১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
বর্তমানে কর্মরত আছেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এর মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিম বিভাগে সিনিয়র লেকচারার হিসেবে। এর আগে কাজ করেছেন রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে। শিক্ষকতায় আসার আগে পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন ইংরেজি পত্রিকা ‘দ্য ডেইলি স্টার’, ‘ঢাকা ট্রিবিউন’, ‘ডেইলি সান’ ও টেলিভিশন চ্যানেল ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন’-এ। স্নাতকোত্তর ও স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাকিতা বিভাগ থেকে। এছাড়া পড়াশোনা করেছেন ভারতের চেন্নাইতে অবস্থিত এশিয়ান কলেজ অব জার্নালিজমে। বর্তমানে জনস্বাস্থ্য বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। প্রস্তুতি নিচ্ছেন জনস্বাস্থ্য ও যোগাযোগ বিষয়ে পিএইচডি পর্যায়ে উচ্চতর গবেষণার। তার গবেষণার ক্ষেত্রগুলো হলো কমিউনিকেশন ইন হেলথ কেয়ার, পাবলিক হেলথ কমিউনিকেশন, মেন্টাল হেলথ, সোশ্যাল নিউরোসায়েন্স ও সোশ্যাল নেটওয়ার্ক অ্যানালাইস।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, চিকিৎসা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যসেবাকর্মীদের ওপর জনগণের আস্থা গড়ে তোলা ও বজায় রাখার প্রশ্নে ডাক্তারদের কার্যকর যোগাযোগ দক্ষতা ও সংবাদমাধ্যমকে মোকাবেলার দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সংবাদমাধ্যমগুলোতে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সংবাদ ছাপানো, প্রকাশ, প্রচার ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে ইস্যু বা বিষয়বস্তু নির্বাচন, উপস্থাপন কায়দা এবং গুরুত্বারোপ কৌশল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে জনগণের আস্থা কমিয়ে দিতে জোরালো ভূমিকা রাখে।
জনগণ যদি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর আস্থা না রাখতে পারে তাহলে তারা বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধাকে কাজে লাগানো থেকে বঞ্চিত হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবায় বৈষম্যের মাত্রাও বাড়বে।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ঘরের ডিজাইন করার সময় দেয়ালে রঙের ব্যবহার, ফিনিশিং উপকরণ ও আসবাবপত্রের মতো উপকরণগুলো আরোগ্যকারী আবহ তৈরি করে।
হাসপাতালগুলোর উচিত এমন কর্মকর্তা নিয়োগ করা যার কাজ হবে রোগীর কথা শোনা। হাসাপাতাল ও সেবা সম্পর্কে রোগীর মতামত ও অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করা।
ডাক্তার ও অন্যান্য চিকিৎসাসেবাকর্মীদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ করে দেওয়া এখন সময়ের দাবি। নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী পাঠদানের লক্ষ্যে মেডিকেল কলেজগুলোতে নিয়োগ করতে ক্লিনিক্যাল যোগাযোগবিদ্যার শিক্ষকদের।