বিএনপির ট্রফি জেতার আন্দোলন

মোজাম্মেল বাবু
Published : 20 August 2013, 10:05 AM
Updated : 20 August 2013, 10:05 AM

'হোস্ট'ও 'প্যারাসাইট' এ দুই শ্রেণির প্রাণির মধ্যে চলছে নিরন্তর এক সংগ্রাম, একদল চাইছে বহিঃশক্তির আক্রমণ থেকে নিজের শরীর রক্ষা করতে এবং তার বিপরীতে পরজীবীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অন্য জীবের শরীরের নিরাপত্তা ব্যূহ ভেঙে ঢুকে পড়তে।

একটানা অধ্যবসায়ে যখন কোনো একটা নতুন 'ভাইরাস' মানুষের জিনোমে 'ডক' করতে সক্ষম হয় তখন মানবদেহ একসময় নিজের কোষের গঠনটাই পরিবর্তন করে ফেলে, এটাই 'সেলফ রেজিসটেন্স', যাতে করে একই 'ভাইরাস' বিনাবাধায় আর কখনও মানবদেহে ঢুকে পড়তে না পারে। মানুষ বাধ্য হয়ে তখন নিজের শরীরের তালাটাই বদলে ফেলে দেয়, যাতে নকল চাবি দিয়ে তা আর খোলা না যায়।

একইভাবে দুষ্কৃতকারীরা যখন কোনো সিকিউরিটি লকের কমবিনেশন নাম্বারটা 'ডিকোড' করে ফেলে তখন নিরাপদ থাকতে হলে সে 'কোড' পরিবর্তন করা ছাড়া বিকল্প থাকে না। চোর যদি গৃহস্থের সিঁদ কেটে ফেলে, তখন কেবল নির্বোধরাই অরক্ষিত অবস্থায় ঘুমিয়ে থাকে।

বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাতেও অনুরূপ 'হ্যাকিং' ঘটে গেছে। আন্দোলনের স্বার্থে বিএনপি এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করলেও, প্রধান উপদেষ্টা প্রশ্নে বিতর্কে জড়িয়ে তারাও শেষ পর্যন্ত এ পদ্ধতিতে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। কেননা এ পদ্ধতি অনুসারে সদ্য সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক থেকে শুরু করে সর্বশেষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের যে কয়টা ধাপ বর্ণিত আছে, তার একটিও বিএনপির কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।

বস্তুত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা 'একিলিস হিল'-এর মতো। বেহুলার ঘরের এ ফুটো দিয়ে ঢুকেই 'সুশীল' মুখোশ পরে অগণতান্ত্রিক শক্তি প্রতিবার বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করেছে।

১৯৯১ সালে লে. জে. নুরুদ্দীনের নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী ও সেনাগোয়েন্দা সংস্থা বিএনপিকে জিতিয়ে আনার জন্য তাদের প্রার্থী নির্বাচন ও অর্থের যোগানসহ জামায়াতের সঙ্গে সিট অ্যাডজাস্টমেন্ট (বিএনপি ২৭০ আসন ও জামায়াত ৩০ আসন) পর্যন্ত, হেন কাজ নেই করেনি। সেই নির্বাচনে বিএনপিকে ছেড়ে দেওয়া জামায়াতের ২৭০ আসনে দাঁড়িপাল্পায় কোনো ভোটই পড়েনি। অথচ ১৯৯৬ সালে জামায়াত যখন এককভাবে নির্বাচন করে, তখন সেই ২৭০ আসনেই দাঁড়িপাল্লায় তারা গড়ে ১০ শতাংশ ভোট পায়। আওয়ামী লীগ সে নির্বাচন সম্পর্কে 'সুক্ষ্ম কারচুপি'র অভিযোগ এনেছে।

১৯৯৬ সালে সেনাগোয়েন্দা সংস্থার আইএসআই নেটওয়ার্ক ভাঙতে গিয়ে স্বয়ং সেনাপ্রধান লে. জে. মোহাম্মদ নাসিমকেই বলি হতে হয়। বিএনপির তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে বিএনপির বর্তমান স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. মাহবুবুর রহমানকে নিয়োগ দেন। বিএনপি তখন ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঘিরে সৃষ্ট গণঅভ্যূত্থানে পতিত একটি দল হওয়া সত্ত্বেও ১২ জুনের নির্বাচনে জেনারেল মাহবুব একাই তাদের ১১৬ আসনে টেনে তুলেন। তখন সেনাগোয়েন্দা সংস্থার ডানপন্থী চক্র ভেঙে দেওয়া না হলে, সেবারও বিএনপি ক্ষমতায় আসত।

