প্রশ্নটা মাথায় এসেছিল কিছুদিন আগে, যখন অন্তর্জালকেন্দ্রিক একটি গোষ্ঠীকে দেখলাম গণজাগরণ মঞ্চের নেপথ্যের মানুষদের সম্পর্কে বিষোদগার করতে, তাদের যাবতীয় কৃতিত্ব অস্বীকার করতে, শাহবাগকেন্দ্রিক যাবতীয় অর্জন নিয়ে সন্দেহ পোষণ করতে।
খুবই অবাক হয়ে জানতে চাইলাম, "আন্তর্জাতিক ও মানবতাবিরোধী অপরাধ আইনের আপিল সংক্রান্ত ধারাটি যে কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় শেষ পর্যন্ত সংশোধন করা হল, সেটা শুরু করা, টেনে নিয়ে যাওয়া তাহলে কার কৃতিত্ব?"
উত্তর পেলাম, "ওটা ওই দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানানো লাখ লাখ কোটি কোটি জনতার কৃতিত্ব, একক কোনো মঞ্চ-ফঞ্চের, ব্লগার-অ্যাকটিভিস্টের কৃতিত্ব নয়।"
মূল প্রসঙ্গে ফিরে যাই। যে কোনো রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের জন্য প্রথমত কিছু নেতা থাকা জরুরি। নেতা না থাকলে আবার দল হয় নাকি? এরপরে তো অবশ্যই থাকতে হয় কিছু নিবেদিতপ্রাণ কর্মী যারা ওই নেতাদের চেতনা ও আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন।
যদিও নিবেদিতপ্রাণ নেতা ও কর্মী থাকা একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে ওঠার সন্দেহাতীত পূর্বশর্ত, তবে তা মূলধারার রাজনৈতিক দল সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট নয়। তা যদি হতই, তাহলে অনেক আগেই এদেশে সমাজবাদী বা ধর্মভিত্তিক মূলধারার দল সৃষ্টি হয়ে যেত।
দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এই পরিবর্তনটা সম্ভবত একটি দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রাখতে যাচ্ছে যা থেকে রাজনৈতিক দল ও জনগণ উভয়ই উপকৃত হবেন।
কাজী আহমেদ পারভেজ: শিক্ষক, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি।