেহভাজন হিসেবে তদন্ত প্রক্রিয়ায় ঢুকে গেছেন। সুতরাং বিবৃতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে মন্ত্রীও তদন্তে ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন।

২৭ এপ্রিল নারায়ণঞ্জের কাউন্সিলর, একজন স্থানীয় আইনজীবী ও আরও ৫ জনের অপহরণের খবর যখন আসে, তখন সবেমাত্র সুপরিচিত এক পরিবেশকর্মীর স্বামীর ‘অপহরণ’ ও ‘ফিরিয়ে দেওয়ার’ কাণ্ডটি সম্পন্ন হয়েছে। ৩৬ ঘণ্টার ওই চমকপ্রদ ঘটনাপ্রবাহের রেশ তখনও কাটেনি; আর তখনই প্রাচীন নদীটিতে লাশগুলো ভেসে উঠল। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, খুনিরা ছিলেন পেশাদার এবং তাদের সব কাজেই ছিল পেশাদারিত্ব।
নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের শ্বশুর তখনও পর্যন্ত (৪ মে) এই দাবি করেননি যে, এই সাতজনকে হত্যা করতে র্যাব অফিসাররা ছয় কোটি টাকা নিয়েছেন। ক্ষমতার বলয়ে থাকা জামাতা এরই মধ্যে, ২৯ এপ্রিল, ‘এলিট ফোর্স’ থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে স্বগৃহে, অর্থাৎ সেনাবাহিনীতে, প্রত্যাবর্তন করেছেন। একই সময়ে একজন মেজর ও একজন লেফটেন্যান্ট কমান্ডারকেও র্যাব থেকে বের করে দেওয়া হয়।
সেনাবাহিনী এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কাজ করেছে। এক দণ্ড অপেক্ষা না করেই তারা তাদের তাৎক্ষণিকভাবে চাকরিচ্যুত করে। নৌবাহিনীও কালক্ষেপণ করেনি। ওইদিনই র্যাব-১১ তে কর্মরত মন্ত্রী-জামাতার সহযোগীকে বরখাস্ত করা হয়। দেখা গেল, সশস্ত্র বাহিনীর জনসংযোগ দপ্তরও দ্রুততার সঙ্গে গণমাধ্যমকে জানিয়ে দিল।
ঘটনার পর থেকে নেওয়া পদক্ষেপগুলো দেখে সুবিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারকে আন্তরিক বলেই মনে হয়েছে। র্যাব-১১ এর প্রধানকে সরানোর দিনই জেলার পুলিশপ্রধানকে বদলি করা হয়। পরের দিন জেলা প্রশাসককে সরানো হয়। এর ক’দিন পর, ৭ মে, তদন্তে ন্যূনতম প্রভাব বিস্তার করতে পারেন, এমন ৮১ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তার একদিন পর, শুক্রবার, রাজশাহী র্যাবের এমন এক কর্মকর্তাকে র্যাব-১১ এর দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় যিনি অপেক্ষাকৃত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক ছিল বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্ত অকস্মাৎ মন্ত্রী মায়া তার পেশিশক্তি প্রদর্শন করার সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেটি ওই অফিসারদের মতো তাকেও রাস্তা মাপতে বলার পক্ষে যথেষ্ট যুক্তির যোগIন দেয়।
বিবৃতিতে মায়া বলেছেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে তার পরিবারকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করায় তিনি গভীরভাবে বেদনাহত। সেগুলো তার এবং তার পরিবারের মানহানি ঘটিয়েছে। তিনি আরও বলেন, তিনি চান দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক।

কিন্তু বিবৃতির আসল উদ্দেশ্য তিনি স্পষ্ট করেছেন এভাবে: “আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে জানিয়ে রাখতে চাই, এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত মামলায় অভিযুক্তদের সঙ্গে আমার পরিবারের কোনো সদস্যের কখনওই কোনো রকম যোগাযোগ বা ব্যবসায়িক লেনদেন বা সম্পর্ক ছিল না।”
এই বিবৃতির দু’দিন আগেই যে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে তার জামাতাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে এটা মন্ত্রীর মাথায় আসেনি। এও বলতে হয়, সেনাবাহিনী, তার প্রথা এবং বৈশিষ্ট্যের অন্যথায়, সেই ঘটনা চেপে যাওয়ার কোনো চেষ্টাও করেনি, বরং ব্যবস্থা নিতে পেরে সশস্ত্রবাহিনীকে গর্বিতই মনে হয়েছে। আইএসপিআরের কাজের ধারা সম্পর্কে যার সামান্য ধারণাও আছে তিনি এটা বুঝতে পারবেন।
খেতাবপ্রাপ্ত একজন মুক্তিযোদ্ধার (অমুক্তিযোদ্ধা হলেও বিষয়টা একই থাকে) সব রকম অধিকার রয়েছে তার পরিবারের কোনো সদস্যকে রক্ষা করার (বর্তমান ক্ষেত্রে সদস্যটি শুধু তার মেয়ের জামাই, আপাতত; ‘আপাতত’, কারণ আরও কিছু বিশ্বাসযোগ্য তথ্য আদালতে আমলযোগ্য নয় বলে খুলে বলা হচ্ছে না)। কিন্তু এখানেই তিনি স্বার্থ-দ্বিত্বের উদাহরণ সৃষ্টি করছেন। একজন কেবিনেট সদস্য ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহারে অভিযুক্ত তার জামাতাকে রক্ষার চেষ্টা করছেন।
