সিটি নির্বাচনের ফলাফল : এখন সময় আত্মশুদ্ধির

আবদুল মান্নান
Published : 18 June 2013, 12:34 PM
Updated : 18 June 2013, 12:34 PM

সদ্যসমাপ্ত চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সব মহলে আলোচনা, সমালোচনা, বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। তার স্বাভাবিক কারণ এ চারটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের শোচনীয় পরাজয়। এ চার প্রার্থীই আবার নিজ নিজ সিটি কর্পোরেশনে আগেরবারের নির্বাচিত মেয়র ছিলেন। ক্ষমতাসীন দল যে শুধু মেয়র পদগুলো হারিয়েছেন তাই নয়, অধিকাংশ কাউন্সিলর পদও তাদের হাতছাড়া হয়েছে।

নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত খুব কম মানুষই ধারণা করেছেন ফলাফল ক্ষমতাসীন দলের জন্য এত বিপর্যয়কর হবে। যারা বিশ্লেষণ করছেন তারা সকলে নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে তা করছেন। তাদের বিশ্লেষণে বেশ কিছু জায়গায় মিল আছে। এ বিজয়ে বিরোধী দল স্বাভাবিক কারণেই আনন্দিত এবং তারা সামনে অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচন নিয়েও হিসেব-নিকেশ শুরু করেছেন।

ওদিকে কেউ কেউ ক্ষমতাসীন দলের এ বিপর্যয় অনিবার্য বলে মনে করছেন। আবার কারও কারও মতে, আওয়ামী লীগ সঠিকভাবে নির্বাচনটি পরিচালনা করলে হয়তো অন্তত দু'একটি আসনে জিততেও পারত। এগুলি সবই হয়তো হত। এ পরাজয়ে যেমন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, কর্মী-সমর্থকরা মারাত্মকভাবে হতাশ এবং আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত- ঠিক একইভাবে অন্য শিবিরে অর্থাৎ বিএনপি তথা ১৮ দল, হেফাজতে ইসলামসহ বেশ কিছু মিডিয়া এবং টকশো পণ্ডিত মহাউল্রসিত।

এদর মধ্যে আছেন একদা আওয়ামী লীগ নেতা, বর্তমানে যে কোনো কারণেই হোক দল হতে বিচ্ছিন্ন অথবা নিস্ক্রিয়- তারা সকলে সমানভাবে খুশি। ভাবখানা এমন যে, এ পরাজয় আওয়ামী লীগের প্রাপ্য ছিল এবং তা হওয়াতে এখন আওয়ামী লীগ বুঝবে দলে 'আমাদের' গুরুত্ব কতখানি। তাদের এ ধরনের চিন্তাচেতনায় হয়তো যুক্তি আছে কিন্তু তাদের এও মানতে হবে যে, এমনটা চলতে থাকলে আগামীতে বাংলাদেশ আফগানিস্তান হয়ে যেতে পারে; তখন তারাও তো ছাড় পাবেন না।

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপর্যয়ের পর এ যাবত হারার পিছনের কারণ নিয়ে যত ধরনের মতামত প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগই করেছে দলের বাইরের মানুষ, যাদের মধ্যে যেমন আছে আওয়ামী লীগের সমর্থক তেমন আছে আওয়ামী লীগের ঘোরতর বিরোধীপক্ষ যারা পারলে আওয়ামী লীগকে আজই ক্ষমতাচ্যুত করেন এবং এমন ব্যবস্থা নেন যেন দলটি আর কখনও ক্ষমতায় ফিরতে না পারে।

কোনো কোনো টিভি টকশোতে দু'একজন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যকে দেখা যায় যাদের কথা শুনলে মনে হয় তারা অন্য জগতে বাস করেন, কোনো মন্তবের বিপক্ষে পাল্টা যুক্তি দাঁড় করাতে পারেন না, কোনোরকমে একটা কথা উচ্চারণ করলে মনে হবে তার বেশ কষ্ট হচ্ছে। এর ফলে দলের ভালোর চেয়ে খারাপটা বেশি হয় এবং তাতে কখনও কখনও সঞ্চালক ও প্রতিপক্ষ উভয়ই বেশ উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন। তখন মনে হয় ওই সংসদ সদস্যকে বেওকুফ বানানোর জন্যই অনুষ্ঠানে আনা হয়েছে। এখন সময় এসেছে কারা কারা এসব অনুষ্ঠানে কথা বলবেন সে সম্পর্কে দল কর্তৃক একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা।

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন যদিও একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন, এবার তাতে অনেকটা জাতীয় নির্বাচনের আমেজ ছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর হতে বিরোধী দল ঘোষণা করেছিল তারা এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না। কারণ তাদের ধারণা বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই নিরপেক্ষ হবে না।

এ ঘোষণা সত্ত্বেও তারা প্রথমদিকে একাধিক উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়েছে। পরবর্তীকালে অনেকগুলি স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও পরোক্ষভাবে অংশ নিয়েছে। এর বেশিরভাগেই জয়লাভ করেছে ওরা যার মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উল্লখযোগ্য। সে নির্বাচনে যাকে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে আগে নির্বাচিত একজন সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার।

ওদিকে নাগরিক কমিটির ব্যানারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রায় এক লাখ ভোটে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের একজন হাইপ্রোফাইল নেতা, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং একসময়ের জননন্দিত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। নির্বাচনটি আগের নির্বাচন কমিশন আয়োজন করেছিল এবং তা বেশ সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছিল।

যদিও বিএনপি বলেছিল নির্বাচনে তাদের কোনো প্রার্থী নেই, তথাপি তাদের অনেক বাঘা বাঘা নেতা যেমন আবদুল্লাহ আল নোমান, সাকাচৌ আর আমির খসরু মোহাম্মদ চৌধুরী ফলাফল ঘোষণা শেষ না হওয়া পর্যন্ত রিটার্নিং অফিসারকে পাহারা দিয়ে বসে ছিলেন। মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরাজয়ের পিছনে তার নিজের সৃষ্ট অনেক কারণ ছাড়াও কাজ করেছিল দলের অভ্যন্তরে বিরাজমান তীব্র কোন্দল যা সদ্যসমাপ্ত চারটি সিটি কর্পোরেশনেও প্রকটভাবে দেখা গেছে।

অনেকে বলতে চাইবেন যে, যে চার সিটিতে নির্বাচন হয়েছে সে চারটিতেই বিএনপি বেশ শক্তিশালী। স্বাভাবিক সময়ে গতবারের নির্বাচন হলে এ সকল সিটিতে হয়তো বিএনপিই জিতত। না জেতার কারণ হচ্ছে সে সময় সে নির্বাচনে এ চার সিটিতে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থী দেয়নি এবং নির্বাচনগুলি হয়েছিল জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কিছু পর।

তাদের বক্তব্য হয়তো ঠিক। কিন্তু কথা হচ্ছে যে, চার বছরে সব সিটি কর্পোরশনে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, তারপরও কেন মানুষ আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের ভোট দেয়নি? চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তিন বছর পূর্তি হল ১৮ জুন। এ তিন বছরে চট্টগ্রাম মহানগরের সার্বিক অবস্থা আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় শোচনীয় হয়েছে।

কিন্তু তার অর্থ এ নয় যে এ মুহূর্তে এ শহরে নির্বাচন দিলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হবে। না হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হবে দলের সেই পুরানো অভ্যন্তরীন ঐতিহাসিক দলবিধ্বংসী কোন্দল। বিএনপির অভ্যন্তরীন কোন্দল আওয়ামী লীগের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়, কিন্তু প্রয়োজনে সব কোন্দল ভুলে গিয়ে বিএনপির সকল বিবদমান দল-উপদল এক হয়ে যেতে পারে যা তারা সদ্যসমাপ্ত চারটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেখাতে সক্ষম হয়েছে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে স্থানীয় সমস্যা বেশি গুরুত্ব পাওয়ার কথা। এবার তার ব্যতিক্রম ছিল। এবার জাতীয় অনেক ইস্যু বিএনপি সামনে নিয়ে এসে তাকে সফলভাবে ব্যবহার করেছে। তারা জামায়াত-হেফাজতের সঙ্গে মিলে ধর্মীয় অনুভূতি অনেক সফলভাবে কাজে লাগিয়েছে। শাপলা চত্বরের ঘটনায় মিথ্যার প্রলেপ দিয়ে ভোটারদের সামনে হাজির করতে পেরেছে। পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ (এখনও তা প্রমাণিত নয়), রেলওয়ের কালো বিড়াল দুর্নীতিতত্ব, হল-মার্ক আর শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি তারা বেশ চাতুর্যের সঙ্গে পুঁজি করতে পেরেছে।

কিন্তু সাংগঠনিক দুর্বলতা, চরম অদক্ষতা আর দলীয় অনৈক্যের কারণে আওয়ামী লীগ তা মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রার্থী ছিল বিএনপির কিন্তু কাজ করেছে ১৮ দলীয় জোট আর হেফাজত। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে ১৪ দলীয় জোট দূরে থাক, খোদ আওয়ামী লীগই সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে নিজ দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেনি। তাই যদি হয় তাহলে তো কোনো নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের পক্ষে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। কোনো কোনো সিটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে দু'একজন কেন্দ্রীয় নেতা প্রচার চালিয়েছেন বটে, কিন্তু তা যত না প্রচার তার চেয়েও বেশি ছিল স্রেফ লোকদেখানো বা ফটোসেশন!

একই ঘটনা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও দেখা গিয়েছিল। যে সব কারণে চারটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপর্যয় ঘটল একই কারণ আগামী ৬ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য গাজীপুর সিটি কর্পোরশেন নির্বাচনেও বেশ ভালোভাবে বহাল রয়েছে এবং তা শেষ পর্যন্ত থাকবে বলে মনে হচ্ছে।

সামনে ঢাকার যে দুটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে সেখানেও কি কোনো ব্যতিক্রম হবে? এ মুহূর্তে তা তো মনে হচ্ছে না।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সাম্প্রতিককালের এ সব নির্বাচনে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগে প্রার্থীদের এতসব বিপর্যয় বিবেচনায় নিয়ে দলকে সামনের দিকে নিযে যেতে হলে কৌশলগতভাবে তাদের করণীয় কী হতে পারে? এ সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়ার যোগ্যতা অথবা এখতিয়ার কোনোটাই আমার বা আমার মতো অনেকেরই নেই। তারপরও বাইরের এত লোক কেন এ বিষয়গুলি নিয়ে মাথা ঘামান?

তার প্রধান উত্তর হচ্ছে এরা আওয়ামী লীগকে ভালবাসেন। আমার কাছে একজন ছাপোষা সরকারি কর্মচারী এসে সেদিন বেশ করুণভাবে প্রশ্ন করলেন, সামনের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যদি এমন বিপর্যয় হয় তাহলে কি আমাদের দেশ ছাড়তে হবে? তার এ প্রশ্নের কী উত্তর দেই?

তাকে বলি, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর দক্ষিণবঙ্গের কয়েক হাজার মানুষ ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হয়েছিলেন, ধর্ষিত হয়েছিল অনেক সংখ্যালঘুর সন্তান এবং সে সময় তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কোনো রাজনৈতিক নেতানেত্রীকে পাওয়া যায়নি; এবারও তার ব্যতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা কম। সুতরাং আমাদের চেষ্টা হবে তেমন পরিস্থিতির মুখোমুখি যাতে হতে না হয় সে জন্য। এর বাইরে তাকে কোনো অভয় দিতে পারিনি।

প্রশ্ন যদি হয় আওয়ামী লীগের সমস্যা কোথায়, তার একটাই উত্তর, মারাত্মক সাংগঠনিক দুর্বলতা। এসব দুর্বলতা নিয়ে আর কদিন পর দলটি তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করবে। সেখানে এ সব বিষয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা কম। সেখানে যা হবে বলে ধারণা করি তা হল দলীয় প্রধানের অহেতুক স্তুতি গাওয়া।

এখন সময় স্তুতি গাওয়ার নয় বরং আত্মসমালোচনা করার। তা খোলা ময়দানে করতে হবে এমন নয়, তা হতে পারে দলের নিজস্ব ফোরামগুলিতে। যে ব্যক্তি বা সংগঠন নিজের সমালোচনা করতে পারে না, নিজের ভুলত্রুটি শনাক্ত করতে পারে না, তার পক্ষে বেশিদূর যাওয়া সম্ভব নয়।

বর্তমান সরকারের একেবারে প্রথমদিকেই আমার একটি কলামে লিখেছিলাম কিছু চাটুকারই সবকিছু বরবাদ করে দিতে পারে। শেষ সময়ে এসে এখন কি লিখতে হবে- হ্যাঁ, তারা ঠিকই সব বরবাদ করে দিয়েছে।

বঙ্গবন্ধু ক্ষমতা বা পদ-পদবির চেয়েও সংগঠন তথা আওয়ামী লীগকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন। ১৯৫৬ সালে তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দলের সাধারণ সম্পাদক থাকাটাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি তা করেছিলেন দলের সভাপতি মওলানা ভাসানীর নির্দেশে। তাঁরা দূরদর্শী নেতা ছিলেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু দলের সভাপতির দায়িত্ব কামরুজ্জামানকে দিয়েছিলেন। তিনি এটি উপলব্ধি করেছিলেন যে তাঁর পক্ষে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলানো সম্ভব নয়।

এখন তো একেবারে নিম্নস্তর থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত অধিকাংশের লক্ষ্য থাকে পদ। ইদানিং দেখা গেছে যে, থানা পর্যায়ে কেউ একজন একটি সহকারী সম্পাদকের পদ পেলেও চাররঙা পোস্টার ছাপিয়ে সংবর্ধনার আয়োজন করছে। এটি বিএনপির ক্ষেত্রেও সত্য। এ সংবর্ধনাটুকুতে ওই ব্যক্তির উপস্থিতি, তারপর তার আর কোনো হদিস পাওয়া যায় না। পাওয়া যায় যখন ওই 'নেতা' কোনো একটা বেআইনি কাজে জড়িয়ে পড়েন তখন, যেমন থানা থেকে আসামি ছিনতাই ইত্যাদি।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের এ মুহূর্তের প্রধান কাজ হচ্ছে জরুরিভিত্তিতে সংগঠন গোছানো। ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়েছে, এখন সামনের দিকে তাকাতে হবে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এখনও চায় না বাংলাদেশ আরেকটি আফগানিস্তান হোক। তাদের সমর্থন কীভাবে আদায় করতে হবে সে কৌশল নির্ধারণ করার এখনই সময়।

তা করতে ব্যর্থ হলে আগামীতে শুধু আওয়ামী লীগ নয়, অনেকেরই সর্বনাশ হবে।

ড. আবদুল মান্নান : সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।