আদিলুর রহমান গ্রেফতার ও আত্মসমালোচনার প্রশ্ন

হাসান মামুনহাসান মামুন
Published : 17 August 2013, 03:07 AM
Updated : 17 August 2013, 03:07 AM

'অধিকার' সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্রকে যেভাবে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিতে চাওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে বেশ একটা বিতর্ক হয়ে গেল ঈদের পরপরই। উচ্চ আদালতের নির্দেশে তাকে আর রিমান্ডে যেতে হয়নি। জেলগেটে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ অবশ্য রয়ে গেছে।

অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতেই পারে। গ্রেফতার না করেও জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়। জিজ্ঞাসাবাদ করে কাউকে কাউকে ছেড়েও দেয় পুলিশ। তদন্তকালে বারবার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি কারও কারও নাম শেষ পর্যন্ত আবার থাকে না চার্জশিটে।
পুলিশের ওপর আস্থা থাকলে প্রশ্ন উঠত না এসব নিয়ে। এটা হলো প্রথম কথা। আদিলুর রহমান খান মানবাধিকার কর্মী না হলে তাকে গ্রেফতারের ঘটনা অবশ্য খবরও হতো না। কত মানুষকে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় গ্রেফতার করে পুলিশ, ফাঁসিয়ে দেয়- কে রাখে তার খবর।

আদিল সাহেব বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে ছিলেন পদস্থ আইন কর্মকর্তা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে তিনি হয়তো হয়ে যেতেন অ্যাটর্নি জেনারেল। আমাদের দেশে এগুলো রাজনৈতিক নিয়োগ বটে। সে কারণেও বর্তমান শাসনামলে মানবাধিকার কর্মী হিসেবে আদিলুর রহমান যখন গ্রেফতার হলেন, তা বড় খবর হলো।

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এ বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দ্রুত। দেশী-বিদেশী মানবাধিকার সংগঠনগুলো স্বভাবতই তার মুক্তি দাবি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে প্রতিক্রিয়া। বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির দূত 'অধিকার' কার্যালয়ে গেছেন অন্য কয়েকটি দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ।

এতটা কখনো দেখা গেছে বলে মনে পড়ে না। মানবাধিকার কর্মী গ্রেফতারের ঘটনা তো দেশে নতুন নয়। মানবাধিকার সম্পর্কিত বলে জাতিসংঘও দাপ্তরিক ভাষায় একটা বিবৃতি দিয়েছে। আইনের শাসনে বিশ্বাসী যে কোনো মানুষ চাইবে, আদিল সাহেব দেশের আইনে উল্লিখিত কোনো অধিকার থেকেই বঞ্চিত হবেন না।

এখানে এমনটি বলা ঠিক হবে না যে, বিগত শাসনামলে আরেক মানবাধিকার কর্মী ও লেখক শাহরিয়ার কবিরের ক্ষেত্রে যা যা করা হয়েছিল, ঠিক তা তা হতে হবে আদিলুর রহমানের ওপর। তাদের মধ্যে একটা মিল আছে যে, দুজনই সরকারের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন।

২০০১ সালের নির্বাচনের আগে-পরে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন শাহরিয়ার কবির। এ আমলে আদিলুর রহমান তার সংস্থার পক্ষ থেকে গুরুতর অভিযোগ তুললেন 'অপারেশন শাপলা চত্বর' নিয়ে।

হেফাজতে ইসলামের বহুল আলোচিত জমায়েতটি ভেঙে দিতে গিয়ে পুলিশ ৬১ জনকে মেরে ফেলেছে বলে 'অধিকার' রিপোর্ট দিয়েছিল। সরকারের দাবি, ওই অভিযানকালে কোনো মারণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়নি; একজনও নিহত হয়নি তাতে।

এ অবস্থায় সরকার সংস্থাটির কাছে নিহতদের নামধাম চায়। 'অধিকার' বলে, একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠিত হলে পরেই তার কাছে তালিকা দেয়া হবে। সরকার ওই তালিকা পেলে উল্টো সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে লাগবে বলে মনে করে সংস্থাটি।

বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে শাহরিয়ার কবিরসহ যারা সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন, তারা অবশ্য এমনটি করেননি। তারা বরং ব্যগ্র ছিলেন আক্রান্তদের তালিকা প্রকাশে। মূলধারার মিডিয়ায়ও ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছিল হামলা-নির্যাতনের সচিত্র বিবরণ।

এখানে কথা উঠবে, দেশে কর্মরত বিধিবদ্ধ বেসরকারি সংস্থা হিসেবে 'অধিকার' তাদের ভাষায় নিহত ৬১ হেফাজতির নামধামের তালিকা সরকারকে দিতে বাধ্য কিনা। এটি তো একটি নির্বাচিত তথা সংবিধানসম্মত সরকার, নাকি? মানবাধিকার সংস্থাটি এক্ষেত্রে স্বাভাবিক আচরণ করেছে বলে মনে হয় না।

সরকারও কি তাই কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করল এর প্রতিনিধি আদিলুর রহমানকে গ্রেফতার করতে গিয়ে? সরকারের অবশ্য এটা করা সাজে না। তারা কোনো বিষয়ে অতিউৎসাহ দেখালে সেটি নিয়ে প্রশ্ন তো উঠবেই।

প্রায় সব প্রভাবশালী সংবাদপত্র এ ঘটনার ওপর সম্পাদকীয় লিখে সরকারের আচরণের কমবেশি নিন্দা জানিয়েছে। 'অধিকার' ও আদিল সাহেবদের কর্মকাণ্ডেরও প্রশংসা করা হয়নি। দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর রিপোর্ট দিতে গিয়ে তারা বিরোধী দলের মতো আচরণ করছেন কিনা, সে প্রশ্ন কিন্তু উঠেছে জোরেশোরে।

বিরোধী দল ও তার সহযাত্রীরা অবশ্য ওই অভিযানে 'হাজার হাজার' মানুষ মারা গেছে বলে বক্তব্য দিয়েছিল। গায়েবানা জানাজাও করেন তারা। এসব দেখে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্তই হয়েছে। বিদেশেও বাংলাদেশ বিষয়ে আগ্রহী মহলে উঠেছে প্রশ্ন।

হেফাজতে ইসলামের যে জমায়েত ঘিরে ঘটনা এত দূর গড়ালো, সেটি কিন্তু ওইদিন রাজধানীর মতিঝিলে হওয়ার কথা ছিল না। অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে আকস্মিকভাবে সরকার তাদের অনুমতি দেয়। নির্ধারিত সময় গড়িয়ে যাওয়ার পরও তারা ওঠেনি দেশের প্রধান ওই বাণিজ্যিক এলাকা থেকে।

নগরীর বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক গোলযোগও চলতে থাকে তখন। পুলিশসহ বেশ কজন মারা যায়। সরকার এগুলো কিন্তু অস্বীকার করেনি। সমস্যা হলো, গভীর রাতে হেফাজতের ওই জমায়েত ভেঙে দেয়ার পর কোনো প্রেসনোট বা বিবৃতি দেয়নি সরকার। সংবাদ সম্মেলন ডেকে পুলিশের পক্ষ থেকে লম্বা ব্যাখ্যা সংবলিত বক্তব্য দেয়া হয়েছে পরে, দেশজুড়ে এ নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর।

রাস্তার বাতি নিভিয়ে, সমর্থক একাধিক টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়ে, নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মুসল্লিদের মারা হয়েছে; লাশ গুম করা হয়েছে; 'ছাত্রলীগ ক্যাডাররা' পুলিশের পোশাক পরে ওখানে নেমেছিল ইত্যাদি গুজবের জবাব দিতে সরকার এতটা সময় নিল কেন, তারও কোনো সদুত্তর নেই।