মায়া তার বিবৃতিতে বলেছেন, তার পরিবার নিয়ে গণমাধ্যমে অনেক কথাবার্তার মধ্যেও নিজেকে সংযত রেখেছিলেন, কোনো মন্তব্য করে তিনি তদন্তে ‘প্রভাব’ বিস্তার করতে চাননি। পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এই, ব্যক্তিগত বিবৃতির আড়ালে তিনি এক অর্থে শাসিয়েছেন পুলিশ, র্যাব ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটিগুলোকে: ‘‘আমার পরিবারের কারও গায়ে হাত লাগাতে যেও না, ওরা নির্দোষ’’।
নির্দোষ? হয়তো, হয়তো নয়। কিন্তু তাতে তারা যে তদন্তাধীন সে সত্য পাল্টে যায় না।
মন্ত্রীর বিবৃতির প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা আগেই র্যাবের পদস্থ সূত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান অপরাধ প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেছেন, র্যাবের চলমান তদন্তে তাদের অফিসারদের হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার পক্ষে প্রমাণ মিলেছে।
এই ঘটনাপ্রবাহ মন্ত্রীর জন্য দুর্যোগবহ। তিনি ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে যখন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, তার ও তার বেপরোয়া পুত্রদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের পরও পার পেয়ে গেছিলেন। কিন্তু এই দফাতেও একই রকম ঘটলে মন্ত্রী মায়া যাঁর তত্ত্বাবধানে রয়েছেন সেই প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজের প্রতি সুবিচার করবেন না।
[বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ইংরেজি সংস্করণের অপিনয়নে প্রকাশিত আর্টিকেল থেকে বাংলা ভাষান্তর করেছেন: অনিন্দ্য রহমান]
সৈয়দ আলী
এই প্রথম আওয়ামী লীগকে অসহায় দেখাচ্ছে। কী বলবে তা স্থির করতে পারছে না।
মন্ত্রিত্ব হারানো হাছান মাহমুদ কোন রন্ধ্র দিয়ে কথা বলেন তা বোঝা মুশকিল। গতকালই তিনি বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের জন্য জামায়াত-বিএনপি দায়ী (প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পোঁ ধরেছিলেন আর কী)। আর তার বক্তব্য হালে পানি পায়নি বলে আজ হেদায়েত করেছেন, এই খুন নিয়ে রাজনীতি করবেন না।
পক্ষান্তরে, সব বিষয় নিয়ে “এক দণ্ডে খুলে যায় মুখ” প্রধানমন্ত্রী এখন নিরবতার হিরন্ময় নীতি অনুসরণ করছেন।
এর উপর গোদের মধ্যে বিষফোঁড়া তৌফিক ইমরোজ খালিদীর মতো পেশাদার মানুষ যখন বিবেকের তাড়নায় মাঠে নামেন, তখন তো পরিস্থিতি আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে আর থাকে না!
mujtoba
ঠাকুর করে কে রে? আমি কলা খাই না…
মায়ার প্রতিক্রিয়া দেখে এই প্রবাদ বাক্যটি মনে পড়ল!
Abdul mannan gazi
আর কত নাটক দেখতে হবে? এইভাবে কি দেশ চলবে?
সরকার দেশকে কি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানাতে চাচ্ছে???
Md. Ahsan Ullah Sarker
অনেক ধন্যবাদ জনাব খালেদিকে দেশের স্বার্থে আপনার সময়োপযোগী সাহসী ভূমিকা ও সংসাহসের জন্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠির মতামতকে সম্মান দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জের ৭ হত্যার সুবিচার করার পদক্ষেপ নিবেন আশা করি। অপরাধী যে-ই হোক না কেন, আপনার প্রিয় দলের কর্মী বা কর্মকর্তা হলেও সুবিচার নিচ্শিত করা জাতির জনকের কন্যা হিসাবে আপনার নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং দেশবাসী আশা করে। কোন রকমের শৈথিল্য করা কি আপনার পক্ষে সাজে?
রতন দ্বীপ
তৌফিক ইমরোজ খালিদী,
কঠিন অসময়ে সময়োচিত লেখনির জন্য আপনাকে হাজার ছালাম
জুয়েল
অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক, বিচার চাই মুজিবকন্যার কাছে…
alamin
মোফাজ্জল হোসেন মায়াকে অতিদ্রুত শেখ হাসিনা উনার মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করবেন আশা করি। তার নিজেরই এখন উচিত ন্যায়বিচারের স্বার্থে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করা।
emran hossain
খুনি এবং খুনিদের রক্ষা করতে যারা সচেষ্ট তাদেরকে বিচারের আওতায় না নিয়ে জনগণের আদালতে সোপর্দ করুন।
এই জনতাই পারে এসব নমরুদকে শায়েস্তা করতে….
সালেক খান
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার সাহসী লেখাটির জন্য। আমরা প্রত্যাশা করছি এ ধরনের লেখা অব্যাহত থাকবে এবং দেশকে বিপদমুক্ত করতে কাজে লাগবে।
আপনার লেখাটির সূত্র ধরে একটু গভীরে যেতে চাই, কারণ যদি আমরা এ সবের শেষ চাই তা হলে উৎস সন্ধান করতেই হবে।
শুরুতে আপনার লেখা থেকে উদ্ধৃত করছি–
“একজন কেবিনেট সদস্য ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহারে অভিযুক্ত তার জামাতাকে রক্ষার চেষ্টা করছেন।
মায়া তার বিবৃতিতে বলেছেন, তার পরিবার নিয়ে গণমাধ্যমে অনেক কথাবার্তার মধ্যেও নিজেকে সংযত রেখেছিলেন, কোনো মন্তব্য করে তিনি তদন্তে ‘প্রভাব’ বিস্তার করতে চাননি। পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এই, ব্যক্তিগত বিবৃতির আড়ালে তিনি এক অর্থে শাসিয়েছেন পুলিশ, র্যাব ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটিগুলোকে: ‘‘আমার পরিবারের কারও গায়ে হাত লাগাতে যেও না, ওরা নির্দোষ’’।
নির্দোষ? হয়তো, হয়তো নয়। কিন্তু তাতে তারা যে তদন্তাধীন সে সত্য পাল্টে যায় না।
মন্ত্রীর বিবৃতির প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা আগেই র্যাবের পদস্থ সূত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান অপরাধ প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেছেন, র্যাবের চলমান তদন্তে তাদের অফিসারদের হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার পক্ষে প্রমাণ মিলেছে।”
— কেন এ পরিস্থিতি? আমাদের দেশে প্রশাসন কি তার স্বাভাবিক নিয়মে চলে? একজন ভুক্তভোগী হাসপাতালে কিছু ভোগান্তির পরে হলেও কিছু সমাধান (চিকিৎসা) পায়। কিন্তু চুরি-ডাকাতি বা অপহরণের অভিযোগ নিয়ে পুলিশ বা প্রশাসনের কাছে গিয়ে কী পায়?
কারণ অনুসন্ধান করলে অনেক কিছুই জানবেন। টাকার বিনিময়ে লোভনীয় পোস্টিং এবং পরে দ্রুত উপার্জন, এটাই যেন এক শ্রেণির চাকুরীজীবীর জন্য সরল সহজ নিয়ম।
পাশাপাশি রাজনীতিবিদদের সহজ নিয়মটা কী?
নিম্নতর স্তরের নেতা-কর্মীদের শুধু প্রশ্রয়, প্রশ্রয় আর প্রশ্রয় দেওয়া– তা সে খুন করুক, দখলবাজি করুক, চাঁদাবাজি করুক– তা হোক (!) ফুটপাত থেকে বা রিক্সা গ্যারেজ থেকে। তারা অপহরণ করে টাকা দাবি করুক, টেন্ডার বাক্সে হানা দিক– সবই যেন বাহাদুরি করার মতো এক একটা রেকর্ড !
কারণ নেতারা মনে করেন নিজ নিজ সমর্থনের ভিত্তি তৈরি করার জন্য মাস্তান-ক্যাডাররাই সবচেয়ে উপযোগী। এমনকি এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়রসহ বিভিন্ন স্তরে নমিনেশন পাচ্ছে অতীত সন্ত্রাসের রেকর্ডে ‘গুণান্বিতরা’।
অনেকবার আলোচিত হওয়ার পরেও তৃণমূল পর্যায় থেকে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রচর্চা শুরু হয়েছে কি? ছোট-বড় যে কোনো নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি বন্ধ হয়েছে কি?
এই মূহূর্তে আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলের সুযোগ আছে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রচর্চা শুরু করার। আছে আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার। কারণ, আওয়ামী লীগ সরকার এখন খুব কমফর্টেবল অবস্থায় আছে। একইভাবে বিএনপি প্রচুর জনসমর্থনের কারণেই নিজেদের কমফর্টেবল ভেবে একটু গুছিয়ে নিলে আগামীতে সব নির্বাচনে ভালো করবে। আর এভাবে এগিয়ে দুই প্রধান দলই সত্যিকারের জনভিত্তি গড়ে তুলতে এবং প্রশাসনকে সৎ ও গণমুখী করতে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
দেশের জনগণের অসহায়ত্ব ঘোচাতে সব দলের নেতৃবৃন্দ সচেতন হবেন কি?
Kibria Zahid Mamun
ধুতুরা গাছ লাগিয়ে মিষ্টি ফজলি আম আশা করা বৃথা। সো, সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুর কানে আজান দিয়ে মুয়াজ্জিন দাবি করবেই শিশু আমার….
ওয়াকিল আহমেদ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, দুর্নীতিবাজ এবং সন্ত্রাসী ব্যক্তিদের দল থেকে বহিষ্কার করুন। আমরা দেখতে চাই আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠা।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের জামাতার সঙ্গে তার পুত্রের নামও এখানে জড়িয়ে গেছে। দেখার বিষয় ‘একজন মানুষের চেয়ে দলের স্বার্থ বেশি, না দলের চেয়েও দেশের স্বার্থ বেশি’, এ প্রশ্নের মীমাংসা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কীভাবে করেন।
আমরা তাঁর প্রজ্ঞার উপর এখনও আস্থাশীল…
R. Masud
এই সরকারের জন্য এখন একটা মহাসুযোগ, সমাজের পচা আবর্জনাগুলো পরিস্কার করার। লোকালি পেশিশক্তির ক্রিমিনালদেরও এখন ধরার উপযুক্ত সময়।
দলমতনির্বিশেষে সবাই এই হত্যার বিচার চায়। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের ভালো লোকেরাও ন্যায়বিচার চায়। আওয়ামী লীগ এই সুযোগটাকে কাজে না লাগালে ধীরে ধীরে ‘৭৫ সাল আবার ডেকে আনার সুযোগ দেওয়া হবে।
কারণ এই বাংলায় মীরজাফর জন্ম দেওয়া জরায়ুর অভাব তো কখনও হয়নি…
Kazi Shahadat Hossain
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা কি কিছু আশা করতে পারি?
তৌফিক ভাই, ধন্যবাদ।
monzur
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় পদক্ষেপ আশা করি…
সৈয়দ আলী
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন প্রকাশ্যে বলে ফেলেছেন যে, নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের জন্য দায়ী বিএনপি, তখন বেচারা মায়া ও তার গুষ্টি নিয়ে কথা বলা উচিত কিনা, মাননীয় সম্পাদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ভেবে দেখবেন।
তবে হতে পারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লঘু করা কিংবা মানুষকে তা ভুলিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই নিবন্ধ রচনা। আমরা আদার ব্যাপারীরা অত বড় মানোয়ারী জাহাজের খবর তো জানি না…
সামিম মওলা
আত্মীয়-স্বজন হলে তারা যে নির্দোষ মায়া ভাই সেটা বলতেই পারেন। বাকিটা তো অনুসন্ধানের বিষয় এবং বিচারের বিষয়।
নজরুল ইসলাম নিহত হয়েছেন, সেখানে তাই মানুষ হত্যার বিচার অবশ্যই কাঙ্ক্ষিত। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না যে, এরা সবাই এলাকার কোটি কোটি টাকা চাঁদা তোলা মাফিয়া!
কিন্তু নিহত নজরুলের শ্বশুর শহীদ চেয়ারম্যান, যিনি নিজেও এখনও চাঁদাবাজি করে চলেছেন, তার বয়ানে ৬ কোটি টাকা একজন নয়, তিনজন সামরিক বাহিনীর অফিসার প্লাস মন্ত্রীপুত্রের চাকরি খোয়ানোর ঝুঁকির নিরিখে হাস্যকরভাবে কম!
দুই বা তিনটি ইউএন মিশন, লাভজনক পজিশনে পোস্টিং আর ডিওএইচএসএ-র জমির মূল্য আর সঙ্গে একজন সামরিক অফিসারের রেকর্ডের মূল্য অনেক বেশি কথিত ৬ কোটি টাকার নিরিখে!
তাই দয়া করে পূর্ণ তদন্তের আগে অন্তত মায়া ভাইকে গালি-গালাজের চেষ্টা করবেন না খালিদি সাহেবেরা! মায়া ভাই এত দিন কথা বলছিলেন না। আপনারা বলেছেন, মায়া ভাই কেন কথা বলছেন না, আর আজ কথা বলাতে তার ওপর এতটা গোস্বা?
খালিদি সাহেব, আমি আওয়ামী লীগ করি না, গত ত্রিশ বছর মায়া ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়নি আমার। কিন্তু এসএসসি ক্যান্ডিডেট আমি ১৯৭১ সালে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার স্নেহের ছত্রচ্ছায়ায় মুক্তিযুদ্ধে ছিলাম এই ঢাকা নগরীতেই।
আপানারা এ সব বুঝবেন না। শুধু মনে রাখবেন, আজ এতখানি উন্নতি করেছেন, কারণ দেশটা স্বাধীন হয়েছিল।
তাই দয়া করে মায়া ভাইকে ব্যক্তিগত আক্রমণের ‘সাহস’ দেখাবেন না। হিতে বিপরীত হতে পারে। তদন্ত ও বিচার সুষ্ঠুভাবে হতে দিন। কাহিনি বানাবেন না দয়া করে!
