পাবনায় মহানায়িকার স্মৃতি ধরে রাখা যায় না

রণেশ মৈত্র
Published : 17 Jan 2014, 07:53 PM
Updated : 17 Jan 2014, 07:53 PM

স্মৃতিটা তো আজকের নয়– এই শতাব্দীরও নয়। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝির দিকের, পঞ্চাশের দশকে যখন সবে স্কুলজীবন পেরিয়ে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে পড়ছি, তখন রূপকথা সিনেমা হলে পালিয়ে পালিয়ে দেখতাম সুচিত্রা-উত্তম অভিনীত ছবিগুলো। রূপকথা সিনেমা হলটিও নবনির্মিত; তাই একদিকে নতুন হলে সিনেমা দেখা, অপরদিকে সুচিত্রা-উত্তমের ছবি। আকর্ষণ ছিল স্পষ্টতই দু'রকমের। কিন্তু প্রধান আকর্ষণটি যে ছিল সুচিত্রা-উত্তমের অভিনয়, তা বলাই বাহুল্য।

আমার সেকালের কোনো কোনো বন্ধুর মতো আমি তেমন একটা সিনেমাভক্ত বা সিনেমাপাগল ছিলাম না। কিন্তু ব্যতিক্রম ঘটত সুচিত্রা-উত্তম অভিনীত কোনো চলচ্চিত্রের প্রচার শুনলে। এত চমৎকার অভিনয়, এত সুন্দর চেহারার শিল্পী, এতই তাদের নৈপুণ্য, এত চমৎকার কাহিনী, ক্যামেরার অভিনব ঝলকানি– সব মিলিয়ে সিনেমা হলের অপূর্ব পরিবেশ আর পিনপতন নীরবতা।

জানতাম না সুচিত্রা সেন পাবনার মেয়ে। সেটি জানলাম বহুদিন পর। তখন থেকেই মনে হত, সুচিত্রা সেনের হোক না হোক, আমাদের নিশ্চয়ই পাবনা শহরকে নিয়ে গর্ববোধ করার আছে। কারণ এই শহরই হল এই কিংবদন্তী চিত্রনায়িকার যিনি বাংলাদেশের সম্পদ এবং এ উপমহাদেশের অহঙ্কার। সুচিত্রা ওরফে রমার বাল্যকাল ও প্রথম যৌবনের দিনগুলো এবং শিক্ষাজীবনের শুরু ও সমাপ্তির স্মৃতিঘেরা শহর। পাবনার মেয়ে রমাই কিনা পরে তাঁর অভিনয়নৈপুণ্যে বাঙালি মাত্রকেই অভিভূত করেছেন, আর এভাবে সমগ্র উপমহাদেশের চিত্রজগতকেই সম্মানের আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

যখন লেখাটি লিখছিলাম ততক্ষণে তিনি কোলকাতার বেলভিউ হাসপাতালের ৬ বি নং কেবিনে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন থেকে মারা গেছেন। এই কেবিনেই অসংখ্য বাংলা চলচ্চিত্রে তাঁর অতিপ্রিয় এবং বাংলাদেশসহ সমগ্র ভারতবর্ষে এবং পাকিস্তানেও অত্যন্ত জনপ্রিয় চিত্রনায়ক উত্তম কুমার চিকিৎসাধীন থাকতেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। এখানেই ১৯৮০ সনের ২৪ জুলাই সেই মহানায়কের মৃত্যু হয়।

আমরা সবাই জানি, সেই উত্তমই ছিলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের অভিনীত অসংখ্য চিত্রনাট্যের সর্বাপেক্ষা প্রিয় জুটি– প্রিয় নায়ক। তাই বুঝি যখনই অসুস্থ বা রোগাক্রান্ত হতেন– এখানে এসেই ভর্তি হতেন মহানায়িকা, ওই বেলভিউ হাসপাতালের ওই কেবিনেই। কেবিনটি সুচিত্রার কাছে অত্যন্ত আবেগের।

প্রশ্ন ছিল, সুচিত্রা কি সুস্থ হয়ে ফিরবেন? চিকিৎসকেরাও স্পষ্ট করে বলতে পারছিলেন না যে তিনি বিপদমুক্ত। তাই আমরাও, পাবনাবাসীও ছিলাম উৎকণ্ঠিত। বাংলাদেশ এবং উভয় বাংলার প্রায় ৩০ কোটি মানুষ সুচিত্রা সেনের সুস্থতা কামনা করছিলেন। কামনা ছিল যেন তিনি শতায়ু হোন।

