ফ্যাসিবাদীয় তৃতীয় শক্তি ও সুশীল সমাজের ভ্রান্তিবিলাস

এবিএম নাসির
Published : 11 Sept 2013, 06:57 AM
Updated : 11 Sept 2013, 06:57 AM

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ-পূর্ব ও উত্তর ইতালির রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের বেশ মিল রয়েছে। সে সময় গণতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক দলগুলোর ব্যর্থতা পুঁজি করে ফ্যাসিবাদের জনক বেনিতো মুসোলিনি যেমন ইতালির রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করেছিল– একইভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতা পুঁজি করে বাংলাদেশের সুশীল সমাজের একটি অংশ বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশে 'তৃতীয় শক্তি' নামে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে।

বাংলাদেশি সুশীল সমাজের তৃতীয় শক্তির ধারণা ও একে বাস্তবায়ন করতে যে কার্যক্রম, তার সঙ্গেও ইতালীয় ফ্যাসিবাদের উদ্ভাবিত যুদ্ধোত্তর তৃতীয় শক্তির ধারণা ও কার্যক্রমের অনেক মিল রয়েছে৤ বাংলাদেশে এ তৎপরতায় যারা মূখ্য ভূমিকা পালন করছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হতে ব্যর্থ কিছু রাজনীতিবিদ, প্রাক্তন সমাজতন্ত্রী, কয়েকটি পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, থিংক ট্যাংক, বেসরকারি সংস্থা ও মানবাধিকার সংস্থা।

বিশেষ করে কয়েকটি পত্রিকা এসব কার্যক্রমে ইন্ধন জোগাচ্ছে সবচেয়ে বেশি। ইতালিতেও ফ্যাসিবাদ উত্তরণে যে পত্রিকা ভূমিকা পালন করেছিল তা হচ্ছে সমাজতন্ত্রী দলের মুখপাত্র Avanti বা 'আভান্তি'। ১৯১১ সালে সমাজতন্ত্রী মুসোলিনিকে আভান্তির সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সম্পাদক মুসোলিনি পত্রিকাটিকে ফ্যাসিবাদী সরকার প্রতিষ্ঠার ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করেন।

কিন্তু পত্রিকাটিতে উগ্র জাতীয়তাবাদ ও সমরবাদের প্ররোচনার জন্য জার্মান সমাজতন্ত্রী দল মুসোলিনিকে দায়ী করে। যার ফলে মুসোলিনি ১৯১৫ সালে সমাজতন্ত্রী দল পরিত্যাগ করে ১৯১৯ সালে Milan fascio নামে সংগঠনের নামে ফ্যাসিবাদী আন্দোলন শুরু করেন।

ফ্যাসিবাদের উত্থান

মুসোলিনির ফ্যাসিবাদের তাত্ত্বিক ভিত্তি হচ্ছে "Everything in the State, nothing outside the State, nothing against the State", অর্থাৎ ফ্যাসিবাদে ব্যক্তির চেয়ে রাষ্ট্রকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব করা হয়।

ইতালিতে ফ্যাসিবাদের উত্থানের প্রধান কারণগুলো ছিল উদার গণতন্ত্রীদের ব্যর্থতা, সাংবিধানিক সংকট ও সমাজতন্ত্রীদের রাজনৈতিক কৌশল। ১৯১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে ইতালির সমাজতন্ত্রী দল এক তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে জয়ী হলেও, জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি সমাজতন্ত্রী দলকে দেশের যাজক, ভূমি-মালিক ও পুঁজিপতিদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।

সমাজতন্ত্রীদের এ জনবিচ্ছিন্নতার ফলে, জনগণের উগ্র-জাতীয়তাবাদী ও ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে ফ্যাসিবাদীরা বিভিন্ন জনপ্রিয় সংস্কারের দাবি তুলতে থাকে। যার মধ্যে ছিল সর্বজনীন ভোটাধিকারের দাবি৤ কিন্তু এ দাবিগুলো তোলা হয়েছিল মূলত ক্ষমতা দখলের কৌশল হিসেবে জনসমর্থন আদায়ের জন্য।

সমাজতন্ত্রীদের মোকাবেলায় একই সময় মুসোলিনি দেশের পুঁজিপতি, রাজতন্ত্র, ও যাজকতন্ত্রের সঙ্গেও কোয়ালিশন গঠন করেন৤ ১৯২১ সালে সমাজতন্ত্রী দল দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়লে মুসোলিনি তার রাজনৈতিক ক্ষমতা আরোহণ ত্বরান্বিত করতে একের পর এক কর্মসূচি দিতে থাকেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর জনসমর্থনহীন কর্মকাণ্ড পণ্ড করতে ব্যবহার করেন 'ব্ল্যাকশার্ট' নামের সন্ত্রাসী সংগঠনকে।

তৃতীয় শক্তি কী ও কেন?

অতঃপর ১৯২২ সালে রা্ষ্ট্রীয় ক্ষমতায় তৃতীয় শক্তির প্রয়োজনের ধুয়া তুলে ১০ ভাগেরও কম সংসদীয় আসন নিয়ে মুসোলিনির নেতৃত্বে ফ্যাসিস্টরা ইতালির রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করে। মুসোলিনির মতে, "Third way' between Capitalism and Communism"… অর্থাৎ 'তৃতীয় শক্তি হচ্ছে পুঁজিবাদ ও সাম্যবাদের বিকল্প শক্তি'। তৃতীয় শক্তির ধারণা তুলে ধরার মূল উদ্দেশ্য ছিল সমাজতন্ত্রী ও মধ্যপন্থী লিবারেল গণতান্ত্রিক দলগুলোকে মোকাবেলা ও নিষ্ক্রিয় করা।

কিন্তু ক্ষমতা অধিগ্রহণের পর থেকেই মুসোলিনির ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী চরিত্র প্রকাশ পেতে থাকে। যেমন, ক্ষমতার বাইরে যে মুসোলিনি সর্বজনীন ভোটাধিকারের দাবি জানিয়েছিলেন, ক্ষমতায় গিয়ে তিনি রাষ্ট্রকে ব্যক্তিস্বাধীনতার উর্ধ্বে স্থান দিয়ে খর্ব করেন ব্যক্তিস্বাধীনতা। প্রতিনিধিত্বশীল সংসদীয় পদ্ধতি পরিত্যাগ করে রাষ্ট্রকে রূপান্তরিত করেন 'কর্পোরেট স্টেট'-এ।

ফ্যাসিবাদী তৃতীয় শক্তির উত্থানে সুশীলীয় অপচেষ্টা

ইউরোপ-আমেরিকাসহ উন্নত দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত হলেও, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট কেন্দ্র করে সুশীল সমাজ তৃতীয় শক্তির ধারণা নিয়ে যে কার্যক্রম চালাচ্ছে তার সঙ্গে ইতালীয় ফ্যাসিবাদের কার্যক্রম ও তৃতীয় শক্তির ধারণার অদ্ভূত সাযুজ্য রয়েছে। এসব কার্যক্রমে সুশীল সমাজের মূল সহায়ক হচ্ছে বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও দেশি ব্যবসায়ীদের আর্থিক অনুদান, বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা থিংক ট্যাংক, বহুলপ্রচারিত সংবাদমাধ্যম এবং পত্রিকাগুলো।

ঠিক যেভাবে মুসোলিনি Avanti পত্রিকাকে ফ্যাসিবাদী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও দেশের পুঁজিপতি, ভূমি-মালিক, যাজক শ্রেণিকে ক্ষমতা আরোহণের কাজে ব্যবহার করেছিলেন।

জনবিচ্ছিন্ন মুসোলিনি যেভাবে তৃতীয় শক্তির ধুয়া তোলে ১০ ভাগেরও কম সংসদীয় আসন নিয়ে ইতালির রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করেছিলেন– বাংলাদেশের জনবিচ্ছিন্ন সুশীল শ্রেণি একইভাবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের কথা বলে, ২০০৭-০৮ সালে সামরিক মোড়কে তত্বাবধায়ক সরকারকে সমর্থন দিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পাশ কাটিয়ে নিজেদের পছন্দনীয় ব্যক্তিদের ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন।

নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষমতায় আরোহণে ব্যর্থ হয়ে, ব্রিটিশ উপনিবেশ ও পাকিস্তানের সামরিক সরকারদের দেখানো পথ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে দেশছাড়া করে বা জেলে পুরে ক্ষমতায় তৃতীয় শক্তি আমদানির অপচেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু মুসোলিনির মতো কোনো সাংগঠনিক শক্তি না থাকায় সামরিক বাহিনী সমর্থিত একটি সরকারের সব পৃষ্ঠপোষকতা থাকা সত্ত্বেও, সুশীলদের পক্ষে শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের বিপরীতে ফ্যাসিবাদী স্টাইলে তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা সফল হয়নি।

ব্যক্তিস্বাধীনতা ও সংখ্যালঘু নির্যাতনে নিশ্চুপ সুশীল

জনসমর্থনহীন সুশীল চক্র একদিকে গণতান্ত্রিক সরকারগুলোর মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে মহা হইচই করছেন, বিদেশি মানবাধিকার সংস্থার মাধ্যমে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে সরকারকে দায়ী করছেন। অন্যদিকে সামরিক তত্বাবধায়ক সরকারের সময় র‌্যাব ও সামরিক বাহিনী কর্তৃক বিচারবহির্ভূত হত্যা, সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক নির্যাতন, বিচারকার্যে হস্তক্ষেপ ও অন্যান্য অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার প্রতিবাদ না করে নিশ্চুপ ও নিষ্ক্রিয় থেকেছেন৤

সুশীলদের একটি অংশ সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নামে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের দায়ে গ্রেপ্তারকৃত 'আমার দেশ' সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে বিবৃতি দিয়েছেন। অথচ একই সময়ে গ্রেপ্তারকৃত চার ব্লগারের মুক্তির বিষয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করেননি।

দক্ষিণপন্থী ব্রিটিশ পত্রিকা 'ইনোনমিস্ট'সহ ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড 'ডেইলি মিরর'-এ একের পর এক প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের বাংলা অনুবাদ প্রচারের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধের বিচার ও গণতান্ত্রিক সরকারের কার্যক্রম ব্যাহত করার চেষ্টা চালিয়েছেন।

সুশীল কর্পোরেট এজেন্ট

বাংলাদেশে সুশীলরা ফ্যাসিবাদীদের মতো কর্পোরেট সংস্থাগুলোকে দেশের ত্রাতা হিসেবে জনগণের সামনে তু্লে ধরতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন এবং চালাচ্ছেন। দেশের রপ্তানিতে কর্পোরেট নেতৃবৃন্দের ভূমিকার সাফাই গাইছেন। কর্পোরেট সংস্থাগুলোর অর্থায়নে সভা-সমিতি করছেন মানবাধিকাররক্ষায়।

অথচ তারা গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যুনতম অধিকার আদায়ে তেমন কোনো ভূমিকাই রাখেননি। সামরিক তত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতাগ্রহণের পরপরই যখন বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে কলমের এক খোচাঁয় চারটি পাটকল বন্ধ করে দিয়ে হাজার হাজার শ্রমিক ও তাদের পরিবার-পরিজনকে পথে নামিয়ে দেওয়া হয় তখনও এ শ্রেণির সুশীলরা কোনো উচ্চবাচ্য করেননি।

মৌলবাদী রাজনীতি বিস্তারের সহায়ক সুশীল

সুশীল-সমর্থিত এ সংগঠনগুলো যদিও মৌলবাদীদের প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন করছে না, কিন্তু ২০০১-০৬ সালে দেশব্যাপী মৌলবাদী তৎপরতা ও এর উত্থানে পরোক্ষভাবে উৎসাহ দিয়েছে।

যেমন, দেশের প্রথম সারির কয়েকটি পত্রিকা ২০০১ নির্বাচন-উত্তর সন্ত্রাস, সংখ্যালঘু নির্যাতন ও দেশে মৌলবাদী উত্থান সংক্রান্ত বিদেশি পত্রিকার রিপোর্টকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও সদ্যনির্বাচিত বিএনপি-জামায়াত সরকারকে ডিস্ট্যাবিলাইজ করার দেশি-বিদেশি চক্রান্ত হিসেবে নাকচ করে দিয়ে, পরোক্ষভাবে মৌলবাদী শক্তিকে নৈতিক সমর্থন জুগিয়েছিল।

অথচ দক্ষিণপন্থী ব্রিটিশ পত্রিকাসহ ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে প্রকাশিত বাংলাদেশবিরোধী মিথ্যা সংবাদের বাংলা অনুবাদ ফলাও করে ছাপাতে এসব সুশীল পত্রিকা দ্বিধা করছে না৤

মিডিয়া-নির্ভর সুশীল সমাজের এ অংশ শুধুমাত্র রাজনৈতিক সরকারগুলোর সমস্যাই জনসমক্ষে তুলে ধরছেন, সফলতা তুলে ধরছেন কদাচিৎ৤ রাষ্ট্রের প্রাতিষ্ঠানিক ও রাজনৈতিক সমস্যাগুলোর কোনো কার্য্করী সমাধান ও দিকনির্দেশনা প্রদানেও ব্যর্থ সুশীলদের এ অংশ৤

ব্যক্তিকে রাষ্ট্রের সকল সমস্যার উৎস দেখিয়ে, রাজনীতি থেকে শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে বন্দুকের জোরে বিতাড়িত করে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে ফ্যাসিবাদীয় কর্পোরেট-এনজিও-মিলিটারি-বহুজাতিক সংস্থার সমন্বয়ে তৃতীয় শক্তির সরকার৤

রাষ্ট্রের প্রাতিষ্ঠানিক ও রাজনৈতিক সমস্যাগুলোর কোনো কার্য্করী সমাধান ও দিকনির্দেশনা না দিয়ে ব্যক্তিকে সকল সমস্যার মূল কারণ দেখিয়ে ফ্যাসিবাদীয় পদ্ধতিতে অলিগার্কিক তৃতীয় শক্তি উত্থানের পরিণাম কখনও ভালো হয়নি।

যেমন হয়নি সুশীলদের কুমন্ত্রণায়, বহুজাতিক সংস্থার প্ররোচনায় এবং বহুজাতীয় কোয়ালিশনের হস্তক্ষেপে ইরান ও ইরাকে ক্ষমতার পরিবর্তনে। বহুজাতিক সংস্থার প্ররোচনায় যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের যৌথ হস্তক্ষেপে ইরানের গণতান্ত্রিক সরকার মোসাদ্দেককে সরিয়ে শা্হকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছিল৤ স্বৈরাচারী শা্হ'র লাগামহীন দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় ঠ্যাঙ্গারে বাহিনী সাভাকের সীমাহীন হত্যা ও সন্ত্রাস দেশকে ঠেলে দিয়েছিল গৃহযুদ্ধের দিকে৤

ফলশ্রতিতে ১৯৭৯ সালে ইরানের ক্ষমতা দখল করে মৌলবাদী সরকার৤ মৌলবাদীদের ক্ষমতা অধিগ্রহণ ইরানকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে সমগ্র বিশ্ব থেকে৤ নির্বাসিত করা হয় ব্যক্তিস্বাধীনতা৤ একইভাবে ইরাককে ধ্বংসের প্রান্তে ঠেলে দেওয়া হয়েছে আহমেদ চালাবি ও অন্যান্য সুশীলদের কুমন্ত্রণা ও ভুল তথ্যের ভিত্তিতে৤

সুতরাং, সাধু সাবধান!


এবিএম নাসির :
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।