১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
ছড়াকার, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে প্রফেশনাল ইংরেজি পরীক্ষার পরীক্ষক হিসেবে কাজ করেন। প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে, ‘ছড়ায় গড়ায় ইতিহাস’, ‘শুধু ছড়া পঞ্চাশ’, ‘কৃষ্ণ সংস্কৃতির উত্থান পর্বে’, ‘তৃতীয় বাংলার চোখে’, ‘দূরের দুরবিনে স্বদেশ’ উল্লেখযোগ্য। ‘The Victorious Nation’ তার গবেষণাগ্রন্থ।
কে কার জন্য কি করলো তার মুখের দিকে তাকিয়ে চলে না ইতিহাস। নিজস্ব গতিতে চলা সময়ে চট্টগ্রামের শেষ বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী চিরকাল তাঁর জায়গায় থাকবেন । তাঁর অবদান লেখা থাকবে ইতিহাসের পাতায় পাতায়।
একটি শিক্ষিত সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসে এবং শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ গড়ে ওঠে। শিক্ষাই সমাজের নৈতিক ভিত্তিকে শক্তিশালী করে তোলে, যা একটি সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তোলার জন্য অপরিহার্য। আমরা তেমনভাবে গড়ে ওঠা একটি শিক্ষিত জাতির আশায় আছি, আশায় থাকব।
আমাদের দেশের দু-একজন প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যাবার ভাগ্য হয়েছিল। চামচা-স্তাবক আর ভক্ত নেতাদের ভিড়ে কাছে যাবার উপায় থাকে না। মঞ্চজুড়ে থাকে বক্তৃতা দেওয়ার অসংখ্য লোকজন।
এভাবে চললে অতি অল্প সময়ের ভেতর জাতি অনুভূতিশূন্য হতে বাধ্য। কারণ তখন তার সব অনুভূতি এক জায়গায় জড়ো হয়ে তাকে এমন উগ্র করে তুলবে যে তাকে দেখলেই অন্যরা সরে দাঁড়াবে। ভয়ে পালাবে।
যে দিকে চোখ রাখবেন খালি ভাঙ্গা আর ভাঙ্গা । পথ ভাঙ্গছে রাজনীতি ভাঙ্গছে সমাজ ভাঙ্গছে। এমন কি যে ঐক্য গড়ে স্বৈরাচার হটানো হলো, তাও নাকি ভাঙ্গতে শুরু করেছে।
আমাদের বুঝতে হবে স্বাধীনতা ও কথা বলার অধিকার অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। একটি না থাকলে আরেকটি মৃত।