রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যাপারে আমার মতামত ও সাজেশন

আঞ্জুমান ইসলাম
Published : 7 Oct 2013, 06:03 PM
Updated : 7 Oct 2013, 06:03 PM

প্রিয় কল্লোল মোস্তফা, আমার অপিনিয়ন পিসটির পরিপ্রেক্ষিতে আপনার লেখাটি পড়লাম। ধন্যবাদ আমার লেখাটিকে এত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে এত তাড়াতাড়ি উত্তর দেবার জন্যে।

আপনি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন যে আমি কেন সরকারি কর্মকর্তাদের কথায় বিশ্বাস করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম… "আসলে "State of the art" টেকনিক ব্যবহার করলে সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের বাইরে কোথায় এই প্ল্যান্ট করা হল সেটা কোনো ব্যাপার নয় যদি কিনা প্ল্যান্ট অপারেশনের সময় সমস্ত নিয়ম ও নীতি মেনে চলা হয়।"

হ্যাঁ, আমি আবার একই কথাই বলছি– "সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার দ্বারা নির্মিত রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যদি যথাযথ কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা যায় তাহলে সুন্দরবনের ১৪ কিলোমিটার দূরে নির্মিতব্য রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সুন্দরবনের জন্যে শঙ্কাযুক্ত হবে না।''

আমি কোনো অ্যাকটিভিস্ট নই। পরিবেশ প্রকৌশলী। একজন প্রকৌশলী হিসাবে আমি কৌশলগত জ্ঞানকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে মানুষের জীবনের মান উন্নয়ন আমার একমাত্র পেশাদার দায়িত্ব মনে করি। একজন 'পরিবেশ' প্রকৌশলী হিসাবে পরিবেশের উপর সর্বনিম্ন প্রভাব ফেলে কীভাবে প্রকৌশলগত জ্ঞান মানুষের কাজে লাগানো যায় সেদিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে আমি দায়বদ্ধ। আইনের মধ্যে থেকে পরিবেশ ও প্রকৌশলের সর্বোচ্চ পরিমাণ সমন্বয় সাধন আমি অর্জনের একমাত্র মাপকাঠি মানি।

আসি EIA রিপোর্টের ব্যাপারে। সকল প্রকল্পের জন্যে যে এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট বা (EIA) প্রয়োজন হয় তা নয়। কোনো একটা প্রজেক্ট যখন করা হবে বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তখন কী প্রকল্প, কী প্রযুক্তিতে করা হবে, কারিগরি মান কী হবে ইত্যাদির উপর নির্ভর করে স্থান নির্বাচনের জন্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

প্রস্তাবিত কতিপয় স্থানের মধ্যে থেকে প্রাথমিক পরিবেশগত সমীক্ষা বা ইনিশিয়াল এনভায়রনমেন্টাল এক্সামিনেশন (IEE)-এর রিপোর্টের ভিত্তিতে কোনো একটি জায়গার ব্যাপারে ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়। ফারদার এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট (EIA) প্রয়োজন কিনা আর যদি প্রয়োজন হয় তার TOR কী হবে এর ভিত্তিতে তখন EIA প্রস্তুত করা হয়।

EIA রিপোর্টে যে শুধু ওই জায়গার পরিবেশের উপর নির্মিতব্য প্ল্যান্ট কী কী প্রভাব ফেলতে পারে তাই-ই উল্লেখ থাকে তা নয়, এই প্ল্যান্টের নিরাপত্তার ব্যাপারে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, পরিবেশের মানদণ্ড রক্ষায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, প্ল্যান্টটি সম্ভাব্য কী কী চ্যলেঞ্জের মুখে পড়তে পারে সেসব কিছুর একটি সামগ্রিক চিত্র থাকতে হয় EIA রিপোর্টে।

EIA রিপোর্টে সব দিক আলোচনা করা হয়েছে বলে যদি পরিবেশ অধিদপ্তর মনে করে তবেই তা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র পায় প্ল্যান্টের ফাইনাল ডিজাইনের জন্যে।

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এখন এই পর্যায়ে আছে। অর্থাৎ যেখানে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সেই জায়গাটি অনুমোদন পেয়েছে এবং ওই জায়গাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি করার জন্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত সকল দিক বিবেচনাতে নেওয়া হয়েছে বলে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ছাড়পত্র দিয়েছে।

এখন আসি কল্লোল মোস্তফা যে ভারতীয় গাইডলাইনটির কথা বলেছেন সেই প্রসঙ্গে। প্রথমত ওটি ভারতের একটি গাইডলাইন, বাংলাদেশের নয়। সুতরাং ওই গাইডলাইন আমলে নিয়ে কেন বাংলাদেশের সাইট ক্লিয়ারেন্স হতে হবে তা আমার বোধগম্য নয়। তার উপর হচ্ছে সেটি একটি গাইডলাইন মাত্র, কোনো মেমোরেন্ডাম নয় যে তা অবশ্যপালনীয়।

যাই হোক, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে এ পর্যন্ত যা কিছু হয়েছে তাতে কেনো আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে বলে আমার মনে হয়নি এনার্জি অ্যাডভাইজারের সঙ্গে কথা বলে এবং সেই বিষয়টিই আমি আমার প্রথম লেখায় বলেছিলাম। আমি সঠিক ছিলাম কী ছিলাম না সেটিতে আমি আর যাব না।

কারণ আইনের ব্যত্যয় হয়েছে বলে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে দায়ের করা রিট উচ্চ আদালত খারিজ করে দিয়েছে। সেই অনুযায়ী এটি স্পষ্ট যে এখন পর্যন্ত কোনো আইন ভঙ্গ বা আইনের ব্যত্যয় হয়নি।

এতদিন যেহেতু আলোচনা এ পর্যায়েই সীমিত ছিল আমি তাই এর বেশি কিছু বলিনি আমার আগের লেখাতে। ভেবেছিলাম এনার্জি অ্যাডভাইজারকে আমি যা যা সাজেস্ট করেছি তা পরবর্তীতে লিখব। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এখনই লিখার সিদ্ধান্ত নিলাম।

একজন এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আমি এই স্তরে এসে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সেই একই কথা আবারও বলতে চাই যেমনটি বলেছি এই লেখার শুরুতে– "যথাযথ কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে হবে– আর তা না হলে যত কিছুই বলা হোক না কেন IEE বা EIA রিপোর্টে আর যেখানেই প্ল্যান্ট তৈরি করা হোক না কেন– পরিবেশ দূষণ হবেই।"

আমি আমার মূল আলোচনা এখান থেকে শুরু করছি। আমিও আপনাদের মতোই সুন্দরবন রক্ষার জন্যেই সচেষ্ট। কিন্তু সেই সঙ্গে আমি বিদ্যুৎ পাবার সুবিধাটা বন্ধ করতে চাই না শুধুমাত্র EIA রিপোর্টের খুঁত ধরে। বরং দুটোই যেন নিশ্চিত করা যায় আমি সেই দিকে পদক্ষেপ নিতে চাই।

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পটি এখন ডিজাইন ফেইজে আছে অর্থাৎ প্ল্যান্টের ডিটেইল্ড ডিজাইন করতে হবে। যেহেতু সুপার-ক্রিটিক্যাল থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট বাংলাদেশের জন্যে নতুন এবং জায়গাটি রামপাল, তাই বাংলাদেশের উচিত এই পর্যায়ে দেশি বা বিদেশি এক্সপার্ট নিয়োগের, যাদের কাজ হবে ডিজাইন কনসালটিং ফার্ম কতটা ভালোভাবে বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষা করে প্ল্যান্টের ডিজাইন করছে তা দেখা।

এটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি, কারণ পাওয়ার প্ল্যান্টের ডিজাইন করতে হবে EIA এর সকল সাজেশন ও মিটিগেশন এফোর্ট আমলে নিয়ে। EIA রিপোর্টে যদি কোনো বিষয় বাদও পড়ে থাকে বা কোনো ইম্পর্টেন্ট দূষণমাত্রা কমিয়ে আনার প্রয়োজন বলে এক্সপার্ট মনে করেন, তাহলে তা ডিজাইন ফেইজেই আমলে আনতে হবে।