— ড. সামিমুল মাওলা, পিএইচ-ডি, এমফিল, এমবিবিএস, ঊন্নয়নকর্মী
সৈয়দ আলী
আপনার ডিগ্রীর বহর দেখেই আমি অর্ধেক কাবু হয়ে গেছি। এরপরে আপনার হুঙ্কার তো আমাকে থরথরিয়ে কাবু করে দিতো যদি না এই অধমও মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়ার সাহসটুকু আজো ধরে রাখতে অক্ষম হতো। আপনি হেদায়েত করেছেন, ‘আপানারা এ সব বুঝবেন না। শুধু মনে রাখবেন, আজ এতখানি উন্নতি করেছেন, কারণ দেশটা স্বাধীন হয়েছিল।’ কেন আমরা বুঝবোনা? আপনার ডিগ্রীর বহর শুধু আপনাকেই বুঝতে সক্ষমতা দিয়েছে? আপনার মায়া ভাইকে আক্রমন করতে কি সাহস লাগে? আমি স্পষ্ট করে বলছি, ১৯৯৬-২০০০ সালের আওয়ামী লীগের শাসনকালে মায়া ও তদীয় পুত্রের যথেচ্ছাচার জনগন আজো ভুলেনি, ভুলবেওনা। আপনার মায়া ভাই কোন সাহসে একটি তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে মুখ খুলেন? তিনি একাত্তরে ক্র্যাকপ্লাটুনের কমান্ডার ছিলেন বলেই আমাদের মাথা কিনে নেননি। সেই পদ বেঁচে আর তার দিন চলবেনা। আপনি যে অশিষ্ট ভঙ্গীতে
তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে শাসিয়েছেন, আমিও আপনাকে বলে দিচ্ছি, আপনার পরমগুরু মায়ার মুখে হাতচাপা দিন!! অথবা এর ফলাফল ভোগ করবেন।
সালেক খান
সৈয়দ আলী সাহেবকে সালাম
আওয়ামী লীগ নিজের কবর নিজে খুঁড়ছে – – আল্লাহ্ সবাইকে হেদায়েত করুন।
মুক্তিযুদ্ধের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব অনেক, কিন্তু এই দলের নেতারা বার বার ভুল করে এবং দেশবাসীকে অন্ধকার গলিতে ঢুকিয়ে দেয়।
কি অসুবিধা চিহ্নিত খুনি চাঁদাবাজদের দল থেকে এই মূহুর্তে বের করে দিলে? পথে পথে চাঁদাবাজি করা, মানুষ ধরে নিয়ে টাকা দাবী করা কি কোন বাহাদুরি?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীঃ মেহেরবানী করে এইসব দুর্গন্ধযুক্ত নেতা-কর্মীদের সামলান, আল্লাহ্র ওয়াস্তে এবং একটা ভাল অবস্থায় থেকেও যদি না পারেন, কখন পারবেন?
এক বছর আগেই তো একাত্তরের খুনী-ধর্ষকদের চাঁদে দেখা গিয়েছিল বলে বাস পোড়ানো, নিরীহ মানুষ হত্যাসহ জঘন্য সব অপকর্ম করেছে স্বাধীনতা বিরোধীরা, তারপর হঠকারী রাজনীতি করে নিজেরাই ফাঁদে পড়েছে। আমাদের জানামতে তখন চাঁদাবাজ বা সন্ত্রাসীরা সরকারকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি, এসেছিল সচেতন জনগণ, গণজাগরণ মঞ্চ এবং পুলিশ ও প্রশাসনের কিছু সুশৃঙ্খল সদস্য,অনেক পুলিশ প্রাণও হারিয়েছে। ত্বকী হত্যার মত জঘন্য কাজ করে গডফাদাররা গণজাগরণ মঞ্চকেই ঠেকাতে চেয়েছিল।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে কি ?
aliahmed
সময়োপযোগী লেখার জন্য লেখককে ধন্যবাদ। ক্ষত কেটে ফেললে যেমন ক্যান্সার নিরাময় হয়, তেমনি দল থেকে দোষীদের বাদ দিয়ে দলকে সুস্থ রাজনীতি উপহার দিলে, দেশবাসীকে সুখী করা যায়।
এই প্রত্যাশা রাখছি এখন….
H,M Profulla
ধন্যবাদ সাহসী লেখক তৌফিক ভাইকে…
রুদ্র সাইফুল
লেখাটি খুবই গুরুত্ববহ্। ধন্যবাদ, খাালিদী ভাই।
চপল
সবচেয়ে আগে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। কারণ নজরুলের জীবন বিপন্ন জেনেও তাকে রক্ষা করতে পারলেন না। তাই এর দায় পুরোপুরি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, তথা সরকারের।
Sk. Rafique Hossain
এ ঘটনার বিচার না হলে আর আওয়ামী লীগের রাজনীতি করব না…
rk akash
মায়া-বদিদের হয় না কিছুই, হয় সাধারণ লোকের, প্রতিবাদে লাশ গুম হয়, নিস্তব্ধতা শোকের…
Rajib
মায়ার মন্ত্রিত্ব যাওয়া শুধু উচিত নয়, তার বিরুদ্ধে মামলাও করা উচিত। কিন্তু এটাও মনে রাখা দরকার, ঢাকায় দলের জন্য মায়া পারেননি বা করেননি এমন কোনো অপকর্ম নেই। আর এর পুরস্কারস্বরূপ তিনি পেলেন ‘মন্ত্রিত্ব’।
কাজেই মায়া সরকারের ‘মায়ার মানুষ’। তার মন্ত্রিত্ব যাবে এ দিবাস্বপ্ন না দেখাই ভালো।
১৬ কোটি মানুষ জানে শামীম ওসমান কে, কী করেন। তারপরও তিনি এ দুর্ভাগা জাতির একটা অংশের ‘এমপি’।
ইয়াবা ব্যবসায়ী বদির কি কিছু হয়েছে, না হবে?
মায়ার ‘মান’ আরও বড়!
Awwad Walid
জনাব, আপনার মন্তব্যের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করছি। মায়া শুধু সরকারের ‘মায়ার মানুষ’ নন,
‘মায়া’রাই তো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলকে ক্ষমতায় এনেছেন। তার বিচার চান এটা দিবাস্বপ্ন নয়, আকাশ-কুসুম কল্পনা!
একজন এমপি তার এলাকায় সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। তিনি ২-৪ টা খুন-অপহরণ করবেন, ভাগ পাবেন, ভাগ দেবেন, এটা অকল্পনীয় হলেও হচ্ছে।
শামীম ওসমান যতদিন বেঁচে থাকবেন, এ কাজগুলো নারায়ণগঞ্জে হবে।
আসুন আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী সকলে মিলে শামীম ওসমানের সব অপকর্ম প্রতিহত করি।
Mozahid
এত সব লিখেও মায়া সাহেবের কিছুই করা যাবে না। আর কিছুদিন অপেক্ষা করুন, নতুন ইস্যুর নিচে এটা চাপা পড়ে যাবে।
shikdar khakid
বাংলাদেশ এখন সব সম্ভবের দেশ। তবে এ সম্ভবের মধ্যে ‘সু’ বলে কোনো কথা নেই। সব ‘কু’। আর ক্ষমতার শীর্ষ থেকে অপকর্ম না হলে কখনও মাঠ পর্যায়ে হয় না।
সরকারকে সোনা-রূপার পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে….
Arafatul Islam
Thanks A Lot Boss.
এ কোন মায়াজালে বন্ধী দেশ।
জাতী এসব মানুষ নামের পশুদের থেকে মুক্তি চাই।
আশা করি প্রধানমন্ত্রী যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।
না হয় প্রধানমন্ত্রী নিজের প্রতি অবিচার করবেন।
sohel Ahmed
ব্রাভো খালিদী ভাই, আপনার লেখা আমাদের অনুপ্রাণিত করে।
আমাদের মুখ খুলতে হবে। আমাদের দায়িত্বশীল লোকদের দায়িত্বশীল বানাতে হবে। তাদের সঠিক কাজ করতে হবে।
আশা করব, তারা দায়িত্ব নিয়ে কথা বলবেন। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি করবেন না।
আবারও ধন্যবাদ।
রুবেল আহমেদ
তদন্ত চলাকালে মায়ার বক্তব্য প্রমান করে তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে , আজ দেখলাম তার এলাকার জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে নাকি সংবাদ সম্মেলন করাইছে মায়ার পক্ষে ! এসব কিসের আলামত ?
Sayemur Rahman
দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের জামাতার সঙ্গে তার পুত্রের নামও এখানে জড়িয়ে গেছে। দেখার বিষয় ‘একজন মানুষের চেয়ে দলের স্বার্থ বেশি, না দলের চেয়েও দেশের স্বার্থ বেশি’, এ প্রশ্নের মীমাংসা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কীভাবে করেন। আমরা তাঁর প্রজ্ঞার উপর এখনও আস্থাশীল।
আমাদের এখনও আশা আছে যে, তিনি এ প্রশ্নের যথাযোগ্য উত্তর তাঁর কার্যকলাপের মাধ্যমেই দিবেন।
লেখককে এমন দুর্দান্ত ও সুলিখিত লেখার জন্য ধন্যবাদ দিতেই হচ্ছে।
ইকবাল হোসাইন
শরীরের কোনো অংশে পচন ধরলে তা কেটে ফেলাই উত্তম। নয়তো সেই পচন সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়বে।
এমন কিছু কুলাঙ্গারের জন্য নৌকাডুবি হবে…
adnan kabir
দখলবাজি আর চাঁদাবাজি এখন রাজনীতির ভিত্তি হয়ে গেছে। শীর্ষ রাজনীতিবিদরাও সজ্ঞানে প্রশ্রয় দিয়ে চলেছেন। সকল পর্যায়ের মনোনয়নগুলো দেখলেই তা সহজেই বুঝা যায়। স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা সরাসরি জড়িত। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও নির্লজ্জভাবে অনেক ধরণের অপকর্মের সঙ্গে জড়িয় পড়ছে। আর বিভিন্ন শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনীরা জনগনের পয়সায় কেনা অস্ত্র সরাসরি ভয় দেখানোর কাজে, গুম করার কাজে ব্যবহার করছেন – এমন অজস্র অভিযোগ দেখতে পাচ্ছি। বিএনপির ওয়াকওভারে আওয়ামী লীগ যেন গা ছেড়ে দিয়েছে।
সব কিছু শেষ হবার আগে সরকারের হাইকমান্ড সচেতন হবেন কি?
দলের অভ্যন্তরীন গনতন্ত্র চর্চা, সরকারী কর্মচারীদের শৃঙ্খলায় আনার প্রচেষ্টা যথার্থই শুরু করবেন কি?
limon
মায়ার মতো মন্ত্রীদের জন্য দেশের আজ এই অবস্থা। এদের দ্রুত বিচার করুন।
ওমর ফারুক শামীম
আমাদের এই দেশে প্রতিটি সরকারের আমলে এমন কুখ্যাত কিছু অমানুষের পাপের বিস্ফোরণ ঘটে। নারায়ণগঞ্জের ঘটনা তেমনই অপ্রত্যাশিত ও ঘৃণিত লোমহর্ষক এক বর্বরতার ইতিহাস। আর কত অর্থ হলে ওদের চাহিদার সামনে একটি দাড়ি কিংবা কমা পড়ত জানি না, তবে ওদের জীবনের সামনে এখন দাড়ি পড়ে গেছে নিশ্চিত।
দেশের মানুষ সরকারি পদক্ষেপের দিকে মুখিয়ে আছে। জাতি সন্তোষজনক ব্যবস্থা না দেখলে সরকারের যেমন খবর অছে, তেমনি খবর আছে ওই জানোয়ারদের।
খালিদী ভাইকে লাল সালাম এই সুন্দর সত্য তুলে ধরার জন্যে। সে সঙ্গে বলছি, প্রস্তুত থাকুন, আরও লিখতে হবে। মাত্র শুরু করেছেন। আপনার প্রতিবেদনের ভাষাই বলে দেয় আপনাকে আরও লিখতে হবে। কারণ এই ঘটনার বিচারপ্রক্রিয়া অনেক বড় জটিল এক কাজ।
একমাত্র প্রধানমন্ত্রী চোখ মেলে দায়িত্ব পালনে আগ্রহী হলে কোনো ভালো ফল আসতে পারে।
শফিক
সবার সঠিক বিচার হওয়া দরকার।
nazmul
খুবই ভালো হয়েছে, ভাই। আমার সালাম এত ভালো লেখার জন্য।
juel Rana
ধন্যবাদ…
Amirul
ঠিক বলেছেন….
Mahfuzur Rahman
টপিকটা আসলেই দারুণ। আমি তৌফিক সাহেবকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আমরা চাই সত্য সামনে নিয়ে আসুক তদন্তকারী টিম। বাংলাদেশে আইন ও সুশাসনের প্রতিষ্ঠা হোক।
কিন্তু বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় সকল প্রশাসনিক ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার, জুলুম ও নির্যাতন দেখতে পাচ্ছি সর্বত্র। আসলেই এদেশে জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছা বা মতামতের কোনো দাম নেই সরকারের কাছে।
আসলে আমরা কোন দিকে যাচ্ছি বা দেশের গণতন্ত্র কোথায়?
abc
মায়ার পদত্যাগ করা উচিত…
khan
সাহসী এসব বক্তব্য ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করুন প্লিজ….
Engr. Raihan
জনাব মায়া,
ভুলে যাচ্ছেন যে, এটা শেখ মুজিবের দেশ, বাংলাদেশ। আশা করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাবার আদর্শ রক্ষা করবেন।
Prodip
অনেক অভিনন্দন খালিদী ভাইকে, এমন সময়োপযোগী এবং নির্ভীক একটি মন্তব্য প্রতিবেদনের জন্যে। আমরাও তাই চাই, তাই এ রকম একটা লেখার অপেক্ষায় ছিলাম।
এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে এর কাঙ্ক্ষিত প্রতিকার রইল। এ রকম কিছু অসঙ্গত মানুষের জন্যে সরকারের এবং দলের ভাবমূর্তি ডুবতে বসেছে।
সময় থাকতে মায়াকে পার করে দিন…..
বিশ্বজিৎ রায়
ধন্যবাদ বস আপনার এই লেখার জন্য।
alo
যৌক্তিক ও সময়োপযোগী লেখা। লেখককে ধন্যবাদ।
alamin
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, দুর্নীতিবাজ এবং সন্ত্রাসী ব্যক্তিদের দল থেকে বহিষ্কার করুন। আমরা দেখতে চাই আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কঠিন পদক্ষেপ নিবেন আমি আশা করি…
রবীন আহসান
মায়ার ‘মাইয়া জামাই’-র জন্য যাদের মায়া হয় তাদের জন্য আমার করুণা হয়….
একটা বড় দল একটা দেশের চেয়ে একট-দুইটা–তিনটা ‘মাইয়া জামাই’র বিচার চাওয়া কি জনগণের অপরাধ! একটা খুন করতে গিয়ে জামাই বাবুরা একদিনে ১১ জন মানুষ খুন করল!
র্যাবের এই জামাই বাবুদের দায় কেন দেশের সকল সেনাবাহিনী নিতে যাবে? প্রচলিত আইনে বিচার করতে না পারলে এদের জনগণের আদালতে ছেড়ে দিন…
Bidhan Paul
ধন্যবাদ ।
টোস্টার
সময়োপযোগী, স্পষ্ট ও সাহসী…
সুমন
সাহসী এসব বক্তব্য ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করুন প্লিজ….
আবদুল লতিফ
সম্পাদক সাহেব,
আপনার মতামত অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি এসব কথা আরও জোরেসোরে প্রকাশ করুন। কেননা আপনিই পারেন অপরাধীদের কালো হাত ভেঙে দিতে। আর আপনি না পারলে এ দেশটাকে ওরা শেষ করে দিবে।
তাই ভাই, দয়া করে দেশটাকে হায়েনাদের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা করুন, আমাদের বাঁচান।
আমরা নিরাপত্তার অভাবে ভুগছি….
Bangalee
রাজনীতি মানেই অনেক কলা আর অগুণতি কৌশল (তা সে বৈধ হোক কী অবৈধ, নৈতিক অথবা অনৈতিক, সত্য কী মিথ্যা– এখানে কনসার্নড ব্যক্তি, দল বা সরকারকে বাঁচানোই থাকে মূল উদ্দেশ্য)।
রাজনীতিকে বহুগামিতা বা বহুজনের সঙ্গে যৌন-সংসর্গের সঙ্গে তুলনা করা যায়। ‘পলি-ট্রিকস’ করা হয় বিরোধীদের দমন বা তাদের সঙ্গে প্রতারণা করতে (মন্ত্রী ও এমপি মায়াদের মতো রাজনৈতিক নেতাদের জন্য তাই)।
এই মিথ্যাবাদী, লোভী, অপ-রাজনীতিবিদ ও তাদের পরিবারের সদস্য ও বন্ধুরা দেশকে ধ্বংস করছেন। ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থে এরা অবৈধভাবে দেশের নিরীহ মানুষের ক্ষতি করছেন।
ওদিকে লোভী, অনুপযুক্ত, দলকানা ও প্রকৃত শিক্ষা না-পাওয়া তথাকথিত ডিসি-এসপিরা কিছু অশিক্ষিত ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারের হাতে (নূর হোসেন, তার পরিবার, বন্ধু ও দলেল দুষ্কৃতকারী) হাতে বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্স তুলে দিয়েছেন, যাতে তারা মানুষকে পশুর মতো নির্বিচারে হত্যা করতে পারে। এই ডিসি-এসপিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা উচিত এবং উচিত বিচার বা কোর্ট-মার্শালের মুখোমুখি করা উচিত।
অনেকেই বলছেন, আজকাল বেশিরভাগ ডিসি, এসপি, ওসি, এসআই, আর্মি মেজর, র্যাব ডিজি তাদের সরকারি অস্ত্র দুষ্কৃতকারী দলীয় সন্ত্রাসীদের কাছে ভাড়া দিচ্ছেন। ওরা এ দিয়ে হেন অপকর্ম নেই যা করছে না। ব্যাংক ডাকাতি, স্মাগলিং, খুন, জমি দখল—সব করছে তারা। আর ওদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতারা এভাবে প্রাপ্ত বিত্তের বিশাল ভাগ অথবা বিরাট অংকের অর্থ।
নারায়ণগঞ্জের ঘটনা এটাই প্রমাণ করল যে, সেনাবাহিনীর জেনারেল, মেজর, র্যাব ডিজি ও পুলিশ অফিসার ও সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে সাধারণের বক্তব্যই ঠিক।
Jashim
এটা অপ্রত্যাশিত…
David Rahman
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, দুর্নীতিবাজ এবং সন্ত্রাসী ব্যক্তিকে দল থেকে বহিষ্কার করুন। আমরা দেখতে চাই আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠা।
সালেক খোকন
তৌফিক ভাই, সময়োপযোগী, তথ্যবহুল ও কার্যকরী একটি লেখা। শেয়ার করলাম। সরকারের উচিত মায়াকেও তার মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া।
SHAON AHMED
আমরা একমত…
abdur rahman
অনেক ধন্যবাদ, অভিভূত, সবচেয়ে সেনসিটিভ বিষয়ে খোলাখুলি মন্তব্যের শিরোনামটি দেখতে পেয়ে।
সত্যিই আপনি এ যুগের সাহসী প্রতিশ্রুতিবান সাংবাদিক। স্যালুট!!!
তদন্ত নিরপেক্ষ রাখতেই এমপি এবং মন্ত্রী পদে আসীন মায়া সাহেবকে এখুনি মন্ত্রী পদটি ছেড়ে দেওয়া কর্তব্য মনে করি।
Shafiqul Islam
এই চমৎকার, যুক্তিবহুল, সাহসী লেখার জন্য লেখক তৌফিক সাহেবকে ধন্যবাদ না জানিয়ে পারলাম না।
বলতে হয় যত দিন ‘‘আপনাদের মতো লেখকদের হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ.. ’’
রেজাউল আমিন
স্যালুট খালিদী সাহেব…
হাসান
সাহসী লেখার জন্য ধন্যবাদ। এই ধরনের লেখা ধারাবাহিক চাই।
Shahmoajjem
অবসর না দিয়ে আপাতত সাসপেন্ড করলে হয়….
azim syed
স্যালুট খালিদী ভাইকে। রুমা ক্যান্টনমেন্ট ক্যাপ্টেন সাঈদ তারেক মাহমুদের প্রথম গান-ভিকটিম ছিলাম আমি। তিনি আমাকে গুলি করতে চেষ্টা করেছিলেন বান্দরবন জেলায়, একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানটি পণ্ড করতে চেয়েছিলেন।
এমনকি মাননীয় প্রেসিডেন্টের প্রতি স্ল্যাং ব্যবহার করছিলেন এভাবে–“What bloody president appoint your bcs cadre.. I am army officer, everyone bossing me.. ’’
মাননীয় মন্ত্রীর এই জামাতা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় ছিলেন ডিজিএফআই অফিসার, তখন তিনি পালিয়েছিলেন। ঢাকার টেররিস্ট কিলার দীপু চৌধুরীকে তিনি আশ্রয় দিয়েছিলেন রুমা ক্যান্টনমেন্ট।
তো মায়া স্যার মেয়ের জামাইয়ের জন্য মায়াকান্না করবেন না, তা কী করে হয়!
মাননীয়দের কাছে মিনতি জানাই, এই জামাই সত্তর খুন করলেও কি কোনো দোষ থাকবে না!