‘আদিবাসী শিশুর মাতৃভাষায় শিক্ষা’– জিনিসটা কী

প্রশান্ত ত্রিপুরা
Published : 6 Nov 2017, 09:10 AM
Updated : 24 Feb 2014, 04:07 AM

বাংলাদেশে আদিবাসী শিশুদের জন্য মাতৃভাষায় শিক্ষার উদ্যোগ সরকারিভাবে নেওয়া হয়েছে, এই খবর অনেকেই জানেন নিশ্চয়ই। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে পাঁচটি ভাষায় প্রাক-প্রাথমিক স্তরের জন্য বই ও অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে, তাও হয়তো-বা অনেকেই শুনেছেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মতো উপলক্ষ ঘিরে এমন খবর শোনার ও শোনানোর জন্য উন্মুখ হয়ে থাকেন, এমন মানুষের সংখ্যা আমাদের দেশে একেবারে কম নয়।

একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনা অন্তরে লালন করে চলেন, এমন অনেক বাংলাদেশি বাঙালি আছেন যাঁরা গ্লানিতে ভোগেন, যখন তাঁদের স্বদেশী আদিবাসীরা বলেন, 'আমাদের ভাষার অধিকার নেই। আমাদের ভূমির অধিকার নেই। আমাদের অস্তিত্বের যথাযথ স্বীকৃতি নেই।' এমন অবস্থায় আদিবাসীদের (বা সরকারি ভাষায় 'ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী'দের) জন্য মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের উদ্যোগের খবরে স্বাগত জানানোর মতোই মনে হবে। সাদা চোখে বিষয়টা তাই দাঁড়ায়। কিন্তু বাস্তবে ঠিক কী হচ্ছে?

অপ্রিয় সত্য হল এই যে, আলোচ্য উদ্যোগের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য-পন্থা কোনোটাই কিন্তু এখনও স্পষ্ট হয়নি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে। আমি এই পাতাতেই আগে লিখেছি, জাতীয় শিক্ষানীতি এবং তার আদলে প্রক্রিয়াধীন শিক্ষা আইনে বলা হয়েছে 'মাতৃভাষা শিক্ষা'র কথা, যেটা 'মাতৃভাষায় শিক্ষা' হওয়া উচিত ছিল বলেই অনেকে মতামত দিয়েছেন বিভিন্ন পর্যায়ে। অথচ এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে এ যাবত কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় 'মাতৃভাষায় শিক্ষা'র উদ্যোগ সংক্রান্ত খবর ঠিক কী অর্থ বহন করে?

তর্কের খাতিরে যদি আমরা ধরেও নিই, আলোচ্য উদ্যোগের পেছনে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা সবাই আন্তরিক এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের অমীমাংসিত বিষয়ে আলোচনা ও বিতর্কে সময় ব্যয় না করে তাঁরা 'আসল কাজে' মন দিতে বেশি আগ্রহী, সেই কাজের চরিত্র আসলে ঠিক কী? সেটা কতটা সহজ? কবে নাগাদ শেষ হবে? সেই কাজের ইপ্সিত সুফল সহসা নাই মিলুক, কোনো অভাবিত কুফল যে উদ্দীষ্ট শিশুদের উপরে চেপে বসবে না, এ ব্যাপারে কি আমরা নিশ্চয়তা দিতে পারি?

উপরের প্রশ্নগুলি তুলছি এ কারণে যে, কোনো উদ্যোগের উদ্দেশ্য যতই মহৎ হোক, পন্থা যদি ভুল হয়, তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। অথচ যে বিষয়ে আমরা আলোচনা করছি, সেখানে পন্থার কথা না হয় বাদ দিলাম, খোদ উদ্দেশ্যটাই এখনও স্পষ্ট করা হয়নি সরকারিভাবে। 'মাতৃভাষা শিক্ষা' না 'মাতৃভাষায় শিক্ষা'?

