নারীর জন্য সমতা মানে সকলের এগিয়ে যাওয়া

মাসুমা বিল্লাহ
Published : 8 March 2014, 09:11 AM
Updated : 8 March 2014, 09:11 AM

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। জাতিসংঘের এবারের নারী দিবসের শ্লোগান 'নারীর জন্য সমতা মানে সকলের এগিয়ে যাওয়া' (Equality for women is progress for all), নারীর উন্নয়ন মানে সমগ্র সমাজের উন্নয়ন। একজন নারী হচ্ছেন একটা পরিবারের নিউক্লিয়াস আর সমাজের নিউক্লিয়াস হচ্ছে সেই পরিবার। সুতরাং নারীকে শিক্ষিত ও সচেতন করার মাধ্যমে পরিবার আলোকিত হবে, আর পরিবারের আলো ছড়িয়ে পড়বে সমাজে।

আবার নারীর নিরাপত্তা হচ্ছে পরিবারের নিরাপত্তা, নারীকে নিরাপত্তা দিতে না পারলে সমাজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে, আর নিরাপত্তাহীনতার অস্থিরতায় সমাজে আস্থিরতা দানা বেঁধে সমাজের সামগ্রিক এগিয়ে যাওয়া ব্যাহত করবে। নারীকে সমাজে কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করে সম্মানহীন করে তোলার অর্থ হচ্ছে সমাজের অর্ধেক অংশকে গুরুত্বহীন করে রাখা, অর্ধেকের সম্ভাবনা দমিয়ে রাখা– আর অর্ধেক কখনও সম্পূর্ণের সমতুর‌্য নয়, এটা গণিতের কথা, বিজ্ঞানের কথা।

চলতি শতাব্দী নারীর জীবনে আমরা অনেক পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছে সত্যি, কিন্তু নারী এখনও সমান মজুরি থেকে বঞ্চিত, নারী এখনও ব্যবসা এবং রাজনীতিতে সমানভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। বিশ্বজুড়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য অধিকার অর্জনে নারী এখনও অনেক পিছিয়ে। এটাও সত্যি যে অনেক না-পাওয়ার ভিড়ে নারী আজ নভোচারী, রাষ্ট্রপ্রধান, প্রধান নির্বাহী কিংবা গবেষক। নারী এখন স্কুল পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে। নারী আজ নিজেই নির্ধারণ করছে সে নিজেকে কোথায় সম্পৃক্ত করবে, সংসার পরিচালনায়– নাকি উপার্জনে– নাকি দুটোতেই।

নারী দিবস পালনের ইতিহাস কিন্তু খুব একটা পুরনো নয়। গত শতাব্দীর শুরুতে ১৯০৮ সালে, ১৫০০০ নারী নিউইয়র্ক সিটিতে স্বল্প কর্মঘণ্টা, উন্নত মজুরি এবং ভোটাধিকারের দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভ করে। এই বিক্ষোভের সম্মানে সোশ্যালিস্ট পার্টি অব আমেরিকা প্রথম ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নারী দিবস পালন করে এবং ১৯১৩ সাল পর্যন্ত ফেব্রুয়ারির শেষ রবিবার আমেরিকার নারীরা জাতীয় নারী দিবস উদযাপন করে।

১৯১০ সালে কর্মজীবী নারীদের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ডেনমার্কের কোপেনহেগেন শহরে। সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব জার্মানির নারী শাখার প্রধান ক্লারা জেটকিন এই সম্মেলনে নারী দিবস পালনের প্রস্তাব আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসেন। তার প্রস্তার ছিল এমন একটি দিন নির্ধারণ করা যেটা পৃথিবীব্যাপী প্রতি বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে উদযাপিত হবে এবং সেদিন পৃথিবীর সকল নারীর কণ্ঠে সমস্বরে উচ্চারিত হবে তাদের অধিকারের কথা।

ওই সম্মেলনে যোগদানকারী ১৭ দেশের ১০০ জনের বেশি নারী প্রতিনিধি, ইউনিয়নসমূহ, কর্মজীবী নারী ক্লাব এবং ফিনল্যান্ড পার্লামেন্টে নির্বাচিত প্রথম তিন নারী জনপ্রতিনিধি ক্লারা জেটকিনের এই প্রস্তাবকে সর্বসম্মত সমর্থন দেয় এবং এভাবেই নারী দিবস উদযাপনের প্রয়াস দানা বাঁধে। কোপেনহেগেন সম্মেলনে গৃহীত সর্বসম্মত প্রস্তাবের আলোকে ১৯১১ সালে অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ১৯ মার্চকে নারী দিবস হিসেবে উদযাপন করে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯১৩ সালে রাশিয়ার নারীরা শান্তির জন্য প্রচারাভিযানে নামে এবং ১৯১৩ সালে ফেব্রুয়ারির শেষ রবিবার নারী দিবস উদযাপন করে। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক নারী সংগঠনগুলোর আলোচনার ধারাবাহিকতায় ১৯১৩ সালেই সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে পরবর্তী বছর থেকে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পৃথিবীব্যাপী উদযাপন করা হবে। ১৯১৪ সালের ৮ মার্চ সমগ্র ইউরোপে নারীরা র‌্যালির মাধ্যমে তাদের যুদ্ধবিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করে এবং নারী স্বাধীনতার ডাক দিয়ে নারী দিবস উদযাপন করে।

১৯১৭ সালে ২ মিলিয়ন রাশিয়ান সৈন্যের মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার নারীরা ফেব্রুয়ারির শেষ রবিবার 'রুটি ও শান্তি' (Bread & Peace)-র জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয়। রাজনৈতিক নেতাদের বাধার মুখে চারদিন তাদের ধর্মঘট অব্যাহত থাকে এবং পরবর্তীতে জার ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ায়। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় রাশিয়ার তৎকালীন অস্থায়ী সরকার নারীদের ভোটাধিকার দিতে বাধ্য হয়।

ধর্মঘটের এই তারিখটি ছিল ২৩ ফেব্রুয়ারি (রাশিয়ায় ব্যবহৃত জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী)। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার বা খ্রিস্টান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই তারিখটিই ছিল ৮ মার্চ। ১ মিলিয়নের বেশি রাশিয়ান নারী-পুরুষ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সেই র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করে নারীর সরকারি ও বেসরকারি অফিসে কাজ পাওয়ার অধিকার, ভোটাধিকার এবং নারীর প্রতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে সমস্বরে কণ্ঠ মিলায়।

এই সম্মিলিত উদযাপনের এ সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে ২৫ মার্চ, ১৯১১ নিউ ইয়র্কের একটি গার্মেন্টস কারখানার দুঃখজনক অগ্নুৎপাতের ঘটনা ঘটে। ওই কারখানার আধিকাংশ শ্রমিকই ছিল নারী এবং ১৪৬ জন নারী কর্মী, যারা অত্যন্ত অনিরাপদ পরিবেশে কম মজুরিতে নির্ধারিত কর্মঘণ্টার অধিক সময় ধরে সেখানে কর্মরত ছিল, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়।

এখানে উল্লেখ্য যে, কারখানাটিতে অগ্নিনির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না এবং কারখানার দুটি সিঁড়ি তালাবদ্ধ এবং একটি লিফট ছাড়া বাকি তিনটি লিফটই বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা সে সময় জোরালো বিতর্ক জন্ম দেয় এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশের জন্য নারীরা জোর আন্দোলন শুরু করে যা পরবর্তীতে 'ব্রেড অ্যান্ড রোজেস' ক্যাম্পেইন হিসেবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে।

এভাবেই গত শতাব্দীর শুরুতে নারী জাগরণের সঙ্গে সঙ্গে নারী দিবসের উত্থান। বছর পরম্পরায় নারীদের অধিকার চাওয়ার এই দিনটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারিভাবে স্বীকৃতি পায় এবং জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালকে 'আন্তর্জাতিক নারী বর্ষ' হিসেবে পালনের উদ্যোগ নেয়। আজ বিশ্বের সকল নারী সংগঠন ও সকল রাষ্ট্র ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে উদযাপন করে।