ডিজাইন ফেইজে যেন দূষণ ও তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংক্রান্ত সকল মানদণ্ড যথাযথভাবে মেনে চলা হয় এ জন্যে আমি একটি ইন্ডিপেনডেন্ট মনিটরিং টিম রাখতে সাজেস্ট করছি এনার্জি অ্যাডভাইজারকে যারা মনিটর করবে যে EIA তে উল্লিখিত সকল মানদণ্ড ও প্যারামিটার আমলে নেওয়া হয়েছে কিনা, সব রকম ফ্লু গ্যাস এমিশান লিমিট কি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মোতাবেক ডিজাইনে ধরা হচ্ছে কিনা, টেকনোলজি গত খুঁটিনাটি বিষয়গুলোর সমন্বয় সাধন হচ্ছে কিনা এ ধরনের নানান বিষয়গুলো।

কল্লোল মোস্তফা যেমনটি লিখেছেন তার আর্টিকেলে যে, উনি SOx সহ আরও কিছু এমিশান লিমিট নিয়ে কনসার্নড, যদি এই ডিজাইন মনিটরিং গ্রুপ আসলেই সেগুলো আমলে নেওয়ার মতো মনে করে তাহলে ফাইনাল ডিজাইনে আরও কিছু সেইফটি ফ্যাক্টর ধরেই ডিজাইন করার দিকটা এনশিওর করবেন উনারা।

আশা করছি এনার্জি অ্যাডভাইজার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ডিজাইনে এক্সপার্ট একটি ইন্ডিপেনডেন্ট মনিটরিং টিম রাখার আমার এই প্রস্তাবটি আমলে নিবেন এবং সেই সঙ্গে এ-ও আশা করছি যে এই ইন্ডিপেনডেন্ট মনিটরিং টিমের ক্লিয়ারেন্স ব্যতীত থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টটির ফাইনাল ডিজাইন পিডিবি ও এনার্জি অ্যাডভাইজার অনুমোদন করবেন না।

এরপরের ধাপ হিসাবে আসে ডিজাইন ইমপ্লিমেন্টের বিষয়টি যেখানে আসবে সঠিকভাবে পাওয়ার প্ল্যান্টটি তৈরি হচ্ছে কিনা সেটি যাচাই করার বিষয়। এ ক্ষেত্রেও আরেকটি ইন্ডিপেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ারের এক্সপার্ট মনিটরিং গ্রুপ রাখার সাজেস্ট করছি আমি। সুপার-ক্রিটিক্যাল টেকনোলজির ব্যবহার থেকে শুরু করে পলিউশান মিটিগেশনের প্রসেস ও যন্ত্রপাতির যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে কিনা তা মনিটর করবে এই এক্সপার্ট গ্রুপ।

টাইম-টু-টাইম তারা তাদের মনিটরিং রিপোর্ট সাবমিট করবে যেন আমরা বুঝতে পারি কাজের অগ্রগতি কেমন হচ্ছে ও কতটা নিখুঁতভাবে এগুচ্ছে পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণের কাজ। এ-ও আশা করব যে পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি সম্পন্ন হয়ে গেলে সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এই ইন্ডিপেনডেন্ট এক্সপার্ট গ্রুপ ছাড়পত্র না দেওয়া পর্যন্ত যেন পিডিবি পাওয়ার প্ল্যান্টটি গ্রহণ না করে কন্ট্রাক্টরের কাছ থেকে।

এরপর আসবে পাওয়ার প্ল্যান্টটি কি আসলে সমস্ত পরিবেশ মানদণ্ড বজায় রেখে টার্গেট অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে কি না সেই বিষয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা। এ ব্যাপারেও আমি আরেকটি ইন্ডিপেনডেন্ট কমপ্লায়েন্স এক্সপার্ট মনিটরিং টিম রাখার প্রস্তাব করছি এনার্জি অ্যাডভাইজারের কাছে।

এই মনিটরিং গ্রুপ সারা বছর ধরে লিমিটেড স্কেলে প্ল্যান্টের পারফরমেন্স মনিটরিং করবে। সারা বছর বলছি এই কারণে যে, সারা বছর ধরে মনিটরিং করলেই একমাত্র বোঝা সম্ভব বাতাসের গতি থেকে শুরু করে ঝড়ো হাওয়া, ঋতুর পরিবর্তন ও বাতাসের তাপমাত্রার সঙ্গে কতটা দক্ষতার সঙ্গে পাওয়ার প্ল্যান্টটি সকল পরিবেশ মানদণ্ড মেনে চলতে পারে।

যদি প্ল্যান্ট সকল মানদণ্ড কমপ্লাই করতে ব্যর্থ হয় তাহলে প্ল্যান্টে টিউনিং করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা না পর্যন্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সেই সঙ্গে এই মনিটরিং টিম কয়লা পরিবহণ, সংরক্ষণ, স্থানান্তরিতকরণসহ বিদ্যুৎ উৎপাদনের সময় কয়লার থেকে তৈরি হওয়া বটম অ্যাশ ও এর মজুদ ও সংরক্ষণজাত সকল প্রকার দূষণ মনিটরিং করবে।

এ-ও আশা করছি এই মনিটরিং টিমের ফাইনাল রিপোর্টসহ ছাড়পত্র পেলেই কেবলমাত্র এই পাওয়ার প্ল্যান্টটিকে পূর্ণমাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যে চালু করতে পারবে পিডিবি।
পুরো প্রজেক্টের ব্যয়ের তুলনায় চিন্তা করলে এই তিনটি প্রস্তাবিত মনিটরিং গ্রুপ রাখতে যে খরচ হবে তা খুবই নগণ্য।

কিন্তু এতে একদিকে যেমন পুরো প্রজেক্টের পরিবেশের উপর প্রভাব সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত থাকতে পারব, ঠিক তেমনিভাবে বাংলাদেশের জন্যে নতুন প্রযুক্তিতে তৈরি সুপার-ক্রিটিক্যাল এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির সকল দিকে বাংলাদেশের স্বার্থ সম্পূর্ণরূপে রক্ষা হচ্ছে কিনা তা বাংলাদেশ সরকার বুঝতে পারবে।

আর দীর্ঘমেয়াদী লাভ চিন্তা করলে দেখা যায় যে টাইম-টু-টাইম এই তিনটি ইন্ডিপেনডেন্ট মনিটরিং গ্রুপ যে সকল রিপোর্ট সাবমিট করবে তার আলোকে পিডিবির কিছু প্রকৌশলী থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরির বিভিন্ন স্তরে কোন কোন জায়গার দিকে নজর দিতে হবে তা জেনে যাবে।

সে ক্ষেত্রে পরবর্তীতে যেসব থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট বাংলাদেশে তৈরি করা হবে তাতে আলাদা করে আর মনিটরিং টিম লাগবে না, পিডিবির প্রকৌশলীরাই মনিটরিং করতে সমর্থ হবেন।

সবশেষে আবার বলছি, একজন পরিবেশ প্রকৌশলী হিসাবে আমি মনে করছি যে রামপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সকল দিক সঠিকভাবে বিবেচনায় আনলে পরিবেশের ক্ষতি না করেও বিদ্যুতের সুবিধা আমরা পেতে পারি। কিন্তু সে ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ও সার্বিক মনিটরিং-এর জন্যে তিন স্তরে তিনটি ইন্ডিপেনডেন্ট মনিটরিং টিমের নিয়োগ জরুরি।

আশা করি এনার্জি অ্যাডভাইজার ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী আমার সাজেশানগুলো গ্রহণ করে এটা প্রমাণ করবেন যে উনারা খুলনা অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে যতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ঠিক ততটাই সংকল্পবদ্ধ সুন্দরবন রক্ষায় যথাসম্ভব সতর্ক হওয়ার বিষয়ে।