কোটা-বিরোধিতায় ধর্মীয় ও বাজার-মৌলবাদের অসম ঐক্য

এবিএম নাসির
Published : 14 July 2013, 09:57 AM
Updated : 14 July 2013, 09:57 AM

যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমবিদ্বেষী, অভিবাসী-বিরোধী, ব্যবসায়-বান্ধব ও বাজার-মৌলবাদের সমর্থক, উগ্র দক্ষিণপন্থীরা কোটাব্যবস্থার ঘোর বিরোধী। তাদের মতে, কোটা বৈষম্যের সৃষ্টি করে। অবাধ ও মুক্ত প্রতিযোগিতার প্রতিবন্ধক হয়ে মেধার পূর্ণ বিকাশের পথে বাধা দেয়। তারা মুখে বলছে অবাধ ও মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সকল অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যার সমাধানের কথা। প্রচার করছে freedom of choice এর মাহাত্ম্য।

কিন্তু বাস্তবে করছে নারীঅধিকার কর্তন। ভোটাধিকার আইন সংশোধনের মাধ্যমে সংখ্যালঘু ভোটারদের ভোটদান করেছে কঠোরতর। সরকারি শিক্ষাখাত সংকোচনের মাধ্যমে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর শিক্ষার সুযোগ সীমিত করে দিয়েছে। Freedom of choice এর মাহাত্ম্য প্রচার করে সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে মাশরুমের মতো গড়ে তুলছে ধর্মীয় স্কুল। সরকারি হস্তক্ষেপ ব্যবসায়-বাণিজ্যের প্রসারের জন্য প্রতিকুল, এ যুক্তি দেখিয়ে আয়কর মওকুফ ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ শিথিলতার মাধ্যমে ধনীদের সম্পদ বর্ধনের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য বেড়েছে বহুগুণ। তাতে দারিদ্রসীমার নিচে থাকা মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে।

বাংলাদেশেও সরকারি কোটা-প্রথা বিলুপ্তির দাবি জানিয়ে ধর্মীয় ও বাজার-মৌলবাদীদের এক উদ্ভট জোট সৃষ্টি হয়েছে। কোটার বণ্টন নিয়ে যে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি তা নিয়ে আন্দোলন হওয়াটা স্বাভাবিক। কোটা-পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। বিশেষ করে যে পদ্ধতি পিএসসি এবার একেবারে প্রাথমিক পর্যায়েই আরোপ করল তা অন্যায্য। অনেকটা চুক্তিভঙ্গের মতো। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের এখানে 'রাজনৈতিক পণ' হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধার কোটা অ-মুক্তিযোদ্ধারা পাচ্ছে। দলীয়করণ করা হয়েছে কোটা-বণ্টন প্রক্রিয়া। এতে নেই কোনো স্বচ্ছতা। গোটা আমলাতন্ত্র্ই দলীয়করণের নাগপাশে আবদ্ধ। যা বর্তমানে সরকারের সময় হচ্ছে, অতীতে হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে।

কোটা নিয়ে বর্তমান আন্দোলনে ধর্মীয় মৌলবাদীদের উদ্দেশ্য

এ পরিস্থিতিতে কোটাবিরোধীরা যে ঢালাওভাবে মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও নারীদের জন্য কোটা বাতিলের দাবি জানাচ্ছে, তাও করা হচ্ছে অসৎ উদ্দেশ্যে। আন্দোলনকারীরা কোটা-বণ্টনে যে অব্যবস্থাপনা, অস্বচ্ছতা, দুর্নীতি ও রাজনীতিকরণ করা হয়েছে তা নিয়ে কিছু বলছে না। বরং আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য চালাচ্ছে। আন্দোলনে শ্লোগান দেওয়া হচ্ছে 'মুক্তিযোদ্ধা কোটা মানি না মানব না'। তাতে মনে হচ্ছে তাদের যত রাগ ওই মুক্তিযোদ্ধা কোটার উপর! আমলাতন্ত্রের এত সমস্যা থাকতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে হঠাৎ করেই এত লম্ফঝম্প শুরু হল কেন?

আন্দোলনের শ্লোগান, জামায়াতপন্থী পত্রিকায় এ নিয়ে অতুৎসাহী রিপোর্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলার শিক্ষার্থীদের তৈরি মঙ্গল শোভাযাত্রার শোলার পাখি ও টেপা পুতুলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া সুস্পষ্টভাবে নির্দেশ করে যে, আন্দোলনে মৌলবাদী সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা রযেছে। বিশেষ করে মঙ্গল শোভাযাত্রার শোলার পাখি ও টেপা পুতুলে আগুন দেওয়া তো হেফাজতিদের ১৩ দফার ৭ নম্বর দাবি বাস্তবায়নের চেষ্টার প্রতিফলন বলেই মনে হচ্ছে! তাতে বোঝা যাচ্ছে আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ভাঙচুর ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে রক্তপাত ঘটিয়ে পাঁচটি নির্বাচনে ধরাশায়ী রক্তাক্ত জনসমর্থনহীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারকে লাথি দিয়ে দ্রুত ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া।

কোটার মতো ভর্তুকি এবং তদবিরও তো মুক্ত প্রতিযোগিতায় প্রতিবন্ধিকতার সৃষ্টি করে। বাংলাদেশে কি এমন কেউ আছেন যিনি এ তিনটি অ-প্রতিযোগিতামূলক সুবিধার একটিও ভোগ করেননি? চাকরিতে মেধাভিত্তিক ও প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগের সবচেয়ে বড় সমর্থক হচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। অথচ বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ-এর সর্বোচ্চ পদসহ বিভিন্ন পদের নিয়োগও কিন্তু কোটার মাধ্যমে হয়। যেমন, বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান পদটি একজন আমেরিকান ও আইএমএফ-এর সর্বোচ্চ পদটি একজন ইউরোপিয়ানের জন্য নির্ধারিত। নিয়োগে নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়। আফ্রিকানরা অন্যান্য মহাদেশের প্রার্থীদের চেয়ে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন।

কোটা নিয়ে বাজার-মৌলবাদীরা (Market Fundamentalists) যা বলছেন

কোটার বিরোধিতাকারীদের মধ্যে একটি অংশ– যারা সরাসরি জামায়াত-শিবির-বিএনপি এবং বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন– তারা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপন্থী বাজার মৌলবাদীদের ম্যানুয়াল থেকে বুলি কপচাচ্ছেন। বলছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার মাধ্যমে মেধার কদর করা হচ্ছে না, বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে, যোগ্যতার বিচার হচ্ছে না, আমলাতন্ত্রকে মেধাশূন্য করা হচ্ছে। অথচ এদের ব্যাকগ্রাউন্ড খতিয়ে দেখলে জানা যাবে যে অতীতে তারাও বিভিন্ন সুযোগের (যেমন কোটা, তদবির, ভতুর্কি) সুবিধাভোগী।

এনারা এখন লায়েক হয়েছেন! শরৎচন্দ্রের নতুন বাবুর মতো আচরণ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের উগ্র দক্ষিণপন্থীদের পোশাক গায়ে পরে পশ্চিমা বাবু সাজার চেষ্টা করছেন। বলছেন তাদের সমস্ত অর্জন হয়েছে নিজেদের যোগ্যতা বলেই! এ নালায়েকরা অবাধ মুক্ত প্রতিযোগিতামূলক বাজারের তত্ত্বকে ভাবেন বেদবাক্য। প্রকৃতপক্ষে এনারা কোটার বিরোধিতা করছেন এনাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান টিকিয়ে রাখার জন্যই। বলতে চাচ্ছেন "competition is good for you, not for me", চাপিয়ে দিতে চাইছেন 'উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে'।

অথচ তারা ভালোভাবেই বোঝেন যে, সামান্য সুযোগ পেলে বাংলাদেশের মতো বৈষম্যযুক্ত একটি দেশের নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের হাজার হাজার ছেলেমেয়ে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক অচলায়তন ভেঙে বেরিয়ে আসতে পারবে। কোটাবিরোধীদের এ অংশ চাচ্ছে, সুযোগহীন এ ছেলেমেয়েরা যাতে সুযোগ না পায়। কারণ তাতে তাদের সাজানো কাঁচের ঘর ভেঙ্গে পড়ার সমূহ আশঙ্কা!

একজন প্রাক্তন সচিবের (বর্তমানে সুশীল পুরোহিত) কথাই ধরা যাক। একটি প্রত্রিকায় তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে, বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় কোটা-পদ্ধতি বেআইনি ও অসাংবিধানিক। তথাস্তু। কিন্তু এ সাবেক আমলাও বিশ্ব ব্যাংকের কোটার সুবিধাভোগী! এ সুবিধার মাধ্যমে তিনি লিয়েনে বিশ্ব ব্যাংকের একটি পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন যার জন্য তাকে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিতে হয়েছিল। পদটির কোনো প্রশাসনিক ক্ষমতা না থাকলেও আছে আকর্ষণীয় সম্মানি যা সুবিধাসহ করমুক্ত প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার ডলারের সমান। 'ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সর্দারের' মতো এ পদ সৃষ্টি করা হয়েছে মূলত অনুন্নত দেশের আমলাদের বিশ্ব ব্যাংকের দালালির সম্মানি হিসেবে।

আরেকজন প্রাক্তন সমাজতন্ত্রী, কোটাভিত্তিক কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে বিলাতে ডিগ্রি নিয়েছেন। বর্তমানে পুজিঁবাদী ভাবধারার একটি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত। কোটা নিয়ে কয়েকটি ফোরামে তিনি বিরূপ মন্তব্য করছিলেন। তার কোটা ও তদবিরের সুবিধাভোগের কথা মনে করিয়ে দিতেই লেজ গুটিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত হলেন। কমনওয়েলথ স্কলারশিপও তো একটি কোটাভিত্তিক সুবিধা যা বাংলাদেশের মেধাবী তরুণদের ব্রিটেনের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দেয়।

• কোটার বিরোধিতাকারীরা কি কমনওয়েলথ স্কলারশিপের মতো সুযোগ বন্ধ করে দেওয়ার আন্দোলনে সমর্থন দিবেন? কারণ ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়ে কমনওয়েলথ স্কলারশিপপ্রা্প্ত প্রত্যেক বিদেশি ছাত্রের জন্য একজন ব্রিটিশ ছাত্র ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন যা ব্রিটিশ ছাত্রদের জন্য বৈষম্যমূলক!

• যারা প্রতিবন্ধীদের কোটার বিরোধিতা করছেন তারা কি বলতে চাচ্ছেন যে শারীরিকভাবে অক্ষম একজন ব্যক্তি হুইলচেয়ার ছেড়ে ১০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে তার যোগ্যতা প্রমাণ করুন!

• তারা কি বলতে চাচ্ছেন যে গার্মেন্টস-কোটা, যা বাংলাদেশকে হাজার হাজার ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও সাড়ে তিন মিলিয়ন মানুষের সরাসরি কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে তা গ্রহণ করা ঠিক হয়নি? কারণ গার্মেন্টস-কোটা বাংলাদেশের জন্য বেনেফিসিয়াল হলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের পোশাক ক্রেতাদের জন্য ক্ষতিকারক। কোটার ফলে এ দুই অঞ্চলের ক্রেতাদের মুক্তবাজার দামের চেয়ে বেশি দামে পোশাক কিনতে হত।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, প্রতিবন্ধী, ক্ষৃদ্র নৃগোষ্ঠী কি মেধাহীন

কেউ কেউ কোটাকে আমলাতন্ত্রের মেধাশূন্যতার জন্য দায়ী করছেন। এটি একটি খোঁড়া যুক্তি। এ যুক্তি দিয়ে তারা বোঝাতে চাচ্ছেন যে কোটার মাধ্যমে যারা সরকারি চাকরি পেয়েছেন তারা মেধাহীন। তার মানে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, প্রতিবন্ধী, নারী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী যারা কোটার মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে ঢুকছেন তারা মেধাশূন্য! এ ধৃষ্টতা তারা পেলেন কোথায়? তাছাড়া সরকারি চাকরিজীবীরা যে মেধাশূন্য এ ধারণাও তারা কোত্থেকে পেলেন! বরং যারা এ ধরনের মন্তব্য করছেন এদের মধ্যে আমার পরিচিত কয়েকজন বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারির গণ্ডিও পেরুতে পারেননি!

তাদের বর্তমান অবস্থা দেখে অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের একটি উক্তির কথা মনে পড়ল, "আধুনিক প্রচার মাধ্যম অসংখ্য শুয়োরবৎসকে মহামানব রূপে প্রতিষ্ঠিত করেছে।"

মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের জন্য কোটা রাখার যৌক্তিকতা

প্রশ্ন হচ্ছে– মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তান-সন্ততিদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা রাখার যৌক্তিকতা কোথায়? যৌক্তিকতা হচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্বমানচিত্রে স্থান পেয়েছে। স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব থেকে যে সুবিধাগুলো পাচ্ছে তা মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের জন্যই হয়েছে। জাতীয় আইডেনটিটি (সবুজ পাসপোর্ট) নিয়ে বাংলাদেশিরা বিদেশে যেতে পারছেন কর্মসংস্থানের জন্য। পাঠাচ্ছেন হাজার হাজার কোটি ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা। কমনওয়েলথ স্কলারশিপসহ অন্যান্য সুবিধা নিয়ে উন্নত দেশগুলোতে উচ্চশিক্ষা নিতে পারছেন। দেশ স্বাধীন না হলে এসব স্কলারশিপের সুযোগ পশ্চিম পাকিস্তানিদের করতলগতই থেকে যেত।

কিন্তু স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও মুক্তিযোদ্ধারা ও তাদের পরিবার জাতির কাছ থেকে কী পেয়েছেন? ধিক্কার, গঞ্জনা আর অপমান ছাড়া আর কী-ই-বা এ জাতি তাদের দিতে পেরেছে! মাত্র কিছুদিন আগে পর্যন্ত বহু মুক্তিযোদ্ধা চাকরিতে নিজেদের আইডেনটিটি লুকিয়ে রাখতেন বিভিন্ন ধরনের হয়রানির ভয়ে। বরং ১৯৭১ সালে যারা পাকিস্তানের পক্ষে দালালি করেছিল, বাঙালিনিধনে লিপ্ত ছিল– তাদের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীর পদ দিয়ে পুরষ্কৃত করা হয়েছে।

আর জমির চাচার মতো যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা সহায়-সম্পদ হারিয়ে অভিমান নিয়ে দুনিয়া ছেড়েছেন। বেড়া-সাঁথিয়ার মুক্তিযোদ্ধা করিম মিয়া ৬৫ বছর বয়সেও জীবিকার জন্য রিকশা চালাচ্ছেন। করিম মিয়া যখন ভাবেন আলবদর মতিউর রহমান নিযামী তার বাবার রক্তে রাঙানো পতাকাখচিত গাড়ি হাঁকিয়ে রাজপথে চলছেন আর তাকে রিকশা চালিয়ে জীবিকানির্বাহ করতে হচ্ছে– বিধাতার কাছে তিনি ফরিয়াদ জানান পিতৃহত্যাকারীর শাস্তির জন্য। এছাড়া করিম মিয়ার আর কী করার আছে?

ধিক্কার দিচ্ছি মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী কোটাবিরোধী সামাজিক বর্ণচোরা সুবিধাভোগীদের।

এবিএম নাসির : যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।