গত ডিসেম্বরে 'আদিবাসী শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষা' বিষয়ক একটা গোলটেবিল আলোচনায় এ প্রশ্ন যখন আমি উঠিয়েছিলাম, সরকারের চলমান উদ্যোগ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন এমন একাধিক ব্যক্তি–- যেমন একজন এনজিও কর্মকর্তা এবং ভাষাবিজ্ঞানের একজন অধ্যাপক– দাবি করেছিলেন যে জাতীয় শিক্ষানীতিতে আসলে 'মাতৃভাষায় শিক্ষা' কথাটাই বোঝানো হয়েছিল এবং 'য়' বাদ পড়াটা ছিল স্রেফ ছাপার ভুল। তর্কের খাতিরে না হয় মেনে নিলাম যে তাঁদের কথাই ঠিক এবং সেভাবেই সরকারিভাবে কাজ আগাচ্ছে, কিন্তু তারপরও কথা থেকে যায়।

'মাতৃভাষায় শিক্ষা' বলতে ঠিক কী বোঝানো হচ্ছে? কোন পন্থাতে তা বাস্তবায়নের কাজ করা হচ্ছে? সরকারি মহলে এটির তাগিদ ঠিক কোত্থেকে আসছে? যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত, তাদের কার কী ভূমিকা? অন্য কারা আছে সরকারের সঙ্গে? এ ধরনের অনেক প্রশ্ন আছে যেগুলি আলোচনায় আসা উচিত। সেগুলির উপর বিশদ আলোচনায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই এই ক্ষুদ্র নিবন্ধের পরিসরে। তবে আমি আমার কিছু পর্যবেক্ষণ ও মতামত তুলে ধরতে চাই সংশ্লিষ্ট সকলের বিবেচনার্থে।

প্রথমেই আসা যাক 'মাতৃভাষা'র ধারণা প্রসঙ্গে। একজন বাঙালিকে যদি প্রশ্ন করা হয়, তার মাতৃভাষা কী, সে সচরাচর উত্তর দেবে, বাংলা। কিন্তু কোন্‌ বাংলা? আমরা জানি, বাংলার বহু প্রকারভেদ আছে এবং এমন কিছু আঞ্চলিক রূপ আছে যেগুলি সব জায়গার বাংলাভাষীদের কাছে সহজবোধ্য নয়। এখন ধরা যাক বাংলার এমন কোনো প্রান্তিক রূপকে নিজেদের ভাষা হিসেবে জানে, এমন কোনো জনপদের শিক্ষাবঞ্চিত ও অক্ষরজ্ঞানবিহীন মানুষদের নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। তাদের মাতৃভাষা কোনটা? তাদের বেলায় 'মাতৃভাষায় শিক্ষা'র ধারণা কতটা প্রাসঙ্গিক? এ প্রশ্নে আমরা পরে ফিরে আসছি। তার আগে একটু জেনে নেই আদিবাসীদের বেলায় 'মাতৃভাষায় শিক্ষা'র উদ্যোগ ঠিক কীভাবে নেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে আমরা জানি যে, সরকারিভাবে বর্তমানে পাঁচটি আদিবাসী ভাষায় 'মাতৃভাষায় শিক্ষা' কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভাষাগুলি হল, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও সাদ্রি। প্রথমে সাঁওতালরাও ছিল তালিকায়, কিন্তু তাদের ভাষায় বই লেখার জন্য কোন লিপি ব্যবহার করা হবে, এ বিষয়ে বিতর্কের নিষ্পত্তি না হওয়াতে নাকি আপাতত তাদের বাদ দিয়েই প্রাক-প্রাথমিক স্তরে 'মাতৃভাষায় শিক্ষা'র পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বাকি পাঁচটি ভাষার মধ্যে সাদ্রি লেখা হচ্ছে বাংলা হরফে, ত্রিপুরা ও গারো রোমান ('ইংরেজি') হরফে, এবং চাকমা ও মারমা 'নিজস্ব' হরফে।

তবে এসব ভাষা লেখার জন্য যে হরফই ব্যবহার করা হোক না কেন, একটা বাস্তবতা অনেকের নজর এড়িয়ে যায়, তা হল, ভাষাগুলি মূলত কথ্যরূপেই চর্চিত হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীসমূহের মধ্যে নিজেদের ভাষাকে লিখিতরূপে চর্চা করার ব্যাপক কোনো রেওয়াজ বা উদ্যোগ চোখে পড়ে না।