২০০১ সালে সেনাপ্রধান লে. জে. হারুন-উর-রশীদের অজান্তে তদানীন্তন সেনাগোয়েন্দা সংস্থা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতাগ্রহণের আগেই বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার ব্লুপ্রিন্ট সাজিয়ে ফেলে। প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি লতিফুর রহমান শপথ নিয়ে বঙ্গভবন ছাড়ার পূর্বেই ১৩ সচিবের বদলির আদেশ দিয়ে সেই নকশা বাস্তবায়ন শুরু করেন। তার পরদিন থেকেই সেনাবাহিনী নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগকে 'ডিফেইম' করার কাজে হাত দেয়। তখন নৌকার প্রার্থীদের কান ধরে উঠ-বস করানোর ঘটনাও ঘটেছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনটিকে 'স্থূল কারচুপি' হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি অগণতান্ত্রিক শক্তির ভূমিকা চরমে পৌঁছে ক্ষমতা দখল করার পর্যায় পর্যন্ত চলে যায়। বিএনপি গণবিছিন্ন হয়ে পড়ায় আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে ষড়যন্ত্রকারীরা নিজেরাই মসনদে বসার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিনকে সামনে রেখে তারা মূলত তিনটি বিকল্প নিয়ে কাজ শুরু করে।

প্রথম উদ্যোগ ছিল ড. কামাল হোসেনকে দিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা, যেখানে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে অংশ নেওয়ানোর চেষ্টাও করা হয়। সে লক্ষ্যে এ দুই দলে 'সংস্কারবাদী' নামে বিকল্প নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার সব ষড়যন্ত্রই জাতি তখন দেখেছে। এ প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তারা ড. ইউনূসকে দিয়ে 'নাগরিক শক্তি' নামে দল গঠন করে পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়। সামান্যতম জনসমর্থন না পেয়ে সে পরিকল্পনা আঁতুড়ঘরেই মারা যায়।

সবশেষে জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ নিজেই আইয়ুব-জিয়া-এরশাদের পুরনো ফর্মুলায় 'কিংস পার্টি' গঠন করে ক্ষমতাদখলের স্বপ্ন দেখেন। সেটাও সফল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত অবশ্যম্ভাবী বিজয়ী আওয়ামী লীগের কাছ থেকে 'দুই বছরের সকল কর্মকাণ্ডের বৈধতা' দেওয়ার আশ্বাস নিয়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করে তারা মানে মানে 'এক্সিট' নেয়।

এ নির্বাচনে সেনাবাহিনী ও সেনাগোয়েন্দা সংস্থা কোনো রকম 'প্রভাব' সৃষ্টির চেষ্টা করেনি, এটাই সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে সবচেয়ে বড় ধনাত্মক 'প্রভাব' ফেলে এবং মহাজোট ২৭০ আসনে জয়ী হয়। যদিও জোরপূর্বক তারেক রহমানের রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর 'মুচলেকা' আদায়সহ সেনাগোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে বিএনপি নির্বাচনটিকে 'ডিজিটাল কারচুপি' হিসেবে আখ্যায়িত করে।

১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা দৃশ্যত কার্যকর মনে হলেও ২০০৬ সালে বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে নিজেদের পছন্দের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান নিয়োগের পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে এ ব্যবস্থার পুরোটাই 'হ্যাকড' হয়ে যায়। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পদ্ধতিতে যতটুকু-বা 'সেইফটি'র বন্দোবস্ত ছিল তার পুরোটাই এখন 'ডিকোড' হয়ে গেছে। প্রত্যেকের হাতেই এখন নকল চাবি। গৃহস্থের সিঁদ পুরোপুরি হা হয়ে আছে।

এমতাবস্থায় 'ডিকোড' হয়ে যাওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানের অধীনে 'নিরপেক্ষ' তো দূরে থাক, কোনো রকম নির্বাচন অনুষ্ঠানই আর সম্ভব নয়। এ পদ্ধতিতে ফিরে গেলে, নির্বাচন না হওয়ায় দেশ ও জাতি নিঃসন্দেহে এক সুগভীর সাংবিধানিক সঙ্কেটে পতিত হবে।

বিচারপতি খায়রুল হকের রায়েও অনির্বাচিত ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার' ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে 'অসাংবিধানিক' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। বিকল্প হিসেবে পূর্ণাঙ্গ রায়ে পরামর্শ দেওয়া হয় যে, আগামী দশম ও একাদশ সর্বোচ্চ এই দুটি সাধারণ নির্বাচন জাতীয় সংসদের বিবেচনা অনুসারে শুধুমাত্র জনগণের নির্বাচিত জাতীয় সংসদ দ্বারা গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

তাই এ রায়ের বিপরীতে গিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ একমত হয়ে ৩৪৫ সাংসদের ভোটে 'নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা' পুর্নবহাল করলেও, যে কোনো সংক্ষুদ্ধ নাগরিক আদালতের দ্বারস্থ হলে, এক মুহূর্তেই তা বাতিল হয়ে যাবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির সমর্থনে বিরোধী দল বরাবর লেভেল-প্লেয়িং গ্রাউন্ডের যুক্তি দেখালেও, তথাকথিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বস্তুত একটি 'অ্যান্টিইনকামবেন্ট' সরকার ব্যবস্থা। এই সরকার কাঠামোর অধীনে সরকার পরিচালনা থেকে সদ্যবিদায়ী অর্থ্যাৎ 'ইনকামবেন্ট' রাজনৈতিক দল কখনওই নির্বাচন করে সুবিধা করতে পারবে না। তাই সবসময়ই বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলে আসছে, আর ক্ষমতাসীন দল 'পাগল ও শিশু ছাড়া আর কেউ নিরপেক্ষ নয়' এমন কথা বলে সে দাবির বিরোধিতা করছে।