আফগানিস্তান, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, বারকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, চীন, কিউবা, জর্জিয়া, গিনি বিসাউ, ইরিত্রিয়া, কাজাকিস্তান, কিরঘিস্তান, লাউস, মাদাগাস্কার, মলডোভা, মঙ্গোলিয়া, মন্টিনেগ্রো, নেপাল, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, ভিয়েতনাম, জাম্বিয়া ৮ মার্চ নারীদের জন্য রাষ্ট্রীয় ছুটি হিসেবে পালন করে। প্রথাগতভাবে পুরুষরা তাদের মা, স্ত্রী, নারীবন্ধু, নারী সহকর্মীদের এই দিনে ফুল ও উপহার দিয়ে সম্মানিত করে। কোনো কোনো দেশে এই দিনটি মা দিবসের মতো একই সম্মানে উদযাপন করা হয় এবং সন্তানেরা তাদের মা, দাদিমা এবং নানিমাকে ফুল ও উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।

গত কয়েক দশকে নারী দিবস উদযাপনের ধরন এবং লয়েও এসেছে অনেক পরিবর্তন, শ্লোগানে এসেছে আশাবাদী সুর। আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাত বড় বড় প্রতিষ্ঠান এখন নারী দিবস উদযাপন করে ঘটা করে; যেমন ওয়ার্ল্ড জায়েন্ট সার্চ ইঞ্জিন গুগলও তাদের লোগো পরিবর্তন করে ৮ মার্চ ঘিরে।

বাংলাদেশেও পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপিত হয় রাষ্ট্রীয়ভাবে অত্যন্ত আড়ম্বরে। নারীশিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নারীর আংশগ্রহণে বাংলাদেশ এগিয়েছে অনেক এবং সক্ষম হয়েছে আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণে। রাষ্ট্রীয়ভাবে নারীশিক্ষায় অর্থনৈতিক প্রণোদনার ব্যবস্থা রয়েছে এবং নারী উদ্যোক্তাদের সকল ক্ষেত্রে দারুণভাবে উৎসাহিত করা হয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস করা হয়েছে, যদিও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান এটা এখনও কার্যকরে উৎসাহী হয়নি এবং এ ক্ষেত্রে সরকারি সুস্পষ্ট নির্দেশনা এবং নজরদারি বাঞ্ছনীয়।

বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যু অনেক কমাতে সক্ষম হলেও তা এখনও কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছেনি। কর্মজীবী নারীদের জন্য শিশু প্রতিপালন কেন্দ্র বা ডে কেয়ার সেন্টার নেই বললেই চলে, যে কারণে কর্মজীবী মা শিশুর নিরাপত্তাহীনতায় দোদুল্যমান। কর্মস্থলে নারীর পদোন্নতি একটা পর্যায়ের পর কোনো এক অজানা ইশারায় স্তিমিত। নীতি নির্ধারণী পর্যয়ে নারী আশঙ্কাজনক হারে অনুপস্থিত। কর্মক্ষেত্রে নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অবারিত নয় এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারী অদৃশ্য ঝুঁকিতে শঙ্কিত থাকে। গর্ভবতী নারী এবং স্তন্যদায়ী মা কর্মক্ষেত্রে নিয়ম-নীতি দ্বারা কতটা সুরক্ষিত তা প্রশ্নসাপেক্ষ।

পুরুষশাসিত বাংলাদেশি এই সমাজ ব্যবস্থায় কর্মক্ষেত্র তথা সামাজিক সম্পৃক্ততায় এবং জীবনচারিতায় নারী এখনও শারীরিক সৌন্দর্যে যতটা পরিমিত হয় তার চেয়ে অনেক কম মূল্যায়িত হয় তার মেধা ও মননে। নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি আজও মধ্যযুগীয় নতুবা সামন্ততান্ত্রিক। গ্রামীণ নারী এবং শহুরে নারী, শিক্ষিত নারী এবং অশিক্ষিত নারী, ধনী নারী এবং দরিদ্র নারীর মধ্যে অযুত ব্যবধান বিদ্যমান।