মূলত মৌখিক রূপে বিরাজ করছে, পৃথিবীর এমন যে কোনো ভাষাকে তাত্ত্বিকভাবে যে কোনো হরফ দিয়ে লিখিত রূপ দেওয়া সম্ভব। কিন্তু কোনো ভাষার পূর্ণাঙ্গ ও ব্যাপকভিত্তিক লিখিত রূপের আবির্ভাব একটি জটিল আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, যার পেছনে ব্যাপক সামষ্টিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ দরকার। এ ধরনের উদ্যোগ ছাড়াই, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কিছু হতদরিদ্র আদিবাসী জনপদের শিশুদের জন্য হাতে নেওয়া সীমিত আয়ুর প্রকল্প যদি হয়ে ওঠে সংশ্লিষ্ট ভাষাগুলিকে লিখিত রূপ দেওয়ার মূল প্রেক্ষাপট, ব্যাপারটা হয়ে দাঁড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছায়নি, এমন কোনো পল্লীর হতদরিদ্র শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের জন্য শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বিদ্যালয়ভবন নির্মাণের উদ্যোগের মতো। তুলনাটা পুরোপুরি জুতসই হল কিনা জানি না, কিন্তু উত্থাপিত প্রসঙ্গ নিয়ে আগে তেমন ভাবার বা খোঁজখবর নেওয়ার অবকাশ পাননি এমন পাঠকরা এতে সমস্যার গভীরতা সম্পর্কে একটা প্রাথমিক ধারণা হয়তো পাবেন।

সমস্যার একটা জায়গা খুব স্পষ্ট। লিখিত রূপ ছাড়া কোনো ভাষাকে শিক্ষাদানের কাজে ব্যবহার করা যাবে না, এমন একটা ধারণা কীভাবে যেন প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে বিশেষ কোনো পর্যালোচনা ছাড়াই। কিন্তু এই অনুমান ভালো করে পরীক্ষা করে দেখা দরকার। প্রাক-প্রাথমিক স্তরে আসলে শিশুদের জন্য ভাষার লিখিত রূপ মুখ্য নয়। শুরুতে বর্ণপরিচয় বা লিখতে পড়তে শেখার তাড়া থাকার কথা না। বরং শিশুবান্ধব বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে নূতন পরিবেশে ছোট শিশুদেরকে অভ্যস্ত করে তোলাটা বড় কথা। এ ক্ষেত্রে আদিবাসী শিশুদের বেলায় তাদের নিজস্ব মৌখিক ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে প্রথম করণীয়।

শুধু আদিবাসী শিশুদের বেলায় কেন, আসলে বাঙালি শিশুদের বেলায়ও প্রয়োজনে আঞ্চলিক বাংলা ব্যবহার করা যেতে পারে। করা হয়ও বোধহয়। কিন্তু বাংলাদেশে সরকারি নিয়ম অনুসারে শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে 'আঞ্চলিক ভাষায়' কথা বলা নিষিদ্ধ। অন্যদিকে বাস্তবে কথ্যরূপে প্রচলিত আঞ্চলিক ভাষাগুলিই বেশিরভাগ বাঙালির 'মাতৃভাষা'। তথাপি শিক্ষাঙ্গনে এই মাতৃভাষার প্রবেশাধিকার নেই! যে প্রমিত বাংলা সরকারিভাবে অনুমোদিত, সেটা রাষ্ট্রভাষা হতে পারে (যদিও সর্বস্তরে নয়), কিন্তু বাংলাদেশের কতজন শিশু নিজেদের মায়ের মুখে সেই ভাষা শুনে বড় হয়েছে? প্রমিত বাংলার পক্ষে বিপক্ষে কোনো অবস্থান নিয়ে আমি কথাটা বলছি না। আমি শুধু দেখাতে চাচ্ছি যে, 'মাতৃভাষায় শিক্ষা' কথাটা আরও স্পষ্ট হওয়া জরুরি।

ধরা যাক সিলেট বা চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার কোনো দরিদ্র পরিবারের বাঙালি শিশু, যে প্রমিত বাংলা বলতে শুনতে অভ্যস্ত নয়, ভাষাগত বাধার কারণে সে বিদ্যালয়বিমুখ হয়ে আছে। তাকে শ্রেণিকক্ষে ধরে রাখার জন্য স্থানীয় সিলেটি বা চট্টগ্রামি বাংলা ব্যবহারের ধারণাটা কি সমর্থনযোগ্য নয়? যদি সেটা করা হয়, সেটাকে কি 'মাতৃভাষায় শিক্ষাজীবন শুরু' হিসেবে গণ্য করা যাবে না? ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, যাবে।

উপরের কাল্পনিক উদাহরণের মতো আদিবাসী শিশুদের বেলায়ও 'মাতৃভাষায় শিক্ষা' বলতে প্রথমে যার যার মাতৃভাষার মৌখিক ব্যবহারের উপরই জোর দেওয়া যেত। অথচ এর বদলে তাদের ভাষার লিখিত রূপ বা নিজস্ব হরফ আছে কিনা, এমন বিভ্রান্তিপ্রসূত গৌণ প্রশ্নের সঙ্গে শিশুদেরকে বিদ্যালয়মুখী করার তাগিদকে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে।

'নিজস্ব হরফে'র ধারণাটা যে বেশ গোলমেলে, সেটা বোঝানোর জন্য আরেকটা কাল্পনিক উদাহরণ দিই। ধরা যাক নীতিগতভাবে ঠিক করা হল যে, হাওর অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় 'মাতৃভাষায় শিক্ষা' ধারণা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সিলেটি ভাষাকে ঢোকানো যাবে। এখন, আমরা জানি, 'নাগরী' নামে পরিচিত (তবে হুবহু ঠিক দেবনাগরী নয়) একটা লিপিতে একসময় সিলেটি ভাষার লিখিত চর্চা ছিল। এখন ধরা যাক বেশিরভাগ সমকালীন সিলেটি, বিশেষত তাদের শিক্ষিত ও প্রভাবশালী অংশ, নিজেদের ভাষাকে লিখিত রূপ দেওয়া নিয়ে মাথা ঘামায় না। এমতাবস্থায় হাওরের কিছু প্রত্যন্ত এলাকায় নাগরী লিপিতে সিলেটি ভাষার বই ছাপিয়ে 'মাতৃভাষায় শিক্ষা' কার্যক্রম শুরু করা হলে ব্যাপারটা কেমন দাঁড়াবে?

বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাখাতে যেসব দাতাগোষ্ঠীরা অর্থ যোগান দিয়ে আসছে, বহুদিন ধরেই তারা তাগাদা দিয়ে আসছে বিভিন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বিদ্যালয়মুখী করা ও ধরে রাখার ব্যাপারে কার্যকর কৌশল প্রয়োগ করার জন্য। এই দাতাদের তাগাদা থেকেই 'মাতৃভাষায় শিক্ষা'র ধারণাটা চালু হয়েছিল, যার প্রধান প্রবক্তা হচ্ছে বিভিন্ন এনজিও। কিন্তু বাস্তবে যখন ধারণাটার প্রয়োগ শুরু হল, তখন দেখা গেল আদিবাসীদের মধ্যে সংখ্যায় যারা বেশি, শিক্ষাদীক্ষায় তুলনামূলকভাবে এগিয়ে, যাদের নিজস্ব লিপি বা লিখিত ভাষা আছে, তাদেরকে দিয়েই কার্যক্রম শুরু করা হবে। এভাবে শুরুর মূল বিষয়টাই– বাদ পড়াদের অগ্রাধিকার দেওয়া-– হারিয়ে গেল নজর থেকে!

কেউ যদি দাবি করেন, দাতাদের তাগাদায় নয়, একুশের চেতনার আলোকেই, রাষ্ট্রের উদ্যোগেই 'আদিবাসী শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষা' নিয়ে কথা হচ্ছে, আমি বলব, চলুন, আমরা দেখে নিই জাতীয় শিক্ষানীতিতে কী আছে। সেখানে বলছে, আদিবাসী শিশুরা নিজেদের 'মাতৃভাষা' শিখবে। 'মাতৃভাষা শিক্ষা'-– সেটা কি বিষয় হিসেবে? আর সংবিধানের দিকে যদি আমরা তাকাই, সেখানে 'আদিবাসী' বলে কিছু নেই। বাংলা ছাড়া অন্য কোনো ভাষার উল্লেখ নেই। জাতিও আছে একটাই-– বাঙালি।

তাহলে 'আদিবাসী শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষা'-– এমন কথা আসছে কোত্থেকে?

প্রশান্ত ত্রিপুরা: মুক্ত গবেষক; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক।