রোহিঙ্গা সমস্যা ও বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্ক

আকমল হোসেন
Published : 28 May 2013, 08:13 PM
Updated : 28 May 2013, 08:13 PM

বাংলাদেশের অভিন্ন সীমান্তের প্রতিবেশি মিয়ানমারের সঙ্গে একমাত্র রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ছাড়া আর কোনো বিরোধ নেই। ইতোমধ্যে বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রসীমানা নিয়ে বিরোধটি দু পক্ষের সংশ্লিষ্টদের মধ্য দিয়েই মীমাংসা হয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য করা হচ্ছে।

এর আগে ১৯৭৮ সালে দু লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে শরণার্থী হিসাবে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল। সে সময় 'অপারেশন ড্রাগন' নামে পরিচালিত এক অভিযানের ফলে এরা বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের মধ্যে সফল কূটনৈতিক আলোচনার ফলে শরণার্থীরা সে সময় দেশে ফিরে গিয়েছিল।

কিন্তু ১৯৯২ সালে আবারও সমস্যাটি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তখন আড়াই লাখের মতো রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আবারও কূটনৈতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হয়। এর মাধ্যমে অধিকাংশ ফিরে গেলেও এখনও প্রায় পঁচিশ থেকে ত্রিশ হাজার রোহিঙ্গা তাদের জন্য স্থাপিত শিবিরে অবস্থান করছে।

পৃথিবীর অন্য অঞ্চলের শরণার্থীদের মতো বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের শিবিরে আশ্রয় দেওয়া থেকে শুরু করে খাদ্য, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করার কাজটি করছে জাতিসংঘ উদ্বাস্তু কমিশন বা ইউএনএইচসিআর। উদ্বাস্তু আগমনের সঙ্গে সঙ্গে তাদের তালিকাভুক্ত করে শিবিরে আশ্রয় দেওয়া থেকে প্রত্যাবাসন পর্যন্ত জাতিসংঘের দায়িত্ব। কিন্তু মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফেরত নেবে কিনা সেটা দেখা তাদের কাজ নয়। এটা নির্ভর করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার সাফল্যের ওপর।

রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যেতে না চাইলে তাদের ওপর তাই কোনো 'জোরজবরদস্তি' করার বিপক্ষে ইউএনএইচসিআর। তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা ছাড়াও অবৈধভাবে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এরা যেহেতু তালিকাভুক্ত নয় তাই তাদের আইন অনুযায়ী শরণার্থী বলাও যায় না। এসব মানুষ কক্সবাজার-টেকনাফ অঞ্চলে পাহাড়-জঙ্গলে গাছপালা কেটে অবৈধভাবে বাড়িঘর বানিয়ে থাকছে বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় অর্থনীতিতে এরা যেমন বিরূপ প্রভাব ফেলছে তেমনি আইনবিরোধী কাজ করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।

শরণার্থী রোহিঙ্গারা বিশেষ বিশেষ সময়, যেমন ১৯৭৮ ও ১৯৯২ সালে আত্মরক্ষার্থে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিল। মিয়ানমার সরকার তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে বলে বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে। কেননা, মিয়ানমারের কোনো সরকারই রোহিঙ্গাদের তাদের নাগরিক বলে স্বীকৃতি দেয় না। বিশেষ সময় ছাড়া যে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ করেছে তাদেরও তালিকাভুক্ত শরণার্থীদের মতো নির্যাতনের মুখে নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশে অবৈধভাবে আসতে হচ্ছে।

বাড়িঘর ছেড়ে চলে আসা রোহিঙ্গারা তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করে থাকে। তাদের ওপর নির্যাতনের কয়েকটি বড় কারণ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মদ শামসুল হক ১৯৯৩-এ তার লেখা 'বাংলাদেশ ইন ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স' গ্রন্থের ১৩৬ নম্বর পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন। যেমন, মিয়ানমারের আরাকান অঞ্চলকে মুসলিমমুক্ত করার জন্য মিয়ানমার সরকার যে নির্যাতন চালাচ্ছিল তা 'অপারেশন ড্রাগন'-এর সময় চরমে পৌঁছেছিল; তাদের অধ্যুষিত এলাকায় যথেষ্ট নিরাপত্তার অভাব ছিল; স্বাধীনভাবে চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল; চালের ওপর যে লেভি আরোপ করা হচ্ছিল তা অসহ্য ছিল। ১৯৭৩ সালের আদমশুমারি থেকে মুসলিমদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল।

তবে মিয়ানমার সরকারের বক্তব্য ছিল ভিন্ন। সরকারি ভাষ্য ছিল যে 'অপারেশন ড্রাগন' মুসলিমদের বিরুদ্ধে নয় বরং সব অবৈধ বসতিস্থাপনকারীর বিরুদ্ধে পরিচালিত হচ্ছে এবং সাধারণত পশ্চিম (বাংলাদেশ) থেকে পূর্বদিকে (মিয়ানমার) মানুষের চলাচল হয়েছে। অবৈধ বসতিস্থাপনকারীদের চিহ্নিত করতে জরিপ চালানোর সময় কিছু আরাকানি মুসলমান অনুসন্ধানী প্রক্রিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা না করে দেশত্যাগ করে গেছে।

আরাকান, বর্তমানে যাকে রাখাইন প্রদেশ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, বরাবরই বৌদ্ধ ও মুসলিম রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ আবাসভূমি হিসেবে পরিচিত ছিল। রোহিঙ্গারা শত শত বছর ধরে এখানে বাস করছে। তাদের পূর্বপুরষরা আরব, পার্সি ও মুরিস বণিক যারা দশম থেকে ষোড়শ শতকের মধ্যে আরাকানে এসেছিল। তাদের অনেকে স্থানীয় নারীদের বিয়ে করে এদেশে থেকে গিয়েছিল। রোহিঙ্গারা যে বার্মিজ উপভাষা বলে তাতে অনেক আরবি, ফার্সি ও বাংলা শব্দ ঢুকে গেছে। (সূত্র: শামসুল হক, প্রাগুক্ত)

বাংলা থেকেও আরাকানে মানুষের গমন হয়েছিল, বিশেষ করে পঞ্চদশ শতকে আরাকানরাজ নরমিখলার রাজত্বে মুসলিম মন্ত্রী-আমাত্যদের নিয়োগ করা হয়। রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে নিম্নপর্যায়ের কর্মচারীদেরও অনেকে মুসলিম ছিলেন। আরাকানি রাজারা তাদের মুদ্রার এক পিঠে আরাকানি ভাষায় এবং অপর পিঠে কখন আরবি ও বাংলায় তাদের নাম লিখতেন। তারা আরাকানি নাম ছাড়াও মুসলমানি নাম বা পদবি ব্যবহার করতেন।

তাছাড়া আরাকান রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা সাহিত্যচর্চার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে আলাওলের 'পদ্মাবতী' কাব্য। কিন্তু ১৭৮৪ সালে বর্মণ (মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ) দ্বারা আরাকান দখল হয়ে গেলে বৌদ্ধ ও মুসলিমদের মধ্যে সুসম্পর্কের অবসান হতে থাকে যার ধারাবাহিকতায় বর্তমান রোহিঙ্গা সমস্যার উৎপত্তি হয়েছে।

বিশেষ করে ১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইন ক্ষমতা দখল করার পর থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। দেশজুড়ে সামরিক শাসকদের স্বৈরশাসন চলতে থাকে। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো ১৯৮২ সালে গৃহীত নাগরিকত্ব আইনে রোহিঙ্গাদের দেশের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা হয় এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাদের ওপর নির্যাতন করাটা নিয়মিত ব্যাপারেও পরিণত হয়।

দীর্ঘকাল ধরে মিয়ানমার সামরিক শাসকদের দ্বারা শাসিত হয়ে এসেছে। যার দরুণ ন্যূনতম গণতান্ত্রিক পরিবেশ মিয়ানমারে বিদ্যমান ছিল না। কেন্দ্রীয় সরকারের চরম অগণতান্ত্রিক শাসনের ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ বর্মণ ছাড়াও রোহিঙ্গা ও মিয়ানমারের অন্যান্য জাতির মানুষকে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে দীর্ঘকাল ধরে। কারেন, শান, কাচিন প্রভৃতি জাতির মানুষ সশস্ত্র লড়াইয়ে লিপ্ত থেকে নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার বিচ্ছিন্ন হতেও চেয়েছে।

তাদের পথ অনুসরণ করে রোহিঙ্গাদের কোনো কোনো গোষ্ঠী সশস্ত্র লড়াই করার জন্য নিজেদের সংগঠিত করেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদের ইঙ্গিত পেয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এদের ওপর নির্যাতন বাড়িয়ে দিয়েছে। মিয়ানমারে অন্য কোনো জাতিকে 'বিদেশি' বলে আখ্যায়িত করা হয় না। তাই তারা তাদের মাটিতে থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের অগণতান্ত্রিক নীতি অস্ত্রের সাহায্যে মোকাবিলা করার চেষ্টা করে।

প্রতিবেশি হিসেবে বাংলাদেশকে শুধুমাত্র রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে হচ্ছে না, তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে জটিল ও দীর্ঘ এক কূটনৈতিক আলোচনায়ও লিপ্ত থাকতে হচ্ছে। মিয়ানমারের অন্য কোনো প্রতিবেশিকে এ রকম জটিলতায় পড়তে হয়নি যা বাংলাদেশকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

সম্প্রতি রাখাইন রাজ্যসহ মধ্য মিয়ানমারে মুসলিমদের সঙ্গে প্রতিবেশি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হচ্ছে যা দেশটির জাতিগত বা ধর্মীয় পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলছে। গত জুনের এক ঘটনায় রাখাইনে রোহিঙ্গারা নতুন এক নির্যাতনের শিকার হয় এবং নতুন করে বাংলাদেশ অভিমুখে শরণার্থী আগমন শুরু হয়। বাংলাদেশ এ শরণার্থীদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করে মিয়ানমারের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

এ রকম মানবিক বিপর্যয়ের মুখেও বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে চায়নি যদিও আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো সরকারের কাছে মানবিক দিকটি বিবেচনা করে দেখতে আহ্বান জানিয়েছিল। প্রতিবেশির দ্বারা মুসলিম জনগোষ্ঠীকে নির্যাতনের প্রতি মিয়ানমার সরকারের নির্লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

অন্যদিকে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ব্যাপারে মিয়ানমারের জননন্দিত নেত্রী অঙ সান সুচির বক্তব্য ও অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রোহিঙ্গাদের উৎপত্তির ব্যাপারে সরকারি ভাষ্য তিনি সমর্থন করেছেন। গত বছর জুনে নির্যাতন চলাকালে তিনি ইউরোপ সফরে ছিলেন। তার কাছ থেকে তখন যেমন কোনো স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি এবারও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

অথচ তিনি শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন এবং সামরিকজান্তার সঙ্গে দীর্ঘ আপসহীন লড়াই করে পরিচিতি পেয়েছেন। দেশের জনগণের মানবাধিকার রক্ষার পক্ষে তার অবস্থান এক স্বাভাবিক ব্যাপার বলে গণ্য হতে পারত। তার পক্ষে আগামীতে মিয়ানমার শাসন করার সম্ভাবনা প্রবল বলে মনে হয়। কিন্তু তিনিই প্রধান জনগোষ্ঠীর মধ্যে তার জনপ্রিয়তাকে ধরে রাখতে তার দেশের অপর জনগোষ্ঠীর বিষয়ে চুপ থাকছেন বলা যায়।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশের কূটনৈতিক পদক্ষেপ প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠতে পারে। যারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তাদের ফেরত পাঠানো নিয়ে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়েও ২০০৫-এর পর থেকে নতুন কোনো প্রত্যাবাসন করতে পারেনি। সরকারিভাবে বলা হচ্ছে যে মিয়ানমার সবসময় শরণার্থী বিষয়টি স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু দীর্ঘ সাত-আট বছরে কেন আর প্রত্যাবাসন হল না?

বিষয়টি শুধু প্রত্যাবাসনের ব্যাপারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, রোহিঙ্গারা যে মিয়ানমারের নাগরিক তা প্রতিষ্ঠা করাও প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সে দেশের সরকারের ওপর চাপ দেওয়ার ব্যাপারটিও যথেষ্ট মনোযোগ পায়নি বলে মনে হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার সফর করেছেন। কিন্তু গত বছর সেখানকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেন সেইনের বাংলাদেশ সফর স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর সফর নিয়ে নতুন কোনো কূটনৈতিক তৎপরতা নেওয়া হয়েছে বলে লক্ষণ নেই। সমস্যাটি নতুন করে সৃষ্টি হওয়ায় এ সফরের গুরুত্ব ছিল।

ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিয়ানমারের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ শিথিল করে নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ওবামাসহ উচ্চ পদাধিকারীদের মিয়ানমার সফর করতে দেখা যাচ্ছে। সফরকালে ওবামা রোহিঙ্গাদের মূলধারার জনগোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এসব দেশের নেতৃবৃন্দ নিজ স্বার্থে মিয়ানমারের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পালটে বন্ধুত্বের হাত বাড়াচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র এখন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তার সামরিক উপস্থিতি বাড়াতে চলেছে। উদীয়মান শক্তি চীনকে মোকাবিলা করতে যুক্তরাষ্ট্র চীনের ঘনিষ্ঠ মিত্র মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক চাচ্ছে। এছাড়া মিয়ানমারের প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদের আকর্ষণ তো আছেই।

মিয়ানমার যখন বিচ্ছিন্নতাবাদের নীতি ত্যাগ করে নিজেকে খুলে দিচ্ছে এবং নতুন করে তার বৈদেশিক সম্পর্ক তৈরি করতে যাচ্ছে তখন বাংলাদেশ চীনসহ মিয়ানমারের ওপর প্রভাববিস্তারকামী দেশগুলোকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আরও সক্রিয় নীতি গ্রহণ করতে অনুরোধ করতে পারে।