বাংলাদেশে বর্তমান প্রতিবাদী বাস্তবতায় এবারের নারী দিবস দিবসের তাৎপর্য ভিন্নতর। বর্তমান বাংলাদেশে নারী আবার বেরিয়ে এসেছে একাত্তরের নৃশংস নির্যাতনের বিচার চাইতে, চি‎হ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে তারুণ্যের যে জাগরণ সেখানে সর্বস্তরের নারীর উজ্জ্বল অংশগ্রহণ এবারের নারী দিবস উদযাপনে দিচ্ছে ভিন্ন মাত্রা।

কিন্তু দেশজুড়ে ঘটে যাওয়া গত কয়েকদিনের পৈশাচিক তাণ্ডবে নারীর নিরাপত্তাহীনতা এবং নারী নির্যাতনের যে সকল তথ্য গণমাধ্যমগুলোতে প্রচারিত হয়েছে, তাতে কি এটাই প্রমাণিত হয় না যে নারী একাত্তরে যেমন ছিল অনিরাপদ তেমনি আজও নিরাপত্তাহীন। নারী দিবস এবং নারীর মহাসমাবেশ থেকে প্রতিটি ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করতে হবে।

জাতিসংঘের প্রতিপাদ্য 'নারী নির্যাতন বন্ধ আমরাই করব; এখন সময় দৃঢ়প্রতিজ্ঞার'-এর সঙ্গে ঘটে যাওয়া বাস্তবতার ব্যাপক ফারাক তুলে ধরতে হবে রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে।

নারী মানুষ, যেমন পুরুষও মানুষ। এই উপলব্ধির জন্য যতটা না সভ্য ও আধুনিক হওয়া প্রয়োজন তার চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজন মানবিক হওয়া। আসুন আমরা মানবিক হই, নারী পুরুষ মিলে একটা মানবিক পৃথিবী গড়ি। আর যারা নারীকে কেবল গণিমতের মাল ভাবতে অভ্যস্ত, তারা না মানবিক না ধার্মিক। বাংলাদেশে নিকট অতীতে নারীর অগ্রগতির যে উদাহরণ তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। তবে নারী সাংবাদিকেকে ধর্মের নামে সম্মান দিতে যারা ব্যর্থ হয়েছে, তারা মাত্র একটি ঘটনা দিয়ে সকল অর্জন ম্লান করে দেওয়ার যে প্রয়াস চালিয়েছিল তাকে প্রতিহত করতে হবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে। অন্যথায় নারী কেবল পিছিয়ে পড়বে না, পিছিয়ে পড়বে সমাজও।

সর্বদা নারী দিবসে আমি পরম শ্র্রদ্ধায় স্মরণ করি নারী জাগরণের সুস্পষ্ট পথপ্রদর্শক অগ্রদূত মহামতী বেগম রোকেয়ার নাম, যিনি আমার স্বপ্নের ভেতর প্রোথিত করে গেছেন সুলতানার স্বপ্নকে। বেগম রোকেয়ার প্রজন্মের উত্তরাধিকারের দাবিদার হিসেবে বাংলাদেশের সকল নারী স্ব স্ব অবস্থানে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাবেন, এই প্রত্যাশা নিয়ে নারী দিবসে বাংলাদেশের সকল নারীকে জানাই সংগ্রামী শুভেচ্ছা, আর পৃথিবীর সকল নারীর জন্য শুভকামনা।

সকল পুরুষকে জানাই মানবিক হওয়ার আহ্বান। নারীর জন্য সমতা নিঃসন্দেহে সমাজকে এগিয়ে নিবে– এটা গণিতের নিয়মের মতোই স্বতঃসিদ্ধ।

মাসুমা বিল্লাহ্:গবেষক, পিপিডি।