আর আমরা চেয়েছি, একটিবারের বা একটি দিনের জন্য হলেও তাঁর স্মৃতিঘেরা পাবনায় তিনি আসুন। দেখে যান তাঁর ওই পৈতৃক বাড়িটি আজ অর্পিত সম্পত্তি (শত্রু সম্পত্তি)! সেখানে একসনা লিজ নিয়ে জামায়াতে ইসলামী একটি তথাকথিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দখল করে বসে আছে! অনেক লেখালেখি সত্ত্বে এখানকার সরকারি দল ওই দখলকারীদের সঙ্গে আপস করেই সম্ভবত তাদের উচ্ছেদ করছে না। সম্ভব হচ্ছে না পাবনাবাসীর পক্ষে সুচিত্রা সেনের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য কিছু একটা ওখানে গড়ে তোলা।

দলমত নির্বিশেষে সব পাবনাবাসীর কাছেই বিষয়াটি আলোচিত হচ্ছে। নানা মঞ্চ থেকেও দাবিটি উত্থাপিত হচ্ছে। ফলে যে ঐকমত্য ওই প্রশ্নে পরিলক্ষিত হচ্ছে তাতে সবার মনে প্রচণ্ড আশাবাদেরও সৃষ্টি হয়েছে। সবাই ভাবছেন, অবিলম্বেই পাবনাবাসীর এই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।

সুচিত্রা সেন পড়তেন পাবনা শহরের উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে (বর্তমানে সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়)। তাঁর সহপাঠী বান্ধবীদের মধ্যে অল্পসংখ্যক এখনও জীবিত এবং তাঁরা পাবনা শহরেই অবস্থান করছেন। তাঁরা সুচিত্রা সেনের নাম শুনলেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। গৌরবান্বিত বোধ করেন মহানায়িকার সঙ্গে বাল্যকালীন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে। দেশবিভাগের ধারালো খড়গের আঘাতে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ধুমায়িত হয়ে ওঠার কারণে সুচিত্রাকে অতি অল্প বয়সেই দেশত্যাগ করতে হয়েছিল।

তাঁর বাবা করুণাময় সেনগুপ্তও পাবনার সন্তান। তিনি দীর্ঘকাল ধরে চাকরি করেছেন পাবনা পৌরসভায়। পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক হিসেবে। ১৯৪৬ সালে কুখ্যাত ধর্মীয় বিভেদাত্মক সাম্প্রদাযিক দ্বিজাতিত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতবর্ষ বিভক্ত হলে, পাবনা পাকিস্তানের ভাগে পড়ে। স্রেফ নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য স্মৃতিবিজড়িত শহরটি ছেড়ে করুণাময় সেনগুপ্ত চলে যান কোলকাতায়, স্থায়ীভাবেই। সুচিত্রা তখন একজন কিশোরী, পাবনা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের (সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়) নবম শ্রেণির ছাত্রী। কোলকাতা যাওয়ার আগেই সুচিত্রা পাবনায় তাঁর শিল্পানুরাগ দৃশ্যমান করে তুলতে অনেকটা সক্ষম হয়েছিলেন। তবে কাজটি কিন্তু তৎকালীন সময়ে খুব একটা সহজ ছিল না।

সুচিত্রার অভিনয়জীবন খুব একটা দীর্ঘ না হলেও তা ছিল নানা বৈচিত্র্যে ভরপুর। তাঁর জীবন-নায়িকাও তিনিই। বিয়ে করেছিলেন একান্তই নিজের পছন্দমতো, সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে। আবার বিয়ের দেড়-দু'দশকের মাথায় তিনি স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্যজীবনের ছেদও টেনে দিয়েছেন স্বেচ্ছায়– ঠিকমতো বনিবনা না হওয়ার কারণে। এরপর আর বিয়ে করেননি।

আবার অত বড় বৈচিত্র্যময় যে নায়িকা, অভিনয়জীবন থেকেও তিনি ছেদ টেনে দিয়েছেন অনেক দিন হল। কিন্তু তিনি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছেন অনেক, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে বাংলা ছবির শ্রেষ্ঠ নায়িকা বিবেচিত হয়ে।

বাংলা চলচ্চিত্রে সুচিত্রা সেনের সর্বাপেক্ষা পছন্দের নায়ক ছিলেন উত্তম কুমার। আবার উত্তম কুমার কোনো ছবিতে নায়কের ভূমিকায় অভিনয়ে চুক্তিবদ্ধ হলে নায়িকার ভূমিকায় চাইতেন সুচিত্রা সেনকেই। এই জুটি, আমার জানামতে, বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বশ্রেষ্ঠ জুটি। যার ফলে সবার মুখে মুখেই পঞ্চাশ, ষাট ও সত্তরের দশক জুড়ে হামেশাই শোনা যেত সুচিত্রা-উত্তমের নাম।

আরও একটি মজার ব্যাপার ছিল। সুচিত্রা চাইতেন, সিনেমা হলে ছবির টাইটেল প্রদর্শনের সময় তাঁর নামটি থাকবে আগে এবং পরে উত্তম কুমারের নাম। সাধারণত তাই হত। সবাই বলত সুচিত্রা-উত্তম জুটি; কাউকেই কদাপি বলতে শুনিনি উত্তম-সুচিত্রা। সুচিত্রা-উত্তম জুটি শুনতে আমরা সচরাচর অভ্যস্ত। তাঁদের অভিনয়নৈপুণ্য, চেহারার দীপ্তি এবং তাবৎ ভঙ্গিমা সমগ্র বাংলাদেশকে মাতিয়ে রেখেছে দীর্ঘদিন।

মোট কথা বাংলা চলচ্চিত্রের বাজার মোটামুটি একতরফাভাবেই দখল করে রেখেছিলেন এই জুটি। ছবিতেও তাঁদের চরিত্র সাধারণত থাকত রোমান্টিক ধরনের, তবু আদৌ কোনো প্রকার অশ্লীলতা দেখা যায়নি তাঁদের অভিনীত কোনো ছবিতেই। আর সে কারণেই বাঙালি অভিভাবকরা সে যুগে, চারপাশ যথেষ্ট রক্ষণশীলতায় আচ্ছন্ন থাকা সত্ত্বেও, তাদের উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের সুচিত্রা-উত্তম অভিনীত কোনো ছবি দেখতে বারণ তো করেনইনি বরং অনেক ক্ষেত্রে তারাও ছেলেমেয়েদের সঙ্গী হতেন, একত্রে সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখতেন নিঃসঙ্কোচে। এটি একটি ব্যতিক্রমী ধরনের বিষয়ই ছিল বটে।

সুচিত্রা সেন কতটি বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন? তার একটি তালিকা উল্লেখ করা যাক। ১৯৫৪ সালে 'সাত নম্বর কয়েদী', 'এটম বোমা', 'ওরা থাকে ওধারে, 'দুলি' 'মরণের পরে', 'সদানন্দের মেলা', অন্নপূর্ণার মন্দির', 'অগ্নিপরীক্ষা', 'গৃহপ্রবেশ', ও 'বলয়াগ্রাস'; ১৯৫৫ সালে 'সাঁঝের প্রদীপ', 'সাজঘর', 'শাপমোচন', 'মেজ বৌ', 'ভালোবাসা' ও 'সবার উপরে'; ১৯৫৬ সালে 'সাগরিকা', 'শুভরাত্রি', 'একটি রাত', 'ত্রিযামা', 'শিল্পী' ও 'আমার বৌ'; ১৯৫৭ সালে 'হারানো সুর', 'চন্দ্রনাথ', 'পথে হলো দেরী', ও'জীবন তৃষ্ণা'।

এরপর ১৯৫৮ সালে 'রাজলক্ষ্মী', ' শ্রীকান্ত', 'চন্দ্রাণী'ও 'সূর্য তোরণ'; ১৯৫৯ সালে 'চাওয়া পাওয়া' ও 'দীপ জ্বেলে যাই'; ১৯৬০ সালে 'হাসপাতাল'ও 'স্মৃতিটুকু থাক'; ১৯৬১ সালে 'সপ্তপদী'; ১৯৬২ সালে 'বিপাশা'; ১৯৬৩ সালে 'সাত পাকে বাঁধা' ও 'উত্তর ফাল্গুনী'; ১৯৬৪ সালে 'সন্ধ্যা দীপের শিখা'; ১৯৬৭ সালে 'গৃহদাহ'; ১৯৬৯ সালে 'কমল লতা' এবং ১৯৭৮ সালে 'প্রণয় পাশা'। মোট বাংলা ছায়াছবির সংখ্যা দাঁড়াল ৫৩– যার সবই বক্স অফিস হিট করেছে।

এরপর দেখা যাক সুচিত্রা সেন অভিনীত হিন্দি ছবিগুলোর তালিকা। ১৯৫৫ সালে 'দেবদাস', ১৯৫৭ সালে 'মুসাফির' ও 'চম্পাকলি', '১৯৬০ সালে 'বোম্বাই কা বাবু' ও 'সরদে', ১৯৬৬ সালে 'মমতা' এবং ১৯৭৪ সালে 'আঁধি'। মোট হিন্দি ছবি দাঁড়াল সাতটি এবং দু' ভাষায় মিলে সাকুল্যে ৬০। আরও বাংলা ও হিন্দি ছবিতে নায়িকাসহ নানা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য খ্যাতসামা চিত্রপরিচালক-প্রযোজকরা প্রতিয়িতই তাঁর দুয়ারে হানা দিতেন। কিন্তু সুচিত্রার ছিল জেদ, তিনি আর অভিনয় করবেন না। বড্ড জেদি মেয়ে তিনি, কিন্তু অহমিকাচ্ছন্ন নন এতটুকুও।

সুচিত্রা সেনের বাড়িতে প্রতিদিন দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য চিঠি ডাকযোগে এসে থাকে। কিন্তু সে চিঠিগুলো খুলেও দেখতেন না তিনি। তেমনই আবার প্রত্যহ অসংখ্য টেলিফোন কল আসত, কিন্তু তিনি রিসিভার হাতে তুলতেন না। তাঁর তরফ থেকে অবশ্য অন্য একজন রিসিভার ধরতেন শুধু এই কথাটি বলতে যে 'সুচিত্রা এখন কারও সঙ্গে কথা বলবেন না'।

তাঁর এক বন্ধু একদিন সুচিত্রার বাড়িতে গিয়ে তাকে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি তো একদিনও তার ফোন পেলেন না, ব্যাপারটা কী? সুচিত্রার জবাব ছিল, ''বাহ রে, ফোন তো আমি কাউকেই করি না। ফোন করতে হবে আমাকে, আমি রিসিভ করব। তাও তো কর না। তোমার ফোন জানলে অবশ্যই করব। কারণ তুমি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু।''

তাঁর বিয়ে হয়েছিল দিবানাথ সেন নামের এক চিত্রতারকার সঙ্গে। হঠাৎ করেই বিয়ের পিঁড়তে বসেন ওরা, ১৯৪৭ সালে, যথেষ্ট কম বয়সেই। কিন্তু সেই ভালোবাসার বিয়েটি শেষমেশ টিকল না। সুচিত্রা যখন 'সাতপাকে বাঁধা' ছবির শুটিং করেছেন, তখন তার দাম্পত্যজীবনেরও ইতি ঘটার প্রক্রিয়া চলছে। তবে দিবাকর সেনের 'সেন' টাইটেলটা বাকি জীবন ধারণ করে গেছেন তিনি।

তাঁদের একমাত্র সন্তান মুনমুন সেন ভালো একজন চিত্রশিল্পী। কিন্তু তিনিও মায়ের মতিই অভিনয় শিল্পকেই আঁকড়ে ধরে আছেন, যদিও খ্যাতিতে কখনও মায়ের কাছাকাছি যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। মুনমুনের দুই কন্যা, মানে মহানায়িকার দুই নাতনি রিযা সেন ও রাইমা সেন হিন্দি ও বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করে যাচ্ছেন। খ্যাতিমান নানির কল্যাণে ও নিজেদের অভিনয় ও সৌন্দর্যগুণে তারাও আলোচিত।

সুচিত্রার স্বামী দিবানাথ সেন আজ বেঁচে নেই। বেঁচে নেই তাঁর নায়ক উত্তম কুমারও। সব শোক সয়ে গেছেন সুচিত্রা এবং সম্ভবত সে কারণেই ছিল তাঁর অসাধারণ নিভৃতচারিতা। গোটা মহাদেশ তবুও সুচিত্রা সেনের প্রাণবন্ত, প্রাণোচ্ছ্বল জীবনকে স্মরণে রাখছে। রাখবে চিরকাল।

আর পাবনার মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ কদাপি ভুলবে না এই কিংবদন্তীকে। তাঁর মহাপ্রয়াণে তাঁর প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা।

রণেশ মৈত্র: লেখক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মী, রাজনৈতিক কর্মী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।