শাহবাগের রাষ্ট্রপ্রকল্প: রোডমার্চ প্রসঙ্গে

পারভেজ আলম
Published : 5 Feb 2014, 07:20 AM
Updated : 5 Feb 2014, 07:20 AM
শাহবাগে জনতার প্রথম সিদ্ধান্ত ছিল কাদের মোল্লার ফাঁসি। গণতান্ত্রিক সমাজে জনতা সার্বভৌম। জনতার হাতেই তাই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সংবিধান রচনা হয়। সেই সংবিধান ধর্ম-বর্ণ-জাত নিরপেক্ষ থেকে রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিককে সমান অধিকার ও মর্যাদা দিতে বাধ্য।

হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলমান, খ্রিস্টান, আদিবাসী প্রতিটি মানুষের প্রতিপালন রাষ্ট্রকে করতে হয়, তাদের মাঝে ন্যায়বিচার কায়েম করতে হয়। যারা বিশ্বাস করেন আল্লাহ সকল মানুষের প্রতিপালক এবং তিনি ন্যায়বিচারক, তারা একমত হবেন যে কোনো রাষ্ট্রে সকল ধর্মের মানুষের সমান মর্যাদা না থাকলে সেই রাষ্ট্রে ইনসাফ থাকে না। সেই রাষ্ট্রে আল্লাহ থাকেন না। তাই 'ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার' এই হলো শাহবাগী জনতার দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে শাহবাগের জনতার অবশ্যই ইনসাফ দাবির সংগ্রামে আপোস করা চলবে না। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা-কবলিত অঞ্চলগুলোতে গণজাগরণ মঞ্চের রোডমার্চ দুটি সেই আপোসহীন সংগ্রামের বার্তা বহন করে।

শাহবাগ থেকে যে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের শুরু তা নয় মাসেও শেষ হবে না, তা আমরা আগেই বলেছি এবং তা শাহবাগেও আটকে থাকবে না তা এখন পরিষ্কার। শাহবাগ কখনও-ই শাহবাগে আটকে থাকতে চায়নি। বাংলাদেশের মূলধারার রাজনীতি তাকে দীর্ঘদিন একটা জায়গায় আটকে রাখতে চেয়েছে। কেউ শাহবাগকে ধ্বংস করতে চেয়েছে, কেউ শাহবাগকে নিরাপত্তা দিয়ে বন্দী করতে চেয়েছে। কিন্তু শাহবাগ ধ্বংস হয়নি, বন্দীও থাকেনি।

বন্দী যে থাকবে না তা শাহবাগের প্রথম অর্জনের সময়ই বোঝা গিয়েছিল। কাদের মোল্লার ফাঁসি নয়, শাহবাগের প্রথম অর্জন ছিল 'জয় বাংলা' শ্লোগানের পুনরুদ্ধার। শ্লোগানটি পাকিস্তানকে ধ্বংস করেছে। ভারতের ভিত নাড়া দিয়ে ভারতের মাটিতেই আওয়াজ উঠেছে 'এপার বাংলা, ওপার বাংলা, জয় বাংলা, জয় বাংলা'। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের স্বপ্ন যারা দেখেছিল এই শ্লোগানটি তাদের রণধ্বনি ছিল। এই শ্লোগানে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মও হয়েছে।

কিন্তু যে রাষ্ট্র স্বপ্নে থাকে তা বাস্তবে হাজির হতে সময় লাগে। বাংলাদেশে বিয়াল্লিশ বছরেও হাজির হল না। যে রাস্তা ধরে স্বপ্নের রাষ্ট্র হাজির হওয়ার কথা, সে রাস্তা বংলাদেশ রাষ্ট্রের ঐতিহাসিক বিকাশের রাস্তা। রাস্তাটি দুর্গম, ভাঙাচোরা। শাহবাগীরা তাই রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে ব্যানার টাঙিয়েছিল– 'সাময়িক অসুবিধার জন্যে দুঃখিত, বিয়াল্লিশ বছরের রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে'।

ঐতিহাসিক বিকাশের রাস্তা নির্মাণ শাহবাগের বর্তমান শ্রম; আর মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের রাষ্ট্র নির্মাণ শাহবাগ আন্দোলনের প্রধান প্রকল্প। শাহবাগে জনতা কাদের মোল্লার ফাঁসি চাইতে হাজির হয়েছিল বটে, কিন্তু তারা হাজির হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ মাথায় করে। আহমদ ছফা দাবি করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধকে এড়িয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যত নেই। শাহবাগের প্রধান দাবিও তাই।

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীনতার যে ঘোষণাপত্র পাঠ হয়েছিল, যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সংবিধান তাতে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র কায়েমের উদ্দেশ্য হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের মাঝে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছিল। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী তৎপরতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জমিনে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে তাই জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছাই চুড়ান্ত।

এই সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্যেই জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়েছিল। এই জনগণকে কোনো ধর্ম দিয়ে বিভাজন করা হয়নি। কারণ যারা বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছে, বাংলাদেশের জন্যে লড়াই করেছে এবং শহীদ হয়েছে তাদের মধ্যে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, আস্তিক অথবা নাস্তিক সবাই ছিলেন। যারা বাংলাদেশ চেয়েছেন তারা রাষ্ট্রের নাগরিকদের ধর্ম-বর্ণ বিবেচ্য হিসেবে গণ্য করেননি।

যারা বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছে তারাই ধর্ম-সম্প্রদায়ের পরিচয় সামনে এনে রাজনীতি করেছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপর অত্যাচার, নির্যাতন, লুটপাট করেছে। পাকিস্তানের অস্তিত্ব রক্ষায় তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক শাসকদের পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা এই কাজ করেছে। পাকিস্তানের কৌশল ছিল হিন্দুদের এদেশ থেকে বের করে দেওয়া। তারা ভেবেছিল, এতে বাংলাদেশ শুধু মুসলমানের একটি হোমোজেনাস রাষ্ট্রে পরিণত হবে, ফলে পাকিস্তান টিকে থাকবে। পাশাপাশি ভারতের বুকে কোটি খানেক শরণার্থীর বোঝা চাপিয়ে ভারতকে বিপদে ফেলবে।

বাংলাদেশে এখনও যারা পূর্ব পাকিস্তান টিকিয়ে রাখতে চায়, তারাই হিন্দু, বৌদ্ধ, আদিবাসী ইত্যাদি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালায়। বরাবরের মতোই এ ধরনের হামলায় সর্বাগ্রে জামাত-শিবিরের স্থানীয় ক্যাডাররা জড়িত থাকে। পাশাপাশি বাংলাদেশের লিবারাল এবং জাতীয়তাবাদী প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নামও বিভিন্ন সময়ে পত্রপত্রিকা এবং নানান তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

জামাতঘনিষ্ঠ রাজনীতির কারণে বিএনপির নেতা-কর্মীদের এ ধরনের তৎপরতায় অংশগ্রহণ অনেকে স্বাভাবিক মনে করেন। অনেকে আবার আওয়ামী লীগের কারও নাম এলে অবাক হন। কিন্তু ইতিহাস মাথায় রাখলে দেখা যাবে যে আওয়ামী লীগ দলটি মুখে অসাম্প্রদায়িকতার কথা প্রচার করলেও বাস্তবে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের কোনো উল্লেখযোগ্য প্রকল্প গ্রহণ করতে পারেনি, বরং বিভিন্ন সময়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে তারাও জড়িত হয়েছে।

সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আইন পাস করার পর আহমদ ছফা বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সামাজিক অবস্থান, মনস্তত্ব এবং বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক পরিচয়ের রাজনীতি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রবন্ধ লিখেন 'বঙ্গভূমি আন্দোলন রাষ্ট্রধর্ম মুক্তিযুদ্ধঃ বাংলাদেশের হিন্দু ইত্যাকার প্রসঙ্গ' নামে। বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা কেন স্বাধীন বাংলাদেশেও সমান নাগরিক অধিকার অর্জন করতে পারল না, কেন সামাজিক বৈষম্য জারি থাকল তার কারণ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের পরে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকার এবং তার মিত্রদের রাজনীতিকেও তিনি দায়ী করেছেন। দেশে ফিরে আসা হিন্দুদের সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা, পাকিস্তান আমলের দমনমূলক আইন বহাল রাখা ইত্যাদি বিষয়ের তিনি উল্লেখ করেছেন।

আওয়ামী লীগ সম্পর্কে এই প্রবন্ধে তিনি মূল্যায়ন করেছেন–

"প্রচ্ছন্নভাবে আওয়ামী লীগও ছিল একটি কট্টর সাম্প্রদায়িক প্রতিষ্ঠান। রাজনৈতিক কারণে তাদের অসাম্প্রদায়িক বোলচাল আওড়াতে হয়েছিল বটে, মনমানসিকতার দিক দিয়ে সেক্যুলারিজমের অভিমুখে এক পাও অগ্রগমন তাদের হয়নি। অথচ জাতীয়তাবাদকে সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য নানা সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে জনাজানি, চেনাশোনা এবং দেয়া-নেয়ার নানাবিধ কর্মকাণ্ডের আয়োজন করা অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছিল। আওয়ামী লীগ জাতিগঠন এবং দেশগঠনের বিষয়ে কোন গঠনমূলক কর্মসূচি হাজির না করে প্রচন্ড আত্মমগ্নতার মধ্যে কাটিয়ে দিয়েছে।''

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও সাম্প্রদায়িকতা মোকাবেলায় রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতা আমাদের জন্যে দুশ্চিন্তার। তারা মুখে অসাম্পদায়িকতার কথা বলছে কিন্তু দেশব্যাপী এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার, মানুষের মাঝে সম্প্রদায়গত সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনার কোনো কর্মসূচি তাদের নেই। সাম্প্রদায়িকতা ইস্যুকে ওয়ার অন টেরোরের রাজনীতিতে ব্যবহার করাতেই তাদের প্রধান আগ্রহ।

বিচারের সংস্কৃতি না থাকায় এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা খুব দ্রুত কমে আসবে সেই আশা করার উপায় নেই, যেখানে এ ধরনের সহিংসতা থেকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্যে কিছু প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী সবসময়ই তৎপর আছে। যে কাজটা আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির করা উচিত ছিল তারা তা করল না, তারা একে অপরকে কেবল দোষারোপ করল। কাজটা করল গণজাগরণ মঞ্চ।

নির্বাচনোত্তর সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত দিনাজপুরের একটি গ্রাম কর্ণাই। আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনাগুলোতে প্রচুর পরিমাণে লুটপাট হয়, লুটপাটের লোভে অনেকে হামলায় হাজির থাকে। কর্ণাই-এর হিন্দুদের কাছ থেকে লুটে নেওয়ার মতো তেমন কিছু নেই। তারা সবাই মোটামুটি হতদরিদ্র মানুষ। অনেকেই অন্যের জমিতে চাষ করেন। কিন্তু তাদের মানবিক মর্যাদা লুট হয়ে গেছে। মানুষের প্রতি, রাষ্ট্রের প্রতি আস্থা 'নাই' হয়ে গেছে।

তারা যাদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন তারা পরিচিত মুখ। কেউ প্রতিবেশি, কেউ কলেজের সহপাঠী। ধর্মপরিচয়ের কারণে রাষ্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের পাড়া-প্রতিবেশি বন্ধুরা যখন এভাবে হামলা করে তখন রাষ্ট্রের উপর সংখ্যালঘুর অধিকারই তো থাকে না, আস্থা থাকার প্রশ্নও আসে না। বাংলার লোকসমাজের বুকে এত বড় ক্ষত হয়ে গেল, তা সারবে কীভাবে?

গণজাগরণ মঞ্চের রোডমার্চ কর্ণাই গিয়েছে। আক্রান্ত জনগোষ্ঠীকে কিছু নগদ সহযোগিতা করেছে। কিন্তু শাহবাগ যখন কর্ণাই-এ হাজির হয় তখন এই নগদ সহযোগিতার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় ঘটে– মানুষের চোখে আশা দেখা যায়, মানুষ আস্থা খুঁজে পায়। লাকী আক্তারের সঙ্গে গলা মিলিয়ে যখন হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে শ্লোগান দিয়েছে, "হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই, মিলেমিশে থাকতে চাই"– তখন এই ক্ষত হয়তো শুকাতে শুরু করেছে। রোডমার্চ যেখানেই পৌঁছেছে সেখানেই এমন হয়েছে। জয় বাংলা, ধর্ম যার যার-রাষ্ট্র সবার ইত্যাদি যেসব শ্লোগান শাহবাগে মুক্তিযুদ্ধের রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখায় সেসব শ্লোগান দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁয়ে মানুষের মনেও আস্থা তৈরি করতে পারে।

বাংলাদেশ এখন যে সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা আত্মপরিচয়ের সংকট, আর এই সংকট পুঁজি করেই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি শক্তিশালী হয়। নব্বই শতাংশ মুসলমানের উপযোগতন্ত্র কায়েম হয় ইসলামের নামে। এই সংকট বিষয়ে আবারও মহাত্মা আহমদ ছফাকে একবার স্মরণ না করে পারছি না। আমাদের জাতিগত আত্মপরিচয় এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র সম্পর্কে তিনি লিখেছিলেন–

"জাতি হিসাবে আমাদের আত্মপরিচয়ের যে সংকট আমরা প্রতি পদে পদে অনুভব করতে বাধ্য হই, তার কারণ এ রাষ্ট্রের অতি সাম্প্রতিক ইতিহাসের মধ্যে প্রোথিত। এ রাষ্ট্রের মূল সংকট হিসেবে যে জিনিসটি আমার কাছে প্রধান বলে প্রতীয়মান হয় সেটি এরকম। এ দেশটি, আমরা মুখে যা-ই বলি না কেন আসলে পূর্ব-পাকিস্তানই থেকে গেছে। এ দেশটিকে সত্যিকার অর্থে একটি সেক্যুলার রাষ্ট্রে পরিণত করার চ্যালেঞ্জ যদি আমরা গ্রহণ কতে পারি, তাহলে এর বাংলাদেশ নাম সার্থক হবে। নতুন করে উল্লেখ করার কোন প্রয়োজন নেই। এ দেশের প্রায় আশি শতাংশের মত মুসলমান। শুধু আশি শতাংশ নয়, শতকরা একশ ভাগ মুসলমানও যদি এ দেশে বসবাস করে থাকে তারপরেও আমাদের একটি সেক্যুলার সমাজ, একটি সেক্যুলার রাষ্ট্র তৈরি করার চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ কতে হবে।''

শাহবাগীরা এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারবে কি? জয় বাংলা শ্লোগান শাহবাগীরাও দেয়, আওয়ামী লীগও দেয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ বলে, জয় বাংলা বলে আগে বাড়। শাহবাগীদের তা বলা চলবে না। আগে খানা-খন্দ থাকতে পারে, গণতান্ত্রিক একনায়কত্ব থাকতে পারে। আন্দাজে আগে বাড়লেই তো হবে না।

শাহবাগীদের বলতে হবে, জয় বাংলা বলে রাষ্ট্র গড়, তাহলে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারবে।

লেখক: ব্লগার ও রাজনৈতিক কর্মী