সরকার কি জানত না, দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ এ ধরনের গুজবে কান দেবে? এখন প্রশ্ন হলো, আদিলুর রহমান খান ও সংস্থা হিসেবে 'অধিকার' কি এসব ছড়িয়েছে? সরকারবিরোধীদের মধ্যে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠা একটি সংবাদপত্রের মালিক-সম্পাদকের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে সরকারের; এবং তিনি অনেকদিন ধরেই আছেন কারাগারে।

বিগত বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে তিনিও ছিলেন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার একজন উপদেষ্টা। বিএনপির সঙ্গে এখন নাকি তার আনুষ্ঠানিক কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু পত্রিকাটি যেভাবে পরিচালনা করছেন, তাতে যে কেউ বলবে, শুধু বিএনপি নয়, জামায়াতের সঙ্গেও তার আত্মিক বন্ধন হয়ে উঠেছে আরও জোরালো।

তিনি সরাসরি অপসাংবাদিকতা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে সরকারের। সাংবাদিক সমাজের অনেকেও সেটি মনে করেন। তাই সরকার তার সঙ্গে যেমন আচরণই করুক, সাংবাদিক সমাজের অখণ্ড সমর্থন বা সহানুভূতি তিনি পাচ্ছেন না।

আদিলুর রহমান খানের ক্ষেত্রেও এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে হলো অনলাইনে একটি বহুল প্রচারিত দৈনিকের পাঠক প্রতিক্রিয়া দেখে। পত্রিকাটি এর সম্পাদকীয়তে আদিল সাহেবকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তারা পাল্টা কিছু প্রশ্ন তুলেছেন তীর্যক ভাষায়। আসামিকে রিমান্ডে নেয়ার বিরুদ্ধেও নন দেখছি তারা।

এরা মনে করেন, আদিলুর রহমান ও ওই সংবাদপত্রের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান তথ্য বিকৃতিসহ গুজব ছড়িয়ে দেশে নেতিবাচক রাজনীতি ও সহিংসতা বাড়িয়ে তুলেছেন। তারা যে সবাই সরকার সমর্থক, তা কিন্তু নয়। তবে এরা মনে করেন, মিথ্যা বা অতিরঞ্জিত প্রচারণা চালিয়ে মহলবিশেষ বিপাকে ফেলেছে সরকারকে; বিশেষত তাদের প্রাণের দাবি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বানচালের চক্রান্ত করছেন অভিযুক্তরা।

এমন একটা জনমতের কথা জানা আছে বলেও কি সরকার উৎসাহী হয়ে উঠেছে মাহমুদুর রহমানের পর আদিলুর রহমানকেও গ্রেফতারে এবং এ ক্ষেত্রে নিয়মনীতির খুব একটা পরোয়া করেনি? হঠাৎ করে বিলবোর্ডে সরকারের সাফল্য প্রচারে উদ্যোগী হয়ে যা করেছেন, তার সমালোচনা হওয়ার পর ক্ষমতাসীনরা দ্রুতই সরে এসেছেন সেখান থেকে। কিন্তু মনে হয় না, আদিলুর রহমান বিষয়ে তারা সহসা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।

৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হলেও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের সুনির্দিষ্ট ধারা লংঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণ করা গেলে এ ক্ষেত্রে তাকে দীর্ঘ কারাদণ্ড দেয়াও নাকি সম্ভব। কিন্তু সরকারের দিক থেকে সমস্যা হলো, এসব তাকে করতে হচ্ছে মেয়াদের একেবারে শেষ দিকে এসে।

এর মধ্যে নানা সমালোচনা জমা হয়েছে সরকারের জন্য, জনপ্রিয়তা আগের অবস্থায় নেই স্পষ্টতই। সরকার নিজেও অনুভব করছে যে, পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাচ্ছে না।
মানবাধিকার কর্মী শাহরিয়ার কবিরের বিরুদ্ধে তৎকালীন সরকার আরও বেশি 'অন্যায়' করেছিল। শেষে আদালতের মাধ্যমেই ছাড়া পান; আন্তর্জাতিক পুরস্কারও লাভ করেন তার ভূমিকার জন্য। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত সরকারকে এজন্য খুব বিপাকে পড়তে হয়েছিল বলে মনে পড়ে না। কারণ পুরো ব্যাপারটি ঘটে তার মেয়াদের শুরুর দিকে।

এখন সরকার কি আদিলুর রহমানের বিরুদ্ধে ঠিক কী কী মামলা দেয়া যায়, তা নিয়ে ভাববে? নাকি সামাল দেবে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে জামায়াতের অব্যাহত প্রতিক্রিয়া? নাকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি জোটের চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতির দিকে দৃষ্টি রাখবে? নাকি প্রস্তুতি নেবে সংলাপের?

দেখেশুনে মনে হয়, বিগড়ে যাওয়া জনমতকে পক্ষে আনতে তারা প্রচারণায়ও জোর দিতে চাইছেন। কিন্তু ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না কোন পথে এগোবেন। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ও শামিল হতে চাইছেন প্রধানত এই কাজে।

একাধিক ঘটনায় পশ্চিমা প্রভাবশালী মহলের সঙ্গেও সরকারের সম্পর্কে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। শেষ সময়ে সেগুলোর এক ধরনের নিষ্পত্তিতেও কি তাকে মনোযোগী হতে হবে না? এরই মধ্যে আদিলুর রহমান খানের গ্রেফতারে তারা যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখালেন, সেটি কিন্তু লক্ষ করার মতো।

পশ্চিমারা অবশ্য জামায়াত ও হেফাজতের মতো গোষ্ঠীকে শক্তিশালী করতে এগিয়ে আসবে না। এদের নিয়ে 'ওভার প্লে' করতে গিয়েও তারা নিজেরা বিপাকে পড়েছেন একাধিক মুসলিম দেশে। বাংলাদেশে এর কোনো রকম পুনরাবৃত্তি হবে বলেও মনে হচ্ছে না।

মেয়াদের শেষ সময়ে সরকার যেন সমঝোতার পথ ধরে চলে, নতুন কোনো 'ফ্রন্ট' না খোলে– এটাই হয়তো দেখতে চাইছেন তারা।

দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কী চাইছে, এখন সেদিকে বোধহয় বেশি করে দৃষ্টি দেয়া দরকার সরকারের। সব কিছু দেখে বড় মুখ করে কিছু চাইতে মনে হয় ভুলেই গেছে তারা। ভালোয় ভালোয় নির্বাচনটা হলে জনগণ কী করবে কে জানে; তবে আপাতত চাইছে সংঘাত আর না বাড়ুক রাজপথে।

আদিল সাহেবকে জামিন দিয়েও সরকার পারে তার বিরুদ্ধে আনা গুরুতর অভিযোগের তদন্ত করতে। জামিন পেলে তিনি মনে হয় না পালিয়ে যাবেন কিংবা প্রভাবিত করতে পারবেন এ জাতীয় অভিযোগের তদন্তকে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলাকালে গণজাগরণ মঞ্চ, হেফাজতে ইসলাম প্রভৃতির ক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ ও আচরণে সরকার কোথায় কোথায় গোলমাল করে ফেলেছিল– দৃষ্টি দেয়া হোক সেদিকেও। কে কী প্রচার করেছেন, তা হলো ঘটনার একটা দিক। দেশের মানুষ যে ব্যাপকভাবে বিভ্রান্ত হয়ে সরকারকে দোষারোপ করছে, সেটিও তো মোকাবেলা করতে হবে।

মেয়াদের শেষ সময় এসে উপস্থিত হয়েছে তো কী হয়েছে, দেশের একটি বড় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগ ও তার সহযাত্রীরা কিছুটা আত্মসমালোচনা করুক এখন। এটি তার রাজনীতির জন্য ভালো হবে।

হাসান মামুন : সাংবাদিক