১৯৯১ সালে ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনের মাঠে দাঁড়াতেই দেওয়া হয়নি। ১৯৯৬ সালে তদানীন্তন সেনাপ্রধান লে. জে. মাহবুবুর রহমানের সকল প্রটেকশনের পরও সিভিল বুরোক্রেসি বিএনপিকে ব্যাকফুটে ফেলে দেয়। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ তো ছিল রীতিমতো দৌড়ের ওপর। অনুরূপভাবে, ২০০৮ সালে বিএনপির অবস্থাও ছিল ত্রাহি ত্রাহি।

তাই জেনেশুনে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো একটি 'অসাংবিধানিক', 'অ্যান্টিইনকামবেন্ট' এবং ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টিকারী একটি গোষ্ঠীর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আওয়ামী লীগ কখনওই সেঁধে দৌড়ের ওপর পড়তে চাইবে না। এতে যদি ভেঙে গিয়ে অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতায় আসে তাতেও আওয়ামী লীগের মচকানোর কোনো সুযোগ নেই।

আর অশুভ শক্তি ক্ষমতা দখল করলে হাওয়া পক্ষে থাকা সত্ত্বেও বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার সব পথ বন্ধ হয়ে যাবে। এ পরিস্থিতিতে যেভাবে ৫ সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন করেছে, সেভাবে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাই বিএনপির জন্য সবচেয়ে 'স্ট্র্যাটিজিক' হবে, তাতে গণতন্ত্র বাঁচবে এবং বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার পথও সুগম হবে। এ ক্ষেত্রে মানুষের সিমপ্যাথিও বিএনপির অনুকূলে থাকবে।

১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের চাপিয়ে দেওয়া 'এলএফও'-র অধীনে নির্বাচন করেও ভোট-বিপ্লব ঘটিয়েছেন। তবে এ ক্ষেত্রে কেবলমাত্র 'অ্যান্টিইনকামবেন্সি'-কে পুঁজি করে 'সুইপ' করে পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ অবশ্য থাকবে না। ভোটাররা তখন উন্নয়ন-সন্ত্রাস-দুর্নীতিসহ রাষ্ট্রপরিচালনার সকল ক্ষেত্রে দুই দলের তুলনামূলক বিবেচনা করেই ভোট দেবে।

কিন্তু ভোটারদের তুলনামূলক বিচারের ভয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে 'ফ্লাইয়িং কালার' নিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করলে বিএনপি কখনওই তাতে সফল হতে পারবে না। জনসমর্থন থাকলেও সাংগঠনিক শক্তিতে বিএনপির ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে।

আর বিএনপি আন্দোলনের জন্য জামায়াত-হেফাজতের সন্ত্রাসের ওপর ভরসা করলে তা কখনওই জনগণকে সম্পৃক্ত করে গণঅভ্যূত্থানের রূপ নেবে না। জামায়াতকে বেশি কাছে টানলে বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনও যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর আন্দোলন হিসেবে 'কালার' হয়ে যাবে। তাতে বিএনপির পালের হাওয়া উল্টেও যেতে পারে।

তার চেয়ে সাংবিধানিক কাঠামোর অধীনে দুই দল থেকে আনুপাতিক বা সমান সংখ্যক নির্বাচিত সদস্য নিয়ে সর্বদলীয় অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত হলে তা প্রকৃত অর্থেই সকলের জন্য 'লেভেল প্লেয়িং গ্রাউন্ড' নিশ্চিত করবে। তাতেও পরিস্থিতি বিএনপিরই অনুকূলে থাকবে। সমান সুযোগের নামে বিএনপি বাড়তি সুযোগ আশা করলে কেউ তা তাদের হাতে তুলে দেবে না।

এ ক্ষেত্রে 'সরকার প্রধান' নিয়ে সংশয় থাকলে একটু সৃজনশীল হলে সংবিধানের আওতাতেই ১০ শতাংশ টেকনোক্রেট কোটায় সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একজনকে 'তত্ত্বাবধায়ক/অন্তর্বতী প্রধানমন্ত্রী' হিসেবে নিয়োগ দেওয়াও অসম্ভব নয়। নির্বাচনী হাওয়া অনুকূলে থাকলে তারও প্রয়োজন হয় না। শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখেই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ৫ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়ী হয়েছে।

ইগো স্যটিসফাই করতে গিয়ে কিংবা বিজয়ের সম্ভাবনা বাড়াতে আন্দোলন জয়ের 'ট্রফি' পেতে গিয়ে, আমরা যেন গণতন্ত্রকেই না বিসর্জন দিয়ে বসি!

মোজাম্মেল বাবু:সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক।