সকলি গরল ভেল

Published : 9 April 2014, 09:46 AM
Updated : 9 April 2014, 09:46 AM

'বাংলাভাষা পরিচয়'-এ মামলা-মোকদ্দমার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন– "মামলা-মোকদ্দমা শব্দটা ব্রিটিশ আদালতের দীর্ঘ প্রলম্বিত বিপত্তির দ্বিপদী প্রতীক।''

তার মানে শত বছর আগে থেকেই মামলা-মোকদ্দমা আইন-আদালত দীর্ঘ প্রলম্বিত একটি বিষয়।

মামলার নথি আদালত ভবনের ছাদ ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলেও যে রাষ্ট্র আদতে কালো টাকার মালিকদের, সে রাষ্ট্রে নানা রকমের মানী লোক এহেন অবস্থা থেকে পরিত্রাণে নানা কৌশল বাতলালেও, আসলে কি সুরাহা মিলবে? দিবাভাগের মতো রাত্রিভাগেও আদালত পরিচালনা নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রস্তাব খুব আলোচনায় এসেছে। সেটিই আজকের লেখার উপজীব্য।

৩১ মার্চ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ প্রস্তাব রাখেন। সুরঞ্জিত সাংবাদিকদের আরও বলেছিলেন, ''ভারতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের পুনর্নিয়োগ দেওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা সেটাও করতে পারি।''

দুদিন পর ২ এপ্রিল আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচারকদের একটি অনুষ্ঠানে এ প্রস্তাব সম্পর্কে সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ''প্রস্তাবটি অভিনব হলেও অবাস্তব নয়।''

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ভারতের গুজরাট, কলকাতা এবং মাদ্রাজে দিনে রাতে দুই শিফটে আদালত বসে।

প্রস্তাবটি আদৌ মন্দ নয়। যেহেতু এ রুগ্ন রাষ্ট্রে ততোধিক রুগ্ন আদালত কাহিল হয়ে পড়েছে মামলার হিমালয় ভারে, তা থেকে যদি কিছুটা পরিত্রাণ মেলে। কিন্তু আসল বিষয় হচ্ছে মানসিকতা, সুনীতির চর্চা। আমাদের আদালতে কি সুনীতির চর্চা আদৌ রয়েছে?

যদিও এসব কথা বলা, বিশেষত এসব আয়োজনে ও স্থানে, বেশ একটু স্পর্শকাতর। কেননা এতে করে ক্ষেপে গিয়ে অবমাননার অভিযোগ তোলা হতে পারে। কিন্তু তারপরও আমি বলব। আমাদের দেশে যতদিন রাজনৈতিক সংকীর্ণতার বেনোজল প্রবেশে বাঁধ দেওয়া না যাবে– যতদিন রাজনৈতিক বিবেচনায় বিচারপতি নিয়োগ বন্ধ না হবে– যতদিন স্বাধীনভাবে ও কোনো প্রকার রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া আদালতকে চলতে দেওয়া না হবে– ততদিন মামলার পাহাড় উঁচু হতেই থাকবে। দার্শনিকভাবে ও কার্যকরণে, আক্ষরিক ও ভাবগতভাবে কথাটি কিন্তু সঠিক।

আদালতপাড়ার বিভিন্ন বর্গের বিভিন্ন শ্রেণির ব্যক্তিগণ অ-নিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যা নিয়েই দ্বিমত পোষণ করছেন। দ্বিমত রয়েছে আমারও।

একটি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ বিচার বিভাগের মূর্ত রূপ আদালত। আর এ আদালতে মামলা তালিকা খাতা, নিবন্ধন খাতা যখন অশিক্ষিত উমেদারদের ওপর নির্ভরশীল থাকে তখন মামলার পরিসংখ্যান ও হিসাবে গড়বড় দেখা দেয়। তাই এসব পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে আমাদের মাননীয় মন্ত্রীবৃন্দ কথা বলেন, বিভিন্ন কাজের উদ্যোগ নেন,এটি যেমন ঠিক নয়– তেমনি এই পরিসংখ্যান যারা উর্ধ্বে তুলে ধরে বিচার ব্যবস্থার সংস্কার কামনা করে প্রস্তাব রাখেন নানা উদ্যোগের, সেটাও ঠিক নয়।

সারা দেশে সরকারি একটি পরিসংখ্যানে মামলার সংখ্যা ২৮ লাখ। ৬ ফেব্রুয়ারি আইনমন্ত্রী একটি সভায় নিজেই বলেছিলেন যে, তিনি ২৮ লাখ মামলার জট খুলবেন। সংখ্যা যাই হোক, আমাদের আলোচনার মূখ্য, মোক্ষ এটি নয়।

এদিকে দেওয়ানি বিচার ব্যবস্থায় কিছুটা অগ্রগতি হলেও আইনের শাসনের অন্যান্য সূচকে বাংলাদেশ পিছিয়ে গেছে বলে এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্য ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্টের চতুর্থ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। নিউইয়র্কে সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক গ্র্যাজুয়েট সেন্টারে গত মাসে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা, চিকিৎসকের অবহেলা, অদক্ষতা ও দুর্নীতির কারণে প্রায় দুই হাজার হত্যা মামলার বিচারকাজ কার্যত বন্ধ রয়েছে। এসব চিকিৎসক এবং পুলিশ সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসেন না। অথচ তাদের বিরুদ্ধে গত কয়েক বছর ধরে অ-জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে রেখেছে ঢাকার অন্তত ত্রিশটি আদালত। এর সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং আদালতের কর্মচারিদের অবহেলা ও নীতিহীনতার কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যায় বিচার শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষমান মামলার স্তূপ।

আমার ব্যক্তিগত অনুসন্ধানে উঠে এসেছে যে, ৮ হাজার পুলিশ ও ২ হাজার চিকিৎসকের সাক্ষ্যের অভাবে এ সব মামলা পড়ে আছে বিচারের অপেক্ষায়।

১৯৭৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর খুন হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র জগন্নাথ হলের আবাসিক বীরেন্দ্র সরকার। সঙ্গে সঙ্গেই ওই ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু আটত্রিশ বছরেও শেষ হয়নি বীরেন্দ্র হত্যা মামলার বিচার। মামলার বাদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক জপব্রত চৌধুরী একবারও সাক্ষ্য দিতে আদালতে যাননি, যদিও আদালত তাকে বার বার ডেকেছে। এমনকি সাক্ষ্য দিতে যাননি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও।

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর খুন হন বাংলাদেশ টেলিভিশনের চার কর্মকর্তা– মনিরুল আলম ফিরোজ, কাইয়ুম চৌধুরী, আকমল খান ও এএফএম সিদ্দিক। মামলা দায়েরের পর, ১৯৭৮ সালের ৯ জানুয়ারি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয় খুনিদের বাাঁচিয়ে দেওয়ার জন্য। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এলে পরের বছর আবারও ঘটনাটির তদন্ত হয়। ১৯৯৯ সালের ১৮ আগস্ট লে. আলতাফ হোসেনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের পর শুরু হয় মামলার বিচার। কিন্তু তা এখনও শেষ হয়নি।

১৯৭৫ সালেরই আলোচিত আরও একটি হত্যা মামলার কথা বলছি। ১৫ আগস্টে মোহাম্মদপুরের শেরশাহ সুরী রোডে কামানের গোলার আঘাতে হত্যা করা হয় ১৩ জন নিরীহ বস্তিবাসীকে। ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।

প্রায় উনিশ বছর আগে সংঘটিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক নুবান আহম্মদ হত্যাকাণ্ডের মামলায় ১০ বার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেও রায় দিচ্ছে না ঢাকার একটি আদালত। নুবান হত্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে একটি আলোচিত ঘটনা। বারো বছর আগে শুরু হওয়া এ আলোচিত হত্যাকাণ্ডের মামলার বিচারকাজের দায়ভার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের মূল বিচারক ও ভারপ্রাপ্ত বিচারকসহ কমপক্ষে ১০ জন বিচারকের হাতে পড়েছে। মামলার তিন আসামিই বিদেশে পলাতক।

১৯৯৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭ টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার পূর্ব পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত নোমান আহম্মদকে উদ্ধার করে তেজগাঁও থানার পুলিশ। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে ২৬ ডিসেম্বরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নুবানের শ্বশুর কাজী শামসুল হুদা বাদী হয়ে কোনো আসামির নাম উল্লেখ না করে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়,১৯৯৫ সালের ১৭ ডিসেম্বরে নিহত নোমান তার ক্যামেরার লেন্স পরিষ্কার করার জন্য মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে আসাদ গেটের কালার মিউজিয়ামে আসেন।

শুধুমাত্র ঢাকার নিম্ন আদালতেই এ রকম যুগের পর যুগ নিষ্পত্তিহীন পড়ে রয়েছে স্পর্শকাতর, আলোচিত ও জনগুরুত্বসম্পন্ন কমপক্ষে ত্রিশটি হত্যা মামলা, যেগুলোর বিচারের বয়স কমপক্ষে ত্রিশ বছর। আর দেওয়ানি মামলার কথাকাহিনি নাই-বা বললাম! আইনের শাসন, আইন-আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা মানুষের কেন থাকবে? কী কারণেই-বা থাকবে?

রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে গত ৬ মাসে মামলা বেড়েছে তিন লাখের মতো। পুলিশ সাক্ষী হাজির করতে পারছে না বিপুল সংখ্যক মামলায়। প্রসিকিউশনও চূড়ান্ত তাগিদ দিতে পারছে না। সে কারণে মামলার নথি পাথরের মতো ভারি হয়ে নিশ্চল পড়ে আছে। এভাবে বাড়তে থাকে বিচারের জন্য অপেক্ষমান মামলার সংখ্যা। কমতে থাকে আদালতের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা।

কী কারণে মামলাগুলো বিচারের অপেক্ষায় পড়ে থাকে? আমার ব্যক্তিগত অনুসন্ধানে বিষয়টি ধরা পড়েছে এভাবে–

১. পেশা, শ্রেণি, বর্ণনির্বিশেষে আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অনিয়ম ও দুর্নীতি;

২. মামলার বিচারে অনাধুনিক প্রাচীন গতানুগতিক পদ্ধতি অনুসরণ; ডিজিটাল বা ইন্টারনেট-নির্ভরতা তৈরি না-হওয়া;

৩. মামলার তুলনায় বিচারকের সংখ্যাল্পতা;

৪. হরতাল-অবরোধে উচ্চ আদালতের বিচারকাজ বন্ধ থাকা; হরতালে নিম্ন আদালতে সময় আবেদন গয়রহ মঞ্জুর হওয়া;

৫.মামলার বিচারকাজে অংশগ্রহণে অধিকাংশ আইনজীবীর ব্যবসায়িক মনোভাব ও তাদের নেতিবাচক ভূমিকা;

৬. যথাসময়ে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না-করা;

৭. বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কার্যক্রম চর্চায় ব্যর্থতা;

৮. নিম্ন আদালতের বিচারকার্যক্রম শেষ না করেই উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করার প্রবণতা;

৯. মামলা নিষ্পত্তিতে সময় বেঁধে না দেওয়া; আর যে সব মামলায় সময় বাঁধা রয়েছে সেগুলোতে সময় পার হলে কী করতে হবে আইনে তার স্পষ্ট নির্দেশনা না থাকা;

১০. তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন বিভাগ, অর্থাৎ পুলিশ এবং
রাষ্ট্রীয় ও সরকারি কৌঁসুলিদের (পাবলিক প্রসিকিউটর, গভমেন্ট প্লিডার) মধ্যে কাজের সমন্বয়হীনতা;

১১. আদালতে সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থতা।

বিগত সব সরকারই কিন্তু মামলা-জট নিরসনে নিয়েছিল বড় বড় পরিকল্পনা আর বড় বড় সব পদক্ষেপ। কিন্তু অতীব দুর্ভাগ্য যে, সবই হয়েছে ফল ও বলহীন ব্যর্থতায় পর্যবসিত। দুই বছর আগে আমাদের আইন কমিশনও নয় দফা হাজির করে, মামলা-জটের গেড়ো খোলার জন্য। কিন্তু 'সকলি গরল ভেল'। উষর মরুভূমিতে কেউ জলসিঞ্চনে সফলকাম হন না।

আইন কমিশনের সুপ্রস্তাবগুলো অবহেলাভরে ফেলে রাখেন অপর কর্তাব্যক্তিরা। তারা অন্য রকমের ভূমিকা নেন। ২০১১ সালের ওই প্রস্তাব সে বছরের শেষের দিকে আইন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু আইন, বিচার, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি এসব সুপারিশ কার্যকরে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

বিরোধী দলের শীর্ষ আইনজীবীরা বলছেন, রাজনৈতিক কারণে 'সান্ধ্যকালীন আদালতের চমক' চলবে না। ঝুলে থাকা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে উচ্চ ও নিম্ন আদালতের কার্যক্রম 'দুই শিফট' বা 'সান্ধ্যকালীন' কোর্ট চালু নিয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশের বিরোধিতা করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন।

খন্দকার মাহবুব বলছেন, ৪৫ সিনিয়র বিচারপতিকে বিচারকাজে কনডেম (অকার্যকর) করে রাখা হয়েছে। তাদের মোশন (মামলা গ্রহণ করার) ক্ষমতা নেই। অনেকে অলস সময় কাটাচ্ছেন। সারাদেশে রাজনৈতিক উদ্দেশে অজ্ঞাতনামা আসামি করে গ্রেফতার-বাণিজ্য চলছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট বলছে, রাজনৈতিক হয়রানির মামলায় আগাম জামিন দেওয়া যাবে না। এ অরাজক পরিস্থিতি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আগাম জামিন দিতে হবে।

মাহবুবের এহেন বক্তব্যে যুক্তি রয়েছে। কিন্তু ক্ষমতায় থাকার সময় তারাও একই কাজ করেছেন। সুতরাং কেউ কাউকে ছাড়ে না। উভয়ে সমানে সমান। গ্রেফতার-বাণিজ্য তাদের সময়েও হয়েছে।

আলোচনা শেষে তাই বলি, যাই করা হোক না কেন, রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে বিচারক নিয়োগ, স্বাধীন বিচারে হস্তক্ষেপ না করার অভ্যাস ও চর্চা যতদিন দেশে শুরু না হবে, ততদিন আমাদের একবিন্দু তমসাও কাটবে না।

প্রকাশ বিশ্বাস: আইনজীবী ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আদালত প্রতিবেদক।